Posts

Showing posts from May, 2024

শান্তি এবং আপস-মীমাংসা

Image
  আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। কুরআন থেকে প্রাপ্ত আজকের শিক্ষাটি হলো সূরা নিসার আয়াত ১২৮। দুটি শব্দ, খুবই সহজ, মুখস্ত করুন। وَالصُّلْحُ خَيْرٌ - ওয়াসসুলহু খায়র, অর্থাৎ শান্তি এবং আপস-মীমাংসাই সর্বোত্তম। وَالصُّلْحُ خَيْرٌ - ওয়াসসুলহু খায়র।  এমন দুজন মানুষ যারা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আছে, স্বামী এবং স্ত্রী যাদের মধ্যে মিল হচ্ছে না, দুটি জাতি অথবা গোত্র যারা পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত, তাদের জন্য আল্লাহ আমাদেরকে একটি সাধারণ নীতি, একটি বিধান প্রদান করেছেন - وَالصُّلْحُ خَيْرٌ - ওয়াসসুলহু খায়র। একটি শান্তি চুক্তিতে মিলিত হওয়া, আপস-মীমাংসায় আসা, এটা সর্বদাই সর্বোত্তম। সুবহানাল্লাহ ! আমাদের প্রতিপক্ষরা বলে, ইসলাম হলো যুদ্ধ, ইসলাম হলো সহিংসতা; আর কুরআনের বার্তা এবং সীরাতের বার্তা এর সম্পূর্ণ বিপরীত।  আল্লাহ সর্বদা মীমাংসা এবং শান্তির প্রতি উৎসাহিত করেছেন। প্রকৃতপক্ষে কুরাইশদের ব্যাপারেও আল্লাহ বলেছেন, وَإِن جَنَحُوا لِلسَّلْمِ فَاجْنَحْ لَهَا وَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ - ওয়াইন জানাহু লিসসালমি ফাজনাহ লাহা ওয়াতাওয়াক্কাল ‘আলাল্লাহ, অর্থাৎ তারা যদি শান্তির প্রতি ঝুঁকে, তখন তুমিও শান্তির প

বনু কুরাইশ

Image
  ড. আদনান ফায়সাল বনু কুরাইশ আরবের সবচেয়ে সম্মানিত গোত্র ছিল। এর কারণ, এই বংশের বিভিন্ন পূর্বপুরুষ এমন কিছু কাজ করেছিল যা পুরো মক্কাবাসীর জন্য গৌরব আর সম্মান বয়ে নিয়ে এসেছিল। রাসূলুল্লাহ(সা) এর ৫ম পূর্বপুরুষের নাম ছিল কুসাই। এই কুসাই, তার ছেলে আব্দুল মানাফ ও নাতি হাশিম (রাসূলুল্লাহ(সা) এর দাদা আব্দুল মুত্তালিবের বাবা) কুরাইশ বংশের জন্য বিভিন্নভাবে সম্মান বয়ে এনেছিল। এর ফলে, রাসূলুল্লাহ(সা) যখন কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তখন তাঁর পূর্বপুরুষদের কারণে তিনি(সা) বিশেষ সম্মান পেতেন। এই লেখায় আমরা জানব – কুসাই, আব্দুল মানাফ ও হাশিম কিভাবে কুরাইশ গোত্রের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিল। কুসাই যেভাবে বনু কুরাইশের জন্য সম্মান নিয়ে এসেছিল: কুসাই ছিল প্রিয়নবী মুহাম্মাদ(সা) এর দাদার দাদার বাবা। রাসূলুল্লাহ(সা) এর জন্মের প্রায় ১৭০ বছর আগে ছিল কুসাইয়ের জমানা (আনুমানিক ৪০০ খ্রিষ্টাব্দ)। মক্কাবাসীর জীবনে কুসাইয়ের অনেকগুলো বিশাল অবদান ছিল। তার সবচেয়ে বড় অবদান ছিল ক্ষমতাগ্রহণ ও রাজনীতিতে। মক্কার ক্ষমতার আসনে কুরাইশদেরকে বসায় কুসাই। কিভাবে সেটা হয়েছিল? এটা বুঝতে হলে একটু পেছন দিকে যেতে হবে। জমজ

ডা: জাকির নায়েক

Image
  ডা: জাকির নায়েক কোন ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করেননি , তিনি কুরআনের হাফেজ নন, কুরআনিক আরবিও তার ভালমত শেখা হয়নি – তারপরেও কিভাবে তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত দাঈ? অন্যতম প্রভাবশালী ইসলামী ব্যক্তিত্ব? মদীনাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানরা পর্যন্ত তার লেকচার শুনতে তার সেমিনারে এসেছেন। পৃথিবীর এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত খুব কম মুসলিম পাওয়া যাবে যে তার লেকচার বা নাম শুনেনি। কিভাবে এই আপাত অসম্ভব বিষয়টা সম্ভব হলো। এই প্রশ্নের উত্তর তিনি নিজেই দেয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁর “জাকির নায়েক: মাই লাইফ এন্ড মাই স্টোরী” লেকচারে। কুরআন মজিদের তিনটি আয়াতের কথা বলেছেন তিনি – যা তিনি সবসবময় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেছেন, পালন করার চেষ্টা করেছেন। এগুলো অনুসরণ করলে সফলতা আসবেই। কারণ, এগুলো মানুষের প্রতিশ্রুতি নয়, স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাওয়াতা’লার প্রতিশ্রুতি।   ১) আল্লাহর সাহায্যই সবচেয়ে বড় সাহায্য সূরা আলে-ইমরানের ১৬০ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন: اِنۡ يَّنۡصُرۡكُمُ اللّٰهُ فَلَا غَالِبَ لَـكُمۡ​ۚ وَاِنۡ يَّخۡذُلۡكُمۡ فَمَنۡ ذَا الَّذِىۡ يَنۡصُرُكُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِهٖ ​ؕ وَعَلَى اللّٰهِ فَلۡيَتَوَ

খাওয়াতের (রা) উট

Image
  আপনি যদি অফিসে বা অফিসের বাইরে কখনো কোন টিম ম্যানেজ করে থাকেন, অথবা আপনার যদি একাধিক সন্তান থাকে – তাহলে আপনি জেনে থাকবেন যে একই উপদেশ সবার জন্য খাটে না। প্রত্যেককে তার পার্সোনালিটি অনুযায়ী এডভাইস দিতে হয়। কাউকে হয়তো ধীরে ধীরে বুঝিয়ে বলতে হয়, কাউকে একটু জোর দিয়ে বলতে হয়, আবার কারো ক্ষেত্রে স্পষ্ট করে হয়ত কিছু বলতেই হয় না – আপনার উপস্থিতি আর হাসিমুখই অনেক না বলা কথা বলে দেয়। আমাদের রাসূলুল্লাহ(সা) ছিলেন মাস্টার হিউমান কমিউনিকেটর। খাওয়াত ইবনে যুবাইর আল-আনসারী (রা) নামক এক সাহাবী, নিষিদ্ধের প্রতি যার কিঞ্চিৎ দুর্বতলতা ছিল, তাকে হাস্যরসের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সা) কিভাবে সঠিক পথে ফিরিয়ে ছিলেন আজকে সেই গল্পটা বলব। খাওয়াত (রা) একবার রাসূলুল্লাহ(সা) এর সাথে কোন এক যাত্রা থেকে ফিরছিলেন। পথে মার-এ-যাহরান নামক এক জায়গায় তাঁরা তাঁবু খাটিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। খাওয়াত(রা) তাঁবু থেকে কি এক কাজে একবার বাইরে বের হলেন, আর তার চোখে পড়ল অদূরেই কিছু নারী রাস্তায় বসে গল্প-গুজব করছিলেন। খাওয়াত ভাবল – দেখি এদের গল্পে একটু কান পাতা যায় কিনা। তাঁবুর ভেতরে যেয়ে সে ভাল একটা জুব্বা পড়ল, তারপর বের হয়ে সেই নারীদের

সুতা পাকানো ঐ মহিলার মত হবেন না

Image
  মক্কায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলা ছিল। এই মহিলা এক সময় সুতার কাজ শিখে নিয়েছিল। সে দীর্ঘক্ষণ বসে বসে সুতা পাকাতো। শক্ত করে পাকানো এই সুতা দিয়ে চাইলে সে কাপড়, ছালা ইত্যাদি কিছু বানাতে পারত। কিন্তু, সে তা না করে পাকানো সেই সুতাকে আবার খুলে ফেলত। ঘন্টার পর ঘণ্টার, দিনের পর দিনের পরিশ্রমকে এভাবে সে শূণ্য করে দিত। (আত-তাবারী)  বুদ্ধিসম্পন্নহীন ঐ মহিলার উদাহরণ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা কুরআন মজিদের সূরা নাহলে ব্যবহার করেছেন।  তোমরা ঐ মহিলার মত হয়ো না যে তার সূতাগুলোকে শক্ত করে পাকানোর পর নিজেই তার পাক খুলে আলাদা করে দেয়। (সূরা নাহল ১৬:৯২) সমস্ত রমজান মাস জুড়ে আমরা রোজা রেখেছি, তারাবীহ এর নামাজ পড়েছি, কুরআন তেলাওয়াত করেছি, বেশী বেশী দান করেছি, ধৈর্য ধরেছি, কেউ ভুল করলে মাফ করে দিয়েছি।আমরা আমাদের আমলনামা যথাসাধ্য ভাল কাজ দিয়ে পূর্ণ করেছি। কিন্তু রমজান শেষে আমরা কি ঐ মহিলার মত হয়ে যাব? রমজানের পরের আমি আর রমজানের আগের আমির মধ্যে যদি পার্থক্য না থাকে, তাহলে আমাদের অবস্থাও কিন্তু ঐ মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার মতই হবে – দীর্ঘ এক মাস দিন-রাত কষ্ট করে নিজের মন আর শরীরকে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য

উমাইর ইবনে সাদ রাঃ

Image
  সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের পাশের নগরী হিমস। এই নগরে যাকেই গভর্নর করা হউক না কেন, নাগরিকদের অভিযোগের অন্ত থাকে না! কিছুদিনের মধ্যেই খলিফার কাছে তারা আবেদন জানায়ঃ এই লোকের চেয়ে ভালো একজন গভর্নর নিয়োগ দিন! বিরক্ত খলিফা হযরত ওমর ফারুক রাঃ হন্যে হয়ে একজন যোগ্য গভর্নর খুজঁতে শুরু করলেন। কে আছে এমন ব্যক্তি যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতেই পারে না? উমাইর ইবনে সাদ রাঃ নিয়োগ পেলেন হিমস নগরীর গভর্নর পদে। তখন তিনি শাম দেশে নিয়োজিত ছিলেন জিহাদের সেনাপতি হিসেবে। তিনি ছিলেন মহানবী সাঃ এর স্নেহধন্য একজন সাহাবী। আদেশ পেয়েই ছুটলেন নতুন কর্মস্থলে... এক বছর হয়ে গেলো এরমধ্যে হিমস থেকে কোন অভিযোগ এলো না! গভর্নর কোন চিঠিও লিখলেন না খলিফাকে আবার কোন রাজস্বও এলো না! আশ্চর্যান্বিত খলিফা জরুরী পত্র দিয়ে ডেকে পাঠালেন গভর্নর উমাইর ইবনে সাদ রাঃ কে। পত্র পাওয়া মাত্র তৈরী হয়ে গেলেন! নিত্য ব্যবহারের ব্যাগে ওজুর পাত্র আর খাবারের প্লেট ঢুকিয়ে হাঁটা শুরু করেন মদিনার দিকে। ইতিমধ্যে চুল দাড়ি বড় হয়ে গেলো মদিনায় পৌছাতে গিয়ে! অবিরাম পথ চলায় ক্লান্ত শ্রান্ত এই বিধ্বস্ত গভর্নর কে দেখে খলিফা তাকে বসতে দিয়ে জানতে চাইলেনঃ : এই অবস্থা

স্বপ্ন দেখলে কীভাবে বুঝবেন তার অর্থ

Image
  স্বপ্নের উৎস তিনটি। ১. মহান আল্লাহ–তায়ালা, ২. কল্পনা, এবং ৩. শয়তান। নবীরা আল্লাহর কাছ থেকে আসা স্বপ্ন দেখেছেন। আল্লাহ তাঁদের স্বপ্ন শয়তানের আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছেন। নিজেদের কল্পনা থেকেও আল্লাহ তাঁদের স্বপ্নকে রক্ষা করেছেন। নবীদের স্বপ্ন তাই অহি হিসেবে গণ্য করা হয়। হজরত ইব্রাহীম (আ.) যেমন হজরত ইসমাইল (আ.)–কে কোরবানি করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কল্পনা থেকে উদ্ভূত স্বপ্নকে বলা হয় হাদিসুন নাফস। ধরা যাক, ঢাকা শহরের আপনি একটি ফ্ল্যাটের মালিক হতে চান। এ নিয়ে সব সময় আপনি ভাবছেন। স্বপ্ন দেখলেন, আপনি একটি ফ্ল্যাটে বাস করছেন। এটা আপনার কল্পনা থেকে উদ্ভূত স্বপ্ন। শয়তানের পক্ষ থেকে যে স্বপ্ন আসে তা আসলে দুঃস্বপ্ন। আরবিতে একে বলা হয় আল হুলম। আল হুলম মানে অশুভ স্বপ্ন। এ ধরনের স্বপ্ন দেখার পর মনে ভয় বা আতঙ্কের জন্ম হয়। এ ধরনের স্বপ্নের মাধ্যমে শয়তান অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। এ ধরনের স্বপ্ন নিয়ে পড়ে থাকা ঠিক নয়। হজরত আবু হুরাইরাহ্ (রা.)–এর বরাতে একটি হাদিসে বলা হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কেয়ামতের সময় যখন আসন্ন তখন খাঁটি মুসলিমের স্বপ্ন মিথ্যা ও ভ্রান্ত হবে না। তোমাদের মধ্যে সত্যভাষীরা সবচেয়ে সত্য

আল্লাহর সাথে একটি সুন্দর সম্পর্ক

Image
  আল্লাহর সাথে একটি সুন্দর সম্পর্ক থাকার আনন্দ পৃথিবীর যে কোনো আনন্দের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান এবং অতিশয় সুমিষ্ট। আপনার হৃদয়ে যদি এ আনন্দ থেকে থাকে তাহলে দুনিয়ার অন্যান্য সুখগুলো আপনাকে আর সেভাবে আনন্দিত করে না। তাই আপনি চাইবেন অন্তরের সে মান সবসময় বজায় রাখতে। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন- اِنَّ الۡاَبۡرَارَ لَفِیۡ نَعِیۡمٍ- "নিশ্চয় সৎকর্মপরায়ণরা থাকবে নানান নেয়ামতের মাঝে।" وَ اِنَّ الۡفُجَّارَ لَفِیۡ جَحِیۡمٍ - یَّصۡلَوۡنَهَا یَوۡمَ الدِّیۡنِ - “আর নিশ্চয় অন্যায়কারীরা থাকবে প্রজ্জ্বলিত আগুনে। কর্মফলের দিন তারা তাতে প্রবেশ করবে।” সূরা আল-ইনফিতার, ১৩-১৫। খেয়াল করে দেখুন, আল্লাহ যখন নেককারগণের কথা বললেন এবং বললেন যে তারা থাকবে নানান নেয়ামতের মাঝে; তিনি এখানে কোনো সময়ের উল্লেখ করেননি। আর যখন মন্দ লোকদের কথা বললেন, তিনি বললেন তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে শেষ বিচারের দিন। এখানে সময়ের উল্লেখ করা হলো। এখান থেকে আমাদের আলেমেরা বলেন, "ইন্নাল আবরারা লাফিই নায়িম" সৎকর্মপরায়ণরা অবিরাম আশীর্বাদে থাকে এ দুনিয়াতে এবং পরকালে। আর মন্দ লোকেরা হয়তো আংশিকভাবে এ দুনিয়া উপভোগ করবে,

পরিপূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ করো

Image
  ইসলাম খুবই সিরিয়াস একটি ধর্ম। এটি আপনার কাছ থেকে সমগ্র জীবন যাপন পদ্ধতির পরিবর্তন দাবী করে। আল্লাহ তায়ালা যেমন বলেছেন— উদখুলু ফিস সিলমি কা-ফফা। "তোমরা পরিপূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ করো।" 'প্রবেশ করো' বলা হলো কেন? এর অনেকগুলো ব্যাখ্যা আছে। একটি ব্যাখ্যা হলো— যখন কোনো কিছুর ভেতরে প্রবেশ করেন আপনি সম্পূর্ণরূপে এর ভেতর নিমজ্জিত হয়ে যান। যেমন, কেউ যদি পানিতে ডুব দেয় সে চারপাশে শুধু পানিই দেখতে পায়। ইসলাম আপনার সকল পাশে থাকার কথা। আপনি এর ভেতরে নিমজ্জিত। একেবারে ডুবে গেছেন। আল্লাহ যেমন অন্য এক আয়াতে বলেছেন— "(আমরা) আল্লাহর রঙে রঞ্জিত এবং আল্লাহর রঙ অপেক্ষা আর কার রঙ উত্তম হবে? এবং আমরা তাঁরই ‘ইবাদাতকারী।" আমরা ইসলামের ভেতর পুরোপুরি ডুবে আছি। আল্লাহর নিকট সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পিত। এ আয়াতে উল্লেখিত 'সিল্ম' এর আরেকটি অর্থ হলো প্রশান্তি। অর্থাৎ একমাত্র তখনই আপনি সত্যিকারের প্রশান্তি এবং নিরাপত্তা অনুভব করবেন যখন আপনি পরিপূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ করবেন। যখন পুরোপুরি ইসলামের ভেতর ডুবে যাবেন। —নোমান আলী খান যদি এমন হয় যে আপনি বহুদিন যাবত ইসলাম পালন করছেন ক

যালিমরা যা করছে...

Image
  যেসব মুসলমানদের নির্যাতন করা হচ্ছে তারা যেন কক্ষনো এমন ধারণা না করে যে, তাদের বিরুদ্ধে যে অপরাধ করা হচ্ছে কোনোদিন তার কোনো শাস্তি হবে না। আল্লাহ একদিকে নির্যাতিত মুসলমানদের বলেন ধৈর্য ধারণ করো। কিন্তু, প্রশ্ন হলো ওদের কি কিছু হবে না? তারা যে আমাদের উপর এভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে। আমাদের নারী শিশুদের গণহারে হত্যা করা হচ্ছে। আমাদের মসজিদগুলো, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সব বোমা মেরে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। এই জুলুমবাজদের কি কোনই শাস্তি হবে না? যদি জানতে পারতাম তাদের কী হবে তাহলে এটা আমাকে ধৈর্য ধরতে সহায়তা করবে। ১৪ নাম্বার সূরা, সূরা ইব্রাহিমের শেষ অংশ আল্লাহ এর জবাব দিয়েছেন। সূরা ইব্রাহিমের এই শেষ অংশে আল্লাহ বলেন- "যালিমরা যা করছে সে ব্যাপারে তোমরা আল্লাহকে কক্ষনো উদাসীন মনে কর না। তিনি তাদেরকে সেদিন পর্যন্ত ঢিল দিচ্ছেন যেদিন ভয়ে আতঙ্কে চক্ষু স্থির হয়ে যাবে। আতঙ্কিত হয়ে মাথা তুলে পালাতে থাকবে, দৃষ্টি তাদের নিজেদের পানে ফিরে আসবে না, আর তাদের দিল উড়ে যাবে। কাজেই মানুষকে সতর্ক কর সেদিনের ব্যাপারে যেদিন তাদের উপর ‘আযাব আসবে। যারা যুলম করেছিল তারা তখন বলবে, ‘হে আমাদের প্র