Posts

Showing posts from July, 2019

যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব

Image
যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব মুফতি মুহাম্মাদ শোয়াইব কোরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কোরআন ও হাদিসে এর গুরুত্ব অপরিসীম। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) হিজরতের পর প্রতি বছর কোরবানি করেছেন। তিনি কখনও কোরবানি পরিত্যাগ করেননি; বরং কোরবানি পরিত্যাগকারীদের ওপর অভিসম্পাত করেছেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কোরবানি করল না, সে যেন আমার ঈদগাহে না আসে।’ কোরবানির ফজিলতের ব্যাপারে হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, হজরত যায়েদ ইবনে আকরাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সাহাবায়ে কেরাম নবী করিম (সা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করেন, কোরবানি কী? নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, কোরবানি হলো তোমাদের পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.) -এর সুন্নত। এতে আমাদের সওয়াব কী? নবী করিম (সা.) বলেন, ‘কোরবানির পশুর প্রত্যেকটি পশমের বদলায় একটি করে সওয়াব রয়েছে। ভেড়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ভেড়ার প্রত্যেকটি পশমের বদলায়ও একটি করে সওয়াব রয়েছে।’ -মুসনাদে আহমাদ হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কোরবানির দিন কোরবানির চেয়ে উত্তম আমল আর নেই। কিয়ামতের দিন কোরবানির পশুকে শিং, পশম ও খু

মিথ্যা রটনা ও মানব হত্যার ভয়ংকর পরিণতি

Image
মিথ্যা রটনা ও মানব হত্যার ভয়ংকর পরিণতি শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী সত্যতা ইমান ও ইসলাম সত্যতা ও সততা ইসলামের মূল চালিকা শক্তি। মুমিন বা মুসলিম হলো সত্যের অনুসারী। জীবনের সব ক্ষেত্রে, সর্বাবস্থায় সত্যের অনুসরণ করাই হলো ইমান ও ইসলাম। আল্লাহ তাআলা কোরআন কারিমে বলেন, ‘তুমি বলো: সত্য এসেছে, মিথ্যা অপসৃত হয়েছে; নিশ্চয় মিথ্যা দূরীভূত হবেই’ (১৭: ৮১)। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আরও বলেন, ‘তোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে সংমিশ্রণ করো না এবং জেনেশুনে সত্য গোপন করো না’ (২: ৪২)। সংবাদ যাচাই জরুরি সঠিক তথ্য বা সংবাদ জ্ঞানের উৎস। তাই কোনো বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার আগে তথ্য যাচাই করা প্রয়োজন। কারণ, ভুল তথ্যের ওপর নেওয়া সিদ্ধান্তও ভুল হবে এবং এর পরিণতি দুনিয়া ও আখিরাতে ভয়াবহ হবে। এ বিষয়ে মুমিনদের সতর্ক করে আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ! যদি তোমাদের কাছে কোনো ফাসিক ব্যক্তি কোনো সংবাদ নিয়ে আসে, তখন তোমরা তা যাচাই-বাছাই করো (তথ্যানুসন্ধান ও সঠিক সূত্র সন্ধান করো), না হলে তোমরা (এ অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে) অজ্ঞতাবশত কারও প্রতি আক্রমণ করে বসবে (যা যথাযথ নয়), ফলে তোমরা পরে তোমাদের স্বীয় কর্মের জন্য লজ্জিত

১৭ শ্রেনীর মুসলমান জান্নাতে যাবে না

১৭ শ্রেনীর মুসলমান জান্নাতে যাবে না ১. হারামপথে কামাই করে যে ব্যক্তি দেহ গঠন করেছে ২. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী ৩. যে ব্যক্তি তার প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয় ৪. মা বাবার অবাধ্য সন্তান ৫. অশ্লীল ভাষা ব্যবহারকারী ৬. সে সমস্ত শাসক যারা অধীনস্তদেরকে ধোঁকা দেয় ৭. অন্যের সম্পদ যে আত্যসাৎ কারী ৮. উপকার করে যে ব্যক্তি খোঁটা দেয় ৯. চোগলখোর ব্যক্তি ১০. অন্যের পিতাকে যে নিজের পিতা হিসেবে পরিচয় দেয় ১১. অহংকারী ব্যক্তি ১২. রাসূলুল্লাহ (সা) এর কথাকে যে প্রাধান্য দেয় না ১৩. ওই মহিলা যে কথায় কথায় স্বামীর কাছে তালাক চায় ১৪. দুনিয়ার উদ্দেশ্যে যে ইলম অর্জন করে ১৫. যে ব্যক্তি মাথায় কালো কলপ ব্যবহার করে ১৬. রিয়াকারী ব্যক্তি ১৭. ওয়ারিশকে বঞ্চিত করে যে ব্যক্তি

সংকট উত্তরণে প্রয়োজন তাকওয়া ও আত্মশুদ্ধি

Image
সংকট উত্তরণে প্রয়োজন তাকওয়া ও আত্মশুদ্ধি শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী ইসলাম পরিপূর্ণ জীবনবিধান। আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস, প্রিয় নবীজি (সা.)–এর সর্বোত্তম আদর্শ অনুসরণ ও জীবনে সর্বক্ষেত্রে বাস্তবায়ন এবং স্বীয় কৃতকর্মের জন্য পরকালে জবাবদিহি, পুরস্কারের আশা ও শাস্তির ভয়, সর্বোপরি মানবকল্যাণ ও সৃষ্টির উদ্দেশ্য সাধনই ইসলামের মূল শিক্ষা। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘পাপাচারী যখন পাপাচারে লিপ্ত হয়, তখন সে মুমিন থাকে না; তার ইমান তার থেকে আলাদা হয়ে যায়, যতক্ষণ না সে তওবা করে অনুতপ্ত হয়’ (বুখারি, তিরমিজি, মুসলিম ও ইবনে মাজাহ)। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সুরা ফাতিহায় মানুষকে হেদায়াতের প্রার্থনা শিখিয়েছেন, ‘ইহদিনাছ ছিরাতল মুছতাকিম’, অর্থাৎ ‘আমাদের সঠিক সরল পথ দেখান’ (সুরা-১ ফাতিহা, আয়াত: ৪)। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এই কোরআন মুত্তাকিদের জন্য হেদায়াত সঠিক–সরল পথনির্দেশ’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ২)। তাকওয়া অর্থ আল্লাহর ভয়। যাঁর মধ্যে আল্লাহর ভয় আছে, তিনি মুত্তাকি বা পরহেজগার। মুত্তাকির অপরিহার্য ৫টি বৈশিষ্ট্য হলো, ‘গায়েব বা অদৃশ্যে বিশ্বাস, সালাত কায়েম বা নামাজ প্রতিষ্ঠা,

আল কোরআন

Image

আল হাদিস

Image

ইসলাম মানবতার ধর্ম

Image
ইসলাম মানবতার ধর্ম মেহেদি হাসান সাকিফ ইসলাম পৃথিবীর একমাত্র মানবতার কল্যাণকামী শ্রেষ্ঠ ধর্ম। পৃথিবীতে ইসলামই একমাত্র ধর্ম যেখানে মানবতার কল্যাণ সাধন করাকে এতোটা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা শ্রেষ্ঠ উম্মত মানবজাতির কল্যাণের জন্যে তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। ( সুরা আল ইমরান ১১০)। অভুক্তদের কষ্টের ভাগীদার হতে মহান আল্লাহ রমজানের সিয়াম ফরজ করেছেন। দুঃখীর কষ্ট লাগবে যাকাত ফরজ ও সাদাকাতুল ফিতরের বিধান ওয়াজিব করেছেন। আল্লাহ বলেন,যারা নিজেদের ধন সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে তাদের উপমা একটি বীজের মত, যা সাতটি শীষ উৎপাদন করে, প্রত্যেক শীষে রয়েছে ১০০ শস্যদানা। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছে বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেন। আর আল্লাহ সর্বব্যাপী প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। (সুরা বাকারা-২৬১)। আল্লাহ আরও বলেন, আর তাদের ধন–সম্পদে রয়েছে ভিক্ষুক ও বঞ্চিতের হক। ( সুরা যারিয়াত -১৯)। আমাদের প্রিয় নবী (সা.) ছিলেন দয়া ও মহানুভবতার মূর্ত প্রতীক। ষষ্ঠ হিজরিতে খায়বার বিজিত হয়। নবম হিজরিতে যখন আরব উপদ্বীপ মুসলিমদের অনুগত। চারদিক হতে যখন বিপুল সম্পদ প্রেরিত হয় সবই তিনি অকাতরে বিলি

হজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম

Image
হজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী ইসলামের মূল ভিত্তি পাঁচটি—যথা কালিমা বা ইমান, নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত। হজের আভিধানিক অর্থ ইচ্ছা করা, সফর, ভ্রমণ করা। ইসলামি পরিভাষায় হজ হলো নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত স্থানে বিশেষ কিছু কর্ম সম্পাদন করা। হজের নির্ধারিত স্থান হলো মক্কা শরিফের কাবা, সাফা-মারওয়া, মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা ইত্যাদি এবং মদিনা শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর রওজা শরিফ জিয়ারত করা। (আসান ফিকাহ, ইউসুফ ইসলাহি, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা–২৫১)।  আল্লাহ তাআলার একটি বিশেষ বিধান হজ। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের ওপর হজ ফরজ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর তরফ হতে সেসব মানুষের জন্য হজ ফরজ, যারা তা আদায়ের সামর্থ্য রাখে।’ (সুরা-৩ আলে ইমরান; আয়াত: ৯৭)। এক ব্যক্তির জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ।  রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হজ মানুষকে নিষ্পাপ করে, যেভাবে লোহার ওপর থেকে মরিচা দূর করা হয়।’ (তিরমিজি)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রকৃত হজের পুরস্কার বেহেশত ব্যতীত অন্য কিছুই হতে পারে না। সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে যাঁরা হজ পালন করবেন, আল্লাহ তাআলা

নারীরা যেভাবে হজব্রত পালন করবেন

Image
নারীরা যেভাবে হজব্রত পালন করবেন জাবীন হামিদ হজ হচ্ছে ইসলামের পঞ্চম রোকন। বাইতুল্লায় হজ করার ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘এ ঘরের হজ করা হল মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্য; যে ব্যক্তির এ ঘর পর্যন্ত পৌঁছানোর সমর্থ আছে।’ (সূরা আলে ইমরান-৯৭)। রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজব্রত পালন করবে এবং হজের প্রান্তরে স্ত্রীর সঙ্গে মেলামেশা করবে না এবং এ সম্পর্কিত কোনো গুনাহের কাজে জড়াবে না, সে যেন সেখান থেকে শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ঘরে ফিরবে। (বোখারি ও মুসলিম)। হজের বেলায় রাসূল (সা.) যেভাবে তা পালন করেছেন, আমাদের সেভাবেই হজের আমলগুলো পালন করার চেষ্টা করতে হবে। হারিয়ে গেলে কী করবেন জেনে নিন? ১) হারিয়ে গেলে ভয় পাবেন না। মাথা ঠাণ্ডা রাখবেন। অনেক নারীকে দেখেছি হাউ মাউ করে কান্নাকাটি করতে। এতে কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় না। আপনি তাড়াতাড়ি ক্লান্ত, আরও ভীত হয়ে পড়বেন। এতে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। ২) আপনার বোরকা এবং সালোয়ার-কামিজে অবশ্যই একাধিক পকেটের ব্যবস্থা রাখবেন। আপনার পাসপোর্টের ফটোকপি, কিছু রিয়েল, মোবাইল সবসময় পকেটে থাকবে। ব্যাগ সব সময় হাতে রাখা কষ্ট

মাদক নিয়ন্ত্রণে ইসলামের নির্দেশনা ও বিধান

Image
মাদক নিয়ন্ত্রণে ইসলামের নির্দেশনা ও বিধান শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী মানবজীবনে শান্তি ও মুক্তির জন্য প্রয়োজন প্রকৃতির অনুকূল আল্লাহর বিধান অনুসরণ করা। ইমান মানে বিশ্বাস ও নিরাপত্তা এবং সমাজের কল্যাণে  নিবেদিত হওয়া। ইসলামি শরিয়তের সব বিধান এই আলোকেই সুবিন্যস্ত।  ইসলামে মাদক সেবন নিষিদ্ধ। ইসলামে অন্য যেসব নিষিদ্ধ বা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত বিষয় রয়েছে, সেগুলো থেকে ব্যক্তি চাইলেই সহজে বিরত থাকতে পারে। অর্থাৎ, ইচ্ছা করলে এসব অপরাধ থেকে সরে থাকা যায়। কিন্তু মাদক গ্রহণ এমন এক অপরাধ, যা নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে না; বরং মাদকসেবী নিজেই মাদক বা নেশার নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। চাইলেই সেখান থেকে বেরিয়ে আসা যায় না। অর্থাৎ, সে নেশাকে ছাড়তে চাইলেও নেশা তাকে সহজে ছাড়ে না বা ছাড়তে চায় না।  মূল পঞ্চ নিষেধের চারটি অপরাধ পরিত্যাগ করে তওবা করে পবিত্র জীবন যাপন করা সম্ভব, কিন্তু নেশা বা মাদকাসক্ত ব্যক্তি তওবা করারও সুযোগ পায় না এবং মাদক না ছেড়ে তওবা করলেও তা কবুল হয় না।  মাদক হলো অপরাধের আকর। কোরআন কারিমে বর্ণিত হারুত ও মারুত এই মাদকের নেশায় মাতাল হয়েই জোহরার ইশারায় হত্যা, ব্যভিচারসহ নানান অপরাধে লিপ্ত