Posts

Showing posts from March, 2020

মহামানবের মহা সফর মিরাজ

Image
মহামানবের মহা সফর মিরাজ শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী নবী–রাসুলের দ্বারা প্রকাশিত অতিপ্রাকৃতিক ঘটনাকে মুজিজা বলা হয়। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর বহু মুজিজার মধ্যে অন্যতম সেরা মুজিজা হলো মিরাজ। অন্য কোনো নবী ও রাসুলের মিরাজ হয়নি। মিরাজ অর্থ ঊর্ধ্বগমন। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সশরীর সজ্ঞানে জাগ্রত অবস্থায় হজরত জিবরাইল (আ.) ও হজরত মিকাইল (আ.)-এর সঙ্গে বোরাকে চড়ে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা হয়ে প্রথম আসমান থেকে একে একে সপ্ত আসমান এবং সিদরাতুল মুন্তাহা পর্যন্ত যান এবং সেখান থেকে একাকী রফরফ বাহনে আরশে আজিম পর্যন্ত যান। এরপর মহান রাব্বুল আলামিনের সঙ্গে তাঁর দিদার লাভ ও সংলাপ হয় এবং জান্নাত–জাহান্নাম পরিদর্শন করে তিনি ফিরে আসেন। মহানবী (সা.)–এর এই যাত্রা থেকে শুরু করে ফিরে আসা—ইসলামি পরিভাষায় এই পুরো প্রক্রিয়াই হলো মিরাজ। আর মিরাজের প্রথম অংশ কাবা শরিফ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত ভ্রমণ হলো ইসরা। ইসরা অর্থ রাত্রিকালীন ভ্রমণ। নবী করিম (সা.)–এর মিরাজ রাত্রিকালেই হয়েছিল, তাই এটিকে ইসরা বলা হয়। মিরাজ রজনীকে আরবিতে ‘লাইলাতুল মিরাজ’ এবং ‘লাইলাতুল ইসরা’ বলা হয়; যা সাধারণের কা

আমরা মুসলিম, এটিই আমাদের পরিচয়

Image
আমরা মুসলিম, এটিই আমাদের পরিচয় আব্দুল্লাহ   গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ঘটে গেল চরম দাঙ্গা। হিন্দু-মুসলিম হানাহানির এক চরম রূপ পরিলক্ষিত হল ভারতের রাজধানীতে। এনআরসি ও সিএএ-র প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরে মুসলমান ও সাধারণ হিন্দুরা আন্দোলন করে আসছিল দিল্লিসহ ভারতের সব রাজ্যেই। ক্ষমতাসীন বিজেপি এ সব আন্দোলন বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়ে বিকল্প পথ হিসেবে গ্রহণ করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির মতো মন্দ দৃষ্টান্ত। এ দেশের ইসলামপন্থী কিছু নেতার গর্জন দেখে নেহায়েত হাসি পাচ্ছে। কেউ জিহাদের ময়দানে দাওয়াত দিচ্ছেন, কেউ ডাকছেন ঘেরাও কর্মসূচি আবার কারও মুখে রাজপথ রঞ্জিত করার অগ্নিস্ফূলিঙ্গ। ফেসবুক স্ট্যাটাস আর খবরের কাগজে তাদের আবেগ আর কলমী শক্তি দেখলে মনে হবে, ভারত বুঝি আজকেই ভেঙ্গে গেল। তাছাড়া অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায়, তাদের বক্তব্যের উদ্ভাবনী শক্তি দেখে মনে হচ্ছে, আগামীকল্ই হয়তো বিশ্বটা মুসলিমদের পদচুম্বন করবে। এবার আসুন ‘হাসি পাবার’ কারণ ব্যাখ্যা করি। এখানে বর্তমান মুসলিম বিশ্বে চলমান কয়েকটি ঘটনার উদাহরণ টেনে বাংলাদেশি আলেম-উলামা ও ইসলামপন্থী বুদ্ধিজীবীদের জ্ঞান আবিষ্কারের তুলনামূলক

সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে ইসলামি বিধান অনুসরণ

Image
সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে ইসলামি বিধান অনুসরণ শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী  রোগবালাই, জরা–ব্যাধি জীবনের অংশ। কখনো তা মানুষের ভুলে, কখনো পরীক্ষা বা সতর্কবার্তা হিসেবে আপতিত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষের কৃতকর্মের দরুন জলে–স্থলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে; এতে তাদেরকে তাদের কোনো কোনো কর্মের প্রতিফল তিনি আস্বাদন করান, যাতে তারা সৎ পথে ফিরে আসে।’ (সুরা-৩০ রুম, আয়াত: ৪১)। ‘আমি তোমাদের অবশ্যই পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল–ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা। তুমি শুভ সংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের। যারা তাদের ওপর বিপদ আপতিত হলে বলে, “আমরা তো আল্লাহরই এবং নিশ্চিতভাবে তাঁর কাছেই প্রত্যাবর্তনকারী”।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৫৫-১৫৬)। আল্লাহ তাআলা মানুষের খালিক ও মালিক। তিনিই জীবন ও মৃত্যুর স্রষ্টা। তাঁর বিধান অনুসরণই আমাদের সুরক্ষার পথ। বালা–মুসিবত ও বিপদ–আপদ উত্তরণে ইসলামে বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। কোরআন মাজিদে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করো।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৪৫)। ইসলাম হলো পবিত্র বিশ্বাস ও পবিত্র জীবনযাপনের সর্বোত্তম পদ্ধতি। পবিত্রতা ইমানে

সবর অবলম্বনে আসে সাফল্য

Image
সবর অবলম্বনে আসে সাফল্য ফজল মুহাম্মদ, টরন্টো থেকে বিশ্বখ্যাত আলেমে দ্বীন মাওলানা তারিক জামিল একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন মানব জিন্দেগি বা জীবনচক্র একই সরলরেখায় গতিশীল নয়। জীবন-জিন্দেগি জিকজ্যাক বা আঁকা-বাঁকা পথের নাম। মানব জীবন নামক এই উঁচু-নিচু মহাসড়ক বারবার হোঁচট খায়। থেমে যায়। বাধার সম্মুখীন হয়। সব নবী-রাসূলই তাঁদের মহান দাওয়াতি মিশনে লাখোবার বাধা পেয়েছেন। তারপরও তাঁরা চরম প্রতিকূল পাহাড়সম দেয়াল পাড়ি দিয়েছেন। জীবন দিয়েছেন। রক্ত দিয়েছেন। জেল খেটেছেন। দেশ ছেড়ে হিজরত করেছেন। তবুও তাঁরা ‘সবর’ বা ধৈর্যের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অটল থেকেছেন। তায়েফে প্রতিশোধ নেননি আমাদের নবী পাক সা: তায়েফের ঘটনায় তায়েফবাসীকে ‘পাহাড়চাপা’ দিয়ে হত্যা অনুমোদন করেননি। নুহ আ: সাড়ে ৯০০ বছর বিরামহীন দাওয়াতে হকের কাজে সামিল ছিলেন। মুসা আ: ১২ বছর ছাগল-মেষের রাখাল জিন্দেগি অতিবাহিত করেন। আইউব আ: কত কঠিন অসুখেও আল্লাহর জিকির ভুলে যাননি। আমাদের যুবসমাজকেও ওই ধরনের ‘সবর’ অবলম্বন করতে হবে এবং দাওয়াতে হক প্রতিষ্ঠার মিশন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। মাওলানা তারিক জামিল  তিন দিনব্যাপী টরেন্টো সম্মেলনে বিশেষ মেহমান হিসেবে যোগ

আমানত রক্ষার ফজিলত

Image
আমানত রক্ষার ফজিলত ফিরোজ আহমাদ  আমানত অর্থ গচ্ছিত রাখা। আমানতের বিপরীত অর্থ খিয়ানত করা। কারো কোনো সম্পদ গচ্ছিত রাখাকে আমানত বলে। যে আমানতের হিফাজত করে তাকে আল-আমিন বলা হয়। হজরত মুহাম্মদ সা: আমানতকারীদের সরদার। হজরত মুহাম্মদ সা:-এর কাছে শুধু মুসলমান নয়, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর লোকেরা তাদের মূল্যবান ধনসম্পদ আমানত রাখত। আমানত হিফাজতের জন্য কুরআন ও হাদিসে তাগিদ দেয়া হয়েছে। কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ দিচ্ছেন আমানতসমূহ তার হকদারদের কাছে পৌঁছে দিতে’ (সূরা নিসা : ৫৮)। হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত, রাসূল সা: বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তোমার নিকট আমানত রেখেছে; তার আমানত তাকে ফেরত দাও। আর যে ব্যক্তি তোমার আমানত আত্মাসাৎ করেছে, তুমি তার আমানত আত্মাসাৎ করো না’ (আবু দাউদ : ৩/৩৫৩৫)। আমানত হিফাজতকারী ব্যক্তি হাশরের ময়দানে বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত হবেন। হাশরের ময়দানে উপস্থিত অন্যান্য লোক দুনিয়ায় আমানত হিফাজতকারী ব্যক্তিদের দিকে তাকাতে থাকবে। একে অপরের নিকট আমানতকারী ব্যক্তিকে নিয়ে বলাবলি করতে থাকবে তারা কে, তারা তো আমাদের সাথেই ছিল। আজ তারা আমাদের চেয়ে ভিন্ন স্থানে ও ভিন্ন মর্য

বিয়ের ক্ষেত্রে ‘কুফু’র গুরুত্ব

Image
বিয়ের ক্ষেত্রে ‘কুফু’র গুরুত্ব হাফিজুর রহমান বিয়ে নারী-পুরুষের নৈতিক চরিত্রের পবিত্রতা রক্ষাকারী এবং মানব বংশের ধারা সুষ্ঠুরূপে অব্যাহত রাখার একমাত্র উপায়। বিয়ে হলো একজন নারী ও একজন পুরুষের মধ্যে নিষ্পন্ন বৈধ বন্ধন ও সামাজিক চুক্তি। বিয়ে এমন একটি চিরাচরিত প্রক্রিয়া যা সৃষ্টির আদি থেকে চলমান। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও ধর্মভেদে এর বাহ্যিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও বিয়ের মূল উদ্দেশ্য ও পরিচয় এটিই। বিয়ে একটি বৈশ্বিক সার্বজনীন নিয়ম, যা পৃথিবীর সব দেশে সব ধর্মে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা তাঁর প্রত্যেক সৃষ্টিকেই জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। এবং বিয়ে করতে উৎসাহ প্রদান করেছেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা বলেন ‘তোমাদের মধ্যে যাদের স্বামী-স্ত্রী নেই, তাদের বিয়ে দাও এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ তাদেরও। তারা অভাবগ্রস্ত হলে, আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা নূর, আয়াত ৩২) রাসূল সা: বলেন ‘হে যুবকরা! তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে এবং যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না সে যেন ‘সওম’ পালন করে।

আমল 13-14

Image
আমল : ১৩ মহিলারা ৪টি কাজ করবেন, ১- ৫ ওয়াক্ত সলাত ২- রমজানের সিয়াম, ৩- লযযাস্থানের হেফাজত, ৪- স্বামীর আনুগত্য করুণ এতে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। সহিহ ইবনু হিব্বান, হাদিস নং- ৪১৬৩ । আমল : ১৪ মসজিদে ফজরের সলাত আদায় করে বসে দোয়া জিকির পাঠ করুণ এবং সূর্য উঠে গেলে ২ রাকাত সলাত আদায় করুণ এতে প্রতিদিন নিশ্চিত কবুল ১ টি হজ্জ ও উমরার সওয়াব পাবেন। তিরমিজি, তারগিব হাদিস নং- ৪৬১। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে, প্রয়োজনীয় সতর্কতার পাশাপাশি এই দোয়াটি বেশি বেশি পাঠ করুন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে এই ভয়াবহ ভাইরাস থেকে হেফাজত করুক। اللَّهمَّ إِنِّي أَعُوُذُ بِكَ مِنَ الْبرَصِ، وَالجُنُونِ، والجُذَامِ، ومن سّيءِ الأَسْقامِ. বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আ'য়ুজুবিকা মিনাল বারাছ, ওয়াল জুনুন, ওয়াল জুযাম, ওয়া মিন সায়্যিইল আসক্বাম। বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ, আমি তোমার নিকট ধবল, কুষ্ঠ এবং উন্মাদনা সহ সব ধরনের কঠিন দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে পানাহ চাই। source- https://www.youtube.com/ islamic express

একত্ববাদের তাৎপর্য ও গুরুত্ব

Image
একত্ববাদের তাৎপর্য ও গুরুত্ব শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী সব সদ্‌গুণাবলির অধিকারী ও সর্বশক্তির আধার অবশ্যম্ভাবী সত্তা, যিনি অনাদি অনন্ত, যাঁর শুরু নেই, শেষ নেই, লয়-ক্ষয় ও পরিবর্তন নেই, কিছুই ছিল না, তিনি ছিলেন, সবকিছু ফানা হয়ে যাবে, তিনি থাকবেন, তিনি সব সৃষ্টির খালিক ও মালিক, সৃজন, লালন-পালন, সংরক্ষণ ও ধ্বংস সাধন যাঁর এখতিয়ার, সেই অদ্বিতীয় সত্তার নাম ‘আল্লাহ’। কোরআনে কারিমে সুরা ফাতিহার সূচনায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজের পরিচয় ও পরিচিতি প্রদান করেছেন। ‘আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা! যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক, যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু, যিনি কর্মফল দিবসের মালিক।’ (সুরা-১ ফাতিহা, আয়াত: ১-৩)। আল্লাহ তাআলার গুণাবলি বিবেচনায় তাঁর বহু নাম রয়েছে, যা ‘ইসমে সিফাত’ বা গুণবাচক নাম। এগুলোকে ‘আসমাউল হুসনা’ বলা হয়। কোরআন মাজিদে রয়েছে: ‘আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার রয়েছে সুন্দর সুন্দর নামসমূহ। তোমরা তাঁকে সেসব নামে ডাকো।’ (সুরা-৭ আরাফ, আয়াত: ১৮০)। ‘তোমরা আল্লাহ নামে ডাকো অথবা রহমান নামে তাঁকে ডাকো (যে নামেই ডাকো তিনি সাড়া দেবেন)। তাঁর রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ।’ (সুরা-১৭ ইসরা, আয়াত: ১১০)। আল্ল