Posts

Showing posts from November, 2023

জানাজার নামাজের নিয়ম ও ফজিলত

Image
  কোনো মুসলিম মারা গেলে মাগফিরাতের জন্য মরদেহ সামনে নিয়ে বিশেষ নিয়মে যে দোয়া করা হয়, তার নাম জানাজার নামাজ। ‘জানাজা’ শব্দের অর্থ মরদেহ। জানাজার নামাজ আদায় করা ফরজে কেফায়া। ফরজে কেফায়া হলো দু-একজন আদায় করলে মহল্লার সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যায়। আর কেউ আদায় না করলে সবাই গুনাহগার হয়। জানাজার নামাজ শুধু পুরুষদের জন্য আবশ্যক। নারীদের জন্য এতে অংশগ্রহণ করার বিধান নেই। পবিত্রতা ছাড়া জানাজার নামাজ পড়া যায় না। জানাজার নামাজের নিয়ম প্রথম তাকবিরের পর সানা, দ্বিতীয় তাকবিরের পর দরুদ শরিফ পড়া। তারপর তৃতীয় তাকবিরের পর দোয়া পড়বেন। এরপর চতুর্থ তাকবির দিয়ে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হবে। সংক্ষেপে জানাজার নামাজের নিয়ম হলো মৃত ব্যক্তিকে সামনে রেখে তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য সবাই একত্র হয়ে দাঁড়াবেন। চারবার ‘আল্লাহু আকবার’ তাকবির বলবেন। জানাজার নামাজের নিয়ত মনে মনে এ নিয়ত করবেন, ‘আমি জানাজার ফরজে কেফায়া নামাজ চার তাকবিরসহ এই ইমামের পেছনে কিবলামুখী হয়ে আদায়ের নিয়ত করছি।’ এরপর কান পর্যন্ত হাত ওঠাবে এবং তাকবিরে তাহরিমা (আল্লাহু আকবর) বলতে হবে। এরপর সানা পড়তে হবে— উচ্চারণ: ‘সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা

যে ১০টি কাজ একজন মুসলিমের করতে মানা

Image
  আবু হুরায়রা (রা.)–র বরাতে নিচের হাদিসটি বর্ণনা করা হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) জানিয়েছেন যে রাসুল (সা.) বলেছেন, ১.‘পরস্পর হিংসা কোরো না, ২.একে অন্যের জন্য নিলাম ডেকে দাম বাড়িও না, ৩.পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ কোরো না, ৪.একে অন্যের থেকে আলাদা হয়ে যেয়ো না, ৫.একজনের কেনার ওপর দিয়ে আরেকজন ক্রয় করো না। ৬.হে আল্লাহর বান্দারা, পরস্পর ভাই ভাই হয়ে যাও। ৭.মুসলিম মুসলিমের ভাই, সে তার ওপর জুলুম করে না, ৮.তাকে নিঃসঙ্গ ও অসহায়ভাবে ছেড়ে দেয় না। ৯.সে তার কাছে মিথ্যা বলে না, ১০.তাকে অপমান করে না। তাকওয়া হচ্ছে এখানে—’ এই বলে তিনি নিজের বুকের দিকে তিনবার ইশারা করেন। ‘কেউ যদি তাঁর মুসলমান কোনো ভাইকে নীচ ও হীন মনে করে, তার জন্য সেটুকু মন্দই যথেষ্ট। এক মুসলমানের রক্ত, সম্পদ ও মান-সম্মান অন্য মুসলমানের জন্য হারাম। মুসলিম, হাদিস: ২,৫৬৪ ----------------------------------------------------------------------------------------------------------------- কারও ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাইতে হবে তিনবার হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.)-এর বরাতে এ হাদিসের বর্ণনা আছে। (তিনি বলেন,) একবার আমি আনসারদের এক মজলিসে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময়

সুমামাহ ইবনে উসালের ইসলাম গ্রহণ

Image
  হজরত উবাই ইবনে কাব (রা.)-র বরাতে এই হাদিসটির বর্ণনা আছে।  নবী (সা.) একদল অশ্বারোহী সৈন্যকে নজদের দিকে পাঠিয়েছিলেন। তাঁরা সুমামাহ ইবনু উসাল নামে বনু হানিফার এক লোককে ধরে এনে মসজিদে নববির একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখল। তার কাছে গিয়ে নবী (সা.) বললেন, ওহে সুমামাহ, তোমার কেমন লাগছে? সে উত্তর দিল, হে মুহাম্মদ, ভালোই তো লাগছে। যদি আপনি আমাকে হত্যা করেন, তাহলে একজন খুনিকে হত্যা করবেন। যদি দয়া দেখান, তাহলে একজন কৃতজ্ঞ ব্যক্তিকে অনুগ্রহ করবেন। আর যদি অর্থসম্পদ পেতে চান, তাহলে যত ইচ্ছা দাবি করুন। নবী (সা.) তাকে সেই অবস্থায় রেখে দিলেন। পরের দিন এল। নবী (সা.) আবার তাকে বললেন, ওহে সুমামাহ, তোমার কেমন লাগছে? সে বলল, আপনাকে যেমনটা বলেছিলাম, সে রকমই লাগছে। যদি আপনি দয়া দেখান, তাহলে একজন কৃতজ্ঞ ব্যক্তিকে অনুগ্রহ করবেন। তিনি তাকে সে অবস্থাতেই রেখে দিলেন। আবার তার পরের দিন এল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে সুমামাহ, তোমার কেমন লাগছে? সে বলল, আমার কাছে তা-ই মনে হচ্ছে, যা আমি আগে বলেছি। নবী (সা.) বললেন, তোমরা সুমামাহর বাঁধন খুলে দাও। এবার সুমামাহ মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো ই

হারুত-মারুত কারা

Image
  হারুত ও মারুত দুই ফেরেশতার নাম। নবী সোলায়মান (আ.)–এর সময়ে ওই দুই ফেরেশতা বাবেল শহরে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। হারুত–মারুত কিছু লোককে জাদু শিখিয়েছিলেন। শেখানোর শর্ত ছিল, সেই জাদু কারও ওপর প্রয়োগ করা যাবে না। জাদুবিদ্যা যে আসলে মন্দ, সবাইকে এটা শেখানোর জন্যই তাঁরা এসেছিলেন। নবীরা মুজিজা দেখান। মুজিজা জাদু নয়। কোরআনে সুরা বাকারায় আছে ‘আর সোলায়মানের রাজত্বে শয়তানেরা যা আওড়াত তারা (সাবাবাসীরা) তা মেনে চলত। সোলায়মান অবিশ্বাস করেনি, বরং শয়তানেরাই অবিশ্বাস করেছিল। তারা মানুষকে শিক্ষা দিত (সেই) জাদু যা বাবেল শহরের দুই ফেরেশতা হারুত ও মারুতের ওপর অবতীর্ণ হয়েছিল । তাই ‘আমরা তো (তোমাদের জন্য) ফিতনা (পরীক্ষাস্বরূপ)। তোমরা অবিশ্বাস কোরো না’—এই না বলে তারা কোনো মানুষকে শিক্ষা দিত না। এ-দুজনের কাছ থেকে তারা এখন বিষয় শিক্ষা করত, যা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারত, তবু আল্লাহর নির্দেশ ছড়া কারও কোনো ক্ষতি তারা করতে পারত না। তারা যা শিক্ষা করত তা তাদের ক্ষতিসাধনই করত, আর কোনো উপকারে আসত না। আর তারা ভালো করেই জানত যে যে-কেউ তা কিনবে পরকালে তার কোনো অংশ নেই । আর যদি তারা জানত, তারা যার বিনিময়ে

জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝখানে আছে আরাফ

Image
  সুরা আরাফ পবিত্র কোরআনের সপ্তম সুরা। এই সুরা আরাফ মক্কায় অবতীর্ণ হয়। এর আয়াতের সংখ্যা ২০৬। জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যবর্তী একটি স্থানের নাম আরাফ। জান্নাতে আর জাহান্নামে প্রবেশ করার আগে আরাফে জান্নাত ও জাহান্নামিদের মধ্যে কথোপকথন হবে। সুরাটিতে সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের দুর্দশা, শয়তানের কুপরামর্শের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি ও সত্যাশ্রয়ীদের সমৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনায় নুহ (আ.), হুদ (আ.), সালেহ (আ.), লুত (আ.) ও শোয়েব (আ.)-এর দৃষ্টান্ত উল্লেখ করা হয়েছে। এই সুরায় মুসা (আ.)-এর জীবনীও আছে। সুরা আরাফের ২০০ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আর যদি শয়তানের কুমন্ত্রণা তোমাকে প্ররোচিত করে তবে তুমি আল্লাহর শরণ নেবে; নিশ্চয় তিনি সব শোনেন, সব জানেন। আর সেদিন (কিয়ামতের দিন) ন্যায় ও সঠিকভাবে (প্রত্যেকের আমল) ওজন করা হবে, সুতরাং যাদের (পুণ্যের) পাল্লা ভারী হবে তারাই হবে কৃতকার্য ও সফলকাম।’ সুরার ১ থেকে ৭ আয়াতে আল্লাহ আমাদের কোরআন–সুন্নতের আলোকে জীবন গড়ার এবং পূর্ববর্তী অবাধ্য জাতির পরিণতি থেকে শিক্ষা নিতে বলেন। সুরার ১১ আয়াতে বলা হয় ইবলিশ শয়তান আগুনের তৈরি হওয়ায় মাটির তৈরি হজরত আদম (আ.)–কে সিজদা দিতে অস্বীকার করে। সুরার

যে আমলে রিজিক বাড়ে

Image
  রিজিকের বৃদ্ধি ঘটুক বা আয়-উপার্জনে বরকত আসুক চান না, এমন একজন মানুষও খুঁজে পাওয়া যাবে না। মানুষমাত্রই চান রিজিকের বৃদ্ধি ঘটুক এবং আয়-উপার্জনে বরকত আসুক। রিজিক নির্ধারিত মানে কোনোভাবেই রিজিকে প্রবৃদ্ধি আসবে না—বিষয়টি এমন নয়। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে অনেক এমন আমলের বর্ণনা এসেছে, যার মাধ্যমে রিজিকে সমৃদ্ধি আসতে পারে ১. তওবা-ইস্তিগফার করা তওবা-ইস্তিগফার করার মাধ্যমে বান্দার রিজিক বাড়ে। আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘আমি তাদের বলেছি, নিজ প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল। তিনি আকাশ থেকে তোমাদের ওপর প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততিতে উন্নতি দান করবেন এবং তোমাদের বাগবাগিচা এবং নদীনালা দান করবেন।’ (সুরা নুহ, আয়াত: ১০-১২; সুরা ওয়াকিয়া, আয়াত: ৮২) ২. আল্লার ওপর ভরসা রাখা যেসব কাজকর্ম বা আমলে রিজিকে প্রবৃদ্ধি ঘটে; তার মধ্যে তাকওয়া-পরহেজগারি অবলম্বন করা এবং তাওয়াক্কুল বা আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখা অন্যতম। আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘আর যে আল্লাহর তাকওয়া অর্জন করবে, আল্লাহ তার জন্য উত্তরণের পথ বের করে দেবেন এবং তিনি

ফেরাউনের কৌশল

Image
  "সে গণহত্যাকে একটা জাতীয় কারণ বানিয়েছিল। জনগণের চেতনা ভেঙ্গে দেওয়া ছিল তার সামরিক কৌশলের অংশ। সে তাদের হত্যার আদেশ দিতে পারত, কিন্তু তা যথেষ্ট হতো না। সামরিক অভিযানের অংশ ছিল "আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে শিশুরা যেন মারা যায়"। এটাই ছিল তার নীতি। আল্লাহ এখন আমাদের বলছেন যে ফেরাউনের এই কৌশল তার সাথে থামেনি। আরও কিছু ফিরাউন আসবে এবং তারা একই কৌশল অবলম্বন করবে এবং শেষ পর্যন্ত তারা সর্বদা ব্যর্থ হবে। - নোমান আলী খান Part 1... এমনকি ফেরাউনও প্রশ্ন তুলতে শুরু করলো, আমি যে পলিসি নিয়েছি সেটা কি সঠিক? প্রচুর পাবলিক প্রতিক্রিয়া। আমি যা করছি তাতে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছে! এটা সূরা আ'রাফে, আর অন্যান্য আয়াতেও বলা হচ্ছে...আমি আগের খুতবাতে যেমন বলেছি যে সে "জে # নো সাইড" করতে যাচ্ছে... Kill Everybody... কিন্তু এখনো সে এই পদক্ষেপ নেয়নি, সে এখন ভাবছে যে: what should be the strategy here..! আমাদেরকে মিলিটারি পদক্ষেপ নিতে হবে, কিন্তু তার আগে আমাদেরকে একটা বিষয় নিশ্চিত করতে হবে, যেন আমরা মিডিয়াকে সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি... মিডিয়াতে কারা ট্রাবল মেকার তাদ

নারীদের প্রতিষ্ঠা করা মসজিদ ও মাদ্রাসা

Image
  আরব ও ইসলামের ইতিহাসে বহু ধনী নারী সন্ধান পাওয়া যায়। ইসলামের বিধান অনুযায়ী, নারীর ভরণপোষণের দায়িত্ব তাঁর বাবা ও স্বামীর। তাঁদের অনেকে বাবা আর স্বামীর সম্পত্তির ভাগ পেতেন। দেনমোহর পেতেন। অনেকের স্বামী বার্ষিক হাতখরচের টাকাও দিতেন। বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম ইবনে হাজার আসকালানি রাহিমাহুল্লাহ তাঁর উইলে লিখে যান, তাঁর কাছে তাঁর স্ত্রী অনাদায়ী হাতখরচ বাবদ ৩০০ দিনার পাবেন। এই অর্থে তখন মিসরে একটি বাড়ি কেনা যেত। সম্পত্তি, মোহরানা বা হাতখরচের জন্য পাওয়া এত টাকা দিয়ে তাঁরা কী করতেন? মধ্যযুগে স্বচ্ছল কোনো কোনো নারীর কাছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার সম্পদ থাকত। ধনী পরিবারের নারীদের হাতে থাকত কোটি টাকার সম্পদ।এ রকম এক নারী ছিলেন ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ আল-ফিহরি রাহিমাহাল্লাহ। তাঁর বাবা মুহাম্মদ আল-ফিহরি ছিলেন ফাস শহরের (বর্তমান তিউনিসিয়ার) বড় ব্যবসায়ী। বাবার ইন্তেকালের পর তাঁর সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন ফাতিমা আর তাঁর বোন মারিয়াম। দুই বোনের হাতে বাবার কোটি কোটি টাকার সম্পদ। ফাতিমা আল-ফিহরি নিজে ছিলেন মুহাদ্দিসা। পারদর্শী ছিলেন ফিক্বহেও। আলেমা হিসেবে তিনি অনুভব করেন তাঁর শহরে একটি বড় মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা দরক

অহংকারের কুফল ও অহংকারীর পরিণতি

Image
  প্রত্যেক মানুষের মধ্যে দুটি শক্তি লুকায়িত থাকে। একটি ফেরেশতার চরিত্র বা ইতিবাচক গুণাবলি আর দ্বিতীয়টি হলো শয়তানি চরিত্র বা মন্দ স্বভাব। নেতিবাচক স্বভাবের একটি হলো অহংকার। মানবের মনোজগৎ তথা চরিত্রের ছয়টি শত্রু রয়েছে, যা ষড়্‌রিপু নামে পরিচিত—কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসর্য। এই ষড়্‌রিপুর পঞ্চমটি হলো ‘মদ’ তথা দম্ভ, গর্ব, গৌরব, অহংকার। আর ষষ্ঠটি হলো ‘মাৎসর্য’ তথা ঈর্ষা, হিংসা, পরশ্রীকাতরতা। অহংকার শয়তানের চরিত্র। এই অহংকার ও হিংসাই ইবলিশকে ফেরেশতাদের শিক্ষক থেকে শয়তানে পরিণত করেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সে (ইবলিশ সম্মানিত আদমকে সিজদার মাধ্যমে সম্মান করতে) অস্বীকার করল এবং অহংকার করল, পরিণতিতে সে কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩৪) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তিনটি বস্তু মানবের ধ্বংসের কারণ—প্রবৃত্তি বা নফসের পূজা, লোভ ও আত্ম-অহংকার। তিনি আরও বলেন, ‘অহংকারই হলো সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকারক।’ আত্মগৌরব করা শুধু আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যে ব্যক্তি এ গুণ নিয়ে আল্লাহর সঙ্গে টানাটানি করে, আল্লাহ তাকে ধ্বংস করে দেন; তার প্রভাব, প্রতাপ, প্রতিপত্তি নস্যাৎ করে দেন এ

আল্লাহর সাহায্যের জন্য চাই নিরঙ্কুশ আনুগত্য

Image
  আল্লাহ তাআলা ভালোবেসে কুল মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন। জিন–ইনসান বানিয়েছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। (সুরা-৫১ জারিয়াত, আয়াত: ৫৬)। মানুষকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন খেলাফতের দায়িত্ব দিয়ে। (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩০) যারা সে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে, তাদের সম্মানিত করা হবে বেলায়াত বা বন্ধুত্বের মর্যাদায়। (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ২৫৭) জীবনে সফলতা ও বিজয় দয়াময় আল্লাহর সাহায্য ছাড়া সম্ভবপর নয়। তাই আমরা সব কাজের শুরুতে বলি, ‘পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে।’ (সুরা-২৭ নামল, আয়াত: ৩০)। বান্দা চাইলে আল্লাহ তা দান করেন। এমনকি আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রতিটি পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করেন। আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দেন, প্রতিটি আহ্বানে সাড়া দেন, সব আবেদন মঞ্জুর করেন, সব দোয়া কবুল করেন। (মিশকাত শরিফ) কোরআন হাকিমের বর্ণনা, ‘যদি কোনো সম্প্রদায় নিজের অবস্থার পরিবর্তন না করে, তবে আল্লাহ এমন নন যে তিনি তাদের পরিবর্তন করবেন এবং নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’ আমরা সুরা ফাতিহায় যখন বলি, ‘ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসত্বায়িন (শুধু আপনারই ইবাদত করি আর শুধু আপনার কাছেই সাহায্য চাই)।’ আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হাজা বা