Posts

Showing posts from January, 2022

দাইয়ুস

Image
  নিজ ঘরের নারীদের অশ্লীল কাজের জন্য যে পুরুষ জাহান্নামে যাবে। দাইয়ুস হচ্ছে যে ব্যক্তি নিজ পরিবারে যিনা-ব্যভিচার ও অশ্লীলতাকে প্রশ্রয় দেয়। যে পুরুষ ঘরের নারীদের সম্ভ্রম রক্ষায় আত্মসম্মানী নয়, সে মানবিকতাহীন, পৌরুষত্বহীন, অসুস্থ মস্তিষ্ক এবং দুর্বল ঈমানের অধিকারী। তার তুলনা অনেকটা শূকরের মতো, যে নিজ সম্ভ্রম রক্ষা করে না। তাই সেই সব লোককে সতর্ক থাকা উচিত, যারা নিজ পরিবারে এবং তার দায়িত্বে থাকা লোকদের মাঝে অশ্লীলতা বা অশ্লীলতার উপকরণ প্রশ্রয় দেয়। যেমন বাড়িতে এমন টিভি চ্যানেল রাখা যা যৌনতা উস্কে দেয় এবং অশ্লীলতা বৃদ্ধি করে। অধিকাংশ নারী বেপর্দা চলাফেরা ও চরিত্রহীনা হওয়ার জন্যে তাদের পিতা, স্বামী বা পুরুষ গার্জিয়ানের উদাসীনতা দায়ী। এদের পরিণত হবে ভয়াবহ। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “এমন তিনজন ব্যক্তি আছে, যাদের দিকে আল্লাহ আ’যযা ওয়া যাল কিয়ামাতের দিন তাকাবেন না। তারা হচ্ছে, (১) যে পিতামাতার অবাধ্য, (২) যে নারী বেশভূষায় পুরুষদের অনুকরণ করে এবং (৩) দাইয়ুস পুরুষ।” নাসায়ীঃ ২৫৬২, হাসান সহীহ, শায়খ আলবানী। ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ রহি’মাহুল্লাহ বলেন, “দাইয়ুস হচ্ছে এমন

‘তাক্বওয়া’,

Image
  আল্লাহ তাআ’লার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ: ক্বুরআন ও হাদীসে আল্লাহ তাআ’লা মানব জাতিকে বারংবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেই উপদেশ দিয়েছেন তা হচ্ছে ‘তাক্বওয়া’, অর্থাৎ মানুষ যেন তার রব্বকে সর্বদা ভয় করে চলে। শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা রহি’মাহুল্লাহ বলেন, “আমার মতে, যে ব্যক্তি বুঝে এবং (সত্য পথের) অনুসরণ করে তার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের উপদেশের চেয়ে উত্তম কোন উপদেশ নেই। আল্লাহ সুবহা’নাহু তাআ’লার উপদেশঃ আল্লাহ সুবহা’নাহু তাআ’লার উপদেশ বর্ণিত আছে এই আয়াতে - وَلَقَدۡ وَصَّيۡنَا ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ مِن قَبۡلِكُمۡ وَإِيَّاكُمۡ أَنِ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَۚ “আর নিশ্চয়ই তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল তাদেরকে এবং তোমাদেরকেও আমি এই আদেশ দিয়েছি যে, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো।” সুরা আন-নিসাঃ ১৩১। নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের উপদেশঃ আবু যার রাদিয়াল্লাহু আ’নহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেন, اتَّقِ اللَّهَ حَيْثُمَا كُنْتَ وَأَتْبِعِ السَّيِّئَةَ الْحَسَنَةَ تَمْحُهَا وَخَالِقِ النَّاسَ بِخُلُقٍ ح

শয়তান মানুষের প্রকাশ্য দুশমন।

Image
  ❖ শয়তান মানুষকে কোন দিক দিয়ে ধোঁকা দেয়? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ চতুর্দিক দিয়ে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা হচ্ছে, মানুষকে ধোকায় ফেলতে যেসব ক্ষমতা পেয়েছে শয়তান। শয়তান মানুষের প্রকাশ্য দুশমন। মানুষকে সঠিক পথ থেকে সরিয়ে নিতে আল্লাহর কাছে ক্ষমতা চেয়ে নিয়েছে শয়তান। আল্লাহ তাআলা শয়তানের সে আবদার মঞ্জুর করে তাকে অনেক বড় ক্ষমতা দিয়েছেন। শয়তানের পথভ্রষ্ট হওয়া ও মানুষের ক্ষতিতে ক্ষমতা লাভ ছিল তার অহংকার ও দাম্ভিকতা। কুরআনুল কারিমে এ ঘটনা বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে। সুরা আরাফে আল্লাহ তাআলা বলেন- >> আর আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, এরপর আকার-অবয়ব, তৈরি করেছি। তারপর আমি ফেরেশতাদেরকে বলছি- আদমকে সেজদা কর। তখন সবাই সেজদা করেছে, কিন্তু ইবলিস সে সেজদাকারীদের অন্তর্ভূক্ত ছিল না। >> আল্লাহ বললেন- আমি যখন নির্দেশ দিয়েছি, তখন তোকে কিসে সেজদা করতে বারণ করল? সে বলল, আমি তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ। আপনি আমাকে আগুন দ্বারা সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা। >> (আল্লাহ) বললেন তুই এখান থেকে নেমে যা। এখানে অহংকার করার কোনো অধিকার তোর নেই। অতএব তুই বের হয়ে যা। তুই হীনতমদের অন্তর্ভুক্ত। (সুরা আরা

হত্যাকারীর তাওবা কবুল হওয়ার ঘটনা

Image
  ১০০ জন মানুষ হত্যাকারীর তাওবা কবুল হওয়ার ঘটনাঃ নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: তোমাদের পূর্বের এক যুগে এক ব্যক্তি নিরানব্বই জন মানুষকে হত্যা করল। এরপর সে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ আলেমের অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। তাকে এক পাদ্রীকে দেখিয়ে দেয়া হল। সে তার কাছে গিয়ে বলল, সে নিরানব্বই জন মানুষকে খুন করেছে তার তাওবার কোন সুযোগ আছে কি না? পাদ্রী উত্তর দিল, নেই। এতে লোকটি ক্ষিপ্ত হয়ে পাদ্রীকে হত্যা করে একশত সংখ্যা পুরণ করল। এরপর আবার সে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আলেম সম্পর্কে জানতে চাইল। তাকে এক আলেমেকে দেখিয়ে দেয়া হল। সে আলেমের কাছে যেয়ে জিজ্ঞাসা করল, সে একশত মানুষকে খুন করেছে, তার তাওবা করার কোন সুযোগ আছে কিনা? আলেম বললেন, হ্যাঁ, তাওবার সুযোগ আছে। এ ব্যক্তি আর তাওবার মধ্যে কি বাধা থাকতে পারে? তুমি অমুক স্থানে চলে যাও। সেখানে কিছু মানুষ আল্লাহ তাআলার ইবাদত-বন্দেগী করছে। তুমি তাদের সাথে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগী করতে থাকো। আর তোমার দেশে ফিরে যেও না। সেটা খারাপ স্থান। লোকটি নির্দেশিত স্থানের দিকে পথ চলতে শুরু করল। যখন অর্ধেক পথ অতিক্রম করল তখন তার মৃত্যুর সময় এসে গেল। তার মৃত্যু ন

গণক বা জ্যোতীষীদের কাছে জিজ্ঞেস করার পরিণাম

Image
  ❖ গণক বা জ্যোতীষীদের কাছে গিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করার পরিণাম কোনটি? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ ৪০ দিনের নামায কবূল হবে না। এ বিষয়ে হাদিসে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির নামাজ তাদের কান অতিক্রম করে না- >> পলাতক ক্রীতদাস; যতক্ষণ না সে ফিরে আসে। >>এমন স্ত্রী; যার স্বামী তার উপর রাগ অবস্থায় রাত কাটিয়েছে। এবং >> ওই ইমাম; যাকে লোকে অপছন্দ করে।’ (তিরমিজি) >> গনককে হাত দেখালেঃ নিজের জীবনের ভালো-মন্দ জানার আগ্রহ নিয়ে কোনো গনককে হাত দেখালেও ওই ব্যক্তির ৪০ দিনের নামাজ কবুল হয় না। আর যদি গনের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে তবে ওই ব্যক্তি ঈমানহীন হয়ে যাবে। হাদিসে এসেছে- - রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো গণকের কাছে গিয়ে কোনো (ভূত কিংবা ভবিষ্যৎ ভালো-মন্দ বা অদৃশ্য) বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, তবে ওই ব্যক্তির ৪০ দিনের নামাজ কবুল হয় না।’ (মুসলিম) - রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো গণক বা জ্যোতিষীর কাছে গিয়ে তার দেয়া তথ্যকে সত্য মনে (বিশ্বাস) করলো, ওই ব্যক্তি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু

গুনাহ ত্যাগ করার উপকারীতা

Image
  গুনাহ ত্যাগ করার উপকারীতাঃ- (১) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “সর্বোত্তম জিহাদ হচ্ছে, যে তার অন্তরের বিরুদ্ধে জিহাদ করে।” সিলসিলাহ সহী’হাহঃ ১৪৮১। (২) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “হিজরত হচ্ছে তোমার মন্দ কাজ বর্জন করা।” মুসনাদে আহমাদঃ ১৭০২৭। (৩) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “সর্বোত্তম মুহাজির হচ্ছে ঐ ব্যক্তি, যে আল্লাহর নিষিদ্ধ বস্তু বর্জন করে চলে।” সিলসিলা সহী’হাহঃ ১৪৯১। (৪) ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রহি’মাহুল্লাহ বলেছেন, “গুনাহ বা পাপকাজ ত্যাগ করার উপকারীতা হচ্ছেঃ (১) সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। (২) মানুষের অন্তরে মর্যাদা লাভ হয়। (৩) পূর্বে লোকেরা ক্ষতি করে থাকলে লোকদের কাছ থেকে সাহায্য এবং নিরাপত্তা পাওয়া যায়। (৪) লোকেরা যদি গীবত করে থাকে, তাহলে তার সম্মান রক্ষা পায়। (৫) আল্লাহ তার দুয়া কবুল করেন। (৬) আল্লাহ তাআ’লার নৈকট্য অর্জিত হয়। (৭) ফেরেশতাদের নৈকট্য পাওয়া যায়। (৮) মানুষ ও জিনদের মধ্য থেকে যারা শয়তান তারা দূরে সরে যায়। (৯) লোকেরা তাকে সাহায্য করার জন্য, তার চাহিদা পূরণ করার জন্যে এবং তার সাহচর্য ও

অধিক ফজিলতপূর্ণ কিছু সুরা ও আয়াত

Image
  সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত অধিক ফজিলতপূর্ণ কিছু সুরা ও আয়াতঃ ১। সুরা ইখলাসের ফজিলতঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেন যে ব্যক্তি ‘কুল হুঅল্লা-হু আহাদ’(অর্থাৎ সূরা ইখলাস) ১০ বার পাঠ করবে, আল্লাহ্‌ সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতে এক মহল নির্মাণ করবেন।(মুসনাদে আহমদ, সিলসিলাহ সহিহাহ, সহিহ আল জামে আস-সগির ৬৪৭২) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার সাহাবাগনকে বললেন, ‘তোমরা কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়তে অপারগ?’ প্রস্তাবটি তাদের পক্ষে ভারী মনে হল। তাই তারা বলে উঠলেন ‘হে আল্লাহর রাসূল! এ কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে?’ ( অর্থাৎ কেও পারবে না।) তিনি বললেন, “সূরা ইখলাস কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য”। (অর্থাৎ, এই সূরা পড়লে এক তৃতীয়াংশের কুরআন পড়ার সমান নেকী অর্জিত হয়।) (সহীহুল বুখারি ৫০১৫) #সুরা ইখলাস ৩বার পড়লে পুরো কুরআন খতমের সওয়াব হয়। সুতরাং যত খুশী পড়ুন, চাইলেই প্রতিদিন শত শতবার(আপনার পক্ষে যতটা সম্ভব) কুরআন খতমের সওয়াব পেতে পারেন এভাবে—তবে এটা হচ্ছে অল্প কাজে বেশি প্রতিদান যেমন আমরা লাইলাতুল কদরের ১ রাতে হাজার রাতের চেয়েও বেশি প্রতিদান পেয়ে থাকি এমন কিন্ত তাই বলে পুরো কুরআন পড়া যেন থেমে না থাকে, প

দ্বীনের ব্যাপারে কঠোরতা

Image
  আমি তোমার উপর কুরআন এ জন্য নাযিল করিনি যে তুমি দু:খ-কষ্ট ভোগ করবে। (সূরা ত্বা-হা, আয়াত: ১-২) আল্লাহ তোমাদের পক্ষে যা সহজ আল্লাহ্ তাই চান ও তোমাদের পক্ষে যা কষ্টকর তা তিনি চান না...”[সূরা বাকারাহ্; ০২:১৮৫] আল্লাহ তোমাদের উপর কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে চান না। (সূরা আল মায়েদা, আয়াত ৬) “তিনি (আল্লাহ্ রাব্বুল ‘আলামীন) দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন কঠোরতা আরোপ করেননি’ ”[সূরা হজ্ব; ২২:৭৮] ‘আমি আপনার প্রতি গ্রন্থ নাজিল করেছি; সেটি এমন যে, প্রত্যেক বস্তুর সত্য ও সুস্পষ্ট বর্ণনা; হেদায়াত, রহমত এবং মুসলমানদের জন্য সুসংবাদ (সূরা নাহল, আয়াত ৮৯)। আল্লাহতালা সহজ করে দিলেও, গোমরাহীতে লিপ্ত লোকেরা কঠোরতার পথ বেছে নিয়েছে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “দ্বীন সহজ এবং যে কেউ দ্বীনকে নিজের জন্যে কঠিন করে ফেললে সে তা আর পালন করতে পারবেনা। ” [সহীহ্ আল-বুখারী; ১:২:৩৮] আবহমান কাল ধরে আমাদের এই উপমহাদেশের আরবী শিক্ষিত কতিপয় আলেম-ওলামা নামধারী ব্যক্তিরা ইসলামী জীবন ব্যবস্থার যে ব্যাখ্যা দিয়ে এসেছেন, তা এক কথায় বড়ই জটিল এবং চরম কঠিনও বটে। ইসলামকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে খুবই কঠিন একটা ধর্ম

অবৈধ প্রেম-ভালোবাসা

Image
  সাবধান! বহু সংখ্যক জ্বীন এবং মানুষকে আল্লাহ জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ পবিত্র কোরানে জাহান্নামীদের এই বহু সংখ্যক জ্বীন এবং মানুষ করা, তার কিছু আলামত বর্ণনা করেছেন। এদের প্রধান আলামত হচ্ছে, তাদেরকে কোরান হাদিসের কোন উপদেশ দিলে তারা তা দেখবে, শুনবে কিন্তু তাতে কোন ভ্রুক্ষেপ করবে না। অর্থাৎ তাদের অন্তর দিয়ে বুঝার চেষ্টা করবে না, শুনেও না শুনার ভান করবে, দেখেও না দেখার ভান করবে। যেমনঃ- এত এত পোস্ট করি যে, বিয়ের আগে প্রেম করা যাবে না, কোন বেগানা ছেলে-মেয়ের মধ্যে কোন ধরণের রিলেশান মেইন্টেইন করা যাবে না, ফেসবুকে বা মোবাইলে কথা বলা যাবে না, এধরনের সকল সম্পর্ক হারাম। তবুও অন্যদের কথা না হয় বাদই দিলাম অনেক দ্বীনি ভাই-বোন যারা নামায পড়ে, রোজা রাখে, বোরকা পড়ে, তাদের মধ্যেও অনেকেই এই পোস্টগুলো পড়ে, দেখে এবং শুনে কিন্তু অবৈধ এই প্রেম-ভালোবাসা, অবৈধ এই সম্পর্ককে যে বর্জন করতে হবে, তার প্রতি তারা কোন ভ্রুক্ষেপই করে না, আর বর্জন করা তো পরের কথা বরং হারাম জেনে, দেখে, শুনেও অবৈধ এই সম্পর্ককে তারা কন্টিনিউ করে। আবার এত এত পোস্ট করি যে, ফেসবুকে মেয়েদের নিজের ছবি তো দুরের কথা বরং মেয়

হাদীস

Image
 

হাদীস

Image
 

হাদীস

Image
 

অভিভাবক হিসেবে আল্লাহ যথেষ্ট

Image
  অভিভাবক হিসেবে আল্লাহ যথেষ্ট সাহায্যকারী হিসেবেও আল্লাহ যথেষ্ট।☝️ (সূরা আন-নিসা:৪৬) ★★নবীজী (সাঃ)বলেছেন, "যে ব্যক্তি সূরা ইখলাস ১০ বার পাঠ করবে,জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর বানানো হবে।" (সহিহ জামে আস-সাগীরঃ৬৪৭২) ★★নবী (সঃ) বলেনঃ ‘লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’ হচ্ছে জান্নাতের গুপ্তধন সমুহের মধ্যে একটি গুপ্তধন।[সহীহ বুখারী -১১/২১৩, সহীহ মুসলিম-৪/২০৭৬] ★★ যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আযীমি ওয়াবি হামদিহী’ পাঠ করবে প্রতিবারে তার জন্য জান্নাতে একটি করে (জান্নাতী) খেজুর গাছ রোপন করা হবে। [তিরমিযী-৫/৫১১,আল-হাকীম-১/৫০১, ] ❖ কোন ধরণের ঘরে রহমতের ফেরেশতাগণ প্রবেশ করেন না? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ উপরে উল্লেখিত সবগুলো ঘরেই। এ বিষয়ে হাদিসে এসেছে, হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী করীম (সাঃ) বলেনঃ যে ঘরে ছবি, কুকুর ও অপবিত্র লোক থাকে – সেখানে রহমতের ফেরেশতাগণ (নতুন রহমতসহ) প্রবেশ করেন না। [হাদীস নং-২২৭, কিতাবুত তাহারাত] *

কালিমা আসলে কয়টি এবং কি কি?

Image
  জেনে নিন, কালিমা আসলে কয়টি এবং কি কি? ‘কালিমা’ শব্দের অর্থ হচ্ছে কথা বা বাক্য। ক্বুরআন ও হাদীসে বর্ণিত ইসলামের মূল শিক্ষা সম্বলিত কতগুলো শব্দের সমন্বয়ে ছোট ছোট বাক্য, যা মুসলিমরা বিভিন্ন সময়ে বারবার পড়ে থাকে, সেইগুলোকে কালিমা বলা হয়। ক্বুরআন ও হাদীসে বর্ণিত কিছু কালিমা বর্ণনা করা হলো। উল্লেখ্য এই কালিমাগুলো কখন কিভাবে পড়তে হয় সেইগুলো আমি আমার বিভিন্ন লেখাতে উল্লেখ করেছি, একারণে সেইগুলো উল্লেখ করে লেখাটাকে বড় করিনি। আপনারা ‘হিসনুল মুসলিম’ বই থেকে বিভিন্ন দুয়া কখন, কিভাবে পড়তে হয়, তা সুন্দরভাবে জানতে পারেবন। ইনশাআল্লাহ। (১) কালিমা তাইয়্যিবাঃ তাইয়্যিবা অর্থ পবিত্র। ‘কালিমা তাইয়্যিবা’ হচ্ছে ইসলামের সবচাইতে বড় শিক্ষা এবং ঈমানের সবচাইতে বড় দাবী। «لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ». উচ্চারণঃ লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ। অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সত্যিকারের ইলাহ (উপাস্য) নেই। যদিও আমাদের দেশের মানুষ কালিমা তাইয়্যিবা বলতে জানে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ”। কিন্তু ক্বুরআন বা হাদীসে একে কালিমা তাইয়্যিবা বলা হয়নি। আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “(হে নবী!) তুমি কি লক্ষ্য কর না, আল্

ফজরের নামাজের বিশেষ গুরুত্ব

Image
  🌷ফজরের নামাজের বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলতঃ– নামাজ কায়েম করো সূর্য ঢলে পড়ার পর থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত এবং কায়েম করো ফজরের নামাজ। নিশ্চয়ই ফজরের নামাজ উপস্থিতির সময়। [সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৭৮ (দ্বিতীয় পর্ব)] ফজরের নামাজের গুরুত্ব অত্যাধিক। তাফসির: আলোচ্য আয়াতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। তবে এখানে আলাদাভাবে ফজরের নামাজের কথা বলা হয়েছে। আয়াতে নামাজ বোঝানোর জন্য ‘কোরআন’ শব্দ আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি ‘ফজর’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। ‘কোরআন’ অর্থ পড়া বা পাঠ করা। আর ‘ফজর’ শব্দের অর্থ ভোর হওয়া বা প্রভাতের উদয় হওয়া। আয়াতে এই দুটি শব্দ সম্বন্ধযুক্ত করে একসঙ্গে আনা হয়েছে। তাই শব্দ দুটির অর্থ হলো—ফজরের কোরআন পাঠ। নামাজ বোঝানোর জন্য ‘কোরআন’ শব্দ আনার কারণ হলো, কোরআন পাঠ নামাজের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আয়াতে সেদিকেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। বিশেষত ফজরের নামাজের সঙ্গে কোরআনের নিবিড় সম্পর্ক আছে। কেননা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ফজরের নামাজে সর্বাধিক দীর্ঘ কিরাত পাঠ করতে হয়। ফজরের দুই রাকাত ফরজ নামাজ জামাতে পড়ার সময় সুরা-কিরাত সশব্দে পড়া ওয়াজিব। ফজরের নামাজের সুন্নত কিরাত হলো তিওয়ালে ম

মৃতদেহকে কবর দেওয়ার পরে

Image
  বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে মৃতদেহকে কবর দেওয়ার ঠিক ২৪ ঘন্টা পরে মানুষের শরীরের ভিতরে এমন পোকার উৎপত্তি হয় যা মৃতদেহের পায়ুপথ দিয়ে বেরোতে থাকে। তৎসহ এমন দুর্গন্ধ ছড়ায় যা সহ্য করা অসম্ভব। আর ঐ দুর্গন্ধ পোকার সমগোত্রীয় পোকাদের আমন্ত্রণ জানায়। দুর্গন্ধ পেয়ে সমস্ত পোকা, মাকড়, বিছে মানুষের মৃতদেহের দিকে যাত্রা শুরু করে আর সবাই মিলে মানুষের মাংস খাওয়া শুরু করে দেয়। কবরস্থ করার তিনদিন পরে প্রথমে নাকের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে এবং পচন ধরে যায়। ছয় দিন পরে নাক খসে পড়তে থাকে। নয় দিন পরে চুল খসে পড়া শুরু হয়। মানুষের শরীরের সমস্ত লোম ঝরে পড়ে আর পেট ফোলা শুরু হয়ে যায়, ১৭ দিন পরে পেট ফেটে যায় আর শরীরের ভিতরের সমস্ত অংশ বাহিরে বেরিয়ে আসে। ৬০ দিন পরে মৃতদেহের শরীরের সমস্ত মাংস শেষ হয়ে যায়। মানুষের শরীরে এক টুকরো মাংসও আর অবশিষ্ট থাকে না। ৯০ দিন পরে সমস্ত হাড় একে অপরের থেকে পৃথক হয়ে যায়। এক বছর পরে মানুষের শরীরের সমস্ত হাড় মাটির সঙ্গে মিশে যায়। আর যে মানুষের মৃতদেহ কবরস্থ করা হয়েছিল তার সমস্ত অস্তিত্ব মুছে যায়। অতএব, আমার ভাই ও বোনেরা বলুন - মানুষের এতো অহংকার,

শীতে মোজা পরে অজু করার বিধান ও পদ্ধতি

Image
  শীতে মোজা পরে অজু করার বিধান ও পদ্ধতি কোন ধরনের মোজার ওপর মাসেহ করা যায় যে মোজা দ্বারা টাকনু ঢাকা থাকতে হবে। মোজা বাঁধা ছাড়াই পায়ে লেগে থাকতে হবে। মোজা এমন হওয়া যে তাতে পানি না চোষে এবং তা ভেদ করে পানি পা পর্যন্ত না পৌঁছায়। মোজা এমন পুরু হওয়া, যাতে তার ওপর থেকে ভেতরের অংশ দেখা না যায় এবং এমন মজবুত হওয়া, যাতে জুতা ছাড়া শুধু মোজা পায়ে দিয়ে তিন মাইল পর্যন্ত হাঁটা যায়। এতে মোজা ফাটে না এবং নষ্টও হয় না। মোজা ফাটাছেঁড়া হলে পায়ের ছোট আঙুলের তিন আঙুল পরিমাণের কম থাকতে হবে (মুসলিম: ৩৫৪, আবুদাউদ: ২৪২০, আল-আশবাহ ওয়ান-নাযায়ির: ১/১১৪, মাওসুআতুল ফিকহিয়্যা: ৩৭/২৬৫-২৬৪)। সাধারণত চামড়ার মোজাই উক্ত রূপ হয়ে থাকে। তাই জমহুর ওলামায়ে কিরাম ‘জাওরাব’ তথা সাধারণ মোজার ওপর মাসেহ করতে নিষেধ করেছেন। চামড়ার মোজাকে ‘খুফ’ আর সুতা বা কাপড়ের মোজাকে ‘জাওরাব’ বলা হয়। চামড়ার মোজার ওপর মাসেহ করা সর্বসম্মতিক্রমে বৈধ। সুতার মোজার ওপর মাসেহ করা বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে। (আবুদাউদ: ১৫৯, তিরমিজি: ৯৯, আহমাদ: ৪/২৫২, মাজমুআ ফাতাওয়া: ২১/১৮৪)। মাসেহর জন্য মোজা পরিধানের নিয়ম পা ধোয়াসহ পূর্ণ অজু করার পর মোজা পরলে তারপর থেকে পায়ের মাসেহ দু

বিয়ের জন্য কেমন পাত্রী বাছাই করবেন

Image
  বিয়ের জন্য কেমন পাত্রী বাছাই করবেনঃ (১) ঈমানঃ- বিবাহের জন্য সবার প্রথম পাত্র ও পাত্রী উভয়ের ঈমানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাওহীদে বিশ্বাসী, নামাযী এবং সুন্নতের অনুসারী এমন কারো জন্য বেনামাযী, কবর, মাযার, পীর পূজারী, মনপূজারী অথবা দুনিয়া পূজারী, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র বা প্রচলিত শিরকি-কুফুরীর রাজনীতির সাথে জড়িত এমন কাউকে বিয়ে করা যাবে না। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আর তোমরা মুশরেক নারীদেরকে বিয়ে করোনা, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা ঈমান গ্রহণ করে। নিশ্চয়ই একজন মুসলমান ক্রীতদাসী, মুশরেক স্বাধীনা নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও (দুনিয়ার চাকচিক্য, সৌন্দর্য অথবা সম্পদের কারণে) তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরেক পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত না সে ঈমান আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাস একজন স্বাধীন মুশরেকের তুলনায় অনেক ভাল, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। (সুরা বাক্বারাহঃ ২২১) (২) দ্বীনদারী বা ধার্মিকতাঃ- এই দুনিয়ার মাঝে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে একজন নেককার স্ত্রী। সম্পদ বা সৌন্দর্যের লোভে বেদ্বীন বা দ্বীনের মাঝে ত্রুটি আছে এমন কাউকে বিয়ে করলে দুনিয়া ও আ