Posts

Showing posts from June, 2021

দু‘আ ছাড়া আর কিছুই তাকদীর উল্টাতে পারে না

Image
  রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) বলেছেন: “নিশ্চয় আল্লাহ লাজুক দয়াবান। যখন কোনো মানুষ তাঁর দিকে দু’খানা হাত উঠায় তখন তিনি তা ব্যর্থ ও শূন্যভাবে ফিরিয়ে দিতে লজ্জা পান।” তিরমিযী, আস-সুনান ৫/৫৫৬; ইবনু মাজাহ, আস-সুনান ২/১২৭১;, ইবনু হিব্বান, আস-সহীহ ৩/১৬০; ১৬৩; হাইসামী, মাওয়ারিদুয যামআন ৮/৩৭-৪০; মুনযিরী, আত-তারগীব ২/৪৭৭। হাদীসটি সহীহ। “দু‘আ ছাড়া আর কিছুই তাকদীর উল্টাতে পারে না। মানুষের উপকার ও কল্যাণের কাজেই শুধু আয়ু বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় মানুষ গোনাহ করার ফলে তার রিযিক থেকে বঞ্চিত হয়।” হাকিম, আল-মুসতাদরাক ১/৬৭০; তিরমিযী, আস-সুনান ৪/৪৪৮। হাদীসটি সহীহ ************************************* ভার্সিটিতে প্রথম যেদিন ক্লাস করতে যাই সেদিন স্যার একে একে সবার সাথে পরিচিত হচ্ছিলো। আমি যখন দাঁড়িয়ে নিজের পরিচয় দিবো তখন স্যার আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো, - তুমি কি আই এসের সদস্য? এই ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছো জঙ্গি হামলা করার জন্য না কি? স্যারের কথা শুনে ক্লাসের সবাই হাসতে লাগলো। আমি মাথাটা নিচু করে স্যারকে বললাম, -- স্যার, আপনার কথাটা ঠিক বুঝলাম না। স্যার আবারও হাসতে হাসতে বললো, - তোমার ম

পঠিতব্য দুআ

Image
 

আসমা বিনতু আবী বকর (রাঃ)

Image
  আসমা বিনতু আবী বকর (রাঃ)-এর সীমাহীন দৃঢ়তা:- _______________________________________ ছাহাবায়ে কেরাম ছিলেন হকের উপরে দৃঢ়চিত্ত। কখনো তাঁরা বাতিলের সাথে আপোষ করতেন না। জীবন দিয়ে হ’লেও তাঁরা বাতিল প্রতিরোধে সদা সোচ্চার থাকতেন। শক্তিধর ও প্রতাপশালী শাসকদের সামনে হক কথা বলতে তাঁরা কখনো ভীত হ’তেন না। ১ম খলীফা হযরত আবূবকর (রাঃ)-এর কন্যা আসমা (রাঃ) ছিলেন এমনই এক মহিয়সী নারী। যিনি অত্যাচারী শাসক হাজ্জাজ বিন ইউসুফের অন্যায় কর্মের প্রতিবাদে সাহসিকতা ও আপোষহীনতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। নিম্নোক্ত হাদীছে সেই ঘটনাটিই আলোচিত হয়েছে। আবূ নাওফিল (রহঃ) বলেন যে, আমি (মক্কায়) উকবাতুল মদীনা নামক ঘাটিতে আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের (রাঃ)-কে (শূলীকাষ্ঠে ঝুলতে) দেখতে পেলাম। রাবী বলেন, তখন অন্যান্য লোকজন তার কাছ দিয়ে যাচ্ছিল। পরিশেষে আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) তার নিকট দিয়ে গমনকালে বললেন, আসসালামু আলাইকা ইয়া আবূ খুবায়ব! আসসালামু 'আলাইকা ইয়া আবূ খুবায়ব! আসসালামু আলাইকা ইয়া আবূ খুবায়ব! আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই আপনাকে এ থেকে বিরত থাকতে বলেছিলাম। আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই আপনাকে এ থেকে নিষেধ করেছিলাম, আমি অবশ্যই আপনাকে এ থ

আল্লাহর গুণাবলীর আয়াত

Image
  প্রশ্ন: আল্লাহর গুণাবলীর আয়াত অধ্যায় যেমন, ‘ইস্তেওয়া আলাল আরশ’ (আরশের উপর উঠেছেন), ইয়াদুল্লাহ (আল্লাহর হাত) ইত্যাদিতে ব্যাখ্যা নীতি সত্য নাকি আর কোনো নীতি গ্রহণ করা হবে? . . উত্তর: এ অধ্যায়ে আলেমগণের কয়েকটি নীতি রয়েছে, প্রথম (অপ)ব্যাখ্যা নীতি, আর সেটা হচ্ছে এখানে ‘ইস্তেওয়া’ বলে ‘ইস্তাওলা’ বা অধিকার করা, আর হাত অর্থ ক্ষমতা বা শক্তি করা, চেহারা অর্থ সত্তা করা, এভাবেই অন্যগুলোর অর্থ কিয়াস করা হবে। এ নীতিটি অধিকাংশ কালামশাস্ত্রবিদদের পছন্দনীয় নীতি। . দ্বিতীয় নীতি হচ্ছে, অর্থ ও ধরণ উভয়টিকেই অস্পষ্ট ধরে নেওয়া। (অর্থ করলেও সাদৃশ্য দেওয়া হবে, ধরণ নির্ধারণ করলেও সাদৃশ্য দেওয়া হবে; সুতরাং অর্থ ও ধরণ কোনোটিই নির্ধারণ না করা) তৃতীয় নীতি হচ্ছে, অর্থ জানা আছে কিন্তু ধরণের ক্ষেত্র অস্পষ্ট ধরে নেওয়া। . তন্মধ্যে হক্ব বা সত্য নীতি হচ্ছে তৃতীয়টি। এটিই সাহাবায়ে কিরাম, তাবে‘ঈনে ইযাম, মুজতাহিদ ইমামগণ, মুহাদ্দেসীণ, ফুকাহা, উসূলীসহ সকল সত্যনিষ্ঠ আলেমের মত। . শাইখুল ইসলাম ইমাম যাহাবী তার সিয়ারু আ’লামিন নুবালা গ্রন্থে ইমাম ক্বুতাইবাহ ইবন সা‘ঈদ এর জীবন চরিতে বর্ণনা করেন, আমাদেরকে একাধিক ব্যক্তি আবুল আব্বাস আস-

জিহাদ

Image
  কুফুরি আইন দিয়ে দেশ পরিচালনাকারী শাসকের বিরুদ্ধে স্বশস্ত্র জিহাদ করে ক্ষমতাচ্যুত করার বিধান __________________________________________ . অভিযোগঃ ইবনে কাসীরসহ বেশকিছু কিতাবে উল্লেখ আছে যে, শাসক যদি কুফরি আইন দিয়ে দেশ চালায়! স্বশস্ত্র জিহাদের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ন্যায়পরায়ণ শাসক বসাতে হবে। শাসক কুফরি আইন দিয়ে দেশ চালাচ্ছে। তাহলে এই শাসকের বিরুদ্ধে কেন আমরা স্বশস্ত্র জিহাদ করে ক্ষমতাচ্যুত করছি না? . "জবাবঃ দুটোর একটাও ঠিক না। আমাদের শাসক কুফরি আইন দিয়ে দেশ চালাচ্ছে, এটাও ঠিক না। তোমরা আলেমদের সাথে বসো, দেখো, সরকার কোন জায়গায় স্পষ্টভাবে 'ক্বোরান হাদিস' অস্বীকার করছে! দুই নাম্বার কথা হল, কুফরি দিয়ে রাষ্ট্র চালালেই স্বশস্ত্র জিহাদ বৈধ হবে এটাও ঠিক না। . ইবনে কাসীর কি বলেছেন এটা নিয়ে আমার কথা না। আমার দেখার বিষয় হল, আল্লাহ্‌ ও তার রাসুল কী বলেছেন! যখন শাসক সুস্পষ্ট কুফরিতে লিপ্ত হয়, ক্বোরান মানে না, ক্বোরান পড়তে বাধা দেয়, যে কুফরির ব্যাপারে আর কোনো ব্যাখ্যা থাকে না, তখন তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বৈধ। কিন্তু বৈধ হলেই করা যায়না। . ভারতের শাসকের বিরুদ্ধে মুসলিমদের বিদ্রোহ ক

একটি সুসংবাদ

Image
  একটি সুসংবাদ শুনুন। রাসূলুল্লাহ (স) কে দেওয়া বিশেষ মর্যাদাগুলোর একটি হলো, সকল নবীদের মাঝে তাঁকে সবচেয়ে বড় উম্মত প্রদান করা হয়েছে। বুখারী শরীফের একটি হাদিসে এর উল্লেখ আছে। তিনি বলেন, আল্লাহ আমাকে উম্মত সমূহ দেখালেন। আমি বিশাল এক উম্মাহ দেখলাম, দৃষ্টি যতদূর যায় ততদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। আমি বললাম, এটা মনে হয় আমার উম্মাহ। আমাকে জানানো হলো— না, এটা মূসা (আ) এর উম্মাহ। এরপর আমি এর চেয়েও আরো অনেক বড় আরেকটি উম্মাহ দেখতে পেলাম। এটা ছিল দিগন্ত বিস্তৃত। এটা আমার দৃষ্টি আটকে দিলো। আমাকে বলা হলো, এটা হলো আপনার উম্মাহ। অন্য আরেকটি হাদিসে তিনি সাহাবাদের বললেন, তোমরা কি চাও তোমাদের উম্মাহ (মানে, আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মাহ) জান্নাতের এক তৃতীয়াংশ হোক? তাঁরা বললেন, আল্লাহু আকবার। আমাদের আগে শত শত হাজার হাজার উম্মাহ গত হয়েছে। যদি একটি উম্মাহ জান্নাতের অধিবাসীদের এক তৃতীয়াংশ হয়, আল্লাহু আকবার। তো তিনি চুপ করে থাকলেন। এরপর তিনি বললেন, তোমরা কি খুশি হবে যদি আমি বলি জান্নাতের অধিবাসীদের অর্ধেক হবে তোমাদের উম্মাহ। তাঁরা বললেন, আল্লাহু আকবার। তিনি আবারো চুপ করে থাকলেন। এরপর রাস

আমাদের আগের যুগের এক ধার্মিক ব্যক্তি

Image
  আমাদের আগের যুগের এক ধার্মিক ব্যক্তি যেভাবে নিজেকে শয়তানের চতুর্মুখী আক্রমণ থেকে রক্ষা করতেন। — নোমান আলী খান। ------------------ * ----------------- * ------------- আমি আপনাদের সামনে খুব সুন্দর একটি লেখা পড়তে চাই। শাকিক (র) এর মন্তব্য। শয়তানের চতুর্মুখী আক্রমণ সম্পর্কে তিনি এই মন্তব্যটি করেন। আমি আপনাদের সামনে সেটা পড়তে চাই। "প্রতিদিন সকালে শয়তান চতুর্দিক থেকে আমাকে আক্রমণ করে। সামনে থেকে, পেছন থেকে, ডান দিক থেকে এবং বাম দিক থেকে। সামনের দিক থেকে এসে সে আমাকে বলে, "ভয় পেয়ো না। যা করতে চাও করে ফেলো। যে তাড়নাই অনুভব করো, যে প্ররোচনাই মনের মধ্যে আসে করে ফেলো। কেন তুমি ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে যাচ্ছ? জানো না আল্লাহ্‌ হলেন পরম করুণাময়? যা উপভোগ করতে চাও, করো। কোনো সমস্যা নেই।" আমি তখন সূরা ত্বহার একটি অংশ তিলাওয়াত করে তাকে জবাব দিই। যেখানে আল্লাহ্‌ বলেছেন: "আমি অবশ্যই বার বার ক্ষমা করি। কিন্তু, আমি তাকে ক্ষমা করি যে তাওবা করে বা অনুতাপ করে। যে সত্যিকার অর্থে বিশ্বাস করে এবং ভালো কাজ করে।" (২০:৮২) অর্থাৎ, এমন মানুষদের মত হবে না, যারা মন যা চায় তাই করে এবং তারপ

নারী সাহাবিদের সঙ্গে রাসুল (সা.)–এর অমায়িক ব্যবহার

Image
নারী সাহাবিদের সঙ্গে রাসুল (সা.)–এর অমায়িক ব্যবহার ইসলাম নারীদের সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। অথচ অপপ্রচার রয়েছে, ইসলাম নারীদের অসম্মান করে এবং নিচু স্থানে রাখে। ইসলাম সম্পর্কে না জেনেই কিছু মানুষ এই মিথ্যাচারে বিশ্বাস করে। সর্বযুগের আদর্শ ব্যক্তিত্ব মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সবকিছুই অনুকরণীয়। পরিবারের নারীদের সঙ্গে যেমন তাঁর মধুর ব্যবহার ছিল, তেমনই চমৎকার ব্যবহার ছিল সমাজের অন্য নারীদের সঙ্গেও। রাসুল (সা.)–এর জীবনাচার লক্ষ করলে আমরা বুঝতে পারি তিনি নারীদের প্রতি কত অমায়িক আর তাঁদের প্রতি কত উদার ছিলেন। নারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও প্রশংসা জ্ঞাপনে তাঁর কোনো কার্পণ্য ছিল না। হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, একদল নারী ও শিশুকে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আসতে দেখে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমরা আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয়। এ কথা তিনি তিনবার বলেন। (ইবনে মাজাহ: ১৮৯৯) হজরত আসমা বিনতে আবুবকর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) জুবায়েরের জন্য যে জমি বরাদ্দ করেছিলেন, সেখান থেকে খেজুরের কাঁদি মাথায় করে বহন করে আনতাম। একদিন এ অবস্থায় রাসুলুল্লাহর (সা.) সঙ্গে

আল–কোরআনের আলোকে বৃষ্টি বর্ষা নদী ও সাগর

Image
  আল–কোরআনের আলোকে বৃষ্টি বর্ষা নদী ও সাগর বর্ষা ঋতু—সৃষ্টি, উর্বরতা, শক্তি, সৃজনশীলতা ও জীবনের প্রতীক। বারি বা পানি জীবন ও প্রাণের আদি উৎস। ভূপৃষ্ঠের চার ভাগের তিন ভাগই পানি। পানি জমাট অবস্থায় রয়েছে মেরু অঞ্চলে, বায়বীয় বা বাষ্পীয় অবস্থায় রয়েছে মেঘমালায় এবং পানির তরল অবস্থার বিরাট মজুত আছে সাগর ও মহাসাগরে। এই সাগর শব্দটি পবিত্র কোরআনে ২৫টি সুরায় ৪০ বার রয়েছে। পৃথিবী বাসযোগ্য হওয়ার জন্য পানি ও নদ-নদীর অপরিহার্যতা বিষয়ে আল্লাহ তাআলার বাণী, ‘বল তো! কে পৃথিবীকে বাসোপযোগী করেছেন এবং তার মাঝে নদ-নদী প্রবাহিত করেছেন এবং তার স্থিতির জন্য পর্বত স্থাপন করেছেন এবং দুই সমুদ্রের মাঝখানে অন্তরায় রেখেছেন? অতএব, আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোনো উপাস্য আছে কি? বরং তাদের অধিকাংশই জানে না।’ (সুরা-২৭ নমল, আয়াত: ৬১)। মেঘ ও বৃষ্টিপাত সম্পর্কে কোরআন মাজিদে রয়েছে, ‘আল্লাহ আকাশ হতে বারি বর্ষণ দ্বারা মৃতপ্রায় ধরিত্রীকে পুনর্জীবিত করেন; তাতে যাবতীয় জীবজন্তুর বিস্তার ঘটান; এতে ও বায়ুর দিক পরিবর্তনে এবং আকাশ পৃথিবীর মধ্যে নিয়ন্ত্রিত মেঘমালায় জ্ঞানবান জাতির জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৬৪)। ‘আর তিনি আকাশ হতে

মৃত্যুই সুনিশ্চিত আর জীবনটাই অনিশ্চিত।

Image
মৃত্যুই সুনিশ্চিত আর জীবনটাই অনিশ্চিত। . [১] . "মৃত্যু" এক নির্মম, কঠিন বাস্তবতার নাম। মৃত্যু এমন এক মেহমান, যে দরজায় এসে দাড়িয়ে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা দুনিয়ার কারো নেই! মৃত্যু যেকোন বয়সের, যেকোন মানুষের সামনে, যেকোন সময়ে উপস্থিত হতে পারে! এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, “তোমরা যেখানেই থাক না কেন মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবেই! এমনকি সুউচ্চ সুদৃঢ় দুর্গে অবস্থান করলেও।” --- [১] তিনি আরও বলেন - "আপনি বলুন, তোমরা যে মৃত্যু থেকে পলায়নপর, সেই মৃত্যু অবশ্যই তোমাদের মুখামুখি হবে, অতঃপর তোমরা অদৃশ্য, দৃশ্যের জ্ঞানী আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে। তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দিবেন সেসব কর্ম, যা তোমরা করতে। --- [২] . বিগত কয়েকবছর ধরে পরিচিত বহু মুরুব্বি, আত্নীয়, সমবয়সীর মৃত্যুর সংবাদ শুনেছি। চোখের সামনে মরতে দেখেছি কয়েকজনকে। যখন কারো মৃত্যু সংবাদ শুনি, প্রথম কয়টা দিন খুব অশান্তিতে কাটে, ছটফট করে ভেতরটায়! ঘুরেফিরে একই চিন্তা মাথায় আসে, যে মাত্রই দুনিয়া ছেড়ে গেল, সে এখন কি অবস্থায় আছে! আমি যখন হাসছি, খাচ্ছি, ঘুমাচ্ছি... সে তখন কি করছে আকাশের ওপারে? তার কবরের সওয়াল - জওয়াব কি শেষ! এ

যিলহজ্জ মাসের ১ম দশকে করণীয়

Image
যিলহজ্জ মাসের ১ম দশকে করণীয় ________________________________ ______ যিলহজ্জ মাসের ১ম দশকের ফযীলত : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, مَا مِنْ أَيَّامٍ الْعَمَلُ الصَّالِحُ فِيْهِنَّ أَحَبُّ إِلَى اللهِ مِنْ هذِهِ الْاَيَّامِ الْعَشَرَةِ قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ وَلاَ الْجِهَادُ فِى سَبِيْلِ اللهِ؟ قَالَ وَلاَ الْجِهَادُ فِىْ سَبِيْلِ اللهِ إِلاَّ رَجُلٌ خَرَجَ بِنَفْسِهِ وَ مَالِهِ فَلَمْ يَرْجِعْ مِنْ ذَلِكَ بِشَيْئٍ، رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ- ‘যিলহজ্জ মাসের ১ম দশকের সৎকর্মের চাইতে প্রিয়তর কোন সৎকর্ম আল্লাহ্র নিকটে নেই। ছাহাবায়ে কেরাম বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আল্লাহ্র রাস্তায় জিহাদও কি নয়? তিনি বললেন, জিহাদও নয়। তবে ঐ ব্যক্তি, যে তার জান ও মাল নিয়ে বেরিয়েছে, আর ফিরে আসেনি (অর্থাৎ শাহাদাত বরণ করেছে)’ (বুখারী হা/৯৬৯; মিশকাত হা/১৪৬০ ‘ছালাত’ অধ্যায় ‘কুরবানী’ অনুচ্ছেদ)। ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, যিলহজ্জের প্রথম দশক এত তাৎপর্যমন্ডিত হওয়ার কারণ হ’ল, ছালাত, ছিয়াম, ছাদাক্বাহ, হজ্জসহ শরী‘আতের মূল ইবাদতগুলোর সমাবেশ ঘটে এই দশকে’ (ফাৎহুল বারী ২/৫৩

কুরবানীর মাসায়েল

Image
  কুরবানীর মাসায়েল (১) চুল-নখ না কাটা : উম্মে সালামাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী দেওয়ার এরাদা রাখে, তারা যেন যিলহজ্জ মাসের চাঁদ ওঠার পর হ’তে কুরবানী সম্পন্ন করা পর্যন্ত স্ব স্ব চুল ও নখ কর্তন করা হ’তে বিরত থাকে’।[1] (২) কুরবানীর পশু : এটা তিন প্রকার- উট, গরু ও ছাগল। দুম্বা ও ভেড়া ছাগলের মধ্যে গণ্য। প্রত্যেকটির নর ও মাদি। এগুলির বাইরে অন্য পশু দিয়ে কুরবানী করার প্রমাণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম থেকে পাওয়া যায় না। তবে অনেক বিদ্বান গরুর উপরে ক্বিয়াস করে মহিষ দ্বারা কুরবানী জায়েয বলেছেন।[2] ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, ‘উপরে বর্ণিত পশুগুলি ব্যতীত অন্য কোন পশু দ্বারা কুরবানী সিদ্ধ হবে না’।[3] কুরবানীর পশু সুঠাম, সুন্দর ও নিখুঁত হ’তে হবে। চার ধরনের পশু কুরবানী করা নাজায়েয। যথা- স্পষ্ট খোঁড়া, স্পষ্ট কানা, স্পষ্ট রোগী ও জীর্ণশীর্ণ এবং অর্ধেক কান কাটা বা ছিদ্র করা ও অর্ধেক শিং ভাঙ্গা।[4] তবে নিখুঁত পশু ক্রয়ের পর যদি নতুন করে খুঁৎ হয় বা পুরানো কোন দোষ বেরিয়ে আসে, তাহ’লে ঐ পশু দ্বারাই কুরবানী বৈধ হবে’।[5] উল্লেখ্য যে, খাসি করা কোন খুঁৎ নয়

বাবরি মসজিদের ইতিহাস

Image
  বাবরি মসজিদের ইতিহাস সত‍্য-সত‍্য-সত্য """"""""""""""""""""""" রাজপুত রাজা রানা সিংহের আমন্ত্রণে জহিরুদ্দিন মহম্মদ বাবর ১৫২৬ খ্রিঃ পানিপথ আক্রমন করে দিল্লির মুসলিম শাসক ইব্রাহিম লোদীকে পরাজিত করে ভারতে মুঘল শাসনের সূত্রপাত ঘটান। অযোধ‍্যার শাসক মীর বাকী কে দিয়ে ১৫২৮ খ্রিঃ একটি মসজিদ তৈরি করিয়ে নিয়েছিলেন-যা 'বাবরি মসজিদ' নামে পরিচিত। -----একথা সত্য। 👇 একথা সত‍্য যে, সম্রাট বাবর পরধর্ম বিদ্বেষী ছিলেন না। ইতিহাস সেকথাই বলে। ঐতিহাসিক ডঃ ত্রিপাঠী মহাশয়ের মন্তব্য---"সম্রাট বাবর অমুসলিমদের প্রতি ধর্ম সহিষ্ণু ছিলেন।তাঁর শাসন ব‍্যবস্থায় ধর্মের কোনো প্রভাব ছিলো না। ইতিহাসবিদ ডঃ অমলেন্দু দে তাঁর "ধর্মীয় মৌলবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা" পুস্তকের ১৫৩-৫৪ পৃষ্ঠায় লিখেছেন---" আব্দুল কুদ্দুস গাঙ্গোহি নামে একজন মুসলিম ধর্মগুরু সম্রাট বাবরকে পত্র লিখে শরিয়তী শাসন পরিচালনার পরামর্শ দেন। কিন্তু বাবর তা অমান্য করেন।তিনি হিন্দু প্রজাদের ধর্মী