Posts

Showing posts from February, 2023

আল-জামিল

Image
  আল্লাহর একটি নাম হলো আল-জামিল। আল-জামিলের অর্থ, যিনি সুন্দর। যিনি সবচেয়ে সুন্দর। নামটি যখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার প্রতি আরোপ করা হয় তখন এটি চারটি অর্থ প্রকাশ করে। প্রথম অর্থঃ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা নিজেই সৌন্দর্য এবং পারফেকশনের সর্বোচ্চ চূড়া। কোনো কিছুই আল্লাহর চেয়ে বেশি সুন্দর নয়। ঈমানদারদের জন্য জান্নাতের চেয়েও বড় একটি পুরস্কার রয়েছে। যে পুরস্কারের কাছে জান্নাত ম্লান হয়ে পড়বে। আর তা হলো— আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে দেখার পুরস্কার। কুরআনে এসেছে- وُجُوۡهٌ یَّوۡمَئِذٍ نَّاضِرَۃٌ - اِلٰی رَبِّهَا نَاظِرَۃٌ - "কতক মুখ সেদিন উজ্জ্বল হবে। তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে।" (৭৫:২২-২৩) এ জন্য রাসূলুল্লাহ (স) এর একটি দোয়া ছিল- اللهم اني اسالك لذة النظر الى وجهك الكريم - আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা লাজ্জাতান নাজারি ইলা ওয়াজহিকাল কারিম। অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার অভিজাত এবং সুন্দর মুখের দিকে তাকানোর স্বাদ পেতে চাই। দ্বিতীয় অর্থঃ আল্লাহর সকল নাম এবং গুণাবলী সুন্দরতম। তৃতীয় অর্থঃ আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির সাথে সুন্দরতম উপায়ে আচরণ করেন। আল্লাহ আমাদের সাথে উত

উচ্চাশা রাখুন

Image
  মানুষ বিভিন্ন ধরণের পুণ্যের কাজ করে থাকে। কারো পক্ষেই সকল ভালো কাজ সমানভাবে করা সম্ভব নয়। কিছু মানুষ রোজা পালনে দক্ষ। এটা তাদের প্রধান সওয়াবের কাজ। অন্য কেউ হয়তো দান-সদকার কাজে উত্তম। এটাই তার প্রধান ভালো কাজ। এভাবে যার যে ধরণের পুণ্যের কাজের প্রতি ঝোঁক বেশি, সে ঐ কাজ বেশি বেশি করে বা ঐ কাজে সে বেশি দক্ষ। তার আমলনামায় ঐ ভালো কাজের পরিমাণ বেশি। তাই, যে ভালো কাজ আল্লাহ আপনার জন্য সহজ করে দিয়েছেন এবং আপনার কাছে অতিশয় মূল্যবান মনে হয়, যত বেশি পারেন তা করতে থাকুন। এটাকে আপনার প্রধান অভ্যাসে পরিণত করুন। কেন? কারণ, আপনাকে জান্নাত দেওয়া হবে আপনার ঐ কাজের উপর ভিত্তি করে যে কাজটা আপনি খুবই আগ্রহ সহকারে বারবার করতেন। সবকিছু উজাড় করে যা করতেন। যেটা আপনি সবচেয়ে বেশি সংখ্যকবার করেছেন। যে কাজটা নিয়মিত করতেন। জান্নাতে প্রবেশের আটটি দরজা আছে। আটটি ক্যাটাগরি আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি অন্তত একটিতে খুব ভালো করেন, ইনশাআল্লাহু তায়ালা ঐ দরজাগুলোর একটি আপনাকে প্রবেশ করার আহ্বান জানাবে। এমন অনেক মানুষ থাকবে যাদেরকে দুইটি দরজা আহ্বান করবে। সে তখন পছন্দ করতে পারবে কোনটা দিয়ে সে প্রবেশ করবে। কাউকে তিনটি,

বিয়ে নিয়ে কিছু বিধান

Image
  প্রাপ্তবয়স্ক হলে এতিমদের অর্থসম্পদ ফিরিয়ে দিতে হবে। তা আত্মসাৎ করা যাবে না। খারাপ মাল দিয়ে তাদের ভালো মাল নিজে নেওয়া যাবে না। এতিম ছেলে ও মেয়ে উভয়ের সম্পদের ক্ষেত্রেই এ বিধান প্রযোজ্য। একসঙ্গে চারজন নারীকে বিয়ে করার সুযোগ থাকলেও শর্ত হচ্ছে স্বামীকে তাদের অধিকার আদায়ে সক্ষম হতে হবে। তাদের সঙ্গে ন্যায়সংগত আচরণ করতে হবে। আর নিখুঁতভাবে তা না পারলে একজন স্ত্রী নিয়ে সন্তুষ্টচিত্তে সংসার করতে হবে। পবিত্র কোরআনের চতুর্থ সুরার নাম সুরা নিসা। নিসা মানে স্ত্রীজাতি। এই সুরায় ২৪ রুকু, ১৭৬ আয়াত। তৃতীয় হিজরিতে ওহুদের যুদ্ধের পর এটি অবতীর্ণ হয়। এতে উত্তরাধিকার এবং এতিমের অধিকার বর্ণিত রয়েছে। ইসলামের আগেও একাধিক নারীকে বিয়ের প্রচলন ছিল, তবে স্ত্রীর সংখ্যা সুনির্দিষ্ট ছিল না। ইসলাম ও সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেয় এবং কিছু কঠোর শর্ত আরোপ করে। বস্তুত কড়ায়–গন্ডায় হিসাব করে শর্তগুলো মেনে চলা এতই দুরূহ যে প্রকৃতপক্ষে এক স্ত্রীর সংসারই নিরাপদ। নইলে আল্লাহর দেওয়া শর্ত যেকোনো সময় লঙ্ঘন ফেলার আশঙ্কা থাকে। জাহিলিয়া যুগে আরবে অবাধে বহুসংখ্যক বিয়ে করার প্রচলন ছিল। চারটি পর্যন্ত বিয়ে করার অনুমতি দেওয়া হলেও একট

হিংসা থেকে বাঁচার দোয়া

Image
  অন্যের সুখ, শান্তি ও ধন–সম্পদ বিনষ্ট বা ধ্বংস করে নিজে এর মালিক হওয়ার বাসনাকে আরবিতে হাসাদ বা হিংসা বলা হয়। ইসলাম অন্যের প্রতি হিংসা করাকে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছে। পরম করুণাময় পরম দয়াময় আল্লাহর নামে। ১. বলো, ‘আমি শরণ নিচ্ছি মানুষের প্রতিপালকের, মানুষের অধীশ্বরের, মানুষের উপাস্যের, তার কুমন্ত্রণার অমঙ্গল হতে, যে সুযোগমতো আসে ও সুযোগমতো সরে পড়ে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিনের মধ্য থেকে বা মানুষের মধ্য থেকে।’ (সুরা ফালাক,  কোরানশরিফ: সরল বঙ্গানুবাদ , অনুবাদ: মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, প্রথমা প্রকাশন)। ২. বলো, ‘আমি শরণ নিচ্ছি উষার স্রষ্টার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অমঙ্গল হতে; অমঙ্গল হতে রাত্রির, যখন তা গভীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়। অমঙ্গল হতে সেসব নারীর যারা গিটে ফুঁ দিয়ে জাদু করে। এবং অমঙ্গল হতে হিংসুকের, যখন সে হিংসা করে।’ (সুরা নাস,  কোরানশরিফ: সরল বঙ্গানুবাদ , অনুবাদ: মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, প্রথমা প্রকাশন)। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘তিন ব্যক্তির গুনাহ মাফ হয় না, তার মধ্যে একজন হচ্ছে অন্যের প্রতি বিদ্বেষ–পোষণকারী ব্যক্তি।’ হিংসা-বিদ্বেষের কঠিন পরিণতি সম্বন্ধে মহানবী (সা.) বলে

বরকতময় শাবান মাসের করণীয় আমল

Image
  চান্দ্রবর্ষের অষ্টম মাস হলো শাবান। শাবান মাস বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদাপূর্ণ। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর মক্কা মুকাররমা থেকে মদিনা মুনাওয়ারায় হিজরতের দেড় বছর পর পূর্বতন কিবলা ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা বা ‘বাইতুল মুকাদ্দাস’–এর পরিবর্তে মক্কা শরিফের মসজিদুল হারাম তথা খানায়ে কাবা তথা বাইতুল্লাহ শরিফ কিবলা হিসেবে ঘোষিত ও নির্ধারিত হয় এই শাবান মাসেই। তাই শাবান মাস একদিকে যেমন মুসলিম স্বাতন্ত্র্য ও ইসলামি ঐক্যের মাস, অন্যদিকে তেমনি কাবাকেন্দ্রিক মুসলিম জাতীয়তা ও ভ্রাতৃত্ববোধে উজ্জীবিত হওয়ার মাস। শাবান মাসের পূর্ণ নাম হলো ‘আশ শাবানুল মুআজজম’, যার অর্থ—মহান শাবান মাস। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসে সবচেয়ে বেশি নফল ইবাদত, নফল রোজা পালন ও নফল নামাজ ইত্যাদি আদায় করতেন। রজব মাসে ইবাদতের মাধ্যমে মনের ভূমি কর্ষণ করা, শাবান মাসে আরও বেশি ইবাদতের মাধ্যমে মনের জমিতে বীজ বপন করা; রমজান মাসে সর্বাধিক ইবাদত–বন্দেগির মাধ্যমে সফলতার ফসল তোলা। প্রিয় নবী রহমাতুল্লিল আলামিন হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরুদ পাঠের নির্দেশনাসংবলিত অসাধারণ আয়াতটি এ মাসেই অবতীর্ণ হয়।

সূরা ইখলাস ওযু অবস্থায় পড়ার ১০ টি উপকার

Image
  - সূরা ইখলাস প্রতিদিন ২০০ বার ওযুর সাথে অর্থাৎ ওযু অবস্থায় পড়ার ১০ টি উপকার। ❤️ ১.আল্লাহ তা'য়ালা তার রাগের ৩০০ দরজা বন্ধ করে দিবেন। ২.রহমতের ৩০০ দরজা খুলে দিবেন। ৩.রিজিকের ৩০০ দরজা খুলে দিবেন। ৪.মেহেনত ছাড়া গায়েব থেকে রিজিক পৌঁছে দিবেন। ৫.আল্লাহ তা'য়ালা নিজের জ্ঞান থেকে জ্ঞান দিবেন। আপন ধৈর্য্য থেকে ধৈর্য দিবেন। আপন বুঝ থেকে বুঝ দিবেন। ৬.৬৬ বার কুরআন খতম করার সওয়াব দিবেন। ৭.৫০ বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। ৮.জান্নাতের মধ্যে ২০ টি মহল দিবেন, যেগুলো ইয়াকুত মার্জান ও জমজমদের তৈরি। প্রত্যেক মহলে ৭০ হাজার দরজা থাকবে। ৯.২০০০ রাকাআত নফল নামাজ পড়ার সওয়াব দিবেন। ১০.যখন তিনি মারা যাবেন ১,১০,০০০ফেরেতা তার জানাযায় শরিক হবেন। (সুবহানাল্লাহ) [রেফারেন্সঃ রিয়াযুস স্বা-লিহীন হাদিস নম্বরঃ ১০১৭ সহীহুল বুখারীঃ ৫০১৫,৫০১৪,৫৫৪৩,৭৩৭৫ নাসায়ীঃ ৯৯৫ আবু দাঊদঃ ১৪৬১ আহমাদঃ ১০৬৬৯ সহীহ আল জামী আস সগীরঃ ৬৪৭২]

আল্লাহর জিকির

Image
  হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি উত্তমভাবে পবিত্রতা অর্জন করে জামাতে নামাজ পড়ার জন্য কোনো একটি মসজিদের দিকে পা বাড়াবেন, তাঁর প্রতিটি কদমে আল্লাহ তাঁর জন্য একটি করে পুণ্য লিখে দেবেন। তাঁর একটি করে মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন এবং একটি করে পাপ মুছে দেবেন।’ মসজিদে ঢোকা ও বের হওয়ার সময় মুসল্লিদের দোয়া শিক্ষা দিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ মসজিদে ঢুকবে, তখন এই দোয়া পড়বে, আল্লাহুম্মাফ তাহলি আবওয়াবা রাহমাতিকা, অর্থাৎ, হে আল্লাহ, তুমি আমার জন্য তোমার রহমতের দরজাগুলো খুলে দাও। যখন বের হবে, তখন এই দোয়া পড়বে, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদলিকা। অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে তোমার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি। (মুসলিম ও মিশকাত শরিফ)। মসজিদে যাওয়ার ও প্রবেশের পর করণীয় সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন তোমরা কেউ মসজিদে ঢুকবে, তখন বসার আগে দুই রাকাত নামাজ পড়ে নেবে।’ (বুখারি ও মুসলিম শরিফ)। ‘যখন তোমরা জান্নাতের বাগানে ঘোরাফেরা করবে, তখন কিছু ফলমূল খেয়ে নিয়ো।’ সাহাবিরা বললেন, ‘জান্নাতের বাগান কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘মসজিদগুলো।’ তাঁরা ব

'রাহমা' বা দয়া প্রদর্শনের গুণ

Image
  বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে যখন কিবলা ছিল, আল্লাহর রাসুল (ﷺ‎) চাইতেন, কিবলা যেন কাবার দিকে হয়। তার এই ইচ্ছে পুরনের আগে তিনি মাঝে মাঝেই মন খারাপ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতেন। বারবার তাকাতেন। যেন তিনি অপেক্ষা করছেন, আল্লাহ কোন ফরমান নাযিল করেন কিনা, তার ইচ্ছা পুরন হয় কিনা। আল্লাহ তাআলা যখন কিবলা পরিবর্তনের ব্যপারে আয়াত নাযিল করেন, তখন আয়াতের শুরুতে রাসুলের এই পবিত্র আচরনের কথাও উল্লেখ করেন। অদ্ভুত মিষ্টি ভাষায় আল্লাহ বলেন, (হে রাসুল) আকাশের দিকে আপনার বারবার তাকানোকে আমি ঠিকই দেখেছি… আমাদেরও নানা বিষয়ে মন খারাপ হয়। এমন সব ইচ্ছা আকাংখা আছে আমাদের প্রত্যেকেরই, আকাশের দিকে তাকিয়ে সেই রবকে বলা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। তিনি ছাড়া আর কেউ নেই, যে তা পুরন করবে। সেই মহান রব আমাদের এই আকুতি ভরা বারবার তাকানোকে যেন কবুল করে নেন। এমন ভাবে সব কিছুর সমাধান করে দেন যেন আমাদের কানেও প্রতিধ্বনি হয়- “আকাশের দিকে আপনার বারবার তাকানোকে আমি ঠিকই দেখেছি....✨🌹 ***************************************************************** যদি সংখ্যার দিক বিবেচনা করেন তাহলে দেখবেন, আল্লাহ কুরআনে যতবার নিজের প্রতি দয়ার গ

কুরআনের ভেতর “লা” শব্দটির মানে কী?

Image
  "না" শব্দটি আসলে তীব্রতার বিভিন্ন মাত্রায় ব্যবহৃত হয়। যেমন, ধরুন আপনি কখনো কখনো "না" বললেন, কিন্তু তার মানে কিন্তু আপনি একেবারেই অথবা পুরোপুরি "না" বলছেন না। যেমন- কারও বাসায় গেলেন, তারা বলে, “চা দেই?” আপনি তখন কী বলেন? —না! আরে না না! এর মানে, আরে পাগল তাড়াতাড়ি করেন! হাহাহা। তাই না? এমন না? এটাই তো মানে তাই না? অথবা বাচ্চাকাচ্চার ক্ষেত্রে! আপনি বাচ্চার পেছন দৌড়াচ্ছেন… —“আব্বু আমাকে ধরো!” (আমি ধরছি, তাকে ধরতে যাচ্ছি…) —তোমাকে ধরলাম! —“নাআআআ!!!” —"আচ্ছা। ধরবো না।" —“না না!! ধরো আমাকে! ধরো!” হাহা। তাহলে না কেন? এরপর বাচ্চাকে কাতুকুতু দিচ্ছি। —“না বাবা! থামো! না না!” আমি থেমে গেলাম। —“থামলে কেন? কি হলো?” হাহাহা। তাই না? তো কখনো কখনো "না" মানে না নয়। কখনো "না" মানে একেবারেই না নয়। যেমন ধরুন, স্ত্রীর মন খারাপ। স্বামী বলছে, — “অ্যাই অ্যাই! বাইরে কোথাও খেতে যাবে?” —“না” —"আরে চলো! তুমি খেতে তো চাও, আমি জানি।" —না… —তোমাকে দেখে মনে হয় পিযযা খেতে চাও, তাই না? —(মুচকি হেসে) না! হেহে। হাহাহাহা। তো কখনো না মানে পুরোপুরি ন

দুঃখ কষ্ট এবং স্রষ্টার অস্তিত্ব

Image
  দুঃখ কষ্ট এবং স্রষ্টার অস্তিত্ব --------------------------------------- আমি এখন বলছি এবং আগেও বলেছি—স্রষ্টার অস্বীকৃতি দার্শনিক আপত্তির উপর নির্ভর করে নয়, বরং এটি দম্ভ এবং অহংকারের উপর নির্ভর করে করা হয়। এখানেই স্রষ্টার অস্বীকৃতির উৎপত্তি। কোনো নাস্তিককে যদি জিজ্ঞেস করেন কেন তুমি আল্লাহকে বিশ্বাস করো না? সে বলবে— আল্লাহ কেন এতো দুঃখ-কষ্ট ঘটতে দিচ্ছেন? তাদের মতে, যদি একজন ঈশ্বর থাকতো তাহলে কোনো দুঃখ-কষ্ট থাকতো না। যেহেতু দুঃখ-কষ্ট আছে তাই কোনো স্রষ্টা নেই। প্রসঙ্গত, এ যুক্তিটি অতিশয় দুর্বল। কারণ, আল্লাহর কাজের বিজ্ঞতা বুঝতে না পারা আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমান থেকে স্বাধীন। আল্লাহর অস্তিত্ব সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন একটি ইস্যু। তাঁর কাজ বুঝতে না পারার সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এ দুটি কার্যকারণ অনুযায়ী সম্পর্কযুক্ত নয়। তারা যদি তাদের দাবিতে সত্য হতো তাহলে সর্বোচ্চ বলতে পারত— আমরা বুঝি না কেন স্রষ্টা এগুলো করবেন। আল্লাহর অস্তিত্ব সুস্পষ্ট। দেকার্ত বলেছিলেন— "আমি চিন্তা করি, তাই আমি আছি।" তার সন্দেহবাদ এমন চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলো যে, সে নিজের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়ে। তাই,

কারও বাড়িতে ঢোকার জন্য অনুমতি

Image
  অনেকে কারও বাসা বা অফিসে অনুমতি ছাড়াই ঢুকে যান। কারও ঘরে প্রবেশ করার আগে সালাম দেওয়া ও নিজের পরিচয় জানানোই ইসলামের শিক্ষা। নিজেদের বাড়ি ছাড়া যে কারও বাড়িতে ঢোকার জন্য অনুমতি নিতে হয়। ইসলামের এই শিক্ষা মানতে হলে কারও ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে প্রথমে সালাম দিতে হবে। এর পর ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাইতে হবে। অনুমতি না পেলে কারও ঘরে প্রবেশ করা অসৌজন্য। এর চেয়ে ফিরে যাওয়া ভালো ও সম্মানজনক। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা নিজেদের বাড়ি ছাড়া অন্য কারও বাড়িতে বাসিন্দাদের অনুমতি না নিয়ে এবং তাঁদের সালাম না দিয়ে প্রবেশ কোরো না। এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয়, যাতে তোমরা সাবধান হও।’ ইসলামের এই শিক্ষা মানতে হলে কারও ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে প্রথমে সালাম দিতে হবে। এর পর ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাইতে হবে। অনুমতি না পেলে কারও ঘরে প্রবেশ করা অসৌজন্য। এর চেয়ে ফিরে যাওয়া ভালো ও সম্মানজনক। কারও ঘরে প্রবেশ করা যাবে কিনা, তা সম্পূর্ণভাবে ওই ঘরের বাসিন্দাদের অনুমতির ওপর নির্ভর করে। সাহাবিদের জীবনী পড়লে দেখা যায়, সাহাবিরা ঘরের মালিক বের হয়ে না আসা পর্যন্ত ওই ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাইতেন না। এই ছিল তাঁদের আদব ও শালী

জেহাদ কী কেন কীভাবে

Image
  জেহাদ/জিহাদ  আরবি জেহাদ শব্দটির দ্বারা কঠোর পরিশ্রম, চেষ্টা, সাধনা, সংগ্রাম ইত্যাদি বোঝায়। যদিও বর্তমানে শব্দটি সাধারণভাবে ধর্মযুদ্ধ এবং সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের অর্থে ব্যবহৃত হয়। তবে জেহাদ কথাটির উৎপত্তির সঙ্গে অস্ত্রযুদ্ধের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত নয়। মক্কায় হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর প্রচারজীবনে অবতীর্ণ আয়াতে যে জেহাদের নির্দেশ রয়েছে, তা কিন্তু অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণের অর্থে ব্যবহৃত হয়নি। আর তখন মুসলমান-সমাজও অস্ত্রধারণ করার মতো শক্তি সঞ্চয় করেনি। বস্তুত ‘আত্মার মঙ্গলের জন্য পরিশ্রম’ বা সৎকাজ করার অর্থেই তখন জেহাদ কথাটি ব্যবহৃত হয়। মানুষের ভেতরের পশুপ্রবৃত্তি তাকে ধর্ম পালন ও সৎকাজ করতে বাধা দেয়। ফলে মানুষকে সেসব কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হয়। জেহাদ শব্দটির মূলগত তাৎপর্য এটিই। পবিত্র কোরআনের আল-ই-ইমরান-এর ১৪২ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তোমরা কি মনে করো যে তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, যতক্ষণ না আল্লাহ জানেন তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে ও কে ধৈর্য ধরেছে!’ সুরা আনকাবুত-এর ৬৯ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যারা আমার উদ্দেশ্যে জিহাদ করে আমি তাদের অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব।

কাফফারা কী কেন কীভাবে

Image
  পাপ বা অপরাধ থেকে মাফ পাওয়ার জন্য শরিয়ত-নির্দিষ্ট দণ্ড। ইসলামি পরিভাষায় কতিপয় অপরাধজনক কাজের পর তওবা কবুলের উদ্দেশ্যে আর্থিক বা শারীরিক ক্ষতিপূরণ আদায়ের নাম কাফফারা। চারটি ক্ষেত্রে এই কাফফারা দিয়ে গুনাহ অর্থাৎ পাপ থেকে মুক্ত হওয়া যায়। ক্ষেত্র চারটি হলো: শপথভঙ্গ, রমজান মাসের রোজা, খুন ও জিহাদ। আল্লাহর নামে শপথ করে তা ভঙ্গ করলে ১০ জন মিসকিনকে দুই বেলা খাওয়াতে হয়, কিংবা ১০ জন মিসকিনকে এক জোড়া করে কাপড় দান করতে হয় কিংবা একজন দাসকে মুক্ত করতে হয়। যদি এসব কোনোটিই করার সামর্থ্য না থাকে, তবে পর পর তিনটি রোজা রাখতে হয় (ওই সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও রোজা রাখলে কাফফারা আদায় হবে না)। অবশ্য মিসকিনদের আহার করানোর বদলে তাদের প্রত্যেককে পৌনে দুই সের করে গম প্রদান করলেও কাফফারা আদায় হবে। শিকার বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে অস্ত্র ব্যবহারের সময় দৈবক্রমে কোনো লোক নিহত হলে নিহত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনের ‘দিয়ত’ (রক্তমূল্য) পরিশোধ করার পরিবর্তে একটি দাস মুক্ত করতে হয় বা একাধারে ৬০ দিন রোজা রাখতে হয়। জিহারের (স্ত্রীকে কোনো অংশে মাতা বা বোনের মতো বলে ঘোষণা) কাফফারা দিতে হয়। এভাবে কোনো ন্যায্য কার

আজানের দোয়ায় গুনাহ মাফ

Image
  নামাজের জন্য সবাইকে আহ্বান করতে আজান দেওয়া হয়। প্রতি ওয়াক্ত ও জুমার নামাজে যোগ দেওয়ার জন্য আজান দেওয়া হয়। আজান শোনার পর দোয়া পড়তে হয়। আজানের দোয়া: ‘আল্লাহুম্মা রব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাতি ওয়াস সালাতিল কায়িমাতি আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাতা ওয়াদ দারজাতার রফিআতা ওয়াবআসহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়াআত্তাহু; ওয়ারজুকনা শাফাআতাহু ইয়াওমাল কিয়ামাতি, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিআদ।’ এই দোয়ার অর্থ: হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বানের ও স্থায়ী প্রতিষ্ঠিত নামাজের আপনিই প্রভু। হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে ওয়াসিলা ও সুমহান মর্যাদা দান করুন এবং তাঁকে ওই প্রশংসিত স্থানে অধিষ্ঠিত করুন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন আর কিয়ামতের দিন তাঁর সুপারিশ আমাদের নসিব করুন; নিশ্চয়ই আপনি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না। আজানের পর দরুদ শরিফ পড়ে এ দোয়া পড়া সুন্নত। এ দোয়ার অর্থ: হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বানের ও স্থায়ী প্রতিষ্ঠিত নামাজের আপনিই প্রভু। হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে ওয়াসিলা ও সুমহান মর্যাদা দান করুন এবং তাঁকে ওই প্রশংসিত স্থানে অধিষ্ঠিত করুন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন আর কিয়ামতের দিন তাঁর সুপারিশ