Posts

Showing posts from October, 2022

সূরা ইখলাসের প্রথম আয়াত

Image
  সূরা ইখলাসের প্রথম আয়াত- قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ "বল, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়।" শুধুমাত্র এই উক্তিটির মাধ্যমে আল্লাহ বলছেন, এটা এমন অদ্বিতীয়তা যা তোমরা অন্য কোনো অদ্বিতীয়তার সাথে তুলনা করতে পারবে না। এমনকি তাঁর অনন্যতাও অনন্য। তাঁর তাওহীদও অনন্য। আল্লাহ সম্পর্কে অন্য যত চিন্তা আপনার আছে, এটা মনোযোগ দিয়ে শুনুন, আল্লাহ সম্পর্কে অন্য যত চিন্তা আপনার আছে, আল্লাহ সম্পর্কে অন্য যতো কিছু আপনি শিখবেন, আপনাকে প্রথমে অনুধাবন করতে হবে যে, সেই সকল জিনিস থাকবে এই একটি শব্দের ছায়াতলে। আর তা হলো - أَحَدْ (অদ্বিতীয়) সকল উপলব্ধি 'আহাদুন' শব্দটির ছায়াতলে থাকবে। কেনো আমি এটা বললাম ? খেয়াল করুন, আমি শুনি। আমি দেখি। আমি سَمِيْع (সামি), অর্থাৎ আমি শুনি। আমি بَصِيْر (বাসির), যার অর্থ কি ? আমি দেখি। আমার কিছু জ্ঞান আছে, আমি عَلِيْم (আলীম) ও। কিন্তু سَمِيْع (সামি), بَصِيْر (বাসির), عَلِيْم (আলীম) এগুলো কি আল্লাহরও নাম ? হ্যাঁ, এগুলো আল্লাহর নাম। আল্লাহর একটি নাম হলো رَحِيْم (রহীম), তাই না ? আল্লাহর আরেকটি নাম হলো رَؤُوْف (রউফ)। এই দুটি নাম ব্যবহৃত হয়েছে রাসূল (সঃ) এর জন্যও। আর আল

আল্লাহর রাস্তায় ব্যয়

Image
  মহান আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য নিজের খেয়াল-খুশি, ইচ্ছা-আকাংখা বা কামনা-বাসনা বিসর্জন দেওয়া মুমিনদের জন্য সুখ ও সফলতার একটা মাধ্যম। মহান আল্লাহ তাআ’লা ইরশাদ করেন, তোমরা কস্মিণকালেও কল্যাণ লাভ করতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমরা তোমাদের প্রিয় বস্তু থেকে আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় না কর। আর তোমরা যা কিছু ব্যয় কর, আল্লাহ তা ভালো জানেন। সুরা আলে-ইমরানঃ ৯২। নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য কোন কিছু ত্যাগ করে, আল্লাহ তাকে তার চাইতে উত্তম কিছু দ্বারা প্রতিস্থাপন করবেন।” মুসনাদে আহমাদঃ ২২৫৬৫। শায়খ নাসির উদ্দিন আলবানী রহি’মাহুল্লাহ বলেছেন, হাদীসটির সনদ সহীহ। নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “এই দুনিয়ার পুরোটাই হচ্ছে ভোগ-বিলাস ও আনন্দ উল্লাসের সামগ্রী। তার মাঝে সবচাইতে উত্তম সম্পদ হচ্ছে নেক ও সৎ কর্মপরায়ণ (উপযুক্ত) স্ত্রী।” সহীহ মুসলিমঃ ১৪৬৭। এজন্যই একজন হযরত উমর রাদিয়াল্লাহু আ'নহু বলেছেন, “ঈমানের পর মুমিন বান্দার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সবচাইতে বড় নেয়ামত হচ্ছে অনুগতা, মিষ্ট ভাষী, কোমল হৃদয়ের মুমিনাহ স্ত্রী। আর

আল্লাহর কিতাব

Image
  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যখন সম্পদশালীরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, বিয়ের আগে তারা একটি চুক্তিনামা সাক্ষর করে। আমাদের মধ্যে যদি ডিভোর্স হয় তাহলে সম্পদের ৫০% স্ত্রী পাবে, ৫০% স্বামী পাবে। মজার ব্যাপার হলো- এ চুক্তিনামায় এটাও উল্লেখ থাকে যে, যদি স্ত্রী জেনা করে তাহলে সে কিছুই পাবে না। আর এটা আইনগতভাবে বাধ্য। তো, তারা যখন আমাদের বলে- তোমাদের ইসলামে অনেক বেশি আইন-কানুন বিধি-নিষেধ; আমাদের এসব নেই। আমরা বলি- হ্যাঁ। তোমাদেরও আছে। যদি সবকিছুই ওপেন হতো তাহলে স্ত্রীর তো ডিভোর্স হলেই ৫০% সম্পত্তি পাওয়ার কথা। সে জেনা করুক বা যা ইচ্ছা তাই করুক, তাতে তো এই নিয়মের কোনো পরিবর্তন হওয়ার কথা ছিল না। সে জেনা করতে পারবে না, কেন তোমরা এই শর্ত আরোপ করছো তাহলে। তার মানে, এমনকি তারাও বিশ্বাস করে জেনা-ব্যভিচার করা মন্দ কাজ। তারা আমাদের আরো বলে, আমরা ক্রমাগত নিজেদের পরিবর্তন করে চলছি। আর তোমরা সপ্তম শতকে আটকে আছো। আমি বলি- আমরা গর্বের সাথে সপ্তম শতকে আটকে আছি। এবং এটা নিয়ে আমরা যারপরনাই গর্বিত। আল্লাহ যেমন সূরা কাহাফের প্রথম আয়াতে বলেছেন- "সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি তাঁর বান্দাদের প্রতি কিতাব নাযিল করেছে

জাহান্নাম এবং শেষ বিচার

Image
  আপনাদের একটি ঘটনা বলছি। শ্রী তেজ পাল শিং নামক ভারতের এক শিখ ব্যক্তিকে একজন আলেম অনুবাদসহ একটি কুরআন পড়তে দেন। কিছুদিন পর উক্ত শিখ ঐ আলেমকে কিতাবটি ফেরত দেন। সে বলল, কুরআন পড়ে আমি খুবই ভীত হয়ে পড়েছি। কারণ, এই বই শুধুই দোজখের আগুন নিয়ে কথা বলছে। আমি বইটি পড়তে গিয়ে খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। যদি আপনি ভালোভাবে বইটি পড়েন, সবার আগে এই বই আপনাকে ভয়ে কাতর করে দিবে। এ বই কখনো আপনাকে শান্তিতে বসে থাকতে দিবে না। যারা এ কিতাব ভালোভাবে বুঝেছিলো তাদের দিকে লক্ষ্য করুন। তাউস আল ইয়ামানী রাহিমাহুল্লাহ, একজন বিখ্যাত তাবেয়ী, যিনি ইবনে আব্বাস (রা) এর একজন ছাত্র ছিলেন, যখনই তিনি ঘুমাতে যেতেন তিনি শান্তিতে ঘুমাতে পারতেন না। তিনি বলেন, জাহান্নামের আগুন আমাকে ঘুমাতে দেয় না। তাই, মনে রাখুন, এই কিতাবের মুখ্য বার্তা হলো আপনাকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচানো। কারণ, আপনার প্রভু হলেন আর-রাহমান। যিনি আপনাকে এই আগুন সম্পর্কে সবকিছু আগাম জানিয়ে দিতে চান। যেন আপনি তাঁর রাসূলের দেখানো পথ অনুসরণ করে নিজেকে এই আগুন থেকে রক্ষা করতে পারেন। তিনি আপনাকে এমন সব কথা বিস্তারিত জানিয়ে দিতে চান যা আপনাকে জাহান্নামের আগুন থেকে

কেনো কবুল হয়না ?

Image
  জেনে নিন দুয়া কেনো কবুল হয়না। কিছু কিছু মানুষ আল্লাহর কাছে দুয়া করে থাকে। কিন্তু দুয়া কবুল হওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যায় না। অথচ আল্লাহ তাআ’লা বলেছেন, “তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব।” তাহলে মানুষ কিভাবে আল্লাহর কাছে দুয়া করলে তা কবুল হবে? আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উষায়মিন রাহি’মাহুল্লাহ এই প্রশ্নের উত্তরে বলেনঃ বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহর জন্য সমস্ত প্রশংসা। দরূদ ও সালাম পেশ করছি আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবার এবং সকল সাহাবীর উপর। মুসলমান ভাইদের জন্য আল্লাহর কাছে আকীদাহ ও আমলের ক্ষেত্রে সঠিক পথের তাওফীক প্রার্থনা করছি। আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। যারা আমার ইবাদত করতে অহংকার করে, তারা শীঘ্রই লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” সুরা গাফিরঃ ৬০। প্রশ্নকারী বলেছেন যে, তিনি আল্লাহর কাছে দুয়া করে থাকেন। অথচ আল্লাহ তার দুয়া কবুল করেন না। ফলে তার কাছে এই অবস্থা কঠিন বলে মনে হয়। বিশেষ করে আল্লাহতো ওয়াদা করেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে দুয়া করে, আল্লাহ তার দুয়া কবু

তিনি কতইনা দয়াময়!

Image
  আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার চেয়ে কে মানুষের পরিণতি নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন? আপনার বাবা মা কোনো একটি বিষয় আপনাকে দুইবার তিনবার বুঝানোর পর ক্লান্ত হয়ে পড়েন। আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আল-কুরআনে একই বিষয় অসংখ্যবার বিভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরেছেন, যেন মানুষ তাঁর দিকে ফিরে আসে। তিনি কতইনা দয়াময়! মানুষ তাঁর দিকে ফিরে আসলে তিনি দারুণ খুশি হয়ে যান। শুধু যে খুশি হোন তাই নয়, তিনি সে ব্যক্তিকে অগণিত পুরস্কার দান করেন। কেউ যদি আল্লাহর কাছে তার জীবনের ৬০ বছরের পাপ নিয়ে আসে, ৮০ বছরের পাপ নিয়ে আসে, বড় বড় পাপ নিয়েও ধর্ণা দেয় এবং তাওবা করে, অনুতপ্ত হয়, আন্তরিকভাবে ক্ষমা চায় আর তাওবা অবস্থায় মারা যায় তখন তার সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। সবকিছু ক্ষমা করে দেওয়া হয়। ইমাম মুসলিম কিতাবুল ঈমানে খুবই সুন্দর একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। কিয়ামতের দিন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এক ঈমানদারকে ডাক দিবেন যে এই দুনিয়াতে অসংখ্য অগণিত পাপ করেছে। ছোট বড় সব ধরণের গুনাহ আছে তার। আল্লাহ তাকে কাছে নিবেন এবং এমনভাবে ঢেকে ফেলবেন যেন অন্য কেউ দেখতে না পায় আল্লাহ তাকে কী কী জিজ্ঞেস করছেন। এরপর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তার

ক্বিয়ামতের পূর্ব লক্ষণ

Image
  ক্বিয়ামতের পূর্ব লক্ষণ হিসেবে হাদীসে বর্ণিত কয়েকটি ফিতনাহ। (১) বর্তমান যুগে বড় একটা ফেতনাহ হচ্ছে সাধারণ মুসলমানদের মাঝে দ্বীনি জ্ঞানের মারাত্মক অভাব রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ক্বিয়ামতের লক্ষণ সমূহের মধ্যে রয়েছেঃ (১) ‘ইলম’ (দ্বীনের জ্ঞান) উঠে যাবে, (২) জাহালত (অজ্ঞতা-মূর্খতা) বেড়ে যাবে, (৩) যিনা (ব্যাভিচার) বেশি হবে, (৪) মদপান বৃদ্ধি পাবে, (৫) পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে, (৬) নারীর সংখ্যা বেশি হয়ে যাবে। এমনকি একজন পুরুষ ৫০জন মহিলার পরিচালক হবে।” সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, মিশকাতঃ ৫২০৩। দ্বীনের সঠিক জ্ঞানের অভাবে অনেক মুসলমানেরা চিনতে পারেনা, কে আলেম আর কে জাহেল? একারণে অনেক মুসলমান পথভ্রষ্ট, বিদআ’তী, জাহেল (মূর্খ লোকদের) কাছ থেকে দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করছে, যারা লোকদেরকে ভুল শিক্ষা দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কেয়ামতের একটা লক্ষণ হচ্ছে যে, মানুষ জাহেল লোকদের কাছ থেকে ইলম অর্জন করবে।” তাবারানি, জামি আস-সাগীরঃ ২২০৩। পথভ্রষ্ট, বিদআ’তী, জাহেল (মূর্খ লোকদের) লিখিত বই-পুস্তক পড়ে, তাদের ওয়াজ-লেকচার শুনে দ্বীনে

জাহান্নামীদের করুণ অবস্থার সামান্য বিবরণ

Image
  ❑ জাহান্নামীদের করুণ অবস্থার সামান্য বিবরণঃ জাহান্নামীদেরকে যখন জাহান্নামের কঠিন শাস্তি ঘিরে ধরবে তখন তারা জাহান্নাম থেকে বের হয়ে পুনরায় দুনিয়ায় এসে সৎ কাজ করার জন্য আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ করবে। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ ‘সেখানে তারা আর্তনাদ করে বলবে, ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে বের করে দিন, আমরা পূর্বে যে (খারাপ) কাজ করতাম, তার পরিবর্তে আমরা ভাল কাজ করব। (আল্লাহ বলবেন) আমি কি তোমাদেরকে এতটা বয়স দেইনি যে, তখন কেউ শিক্ষা গ্রহণ করতে চাইলে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারত? আর তোমাদের নিকট তো সতর্ককারী এসেছিল। কাজেই তোমরা শাস্তি আস্বাদন কর, আর যালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই’। (সূরা ফাতিরঃ ৩৭) অর্থাৎ আল্লাহ জাহান্নামীদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করবেন এবং তাদের আর কখনোই ক্ষমা করবেন না। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ ‘জাহান্নামীরা বলবে, ‘হে আমাদের রব, দুর্ভাগ্য আমাদের পেয়ে বসেছিল, আর আমরা ছিলাম পথভ্রষ্ট। হে আমাদের রব, জাহান্নাম থেকে আমাদেরকে বের করে দিন, তারপর যদি আমরা ফিরে যাই তবে অবশ্যই আমরা হব যালিম।’ আল্লাহ বলবেন, ‘তোমরা ধিকৃত অবস্থায় এখানেই থাক, আর আমার সাথে কথা বল না।’ (সূরা মু’মিনুনঃ ১০৬-১০৮) ❑ জাহান্নামীগ

তারাই (আল্লাহর) নৈকট্যপ্রাপ্ত

Image
  আল্লাহর কাছাকাছি হওয়াটা একবারেই করে ফেলার কাজ না। এটা একটা প্রক্রিয়া। এটা এমন কিছু যার জন্য প্রত্যহ কাজ করে যেতে হবে। এখন, আপনি ইচ্ছে করলে দৈনিক ভিত্তিতে এই সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে পারেন অথবা ইচ্ছে করলে দৈনিক ভিত্তিতে এ সম্পর্কের ক্ষতি সাধন করতে পারেন। একটি ভালো দিন...আপনি সকালে উঠে মসজিদে গেলেন। কিছু কুরআন তিলাওয়াত করলেন। অন্তর বিগলিত করে অকৃত্রিম কিছু দোয়া করলেন। কিছু খারাপ কাজ আপনার অভ্যাসের অংশ হয়ে গিয়েছে কিন্তু আজ সেগুলো থেকেও দূরে থাকলেন। মানুষকে কষ্ট দিয়ে কোনো কথা বললেন না। কোনোভাবে কারো কোনো ক্ষতি করলেন না। এভাবে যোহর পর্যন্ত পৌঁছে গেলেন। এখন, অনুভব করছেন আপনি আগের চেয়ে আল্লাহর অনেক কাছাকাছি আছেন। অন্তরে এক ধরণের স্বর্গীয় প্রশান্তি অনুভব করছেন। নিজের উদ্বেগ উৎকণ্ঠাগুলো কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। এরপর... কেমন করে যেন মনোবল কমে গেল। ভাবলেন, আমার হাতে কিছুটা ফ্রি সময় আছে। মুভি বা কিছু একটা দেখে একটু বিনোদন করি এবং শুরু করলেন। এখন, আপনি আবার পিছিয়ে যাচ্ছেন। উন্নতি অর্জন করছিলেন কিন্তু এখন আবার নিচের দিকে নামা শুরু করলেন। এমনটা সবসময় ঘটে আসছে। কিছুটা অগ্রগতি অর্জন করেন এরপর আবার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার

Image
  ফেইসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি সোস্যাল মিডিয়াতে অনর্থক, অপ্রয়োজনীয় বা হারাম কাজের পেছনে সময় নষ্ট করে আমরা যে নিজেদের অজান্তেই আমাদের কত বড় ক্ষতি করে ফেলছি, সেটা নিয়ে একজন শায়খের কিছু মূল্যবান কথা শুনুন। আল্লাহ সকল মুসলিমদেরকে হেফাজত করুন, আমিন। সুলায়মান আর-রুহাইলি হা’ফিজাহুল্লাহ বলেন, “তোমরা এই ক্বাইয়িদাহ (মূলনীতি, principle) গ্রহণ করো। যেই জিনিস তোমাকে কোন ফরয বা ওয়াজিব কাজ হতে বিরত রাখে বা বাঁধা দেয় সেটা তোমার জন্য হারাম। আর যেই জিনিস তোমাকে ফযীলতপূর্ণ কোন কাজ (যেমন সুন্নত, মুস্তাহাব বা যেকোন ভালো কাজ) হতে বিরত রাখে বা বাঁধা দেয় সেটা তোমার জন্য মাকরুহ (ঘৃণিত বা অপছন্দনীয়)। সুতরাং কোন ব্যক্তি যদি তার উপর ইসলামী শরীয়ত কর্তৃক অর্পিত ফরয দায়িত্ব ত্যাগ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে ব্যস্ত থাকে, এমনকি সে তার ছেলে-মেয়ের দিকে খেয়াল রাখেনা, তাদের হক্ক আদায় করেনা, এমনকি অনেক অফিসের কর্মীরা অনলাইনে যোগাযোগ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কোন উদ্দেশ্য নিয়ে সেই অফিসে আগত লোকেরা কাজের জন্য দাঁড়িয়ে থাকে, আর সেখানকার কর্মী তখন মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত। সেই লোক হয়তোবা ৫ মিনিট, ১০ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছে আর সেই ক

জাহান্নামের ভয়াবহতা

Image
  তুমি আমাদের বাঁচাও আল্লাহ .. মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, কবরের শাস্তির শব্দ যদি পৃথিবীর কোন মানুষ শুনতে পেত, তাহলে সে কলিজা ফেটে মারা যেত। জাহান্নামের ভয়াবহতা প্রসঙ্গে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আরো বলেছেন- ••• জাহান্নামের ৭০টি লাগাম থাকবে এবং প্রতিটি লাগামে ৭০ হাজার ফেরেশতা থাকবে, তারা তা টেনে আনবে। - মুসলিম। ••• দুনিয়ার ব্যবহৃত আ°গুনের উত্তাপ জাহান্নামের আ°গুনের উত্তাপের ৭০ ভাগের ১ ভাগ। - বুখারী, মুসলিম। ••• আগুনের জুতা পড়িয়ে শাস্তি দেয়ার ফলে জাহান্নামীদের মগজ টগবগ করে ফুটতে থাকবে, যা হবে জাহান্নামের সবচেয়ে কম শাস্তি। - বুখারী, মুসলিম। ••• জাহান্নামীদের মধ্যে সবচেয়ে কম শাস্তি হবে আবু তালিবের। তার পায়ে দু’খানা আ°গুনের জুতা পড়িয়ে দেয়া হবে, ফলে তার মাথার মগজ ফুটতে থাকবে। - বুখারী। ••• দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিকে জাহান্নামের আ°গুনে ঢুকিয়ে বের করা হবে। তাকে বলা হবে, তুমি দুনিয়াতে কখনো সুখ ভোগ করেছিলে? সে বলবে- না! আমি কখনো সুখ ভোগ করিনি। - মুসলিম। ••• জাহান্নামের সবচেয়ে কম ও সহজতর শাস্তি প্রাপ্ত ব্যক্তি পৃথিবী পরিমাণ সম্পদ থাকলেও তার বিনিময়ে এ আযাব থেকে মু

আল্লাহর সিংহাসন কত বড়?

Image
  আমাদের বাংলাদেশটা পৃথিবীর বুকে কত ছোট। সেই পুরো বাংলাদেশই একবার ঘুরতে কত সময় লাগবে একবার চিন্তা করুন! তেমনি পৃথিবীতে অনেক বড় বড় দেশ আছে সেগুলো বাদই দিলাম! ২২৮ টি দেশ নিয়ে পৃথিবী। পৃথিবী থেকে সুর্য ১৩ লক্ষ গুন বড়। ব্যাটেল জুইস নামে একটা ছোট তারা আছে, যা সূর্যের চেয়ে ৩৩ কোটি গুণ বড়। আল্লাহু আকবর। প্রক্সিমা সেন্ট্রাই, আলফা সেন্ট্রাই, ব্যাটেল জুইস এরকম ৫০০ বিলিয়ন তারকা নিয়ে গঠিত গ্যালাক্সি। আল্লাহ তায়ালা কোটি কোটি গ্যালাক্সি সৃষ্টি করেছেন। 👉পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রতগামী যান Apollo 11. 👉সেকেন্ডে চলে ১১ কিঃমিঃ বেগে। 👉মিনিটে চলে ৬৬০ কিঃ মিঃ বেগে 👉ঘন্টায় চলে ৩৯ হাজার কিঃমিঃ বেগে। যদি কেউ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের তারকা প্রক্সিমা সেন্ট্রাই Apollo 11 তে চড়ে যেতে চায়, সময় লাগবে ১ লক্ষ ১৫ হাজার বছর। যাহা কোন ক্রমেই সম্ভব নহে। গ্যালাক্সি, সুপার নোভা, ব্লাক হোল এগুলো ১ম আকাশ নয়, ১ম আকাশের মহাশুন্য। তারপর ১ম আকাশ। তারপর ২য় আকাশের মহাশুন্য, তারপর ২য় আকাশ। তারপর ৩য় আকাশের মহাশুন্য, তারপর ৩য় আকাশ। তারপর ৪র্থ আকাশের মহাশুন্য, তারপর ৪র্থ আকাশ। তারপর ৫ম আকাশের মহাশুন্য, তারপর ৫ম আকাশ