Posts

Showing posts from September, 2020

প্রত্যেক বিপদেই ৩টি নেয়ামত আছে

Image
  আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযি.) বলেন, প্রত্যেক বিপদেই ৩টি নেয়ামত আছে: . (১) বিপদ আরও কঠিন হতে পারত (২) বিপদ দুনিয়াতেই মিটে গেছে (৩) দুনিয়াবি বিষয়ের ওপর এসেছে . এগুলো কীভাবে নেয়ামত? . (১) বিপদ আরও কঠিন হতে পারত প্রত্যেকটি বিপদেরই দুটো অবস্থা রয়েছে। একটি কম, অন্যটি বেশি। যার এক হাত কাঁটা পড়েছে, তার দুটো হাতই কাঁটা যেতে পারত। যার এক চোখ নষ্ট হয়ে গেছে, তার দুটো চোখই নষ্ট হতে পারত। যার পরিবারের একজন মারা গেছে, তার পরিবারের সকলেই মারা যেতে পারত। নিজের ওপর আসা বিপদকে আমরা যত বড় করেই দেখি না কেন, বিপদের আরও খারাপ স্তর আছে। কাজেই জীবনে যত বিপদ আপদই আসুক, এই কথাগুলো মনে রাখলে ভেঙে পড়বেন না। বিপদকালে অভিযোগ না করে বরং বিপদের মাত্রা নিয়ে ভাবুন। এটি আপনাকে ধৈর্য ধরতে এবং আল্লাহর প্রতি শোকর আদায়ে উদ্বুদ্ধ করবে। . (২) বিপদ দুনিয়াতেই মিটে গেছে ইমাম ইবনুল-জাওযী (রহ.) বলেন, 'আমাদের জীবনে অধিকাংশ বিপদ আপদ পাপের কারণে আসে।' [সাইদুল খাতির] . আর আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন, 'একজন মুসলিম যে কোনো কষ্ট-ক্লেশ, দুশ্চিন্তা, পেরেশানি ও নির্যাতনের সম্মুখীন হোক না কেন, এমনকি সামান্য কাঁটাবিদ্

শিশুর সুরক্ষায় ইসলামের শিক্ষা ও আমাদের করণীয়

Image
শিশুর সুরক্ষায় ইসলামের শিক্ষা ও আমাদের করণীয় শিশুরা জান্নাতের ফুল। শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। আমাদের স্বপ্ন তাদের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হবে। পারিবারিক শান্তি, সামাজিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন শিশুদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। তাই শিশুদের মেধা বিকাশে ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাবিধান খুবই জরুরি। ইসলামি বিধানে আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রথম বাবার ওপরেই বর্তায়। তাই বাবা হওয়ার আগে দাম্পত্যজীবন গঠনের প্রাক্কালেই সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। তোমরা তোমাদের সন্তানের জন্য ভালো ‘মা’ খুঁজে নেবে। অর্থাৎ ভবিষ্যৎ সন্তানের মা যেন হয় সুশিক্ষিত, সম্ভ্রম ও মর্যাদাসম্পন্ন, সৎ চরিত্রবান এবং শোভন আচরণের অধিকারী, যাতে সন্তানের শৈশব নিরাপদ ও আনন্দময় হয়। নিরাপদ দাম্পত্যজীবন ও সন্তানের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য বিবাহের কাবিন রেজিস্ট্রি করতে হবে। না হলে সামাজিক ও পারিবারিক কলহসহ আইনত ঝামেলা পোহাতে হবে। দাম্পত্যজীবন শুরুর আগে অনাগত সন্তানের সুরক্ষার জন্য এভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে শিখিয়েছেন মানবতার নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.), ‘হ

প্রকৃত মুমিনের পরিচয় ও গুণাবলি

Image
প্রকৃত মুমিনের পরিচয় ও গুণাবলি শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী ইমান অর্থ বিশ্বাস। মুমিন মানে বিশ্বাসী। তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতে বিশ্বাসীকে মুমিন বলা হয়। ইসলাম মানে আনুগত্য, মুসলিম অর্থ অনুগত ব্যক্তি, যিনি ইমানের সঙ্গে নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত এবং আল্লাহ ও রাসুল (সা.)-এর যাবতীয় আদেশ-নিষেধ মেনে চলেন। মুমিন ও মুসলিম জন্মগত ও বংশীয় পরিচয় নয়, বিশ্বাস ও কর্মে তা অর্জন করতে হয়। কোরআন ও হাদিসে প্রকৃত মুমিনের পরিচয় ও সফল মুমিনের গুণাবলি বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে। ইমান, ইয়াকিন, ইখলাস, তাকওয়া, তাজকিয়া ও ইহসান অর্জনের মাধ্যমে ইসলাম বা আত্মসমর্পণ সফল মুমিনের গুণাবলি। আল–কোরআনের শুরুতেই বিবৃত হয়েছে, ‘আলিফ লাম মিম! এই সেই মহাগ্রন্থ, যাতে সন্দেহের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই, এটি মুত্তাকিনদের জন্য পথনির্দেশ। যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস স্থাপন করে, সালাত কায়েম করে, আমি তাদের যে রিজিক-দৌলত দিয়েছি তা হতে তারা ব্যয় করে। আর যারা বিশ্বাস করে তারা আপনার প্রতি, অবতীর্ণ কিতাবের প্রতি আর যা অবতীর্ণ হয়েছে আপনার পূর্বে এবং তারা পরকালের প্রতি একিন তথা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে। এরা এদের রবের পক্ষ থেকে হেদায়েতের ওপরে রয়েছে এবং এরাই সফলকাম।’ (সুরা

ইসলামে ব্যক্তির গুণাবলি ও মানবিক মূল্যবোধ

Image
  ইসলামে ব্যক্তির গুণাবলি ও মানবিক মূল্যবোধ শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী শরিয়ত হলো মানবিক বিধান। একজন মানুষকে বিশ্বাসী মুমিন ও অনুগত মুসলিম হতে হলে কিছু প্রাথমিক মৌলিক গুণ অর্জন করতে হবে। প্রাকৃতিক গুণাবলির মাধ্যমে মানুষ অন্য সব সৃষ্ট জীব ও প্রাণিকুল থেকে আলাদা। মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক চেতনায় মানুষ শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করে। গুণ বলতে সাধারণত সৎ গুণ ও সুকুমারবৃত্তিকেই বোঝায়। গুণাবলি দ্বারাই মানুষের ব্যক্তিত্ব নির্ধারিত হয়। ইসলাম ব্যক্তির বিশ্বাস ও আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন সাধন করে। আমল তথা কর্ম বা আচরণ বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ। মানুষ তার প্রাপ্ত বা অর্জিত জ্ঞান ও বিশ্বাসের আলোকেই বস্তু ও ব্যক্তির সঙ্গে আচরণ করে থাকে। ইসলামের লক্ষ্য হলো স্রষ্টা ও সৃষ্টির সঙ্গে তার প্রাপ্য অধিকার অনুযায়ী যথাযথ আচরণ বা কর্ম সম্পাদন করা। মুমিন ও মুসলিম হলো সত্য বিশ্বাসী ও বিশেষ সৎ গুণাবলির অধিকারী ব্যক্তি। মানুষের প্রাকৃতিক রিপু হলো কাম, ক্রোধ, লোভ, মদ, মোহ, মাৎসর্য। অনিয়ন্ত্রিত ষড়্‌রিপু সুকুমারবৃত্তির শত্রু। জীবনযুদ্ধে প্রতিনিয়ত এসবের সঙ্গে হরদম সংঘাত চলতে থাকে। এসবের সুনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারবিধি হলো শরিয়ত বা ইসলামি বিধান।

শাইখ হামজা ইউসুফ বাংলা ডাবিং

Image
শাইখ হামজা ইউসুফ  বাংলা ডাবিং শয়তান কিভাবে মানুষদের ধীরে ধীরে তার দিকে টানে এখানে তার বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। টেলিভিশন, সিনেমা, গান, ইন্টারনেট, ভিডিও গেম, পর্ণ চলচিত্র, কার্টুন ইত্যাদি কিভাবে আমাদের আস্তে আস্তে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায় এখানে তার ব্যাখ্যা করা হয়েছে। link-- https://www.youtube.com/watch?v=LVcdbzyrO1g&ab_channel=NewWaz https://www.youtube.com/watch?v=RwGNPufv64k&ab_channel=NewWaz https://www.youtube.com/watch?v=K1P11G6nQ8w&ab_channel=NewWaz

সেরা মানুষের সংজ্ঞা

Image
আমাদের চোখে সেরা মানুষের সংজ্ঞা কী? অনেক পড়াশোনা জানা, অনেক সম্পদের অধিকারী ইত্যাদি। চলুন দেখে নিই আমাদের প্রাণপ্রিয় রাসূলের (সা) চোখে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষের গুণাবলীগুলো। রাসূলের (সা) বিভিন্ন হাদীস থেকে সেরা মানুষের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য আমরা জানতে পারি। হাদীসগুলো নিচে তুলে ধরা হলো। ১। তোমাদের মধ্যে সর্বসেরা সে, যে কুরআন শিখে এবং শেখায়। (বুখারী, পর্ব: ফাজায়েলুল কুরআন, অধ্যায়: ২১ হাদীস নং: ৫০২৭) ২। নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সে, যে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম আচরণের অধিকারী। (বুখারী, পর্ব: শিষ্টাচার, অধ্যায়: উত্তম চরিত্র, হাদীস নং: ৬০৩৫) ৩। তোমাদের মধ্যে সর্বসেরা ব্যক্তি সে, যে ঋণ পরিশোধের বেলায় ভালো। (বুখারী, পর্ব: উকীল নিযুক্তকরণ, অধ্যায়: ৬, হাদীস নং: ২৩০৫) ৪। তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সে যার কাছ থেকে সবাই কল্যান আশা করে, অনিষ্টের আশংকা করে না। ( তিরমিজী, পর্ব: ফিতান, অধ্যায়: ৭৬, হাদীস নং: ২২৬৩/২৪৩২) ৫। তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সে, যে তার পরিবারের নিকট ভালো। (ইবনে হিব্বান, পর্ব: বিবাহ, অধ্যায়: স্বামী-স্ত্রীর জীবনাচার, হাদীস নং: ৪১৭৭) ৬। তোমাদের মধ্যে সে সর্বোত্তম, যে খ

জাহান্নাম সম্পর্কে

Image
জাহান্নাম সম্পর্কে কিছু লিখলাম। পবিত্র কুরআনুল কারীম থেকে :- وَ اتَّقُوا النَّارَ الَّتِیْۤ اُعِدَّتْ لِلْكٰفِرِیْنَۚ সেই আগুন থেকে দূরে থাকো, যা কাফেরদের জন্য তৈরী করা হয়েছে।(ইমরান:১৩১)৭২: وَ مَنْ یَّعْصِ اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ فَاِنَّ لَهٗ نَارَ جَهَنَّمَ خٰلِدِیْنَ فِیْهَاۤ اَبَدًاؕ যারাই আল্লাহ‌ ও তাঁর রসূলের কথা অমান্য করবে তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন। এ ধরনের লোকেরা চিরকাল সেখানে থাকবে।(জ্বিন:২৩) وَ مَا هُمْ بِخٰرِجِیْنَ مِنَ النَّارِ۠ তারা জাহান্নাম থেকে উদ্ধার হবে না (বাক্বারাহ:১৬৭) اِنَّهٗ مَنْ یَّاْتِ رَبَّهٗ مُجْرِمًا فَاِنَّ لَهٗ جَهَنَّمَؕ لَا یَمُوْتُ فِیْهَا وَ لَا یَحْیٰى প্রকৃতপক্ষে৫০ যে ব্যক্তি অপরাধী হয়ে নিজের রবের সামনে হাযির হবে তার জন্য আছে জাহান্নাম, যার মধ্যে সে না জীবিত থাকবে, না মরবে। (ত্ব-হা:৭৪) , فَاتَّقُوا النَّارَ الَّتِیْ وَ قُوْدُهَا النَّاسُ وَ الْحِجَارَةُ ۚۖ اُعِدَّتْ لِلْكٰفِرِیْنَ তাহলে ভয় করো সেই আগুনকে, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর,যা তৈরি রাখা হয়েছে সত্য অস্বীকারকারীদের জন্য।(আল-বাক্বারাহ:২৪) وَ

তিন শ্রেণীর বান্দা

Image
তিন শ্রেণীর আল্লাহওয়ালা বান্দা দিয়ে জাহান্নাম উদ্বোধন করা হবে” . মানুষ দেখানোঃ . ১. আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হওয়া ব্যাক্তি। ২. আলেম/ইলমে দ্বীন প্রচারকারী এবং কারী। ৩. দানকারী। 𝌆 যখন আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যার বিচার করা হবে, ◉ সে হচ্ছে এমন একজন যে শহীদ হয়েছিল। তাঁকে হাযির করা হবে এবং আল্লাহ তাঁর নিয়ামত রাশির কথা তাকে বলবেন এবং সে তাঁর সবটাই চিনতে পারবে (এবং যথারীতি তার স্বীকারোক্তিও করবে)। তখন আল্লাহ তা’আলা বলবেন: এর বিনিময়ে কি আমল করেছিলে? সে বলবে: আমি আপনার (সন্তুষ্টির) জন্য যুদ্ধ করেছি এমন কি শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়েছি। তখন আল্লাহ তাআলা বলবেন: তুমি মিথ্যা বলেছো। তুমি বরং এ জন্যেই যুদ্ধ করেছিলে যাতে লোকে তোমাকে বলে তুমি বীর। তা (দুনিয়াতে) বলা হয়ে গিয়েছে। এরপর নির্দেশ দেওয়া হবে। সে মতে তাকে উপুড় করে হেঁচড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। ◉ তারপর এমন এক ব্যক্তির বিচার করা হবে-যে জ্ঞান অর্জন ও বিতরণ করেছে এবং কুরআন অধ্যায়ন করেছে। তখন তাকে হাযির করা হবে। আল্লাহ তা’আল

চরিত্রের কতিপয় খারাপ দিক

Image
চরিত্রের কতিপয় খারাপ দিকগুলো :- ১। দ্রুত রাগ করা ২। অতিরিক্ত বকাঝকা করা ও বারবার ছোট-খাটো দোষ ধরা ৩। অহংকার করা ৪। ব্যবহারে কঠোরতা ও রূঢ়তা প্রকাশ করা ৫। মানুষকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা ৬। গীবত তথা কারো অসাক্ষাতে তার সমালোচনা করা ৭। মানুষের দোষ খুঁজে বেড়ানো বা কারো পেছনে লেগে থাকা ৮। গোপনীয়তা প্রকাশ করে দেয়া ৯। মানুষের হঠাৎ ঘটে যাওয়া ভুল ক্ষমা না করা ১০। হিংসা-বিদ্বেষ ১১। কৃপণতা ১২। স্ত্রীর সাথে অশালীন আচরণ করা ১৩। কাজের লোক বা কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরণ করা ১৪। প্রতিবেশীর সাথে খারাপ আচরণ করা ১৫। যে উপকার করল তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করা। ১৬। লজ্জাহীনতা ১৭। কুরুচিপূর্ণ ও নোংরা ভাষা ব্যবহার করা ১৮। উপকার করে খোঁটা দেয়া ১৯। নির্দোষ মানুষকে অপমান করা ২০। মানুষের ওজর গ্রহণ না করা ২১। অযথা ঝগড়া, চিৎকার ও চেঁচামেচি করা ২২। মানুষের সুন্দর নাম বাদ দিয়ে খারাপ নামে ডাকা। আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেরকে উল্লেখিত ও তৎসংশ্লিষ্ট চারিত্রিক খারাপ দিকগুলো থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখার তাওফীক দান করেন,আমিন ৷ জিহ্বার মাধ্যমে ১৫টিরও বেশী মারাত্মক দোষ (গুনাহ) আছে যেগুলো জিহ্বা ব্য