Posts

Showing posts from January, 2020

ইসলামি বিশ্বাসে কিয়ামত ও হাশর–নশর

Image
ইসলামি বিশ্বাসে কিয়ামত ও হাশর–নশর শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের প্রধান হলো ইমান বা বিশ্বাস। ইমানের প্রথম তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ তথা স্রষ্টার একত্ববাদে বিশ্বাস, রিসালাত অর্থাৎ নবী-রাসুল বা প্রেরিত পুরুষদের প্রতি বিশ্বাস এবং আখিরাত মানে পরকালে বিশ্বাস। আখিরাত শব্দের অর্থ হলো পরে, আখিরাতের বিশ্বাস মানে হলো মৃত্যুর পরের জীবন, কবর বা বারজাখের প্রশ্নোত্তর এবং তথায় শান্তি ও শাস্তি, কিয়ামত বা মহাপ্রলয়, হাশর–নশর তথা পুনরুত্থান ও বিচারের জন্য সমবেত হওয়া, পাপ-পুণ্যের বিচার এবং বেহেশত-দোজখ অর্থাৎ পুরস্কার ও শাস্তি এবং সেখানে অনন্ত জীবনের প্রতি বিশ্বাস করা। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআন মাজিদে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তারা আখিরাত বা পরকালের প্রতি দৃঢ়বিশ্বাস পোষণ করে।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৪) কিয়ামতের তিনটি অবস্থা রয়েছে, এর প্রথম পর্যায় হলো ব্যক্তির মৃত্যু। হাদিস শরিফে রয়েছে, ‘যখন কারও মৃত্যু হয়, তখন তার কিয়ামত সংঘটিত হয়।’ আলমে বারজাখ বা বারজাখ জগতে রুহ ও নাফস ইল্লিন বা ছিজ্জিনে অবস্থান করবে এবং দেহ হয়তো বিলীন হয়ে যাবে, নয়তো সুরক্ষিত থাকবে। এখানে প্রশ্ন হবে—তোমার রব কে? তোমার দ্

ইসলামে দাওয়াতি কাজের গুরুত্ব ও পদ্ধতি

Image
ইসলামে দাওয়াতি কাজের গুরুত্ব ও পদ্ধতি শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী সব নবী–রাসুলই দাওয়াত, তাবলিগ, তালিম ও তারবিয়াতের কাজ করেছেন। যেহেতু নতুন কোনো নবী ও রাসুল আর আসবেন না, তাই কিয়ামত পর্যন্ত দাওয়াত, তালিমে দ্বীনের কাজ আখেরি নবীর উম্মত তথা উম্মতে মুহাম্মদীকেই করে যেতে হবে। ইসলামের কল্যাণের বিষয়গুলো মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হলো তাবলিগ। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমরা আমার পক্ষ থেকে একটি আয়াত হলেও পৌঁছে দাও।’ (জামে তিরমিযি)। বিদায় হজের ভাষণে মহানবী (সা.)–এর সর্বশেষ বাক্য ছিল, ‘তোমরা যারা উপস্থিত রয়েছ তারা যেন অনুপস্থিতদের কাছে পৌঁছে দাও।’ (সিরাতে ইবনে হিশাম)। দাওয়াত তাবলিগের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো সৎকাজে আদেশ ও মন্দ কাজে নিষেধ করা। বিজ্ঞ উলামায়ে কিরাম কোরআন ও হাদিসের আলোকে বলেন, দ্বীনি দাওয়াত, তাবলিগ, তালিম ও তারবিয়াতের কাজে সফলতার জন্য চারটি বিষয় থাকা জরুরি। এগুলো হলো: মোহব্বত, আজমাত, হিকমাত ও খিদমাত। অর্থাৎ দাওয়াত ও তাবলিগের ক্ষেত্রে প্রথমত ভালোবাসা ও দরদ থাকতে হবে; দ্বিতীয়ত সম্মানবোধ থাকতে হবে তথা বিনয়, নম্রতাসহকারে দাওয়াত দিতে হবে, তা

দাওয়াত ও তাবলিগ এবং বিশ্ব ইজতেমা

Image
দাওয়াত ও তাবলিগ এবং বিশ্ব ইজতেমা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী দাওয়াত মানে ‘আহ্বান’, তাবলিগ অর্থ পৌঁছানো। ইসলামের অনুপম আদর্শের প্রতি মানুষকে ডাকা হলো দাওয়াত। আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘তোমরা ডাকো তোমাদের রবের পথে, হেকমত এবং সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে।’ (সুরা-১৬ নাহল, আয়াত: ১২৫)। ইসলামের কল্যাণের বিষয়গুলো মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেওয়া হলো তাবলিগ। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: ‘তোমরা আমার পক্ষ থেকে একটি বাণী হলেও পৌঁছে দাও।’ (মুসলিম)। বিদায় হজের ভাষণে মহানবী (সা.)–এর সর্বশেষ বাক্য ছিল, ‘তোমরা যারা উপস্থিত রয়েছ, তারা অনুপস্থিতদের কাছে পৌঁছে দাও।’ (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া)। দাওয়াত তাবলিগের মূল প্রতিপাদ্য হলো, সৎ কাজে আদেশ ও মন্দ কাজে নিষেধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানবজাতির কল্যাণের জন্য তোমাদের আবির্ভাব ঘটানো হয়েছে; তোমরা সৎ কাজের নির্দেশ দান করো, অসৎ কার্যে নিষেধ করো এবং আল্লাহকে বিশ্বাস করো।’ (সুরা-৩ আলে ইমরান, আয়াত: ১১০)। ইজতেমা অর্থ হলো সম্মেলন বা সম্মিলন। এর মূল আরবি উচ্চারণ হলো ‘ইজতিমা’; বাংলায় ইজতেমা বা এজতেমা লেখা হয়। বিশ্ব ইজতেমা হলো বিশ্বসভা, বিশ্ব সম্মেল

আখিরাত বিশ্বাসের স্বরূপ

Image
আখিরাত বিশ্বাসের স্বরূপ শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক বিষয় তিনটি। যথা: তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ববাদ, রিসালাত তথা নবী–রাসুলগণ ও আখিরাত অর্থাৎ পরকাল। পরকাল হলো মৃত্যুর পর পুনরায় অনন্ত জীবন লাভ করা। এই জীবনের সব কর্মের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার ও যথাযথ ভালো বা মন্দ ফলপ্রাপ্তি এবং পরিণাম হিসেবে জান্নাত ও জাহান্নাম ভোগ করা। বিশ্বাসীদের পঞ্চ বৈশিষ্ট্যের অন্যতম হলো আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তারা আখিরাত বা পরকালের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ করে।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৪)। মানবজীবন চারটি জগতে পরিব্যাপ্ত। আলমে আরওয়াহ, আলমে দুনিয়া, আলমে বারজাখ ও আলমে আখিরাত। আলমে আরওয়াহ বা রুহের জগতে শুধু রুহ ছিল, সঙ্গে ছিল নফস। আলমে দুনিয়া বা দুনিয়ার জগতে রুহ ও নফসের সঙ্গে দেহ বা শরীর যোগ হয়েছে। মৃত্যুর মাধ্যমে রুহ ও নফস দেহ ছেড়ে আলমে বারজাখে পাড়ি দেয়। হাদিস শরিফে রয়েছে, ‘যখন কারও মৃত্যু হয়, তখন তার কিয়ামত সংঘটিত হয়।’ আলমে বারজাখ বা বারজাখ জগতে রুহ ও নফস ইল্লিন বা ছিজ্জিনে অবস্থান করবে এবং দেহ হয়তো বিলীন হয়ে যাবে, নয়তো সুরক্ষিত থাকবে। দ্বিতীয় কিয়াম

কোন দেশে যেতে ভিসা লাগবে না

Image
উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের কোনো ভিসাই লাগবে না এমন দেশগুলো হলো : ১. বাহামাস (চার সপ্তাহ পর্যন্ত) ২. বার্বাডোস (ছয় মাস) ৩. ডোমিনিকা (ছয় মাস) ৪. ফিজি (চার মাস) ৫. গাম্বিয়া (তিন মাস) ৬. গ্রানাডা (তিন মাস) ৭. হাইতি (তিন মাস) ৮. জ্যামাইকা ৯. লেসোথো (তিন মাস) ১০. মালাওয়ি (তিন মাস) ১১. মাইক্রোনেশিয়া (এক মাস) ১২. সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস ১৩. সেইন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রানাডিনস (এক মাস) ১৪. ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো ১৫. ভানুয়াতু (এক মাস) ১৬. মন্টসেরাত (তিন মাস) ১৭. টার্ক অ্যান্ড সিসেরো আইল্যান্ড (এক মাস) ১৮. ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ড (এক মাস) ১৯. মাক্রোনেশিয়া (এক মাস) ২০. নিউয়ি (এক মাস)  বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন, তবে সেখানে পৌঁছে ভিসা করতে হবে এমন দেশগুলো হলো: ১. ভুটান ২. বলিভিয়া (তিন মাসের ভিসা) ৩. কেপ ভার্দে ৪. কমোরোস ৫. গিনি বিসাউ (তিন মাস) ৬. মাদাগাস্কার (তিন মাস) ৭. মালদ্বীপ (এক মাস) ৮. মাওরিতানিয়া ৯. মোজাম্বিক (এক মাস) ১০. নেপাল (এক মাস) ১১. নিকারাগুয়া (তিন মা