Posts

Showing posts from March, 2022

রামাদান মাসে পালনীয় গুরুত্বপূর্ণ আমলসমুহ

Image
  রামাদান মাসে পালনীয় গুরুত্বপূর্ণ আমলসমুহঃ (৩য় পর্ব): (৯) ফজরের নামাযের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত মাসজিদে অবস্থান করাঃ ফজরের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত মাসজিদে অবস্থান করা, এটি একটি বিরাট সাওয়াবের কাজ। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজর জামাআত আদায় করার পর সূর্য উদয় পর্যন্ত মাসজিদে অবস্থান করবে, অতঃপর দুই রাকাআত সালাত আদায় করবে, সে পরিপূর্ণ হাজ্জ ও উমারাহ করার প্রতিদান পাবে। [তিরমিযী : ৫৮৬] বিঃদ্রঃ- মেয়েরা ফজরের নামাযের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত নামাযের স্থানেই বসে বসে জিকির আজকার করতে থাকবে, এবং সূর্যোদয়ের ১৫মিঃ পর ২ রাকাত বা (২ + ২) চারাকাত সালাত আদায় করবে। (১০) কুরআন তেলাওয়াত করা এবং এর মর্ম উপলব্ধি করাঃ রামাদান মাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিবরীলের সাথে কুরআন পাঠ করতেন। (সুত্রঃ বুখারীঃ ৩০৪৮). সুতরাং প্রত্যেক মু’মিনের উচিত এ মাসে বেশী বেশী কুরআন তেলাওয়াত করা, বুঝা এবং আমল করা। যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে এবং সে অনুযায়ী আমল করে, তার ব্যাপারে আল্লাহ এ নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে, সে দুনিয়ায় ভ্রষ্ট হবে না এবং আখিরাতে দুর্ভাগা - হতভাগাদের অন্তর্ভুক্ত হবে না।

রোযা ভাঙ্গার কারণসমূহ

Image
  রোযা ভাঙ্গার কারণসমূহঃ ১। স্ত্রী- সঙ্গমঃ স্ত্রী সঙ্গমের ফলে বীর্যপাত হোক, আর নাই হোক রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। বলা বাহুল্য রোযা অবস্থায় যখনই রোজাদার স্ত্রী-মিলন করবে অর্থাৎ এ মিলন যদি রমাযানের দিনে সংঘটিত হয়; তাহলে তখনই তার রোযা নষ্ট হয়ে যাবে এবং তার এই কঠিন অপরাধের কারনে তার উপর ৫টি জিনিষ সংঘটিত হবেঃ- (ক) এটা কবীরাহ গুনাহ হিসাবে গণ্য হবে; এর জন্য অবশ্যই তাকে তওবা করতে হবে। (খ) তার রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। (গ) তাকে ঐ দিনের অবশিষ্ট অংশ পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে। (ঘ) তাকে ঐ দিনের রোযা (রমাযানের পরে) ক্বাযা করতে হবে। (ঙ) তাকে বৃহৎ কাফফারা আদায় করতে হবে। আর তা হল, একটি ক্রীতদাসকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দিতে হবে। তাতে সক্ষম না হলে, লাগাতার বা একটানা দুই মাস রোযা রাখতে হবে। তাতে সক্ষম না হলে, ৬০ জন মিসকিনকে খাদ্যদান করতে হবে। বিঃদ্রঃ- যে মহিলার উপর রোযা ফরয, সেই মহিলা যদি সম্মত হয়ে রমাযানের দিনে স্বামী-সঙ্গম করে, তবে তার উপরও কাফফারা ওয়াজিব হবে। অবশ্য তার ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও স্বামী যদি তার সাথে জোরপূর্বক সহবাস করতে চায়, তাহলে তার জন্য যথাসাধ্য তা প্রতিহত করা জরুরী। আর রুখতে না পারলে তার উপর কা

অস্থির মনকে কী দিয়ে শান্ত করবেন?

Image
  অস্থির মনকে কী দিয়ে শান্ত করবেন? ------------- * ----------- মানুষের ডিফল্ট অবস্থা হলো, আপনাদের কেউ কেউ হয়তো টেকি(প্রযুক্তিতে খুব আগ্রহী। তাই ডিফল্টের অর্থ বুঝবেন), অনেক মানুষের ডিফল্ট অবস্থা হলো তাদের মাথায় সবসময় পাগলাটে কোনো চিন্তা-ভাবনার আনাগোনা চলতে থাকে। কিছু একটা সবসময় তাদের মাথায় থাকে, কখনোই এটা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। আর তারা ভাবতে থাকে— কিভাবে এটা থেকে মুক্তি পাবো? এই চিন্তাটা কখনো কখনো খারাপ আচরণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে পড়ে। খারাপ কাজের মাধ্যমে, উদ্বেগ, হতাশা...মাথা থেকে এটা কখনো যায় না। এখন, থেরাপিস্টরা বলবে, এটা একটা ব্যাধি। ঠিক কিনা? আর কুরআন বলছে- "ইন্নাল ইনসানা খুলিকা হালুউ'আ।" অর্থাৎ, "মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে খুবই অস্থির-মনা করে।" (৭০:১৯) তোমাদেরকে এমন করেই সৃষ্টি করা হয়েছে। এটাই তোমার স্বাভাবিক অবস্থা। আরেকটা কথা বলি— মানুষের শরীরকে মেরু ভালুকের (পৃথিবীর মেরু অঞ্চলে যাদের বাস। তুষারে ঢাকা প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় যারা বাস করে।) শরীরের সাথে তুলনা করে দেখি। খুবই চমৎকার একটা উদাহরণ, তাই না? মানুষের শরীরের তুলনায় মেরু ভালুকের শরীর... আমাদের

ইসলামে স্বাধীনতার দর্শন

Image
  ইমান বা বিশ্বাস হলো ইসলামের মূল অনুষঙ্গ। ইমানের মূল কথা হলো কালেমা তাইয়েবা। পবিত্র কালেমায় এ ঘোষণাই দেওয়া হয়, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’, অর্থাৎ ‘এক আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো মাবুদ নেই। হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল।’ এ ঘোষণার মাধ্যমে মুমিন ব্যক্তি মানব-দানব সব ধরনের মিথ্যা প্রভুর গোলামি থেকে মুক্ত হয়ে যায় এবং আদর্শ হিসেবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে বরণ করে। ইসলামি দর্শনে মানুষ সৃষ্টি ও জন্মগতভাবে স্বাধীন। স্বাধীনতা মানুষের মৌলিক অধিকার। মানুষ মনোজগতে সব সময় স্বাধীন। তাই সে বস্তুজগতেও স্বাধীন থাকতে পছন্দ করে। মানুষ আল্লাহ ছাড়া কারও গোলামি করবে না, করবে না কারও দাসত্ব; এক আল্লাহর প্রভুত্ব ছাড়া কারও প্রভুত্ব স্বীকার করবে না। সত্য ও সুন্দরকে গ্রহণ করবে, ন্যায় ও কল্যাণের পথে চলবে, সুশীল ও সুকুমারবৃত্তির চর্চা করবে, অসুন্দরকে বর্জন করবে, অসত্যকে অগ্রাহ্য করবে। মানুষের মৌলিক অধিকার এবং ইসলামের মূল দর্শনই হলো স্বাধীনতা। মানুষকে মানুষের গোলামির জিঞ্জির থেকে মুক্ত করে পূর্ণ মানবিক মর্যাদা দেওয়াই ইসলামের লক্ষ্য। রাসুলুল্লাহ (সা.) শুধু দাস মুক্ত করে

যে দশটি উপায়ে আমাদের পাপ সমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।

Image
  যে দশটি উপায়ে আমাদের পাপ সমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। (৩য় পর্ব) — ড. ইয়াসির ক্বাদী ছয় নাম্বারঃ ঈমানদারদের দুআর পর পরেই এর অবস্থান। ছয় নাম্বার উপায় হলো- পরপারে চলে যাওয়ার পর আপনাকে দেওয়া ঈমানদারদের উত্তম আমল। এটা দুআর চেয়ে ভিন্ন। কোনো পুণ্যের কাজ উপহার দেওয়া। যা অনেক বেশি দুর্লভ। কে আপনাকে হজ্জ এবং উমরা উপহার দিবে? আপনার মৃত্যুর পর কে আপনার নামে এক লাখ টাকা দান করবে? এমন ঘটনা একেবারেই বিরল। অল্প কিছু সংখ্যক মানুষ আপনার জন্য এটা করতে পারে যাদের জীবনে আপনার প্রভাব অপরিসীম। অথবা কোনো না কোনো ভাবে আপনি তাদের সীমাহীন উপকার করেছেন। তো, আপনি যদি কাউকে ভালো আমল দান করেন, যিনি ইতোমধ্যে মারা গেছেন। তিনি ইতোমধ্যে বারজাখের জগতে চলে গেছেন। আর আপনি তার কথা মনে করে তাকে কোনো ভালো আমল দান করলেন। তখন পরলোকে সে ব্যক্তির মর্যাদা বেড়ে যাবে এবং তার গুনাহগুলো মাফ করে দেওয়া হবে। এটা ঠিক ঐ ব্যাপারটার মতো— দুনিয়াতে থাকাবস্থায় কোনো ভালো কাজ করলে যেমন আপনার গুনাহ মাফ হয়ে যেতো, ঠিক তেমনি আপনি মারা যাওয়ার পরেও কেউ যদি আপনার পক্ষ থেকে কোনো ভালো কাজ করে এতেও আপনার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। কিন্তু আবারো বলছি, কে আপনাকে

সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের একটি রামাদান উদযাপন

Image
  সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের একটি রামাদান উদযাপন করতে চান? নিম্নে বুনিয়াদি কিছু উপদেশ তুলে ধরা হলো যা জীবনে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। ক. প্রতি নামাজ শেষে এক পৃষ্ঠা করে কুরআন তিলাওয়াত করুন। এতটা উচ্চস্বরে করুন যেন নিজে শুনতে পারেন। খ. প্রতিদিন সকালে দৈনন্দিন কাজ করার সময় ২০ মিনিট ধরে কোনো আলেমের কুরআনের ব্যাখ্যা শুনুন। গ. একটি নোটবুক সংগ্রহ করুন। এর নাম দিতে পারেন 'আমার কুরআন নোটবুক।' ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে ২-৩ আয়াত কুরআনের অনুবাদ পড়ুন। এবং প্রতিটি আয়াত থেকে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর তালাশ করুন: ১. যদি আমি এ আয়াতটিকে একটি দোয়ায় রূপান্তরিত করতে চাই, দোয়াটি কী হবে? ২. আমি জানি কুরআন আমার জন্য একটি উপদেশ। এই আয়াত থেকে আমি কি বিশেষভাবে নিজের জন্য কোনো উপদেশ পেতে পারি? ৩. এ আয়াতটি আমার মনে কি একটি বা তার চেয়ে বেশি কোনো প্রশ্নের উদ্রেক করেছে? সে প্রশ্নগুলো কি কি? ৪. যে আয়াত আমার অন্তরে বিশেষভাবে দাগ কাটে, অথবা যে আয়াত আমার অন্তরকে জীবনের কোনো সংকটময় মুহূর্তের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, আমাকে সেটা লিখে ফেলতে হবে। সে সময় কী ঘটেছিলো এবং এ আয়াতটি পড়ার পর আমার কাছে এখন কেমন লাগছে? ঈদ শেষ হও

কাফির মুশরিকদের সাথে বন্ধুত্ব

Image
  কাফির মুশরিকদের সাথে বন্ধুত্ব না করা ঈমানের অন্তর্ভুক্তঃ ইমাম বায়হাক্বী রহি’মাহুল্লাহ “শুআ’বুল ঈমান” নামক গ্রন্থে বলেনঃ “কাফির মুশরিকদের সাথে বন্ধুত্ব না করাটাও ঈমানের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ সুবহানাহু তাআ’লা বলেছেন, لَّا يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِن دُونِ الْمُؤْمِنِينَ ۖ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللَّهِ فِي شَيْءٍ إِلَّا أَن تَتَّقُوا مِنْهُمْ تُقَاةً মুমিনগণ যেন ঈমানদারদের পরিবর্তে কাফিরদেরকে নিজেদের বন্ধু ও পৃষ্ঠপোষক রূপে গ্রহণ না করে। যে এরূপ করবে তার সাথে আল্লাহর কোনও সম্পর্ক থাকবে না। অবশ্য তাদের নির্যাতন থেকে বাচার জন্য এরূপ করলে আল্লাহ্ মাফ করবেন। সূরা আলে ইমরানঃ ২৮। অন্য জায়গায় কাফিরদের সাথে সম্পর্ক রাখা তো দূরের কথা তাদের সাথে সংগ্রাম চালিয়ে যাবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ جَاهِدِ الْكُفَّارَ وَالْمُنَافِقِينَ وَاغْلُظْ عَلَيْهِمْ “হে নবী! কাফির এবং মুনাফিকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যান, আর তাদের সম্পর্কে কঠোর নীতি অবলম্বন করুন। সূরা আত তাওবাঃ ৭৩। আরও বলা হয়েছে, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قَاتِلُ

কুরআন শিক্ষা না করার পরিনতি

Image
  কুরআন শিক্ষা না করার পরিনতি সম্পর্কে কুরআন এবং হাদিসে যা বলা হয়েছেঃ ১। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অভিযোগ পেশ: কিয়ামতের ভয়াবহ অবস্থায় আল্লাহ তা‘আলার অনুমতিতে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মাতের জন্য শাফায়াত চাইবেন। কিন্তু যারা কুরআন শিক্ষা করেনি, কুরআনের যেসব হক রয়েছে তা আদায় করেনি, কিয়ামতের দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর দরবারে অভিযোগ পেশ করবেন। কুরআনে এসেছে : ﴿ وَقَالَ ٱلرَّسُولُ يَٰرَبِّ إِنَّ قَوۡمِي ٱتَّخَذُواْ هَٰذَا ٱلۡقُرۡءَانَ مَهۡجُورٗا ٣٠ ﴾ [الفرقان: ٣٠] অর্থ: ‘আর রাসূল বলবেন, হে আমার রব, নিশ্চয় আমার কওম এ কুরআনকে পরিত্যাজ্য গণ্য করেছে’ [সূরা আল-ফুরকান-৩০] ইবন কাসীর বলেন, কুরআন না পড়া, তা অনুসারে আমল না করা, তা থেকে হেদায়াত গ্রহণ না করা, এ সবই কুরআন পরিত্যাগ করার শামিল। ২। কিয়ামতের দিন অন্ধ হয়ে উঠা: যে কুরআন শিখা থেকে থেকে বিমুখ হয়ে থাকল, সে কতইনা দুর্ভাগা! আলকুরআনে এসেছে, ﴿ وَمَنۡ أَعۡرَضَ عَن ذِكۡرِي فَإِنَّ لَهُۥ مَعِيشَةٗ ضَنكٗا وَنَحۡشُرُهُۥ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ أَعۡمَىٰ ١٢٤ قَالَ رَبِّ لِمَ حَ

কালিমা নিয়ে তিনটি প্রশ্নের উত্তর

Image
  কালিমা নিয়ে তিনটি প্রশ্নের উত্তর: (১) বর্তমান সময়ের একজন বক্তা বলেছে, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এবং “মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” এই দুইটি কালেমা একসাথে লেখা যাবেনা। এটা কি সত্যি? উত্তরঃ এটা বাজে একটা কথা। নবীজি সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের খায়বার যুদ্ধের পতাকার মাঝে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” এই কালেমাটি লিখা ছিলো। ইমাম ইবনে হাজার আসকালানি রাহি’মাহুল্লাহ তাঁর লিখিত “ফাতহুল বারী” তে খায়বার যুদ্ধ অধ্যায়ে এই হাদীসটিকে সহীহ সনদের সাথে উল্লেখ করেছেন। বর্তমান সৌদি আরবের জাতীয় পতাকার মাঝেও “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” এইভাবেই লেখা আছে। সমস্ত মক্কা মদীনার বিশ্ব বিখ্যাত আলেমরা, কাবা, মসজিদে নববির সম্মানিত ইমাম খতিবেরা কেউ-ই এর বিরুদ্ধে কোন আপত্তি তুলেন নাই। এমনিতেই উম্মতের মাঝে ইখতিলাফের শেষ নাই, তার মাঝে এইরকম নিত্য-নতুন ইখতেলাফ জন্ম দেওয়া হচ্ছে। এইগুলো বাজে কথা। (২) “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” এই কালেমা কি যিকির হিসেবে ১০ বার, ৩৩ বার, ৯৯ বার…এইভাবে যিকির হিসেবে পড়া যাবে? উত্তরঃ “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” - এটি কালিমা (

মুসলমান ভাই কিংবা বোনকে সাহায্য করার পুরষ্কার

Image
  কোন মুসলমান ভাই কিংবা বোনকে সাহায্য করার পুরষ্কার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ চারটি হাদীস: (১) নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন মিটাবে, আল্লাহ তার প্রয়োজন মিটাবেন। একইভাবে যে ব্যক্তি কোন মুসলিম ব্যক্তির বিপদ দূর করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার বিপদ দূর করবেন।” সহীহ বুখারী, মুসলিম, সুনানে আবু দাউদঃ ৪৮৯৩। (২) আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আ’নহু হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দুনিয়াবী বিপদাপদের মধ্যে একটি বিপদ দূর করে দেয়, আল্লাহ তাআ’লা তার পরকালের বিপদাপদের কোন একটি বিপদ দূর করে দিবেন। যে ব্যক্তি দুনিয়াতে অন্য কারো অভাব দূর করে দেয়, তার দুনিয়া ও আখিরাতের অসুবিধাগুলোকে আল্লাহ তাআ’লা সহজ করে দেবেন। যে ব্যক্তি দুনিয়ায় কোন মুসলমানের দোষ-ক্রটিকে গোপন রাখে, আল্লাহ তাআ’লা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। যে পর্যন্ত বান্দাহ তার কোন ভাইয়ের সাহায্য-সহযোগিতায় নিয়োজিত থাকে, সে পর্যন্ত আল্লাহ তাআ’লাও তার সাহায্য-সহযোগিতায় নিয়োজিত থাকেন।” সহীহ মুসলিম, সুনানে তিরমিযীঃ ১৯৩০, ইবনু মা-জাহঃ ১২২৫

আত্মীয়দের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক

Image
  আত্মীয়দের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার ফযীলতঃ রিযিক পাওয়ার এবং তা বৃদ্ধি হওয়ার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে পিতা-মাতার সাথে সৎ ব্যবহার করা এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি চায় যে বা, যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, তার রিজিক আল্লাহ তাআ’লা প্রশস্ত করে দেন এবং তার আয়ু দীর্ঘ করা হোক; তাহলে সে যেন তার আত্মীয়দের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখে।” সহীহ বুখারীঃ ৫৯৮৫, সহীহ মুসলিমঃ ৪৬৩৯। হাদীসে উল্লেখিত “তার আয়ু দীর্ঘ করা হোক” এই কথার অর্থ কি? এই কথার প্রথম ব্যাখ্যা হচ্ছেঃ তার শারিরীক ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে, সে সবসময় সুস্থ থাকবে। দ্বিতীয় ব্যাখ্যা হচ্ছে, তার বয়সে বরকত হবে। তৃতীয় ব্যাখ্যা হচ্ছে, তার মৃত্যুর পরেও তার সুনাম বা তার সম্পর্কে ভালো কথা জারি থাকবে। আর চতুর্থ ব্যাখ্যা হচ্ছে, সে যদি আত্মীয়তার সম্পর্কে বজায় রাখে তাহলে তার আয়ু বৃদ্ধি করা হবে। আলেমগণ এই ব্যাখ্যাকে অধিক পছন্দ করেছেন। আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা বলতে কি বুঝায়? শায়খ আব্দুর রাক্বীব বুখারী হা’ফিজাহুল্লাহ বলেন, “আত্মীয় অনেক ধরণের হয়। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় আত্মীয় হচ্ছে ‘রেহেম’-এর

‘আক্বীদাহ’

Image
  আরবী ‘আক্বদ’ শব্দ থেকে ‘আক্বীদাহ’, যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে বন্ধন বা গিঁট, Knot. ইসলামী পরিভাষায় একজন মুসলিম ব্যক্তির ‘মৌলিক ধর্মীয় বিশাস’ (ইংরেজীতে Creed) এর এক একটি বিষয়, (যেমন আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বশেষ ‘রাসুল’ বা আল্লাহর প্রেরিত দূত, জিব্রাঈল আ’লাইহি সালাম আল্লাহর নাযিলকৃত ওয়াহী নিয়ে আসতেন, ‘তাক্বদীর’ বা মানুষের ভাগ্য আল্লাহ নিয়ন্ত্রন করেন এবং তিনি তা লিখেও রেখেছেন, ইত্যাদি) বিষয়গুলোকে আক্বীদাহ বলা হয়। কারণ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসগুলো গিঁটের মতোই মানুষের অন্তরের সাথে জোড়া লেগে থাকে, যা সহজে ভেঙ্গে যায়না বা নষ্ট হয়না। আল্লাহ সুবহা’নাহু তাআ’লা ক্বুরআনুল কারীমে যে জিনিসটাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন তা হচ্ছেঃ বান্দা শিরকমুক্ত থেকে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআ’লার ইবাদত করবে। সইজন্য আল্লাহ তাআ’লা ক্বুরআনুল কারীমের বিভিন্ন সুরাতে প্রায়ই আল্লাহ সম্পর্কে সঠিক বিশ্বাস কেমন হওয়া উচিৎ এবং কাফের মুশরেকদের ভ্রান্ত বিশ্বাসের প্রত্যাখ্যান করে আয়াত নাযিল করেছেন। আর একজন মুসলিমের এই বিশ্বাসগুলোকে সমস্ত ইসলামী পন্ডিতগণ ‘আকিদাহ’ নামে উল্লেখ করেছেন এবং এনিয়ে বই