Posts

Showing posts from April, 2021

অাল্লাহ যাদেরকে ভালোবাসেন

Image
  অাল্লাহ যাদেরকে ভালোবাসেন Mohammad Solyman Kaseme আল্লাহ্ যাদের কে ভালবাসেন  যারা ইহসানকারী, আর তোমরা ইহসান করো; নিশ্চই আল্লাহ্ ইহসান কারীদের কে ভালবাসেন।  বাক্বারা-১৯৫। যারা তওবাকারী,  নিশ্চই আল্লাহ্ তওবাকারীদের কে ভালবাসেন।বাক্বারা-২২২। যারা ধৈর্যশীল,  আর আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের কে ভালবাসেন।  আলে ইমরান-১৪৬। যারা আল্লাহর উপর ভরসাকারী। আল্লাহর প্রতি ভরসা করো;নিশ্চই আল্লাহ্ তার উপর ভরসাকারীদের কে ভালবাসেন।   আলে ইমরান-১৫৯।  যারা ন্যায়বিচারক, তুমি তাদের মধ্যে ন্যায় বিচার করো;নিশ্চই আল্লাহ্ ন্যায়বিচারকদের কে ভালবাসেন।  মায়েদা-৪২।  যারা মুত্তাকী,  নিশ্চই আল্লাহ্ মুত্তাকী দের কে পছন্দ করেন। তাওবা-৪। যারা পবিত্রতা অবলম্বনকারী, আর তিনি পবিত্রতা অবলম্বনকারী দের কে ভালবাসেন। -বাক্বারা-২২২। যারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে, নিশ্চই আল্লাহ্ তাদের কে ভালবাসেন, যারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে সারিবদ্ধভাবে শীশাঢালা প্রাচীর এর মতো।  সাফ-৪।  ব্যাখ্যা- নফল ইবাদাত দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়।আবু হুরাইরা (রা) হতে বর্ণীত,,তিনি বলেন,রাসূল (সা) বলেছেন,,আল্লাহ্ বলেন যে ব্যাক্তি আমার কোন অলির সাথে শত্রুতা পোষন করবে,আম

হালাল জীবিকা অর্জন অতীব গুরুত্ব পূর্ণ ফরয।

Image
  হালাল জীবিকা অর্জন অতীব গুরুত্ব পূর্ণ ফরয। Mushahid Ali12  সূচনাঃ হালাল জীবিকা অর্জন করা একজন মুমিনের জন্য ফরজ।আর আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন ইবাদতের জন্য।ইবাদত করতে হলে সুস্থ শরিরের প্রয়োজন।সুস্থ শরিরের জন্য সুষম খদ্যের দরকার।খাদ্যার্জন পূরণ করার জন্য সম্পদের প্রয়োজন।এসম্পদ অর্জনের উপায় বৈধ ভাবে হওয়া চাই।তাই বলা হয়েছে-  طلب كسب الحلال فريضة بعد الفريضة   অর্থাৎ ফরয ইবাদাত আদায়ের পর হালাল রুজি রোজগার হচ্ছে ফরয। বৈধ আয় রোজগারঃআয় রোজগার বৈধ ভাবে করার জন্য ইসলাম জোর তাকিদ প্রদান করেছে।আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এক হাদীছ হযরত নো ’ মান ইবনে বশীর থেকে বর্ণিত-তিনি বলেন,দয়াল নবী এরশাদ করেন-  الحلال بين والحرام بين و بينهما مشتبهات لا يعلمهن كثير من الناس فمن اتقي الشبهات استبرا لدينه و عرضه ومن وقع في الشبهات وقع في الحرام كا الراعي يرعي حول الحمي يوشك ان يرتع فيه الا وان لملك حمي الا وان حمي الله محارمه الا وان في الجسد مضغة اذا صلح صلحت الجسد كله واذا فسدت فسد الجسد الجسد كله الا و هي القب (متفق عليه )অর্থাত-হালাল সুস্পষ্ট এবং হারাম সুস্পষ্ট,আর এদের মাঝে আছে সন্দেহপূর্

কালো জিরার উপকারিতা

Image
  কালো জিরার উপকারিতা কালো জিরার উপকারিতা   বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন, “তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করবে, কেননা এতে একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত সর্ব রোগের মুক্তি রয়েছে”। তিরমিযি, বুখারি, মুসলিম থেকে নেয়া- হযরত কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, “প্রতিদিন ২১ টি কালোজিরা ১ টি পুটলি তৈরি করে পানিতে ভিজাবে এবং পুটলির পানির ফোঁটা এ নিয়মে নাশারন্ধ্রে (নাশিকা, নাক) ব্যবহার করবে- “প্রথমবার ডান নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা। দ্বিতীয়বার বাম নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা এবং ডান নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা। তৃতীয় বার ডান নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা ও বাম নাকের ছিদ্রে এক ফোঁটা”। হযরত আনাস (রাঃ)বর্ণনা করেছেন, “নবী করিম (সঃ) বলেছেন, “যখন রোগ- যন্ত্রণা খুব বেশি কষ্টদায়ক হয় তখন এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা নিয়ে খাবে তারপর পানি ও মধু সেবন করবে”। -মুজামুল আওসাতঃ তাঁবরানি। গুণাগুণ জেনে নিতে দোষ কী? আমাদের জন্য কি কি ঔষধী গুণ আছে এই কালোজিরাতে। নবীর উপরে আর কোনো কথা থাকে না। তারপরও এর ব্যবহার বা উপকারিতা গুলো জেনে নিলে খুব ভালো হয়। আর ভাল কালোজিরা বাছাই করে ব্যবহার করুন। কালোজিরার গুণাগুণ: ১৫-১৬ টি কালোজিরা ছোট ১ টি পিয়াজ ও ২ চামচ মধু সহ বিকালে ব

আক্বিদা বিশুদ্ধকরণ

Image
  আক্বিদা বিশুদ্ধকরণ । Mushahid Ali12 সূচনাঃ আল আক্বিদাতু শব্দটি একবচন, বহুবচনে عقاءد  ।শাব্দিক অর্থ - আন্তরিক মজবুত বিশ্বাস। আক্বদুন শব্দ থেকে এর অর্থ-অংগীকার, চুক্তি,বন্দন ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থ -العقيدة ــ الحكم الذي لا يقبل الشك فيه لدي معتقيده আক্বিদা হচ্ছে ঐ  বিশ্বাস যে ,বিশ্বাসীর কাছে কোন সন্দেহ গ্রহন যোগ্য নয়।ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় আক্বিদা হলো -আমল নয়, ঐ বিশ্বাস যা সন্দেহ ক্ববুল করে না।যেমন- وجود الله و بعثة الرسل (عليهم السالام) আল্লাহর অস্থিত্ব।রাসূল গন কে প্রেরণ ।(মু'জামুল ওয়সীত) আক্বিদার গুরুত্বঃ ইসলামী শরীয়তে আক্বিদা এমন একটি বিষয়, যা পরিশুদ্ধ নাহলে শরীয়তের কোন কাজ কর্ম আল্লাহর কাছে গ্রহন যোগ্য নয়।সে ও ইসলামের অন্তর্ভুক্ত নয়।যেমন আল্লাহ পাক এরশাদ করেন-عاملة ناصبة আমল করে ক্লান্ত ক্লিষ্ট ব্যক্তি। تصلي نارا حامية  প্রজ্জ্বলিত অগ্নি কূন্ডে প্রবেশ করবে।(সূরা গাশিয়া)এখানে আক্বিদাহীন আমলের কথা বলা হয়েছে।নবীজি আবু হোরায়রা বর্নিত এক হাদীছে ঘোষণা করেন-আমি মুহাম্মদের প্রান যে সত্ত্বার হাতে,তার শপথ।এ উম্মতের কেউ ইয়াহুদী কিংবা নাসারা যে ই হোক আমার ব্যাপারে শুনার পর ও আমি যা নিয়ে

কেমন হবে খতীবগনের খুতবা ?

Image
  কেমন হবে খতীবগনের খুতবা ? Mushahid Ali12 خطبة  শব্দটি আরবী এর অর্থ- ভাষণ , বক্তব্য , ইত্যাদি ।  যেমন পবিত্র কালামে পাকে আছে - فما خطبكم ايها المرسلون ؟ - তোমাদের বক্তব্য কি ওহে রাসূল গণ  ?  বুঝা গেল খুত্ববা শব্দটি আভিধানিক ভাবে বক্তব্য , ভাষণ অর্থে ব্যবহৃত হয় । ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় খুতবা বলতে মসজিদে শুক্রবার দিনে মুসলমানদের মধ্যে আরবীতে যে সপ্তাহিক ভাষণ বা দিক নির্দেশনা দেয়া হয় তাকে বুঝায় । যিনি এ খুতবা প্রদান করেন তাকে খতীব বলা হয় । আল্লাহ একজন নবীর ব্যাপারে কালামে পাকে বলেন -  واتيناه الحكمة و فصل الخطاب  আমি তাকে হিকমত এবং বক্তব্যের শুদ্ধাশুদ্ধ পৃথক করার ক্ষমতা দান করেছিলাম  । এর দ্বারা খুত্ববার গুরুত্ব বুঝা যায় । এটা আল্লাহর পক্ষথেকে একটা দান বা অনুগ্রহ বলা যায় । এখানে আমি যে বিষয়টি আলোচনা করতে চাই  ; তাহল এত গুরুত্ব পূর্ণ ইসলামের একটি দায়িত্ব কে আমরা অবলিলায় ভুলতে বসেছি । সিংহ ভাগ মসজিদেই দেখা যায় একটা কিতাব আরবীতে লিখা হাতে নিয়া খতীব সাহেব পাঠ করতেছেন  । তিনি যেহেতু আরেকজনের লিখা বই থেকে রিডিং পড়তেছেন  ; ভাবেই বুঝা যায় , তিনি কি পড়ছেন নিজে ই বুঝতেছেন না । মুসল্লিরা বুঝবে কি

নামাজের বৈজ্ঞানিক তাতপর্য

Image
  নামাজের বৈজ্ঞানিক তাতপর্য  Mushahid Ali12 নামায ইসলামের পঞ্চ স্থম্ভের দ্বিতীয় স্থম্ভ।ঈমানের পড়ে নামাজ থেকে বেশী গুরুত্ব আর কোন ইবাদতে দেয়া হয় নি।এর কারন হল - নামায শুধু শীর্ষ স্থানীয় ইবাদত ই নয়,ইহা মানব দেহের সুস্থতার জন্য ও অতীব গুরুত্বপূর্ণ।আমরা শুধু আজ এ দৃষ্ট কোণ থেকে নামাজের বৈজ্ঞানীক কিছু বিশ্লেষণ করার প্রয়াস পাব। মহা প্রভূর মহাজ্ঞান উতসারিত জলদগম্ভীর নির্দেশ হল- " তোমরা নামাজ ক্বায়িম কর।" নামাজ অবশ্যম্ভাবী রুকন এ জন্য যে উহা ক্বায়েম কর্তাদের দৈহিক,মানসিক ও আধ্যাত্মিক প্র‍্যোজনীয়তা ই সর্বাধিক।অন্যান্য উপকারীতা তো আছে ই। নামায শুদ্ধ হওয়ার পূর্বশর্ত হল ওযু।এর মধ্যে রয়েছে ফরয,সুন্নাত মোস্তাহাব।এগুলো প্রত্যেকটি বিজ্ঞান সম্মত।অর্থাৎ এটা শারিরিক ও মানসিক রোগের প্রতিষেধক।সাস্থ বিজ্ঞানের একটি থিউরী হল-  Five F' s are the main cusese of contagious deseases.        অর্থাত- পাঁচটি  এফ এ হল সংক্রামক রোগের মূল কারণ।আর পাঁচটি  এফ হল- Food. খাদ্য     Fly মাছি           Face.   মূখ     Fingers.  অংগুলী                 Fearr. ভয়। মূখ  :  উল্লেখিত পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে মূখমন্ডল  ও আং

আপনি সৎকর্মশীল হোন

Image
  অাপনি সৎকর্মশীল হোন  আপনি যদি আপনার সন্তানদের সুন্দর ও সুখী জীবন চান, তা হলে আপনি নিজে সৎকর্মশীল হোন। আপনার অবর্তমানে সময়ে-অসময়ে আল্লাহই তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। পবিত্র কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াতাংশ তা-ই প্রমাণ করে: وكان أبوهما صالحا অর্থাৎ ‘তাদের পিতা ছিল সৎকর্মপরায়ণ।’ সূরা কাহ্ফ:৮৩। . মুহাম্মদ ইবনু মুনকাদির রহ. বলেন, আল্লাহ তা‘আলা বান্দার সৎকর্মপরায়ণতার কারণে তার পরবর্তী সন্তান-সন্ততি, বংশধর ও প্রতিবেশীদের হেফাজত করেন। -মাযহারী, সংক্ষিপ্ত তাফসিরে মাআরেফুল কুরআন, পৃষ্ঠা: ৮১৬। অাল্লাহর সঙ্গে বান্দার অবস্হান  আল্লাহর সঙ্গে বান্দার দুইটি অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ: এক. নামাযে, বান্দা যখন আল্লাহর সামনে দাঁড়ায়। দুই. কিয়ামতে, যখন প্রত্যেককে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে। প্রথম অবস্থানের যারা হক আদায় করে, তাদের জন্য দ্বিতীয় অবস্থান সহজ হবে। আর যারা প্রথম অবস্থানের যথাযথ হক আদায় করে না, অবহেলা করে, তাদের জন্য দ্বিতীয় অবস্থান কঠিন হবে। -ইবনুল কায়্যিম রহ. আল-ফাওয়ায়েদ। কুরঅান তেলাওয়াত সর্বোত্তম নফল ইবাদত  হাফেজ ইবনু রজব রহ. বলেন,  যেসব নফল ইবাদতের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ তা‘আলার নৈকট্য লাভ করে তার মধ্যে

মক্কায় অবরুদ্ধ তিন বছর

Image
  মক্কায় অবরুদ্ধ তিন বছর হাবশায় হিজরতকারী মুসলিমদের ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থতা এবং ওমর ও হামজা (রা.)-এর ইসলাম গ্রহণের ঘটনায় মক্কার মুশরিকরা বড় ধাক্কা খায়। ফলে তারা ইসলামের অভ্যুত্থান ঠেকাতে মরিয়া হয়ে ওঠে। তারই অংশ হিসেবে মহানবী (সা.)-কে হত্যা করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আল্লাহ মুশরিকদের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করে বলেন, ‘তারা কি কোনো ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে? বরং আমিই তো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকারী।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৭৯) অন্যদিকে মহানবী (সা.)-কে রক্ষা করতে চাচা আবু তালিব বনু হাশিম ও বনু আবদুল মুত্তালিবের সহযোগিতা কামনা করেন। তারা আবু তালিবের ডাকে সাড়া দেয়। ফলে মক্কায় রক্তক্ষয়ী সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এই সংঘাত থেকে বাঁচতে মুশরিকরা বনু হাশিমের কাছে দাবি জানায়, তারা যেন মুহাম্মদ (সা.)-কে স্বেচ্ছায় তাদের হাতে তুলে দেয়। বনু হাশিম তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করলে মুশরিকরা সর্বাত্মক বয়কটের আহ্বান জানায়। (আর-রাহিকুল মাখতুম, পৃষ্ঠা ১২৭) ঐতিহাসিদের মতে, নবুয়তের অষ্টম বছর মহররম মাসে বয়কট শুরু হয়। তবে সপ্তম বছর বলেও মত রয়েছে। ইমাম জুহরি (রহ.) লেখেন, ‘মুশরিকরা তাদের স্বভাবমতো মুসলি

জাকাতের হিসাবপদ্ধতি

Image
  জাকাতের হিসাবপদ্ধতি রমজান মাসে জাকাত প্রদান করা উত্তম। এই মাসের যেকোনো একটি দিনকে বছরের সমাপনী দিন ধরে জাকাতযোগ্য খাতের সব সম্পদের হিসাব করে জাকাত নির্ধারণ করতে হবে। জাকাত ফরজ হওয়ার জন্য অন্তত নিসাব পরিমাণ সম্পদ পূর্ণ এক চান্দ্র বছর (৩৫৪ দিন) থাকতে হবে। সম্পূর্ণ সম্পদের বছর অতিক্রান্ত হওয়া শর্ত নয়। সম্পদের নিসাব হলো সোনা সাড়ে সাত ভরি, রুপা সাড়ে বায়ান্ন ভরি অথবা এর কোনো একটির সমমূল্যের নগদ টাকা বা ব্যবসার পণ্য। বিনিময়যোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা, ট্রাভেলার্স চেক, ব্যাংক চেক, ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার, পোস্টাল অর্ডার, মানি অর্ডার, শেয়ার সার্টিফিকেট, কোম্পানি শেয়ার, ডিও লেটার, সঞ্চয়পত্র, সিকিউরিটি মানি, জামানত, প্রাইজবন্ড, ট্রেজারি বন্ড ইত্যাদি; বিমার মতোই ব্যাংকে বা অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রাখা আমানত, চলতি হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, মেয়াদি সঞ্চয়, কিস্তিতে জমা, এফডিআর, ফিক্সড ডিপোজিট, পোস্টাল সঞ্চয়ী, বিশেষ সঞ্চয়, পেনশন স্কিম ও অফিশিয়াল প্রভিডেন্ট ফান্ড, স্বেচ্ছা প্রভিডেন্ট ফান্ড, ডিভিডেন্ড (জাকাত হিসাব তারিখে এসব নগদায়ন করলে যা পাওয়া যাবে); ফেরত পাওয়ার যোগ্য প্রদত্ত ঋণ, ব্যবসার পণ্য ও মূল্যবান শো

সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ ও বিধান

Image
  সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ ও বিধান রোজা ও ঈদের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো সদকাতুল ফিতর। হতদরিদ্র মানুষও যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারেন, তার জন্য আল্লাহ ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যা ঈদের নামাজের আগে প্রদান করতে হয়। একে জাকাতুল ফিতরও বলা হয়। ঈদের দিন সকালবেলা যিনি নিসাব পরিমাণ সম্পদের (সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা সমমূল্যের নগদ অর্থ ও ব্যবসাপণ্য) মালিক থাকবেন, তাঁর নিজের ও পরিবারের সবার পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা তাঁর প্রতি ওয়াজিব। একে অন্যের ফিতরা আদায় করতে পারেন। নিসাব রুপার হিসাবে বর্তমান বাজারমূল্যে সর্বনিম্ন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা প্রায়। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন, ‘নবী (সা.)-এর জমানায় আমরা সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম “এক সা” (তিন কেজি তিন শ গ্রাম প্রায়) খাদ্যবস্তু।’ তিনি বলেন, ‘তখন আমাদের খাদ্য ছিল যব, কিশমিশ, পনির ও খেজুর।’ (বুখারি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২০৪)। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম এক সা খাদ্যবস্তু, যেমন এক সা যব, এক সা খেজুর, এক সা পনির, এক সা কিশমিশ।’ (বুখারি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২০৫)। যেহেতু ফিতরা একটি ইবাদত

পরিবারের নারীদের সঙ্গে হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর ব্যবহার

Image
  পরিবারের নারীদের সঙ্গে হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর ব্যবহার তাসনীম আলম মানবজাতির জন্য রহমতস্বরূপ মুহাম্মদ (সা.)–এর জীবনাচরণ অনুসরণ করা সুন্নত। তাই তাঁর প্রতিটি আচরণই গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামে নারীর মর্যাদা সুউচ্চ, তবু এ ভুল ধারণাই বদ্ধমূল যে ইসলামে নারীরা সব দিক থেকে বঞ্চিত বা অসম্মানিত। নারীর প্রকৃত সম্মান বোঝার জন্য রাসুল (সা.) নারীদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করেছেন, সেটা জানা খুবই জরুরি। মা, স্ত্রী বা কন্যা যেকোনো রূপেই নারী সম্মানিত। রাসুল (সা.) মা আমিনাকে হারিয়েছেন শৈশবে। দুধমা হালিমাকে তিনি আজীবন মায়ের মতোই সম্মান করেছেন। নিজের চাদর খুলে তাঁকে বসতে দিতেন। সাধ্যমতো সাহায্য করেছেন এবং উপঢৌকন পাঠিয়েছেন সন্তানের মতোই। রাসুল (সা.)–এর জীবনের আরেক শ্রদ্ধেয় নারী উম্মু আইমান (রা.)। ক্রীতদাস ছিলেন এই সাহাবি। রাসুল (সা.) তাঁকে উম্মু বা মা বলে ডাকতেন এবং মায়ের মতোই ভালোবাসতেন। রাসুলের জন্মের পর তিনিই প্রথম তাঁকে কোলে নেন। রাসুল (সা.) তাঁকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন কিন্তু তিনি তাঁকে ছেড়ে যাননি। রাসুল (সা.) ও খাদিজা (রা.) তাঁকে বিয়ে দেন মধ্যবয়সেই। প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর রাসুল (সা.) সাহাবিদের বলেছিলেন, তোমাদের

অসুস্থ, অক্ষম ও মুসাফিরের রোজার বিধান

Image
  অসুস্থ, অক্ষম ও মুসাফিরের রোজার বিধান বিভিন্ন কারণে মানুষ এমন অসুস্থ হতে পারে, যাতে তার পক্ষে রোজা রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। আবার কেউ সফরে বা ভ্রমণরত থাকতে পারে। কেউ আছে যে রোজা পালনে সক্ষমই নয়। এসব ব্যক্তির জন্য ইসলামি শরিয়তে বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। মাজুর বা অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ ছাড় রয়েছে। এ প্রসঙ্গে কোরআন কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সিয়াম বা রোজা নির্দিষ্ট কয়েক দিন (রমজান মাস মাত্র)। তবে তোমাদের যারা পীড়িত থাকবে বা ভ্রমণে থাকবে, তারা অন্য সময়ে এর সমপরিমাণ সংখ্যায় পূর্ণ করবে। আর যাদের রোজা পালনের সক্ষমতা নেই, তারা এর পরিবর্তে ফিদিয়া দেবে (প্রতি রোজার জন্য) একজন মিসকিনকে (এক দিনের নিজের) খাবার দেবে। তবে যে ব্যক্তি অধিক দান করবে, তবে তা তার জন্য অতি উত্তম। আর যদি তোমরা পুনরায় রোজা পালন করো, তবে তা তোমাদের জন্য অধিক উত্তম।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৪)। যদি কোনো ব্যক্তি সফরে বা ভ্রমণে থাকা অবস্থায়ও রোজা পালন করে, তবে সেটা উত্তম। তবে বেশি কষ্ট হলে বা ইচ্ছা করলে তিনি রোজা ছাড়তে পারবেন; এই রোজা পরে সুবিধামতো নিকটতম সময়ে কাজা আদায় করে নিতে হবে। প্রিয় রাসুল (সা.) কোনো এক রমজানে রোজা অবস্থায় মক