Posts

Showing posts from February, 2022

অতীত নিয়ে অনুশোচনা

Image
  অতীত নিয়ে তুমি যতই অনুশোচনা করো না কেনো, আর ভবিষ্যত নিয়ে তুমি যতই দুঃশ্চিন্তা করো না কেনো, তুমি তার কোনটাই পরিবর্তন করতে পারবে না। সুতরাং, সহজ-সাবলীলভাবে ও ধীর-স্থিরতার সাথে তুমি সামনের দিকে অগ্রসর হও, কারণ প্রত্যেকটা কাজের ফলাফল নির্ধারণ করেন আল্লাহ সুবহানাহু তাআ’লা। যা অন্য কোথাও যাবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, সেটা কোনদিন তোমার কাছে আসবে না। আর যা তোমার ভাগ্যে লিখা রয়েছে, সেটা থেকে তুমি কোনভাবেই পলায়ন করতে পারবে না। মনে রেখো, আল্লাহ যা করেন তা অবশ্যই অবশ্যই ভালোর জন্যই করেন। তবে সবসময় আমাদের সেটা ভালো নাও লাগতে পারে। কিন্তু, যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তিনি অত্যন্ত কৌশলী ও বিজ্ঞ, আমাদের সেই মহান রব্বের কোন ইচ্ছা বা সিদ্ধান্তের ব্যপারে আপত্তি করা আসলে নিজের উপরেই জুলুম করা। সুতরাং, আল্লাহর সিদ্ধান্ত মেনে নাও, ধৈর্য্য ধারণ করো এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য চাও, দেখবে একসময় যেটা তিক্ত মনে হয়েছিলো, সেটা মধুর মত মিষ্টি মনে হবে। ইনশাআল্লাহ। ********************************** ❖ কোন শ্রেণীর মানুষের উপর জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যায় বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ যার

মহান আল্লাহ কিছু বিশেষ বান্দাকে ভালোবাসেন

Image
  ❖ কোন তিনটি বিশেষ গুণের কথা হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, যে তিনটি গুণের অধিকারসম্পন্ন বান্দাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা ভালোবাসেন? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ ১। মুত্তাক্বী, অমুখাপেক্ষী এবং প্রচারবিমুখ। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা হচ্ছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,"নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাক্বী, অমুখাপেক্ষী এবং প্রচারবিমুখ বান্দাকে ভালোবাসেন।" (সহীহ মুসলিমঃ ২৯৬৫) এছাড়া পবিত্র কুরআনের বহু আয়াতে মহান আল্লাহ কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন মানুষের কথা উল্লেখ করে জানিয়েছেন, তাদের তিনি ভালোবাসেন। যেমনঃ ১. তওবাকারীঃ আল্লাহ সে সকল লোকদের ভালোবাসেন যারা বারবার আল্লাহর কাছে তওবা করে। কুরআনের সূরা বাকারার ২২২ নং আয়াতে বলা হয়েছে, “নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে ভালোবাসেন।” ২. পবিত্রতা রক্ষাকারীঃ যারা নিজেদেরকে বিভিন্ন অপবিত্রতার হাত থেকে রক্ষা করে চলে, আল্লাহ তাদেরকেও ভালোবাসেন। কুরআনে বলা হয়েছে, “নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে ভালোবাসেন।” (সূরা বাকারা, আয়াত: ২২২) “তুমি কখনো সেখানে দাড়াবে না, তবে যে

জুম’আর দিন

Image
  ▣ জুম’আর দিন মসজিদের দরজায় ফেরেশতা এসে হাজির হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে তারা সর্বাগ্রে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকে। প্রথম ভাগে যারা মসজিদে ঢুকেন তাদের জন্য উট, দ্বিতীয়বারে যারা আসেন তাদের জন্য গরু, তৃতীয়বারে যারা আসেন তাদের জন্য ছাগল, চতুর্থবারে যারা আসেন তাদের জন্য মুরগী, ও সর্বশেষ পঞ্চমবারে যারা আগমন করেন তাদের জন্য ডিম কুরবানী বা দান করার সমান সওয়াব লিখে থাকেন। আর যখন ইমাম খুৎবা দেওয়ার জন্য মিম্বরে উঠে পড়েন ফেরেশতারা তাদের এ খাতা বন্ধ করে খুৎবা শুনতে বসে যান। [বুখারী ৯২৯, ইফা ৮৮২, আধুনিক ৮৭৬] ▣ খোৎবার সময় ইমামের সন্নিকটে থাকার ফযীলত সম্পর্কিত একটি হাদিসঃ- "হযরতে সায়্যিদুনা সামু রাদ্বীয়াল্লাহ তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ– তোমরা খোৎবা পাঠের সময় উপস্থিত থাক এবং ইমামের সন্নিকটে থেকেই তা শ্রবণ কর। কেননা খোৎবা পাঠেরসময় যে ইমাম থেকে যতটুকু পরিমাণদূরত্বে থাকবে, সে জান্নাতেও ততটুকু পরিমাণ পিছনে থাকবে। [আবু দাউদ/ খন্ড ১/পৃ ৪১0/হাদিস ১১০৮] ▣ জামাতে প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর ফযিলত সম্পর্কিত একটি হাদিসঃ- রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেন, মানুষ যদি

পোশাকের কারণে পুরুষেরা জাহান্নামে যাবে

Image
  পোশাকের কারণে পুরুষেরা জাহান্নামে যাবেঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তিন প্রকার লোক এমন রয়েছে, যাদের সাথে আল্লাহ কথা বলবেন না, আর না কেয়ামতের দিন তাদের দিকে তাকাবেন, আর না তাদের পবিত্র করবেন বরং তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।” আমি (আবু হুরাইরা) বললাম, আল্লাহর রাসূল! তারা কারা? ওরা তো ক্ষতিগ্রস্ত! তিনি (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “তারা হচ্ছেঃ (১) টাখনুর নিচে কাপড় পরিধানকারী (পুরুষ) (২) ব্যবসার সামগ্রী মিথ্যা কসম দিয়ে বিক্রয়কারী এবং (৩) কাউকে কিছু দান করার পর তার খোটাদাতা।” (সহীহ মুসলিমঃ ২৯৪) জাহান্নামের কঠিন শাস্তির সামান্য বর্ণনাঃ আল্লাহ তায়া'লা বলেন, “নিশ্চয়ই সীমালংঘনকারী অবাধ্য লোকদের জন্যে জাহান্নাম শত্রুর মতো ওত পেতে বসে আছে, তাদেরকে গ্রাস করার জন্য। তারা সেখানে শতকের পর শতক ধরে থাকবে। কিন্তু সেখানে তারা তৃপ্তিদায়ক কোন খাবার বা পানি খেতে পারবেনা। তাদেরকে শুধুমাত্র ফুটন্ত গরম পানি ও দুর্গন্ধযুক্ত পচা পূজ খাওয়ানো হবে। এটাই হচ্ছে তাদের উপযুক্ত প্রতিদান, কারণ তারা হিসাব-নিকাশের কোন পরোয়া করতোনা। আর আমার আয়াত (বা নিদর্শন) সমূহকে ম

পবিত্রতা, ওযু, গোসল এবং তায়াম্মুম

Image
  পবিত্রতা, ওযু, গোসল এবং তায়াম্মুমঃ (১) ওযুর অংগগুলো একবার, দুই বার বা তিনবার ধৌত করতে হবে। একবার ধৌত করা ফরয, সর্বোচ্চ তিনবার করা উত্তম। তবে মাথা মাসাহ বা পায়ে মোজা থাকলে পা মাসাহ একবারই করতে হবে। ওযুর অংগ তিনবারের বেশি ধৌত করা বাড়াবাড়ি, হাদীসে এই কাজের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত ৩৯৫-৩৯৭। (২) পানি অপচয় করা যাবেনা। টেপ ছেড়ে ওযু করা পানি অপচয়ের মধ্যে পড়বে। উচিত হচ্ছে মগে বা কোনো পাত্রে পানি নিয়ে ওযু করা। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম ওযু করতেন এক মুদ বা ৬২৫ গ্রাম পানি দিয়ে (প্রায় পৌনে এক লিটার)। বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত ৪৩৯। (৩) ওযু শেষে ভেজা অংগগুলো তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলা জায়েজ। ইবনে মাজাহঃ ৪৬৫। (৪) এক ওযু দিয়ে দুই ওয়াক্তের সালাত পড়া জায়েজ, তবে নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম সবসময় নতুন করে ওযু করে নিতেন। মক্কা বিজয়ের দিন তিনি একবার এক ওযু দিয়ে দুই ওয়াক্তের সালাত পড়েছিলেন। (৫) কাপড়ের মোজার উপরে মাসাহ করা জায়েজ। তিরমিযীতে এর পক্ষে সহীহ হাদীস রয়েছে। যারা বলে শুধু চামড়ার মোজার উপরে মাসাহ করা যাবে, কাপড়ের মোজ়ার

কে সফলকাম ?

Image
  ❖ পবিত্র কুরআনে ১১ টা জিনিষের শপথ করে আল্লাহ বলেছেন, "অবশ্যই সে সফলকাম হয়ে গেল"। তিনি কার ব্যাপারে এই সফলতার কথা বলেছেন? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ যে নিজেকে পাপ থেকে পরিশুদ্ধ করেছে, যে নিজের নফস ও প্রবৃত্তিকে দুষ্কৃতি থেকে পবিত্র করে, যে সকল প্রকার অশ্লীলতা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখে এবং যে নফসের চাহিদা থেকে নিজেকে বিরত রাখে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা হচ্ছে, আল্লাহ্ তা‘আলা মানুষের মধ্যে গোনাহ ও ইবাদতের যোগ্যতা গচ্ছিত রেখেছেন, কিন্তু তাকে কোন একটি করতে বাধ্য করেননি; বরং তাকে উভয়ের মধ্য থেকে যে কোন একটি করার ক্ষমতা দান করেছেন । হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দো‘আ করতেন اللّٰهُمَّ آتِ نَفْسِيْ تَقْوَ اهَا وَزَ كِّهَا أَنْتَ خَيْرُ مَنْ زَكَّاهَا أَنْتَ وَلِيُّهَا وَمَوْ لَاهَا অর্থাৎ “হে আল্লাহ্ আমাকে তাকওয়ার তওফীক দান করুন এবং নাফসকে পবিত্র করুন, আপনিই তো উত্তম পবিত্রকারী। আর আপনিই আমার নাফসের মুরুব্বী ও পৃষ্ঠপোষক।” [মুসলিম: ২৭২২] তাকওয়া যেভাবে ইল্হাম হয়, তেমনিভাবে আল্লাহ্ তা‘আলা কোন কোন মানুষের পাপের কারণে তাদের অন্তরে পাপেরও ইল্হাম করেন। [উসাই

পাপ বর্জনের শিষ্টাচার সমূহ

Image
  পাপ বর্জনের শিষ্টাচার সমূহ: ১. পাপকে বড় মনে করা ও তাকে ছোট বা তুচ্ছ জ্ঞান না করা : গোনাহ যে পর্যায়েরই হোক না কেন তাকে ছোট মনে না করা। বরং তাকে পরকালে শাস্তির কারণ মনে করে তা থেকে বিরত থাকা যরূরী। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুমিন ব্যক্তি তার গুনাহগুলোকে এত বিরাট মনে করে, যেন সে একটা পর্বতের নীচে উপবিষ্ট আছে, আর সে আশঙ্কা করছে যে, হয়তো পর্বতটা তার উপর ধ্বসে পড়বে। আর পাপিষ্ঠ ব্যক্তি তার গুনাহগুলোকে মাছির মত মনে করে, যা তার নাকের উপর দিয়ে চলে যায়’। [বুখারী হা/৬৩০৮] অন্যত্র তিনি আরো বলেন, ‘তোমরা ছোট ছোট গোনাহ থেকে বেঁচে থাক। তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে ঐ সম্প্রদায়ের মত যারা কোন উপত্যকায় অবতরণ করেছে। অতঃপর প্রত্যেকে একটি করে কাঠ নিয়ে এসেছে। এমনকি তা স্তূপাকার ধারণ করেছে। যার দ্বারা তারা রুটি পাকাতে পারে। আর নিশ্চয়ই ছোট ছোট গোনাহ যখন পাপীকে পাকড়াও করবে তখন তাকে ধ্বংস করে ছাড়বে’। [ছহীহাহ হা/৩৮৯, ৩১০২।] অন্যত্র রাসূল (ছাঃ) আয়েশা (রাঃ)-কে বলেন, ‘হে আয়েশা! তুমি ছোট ছোট গোনাহগুলো থেকে নিজেকে রক্ষা কর। কেননা সেটা লেখার জন্যও আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত আছেন’। [আহমাদ হা/২৪৪৬০] ২. পাপীদের সাথে অবস্থান

ভাষাবৈচিত্র্য আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন

Image
  বিশ্বচরাচরের সবই মহান আল্লাহ তাআলার কুদরতের বহিঃপ্রকাশ। ভাষার বৈচিত্র্য আল্লাহর কুদরতের অন্যতম নিদর্শন। কোরআন কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। এতে জ্ঞানীদের জন্য অবশ্যই রয়েছে বহু নিদর্শন।’ (সুরা-৩০ রুম, আয়াত: ২২)। মানুষকে বলা হয় ‘হায়ওয়ানুন নাতিক’, অর্থাৎ ‘বাক্‌শক্তিসম্পন্ন প্রাণী’। আপাতদৃষ্টে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে দৃশ্যত পার্থক্য হলো বাক্‌শক্তি বা ভাষাজ্ঞান। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘দয়াময় রহমান আল্লাহ! কোরআন পাঠ শেখালেন; মানুষ সৃষ্টি করলেন; তাকে ভাষা বয়ান শেখালেন।’ (সুরা-৫৫ আর রাহমান, আয়াত: ১-৪)। সব নবী-রাসুল (আ.)-কে তাঁদের স্বজাতির ভাষায় পাঠানো হয়েছে এবং সব কিতাবও স্থানীয় ভাষায় নাজিল করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কোরআন কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি প্রত্যেক রাসুলকেই তাঁর স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছি তাদের নিকট পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য।’ (সুরা-১৪ ইব্রাহিম, আয়াত: ৪)। ‘ইহা (কোরআন) আমি অবতীর্ণ করেছি আরবি ভাষায় যাতে তোমরা বুঝতে পারো।’ (সুরা-১২ ইউসুফ, আয়াত: ২)। সেকালে আরবদের মধ্যে ভাষা ও

রাসুল (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম)

Image
  ❖ রাসুল (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ব্যাপারে কোন কথাটি সঠিক? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ রাসুল (সাঃ) আমাদের মতই একজন মানুষ ছিলেন, আমারা সাধারণ মানুষ, আর তিনি ছিলেন আল্লাহর রাসুল, রাসুল (সাঃ) নূরের তৈরি নয়, তিনি মাটির তৈরি এবং রাসুল (সাঃ) অবশ্যই মৃত্যুবরণ করেছেন। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা হচ্ছে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আল্লাহর সর্বশেষ নবী হওয়ার সাথে সাথে তিনিও একজন মানুষ ছিলেন। আল্লাহ বলেনঃ “ক্বুল ইন্নামা আনা বাশারুকুম মিসলুকুম” (হে নবী) আপনি বলুন, আমি তোমাদের মতোই একজন মানুষ। (সুরা কাহাফঃ ১০৯) সুতরাং, কুরআন দ্বারা এটাই প্রমানিত হয় যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) একজন মানুষ ছিলেন এবং তিনিও মৃত্যু বরণ করবেন। আল্লাহ বলেনঃ “ইন্নাকা মায়্যিতুন ওয়া ইন্নাহুম-মায়্যিতুন” (হে নবী) আপনিও মৃত্যু বরণ করবেন আর তারাও মৃত্যু বরণ করবেন। (সুরা আল-যুমারঃ ৩০) এই আয়াতে আল্লাহ স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন, নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) ও একদিন মৃত্যুবরণ করবেন। সুতরাং যার রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে জীবিত মনে করে তাদের আকীদা বা বিশ্বাস হলো ইসলাম বিরোধী, কুরআন বিরোধী। এছাড়া, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর মৃত্যুর পরে সাহাবীরা আশ্চর্য হয়ে পড়েন

সুরা ইখলাস সম্পর্কে জানুন

Image
  সুরা ইখলাস সম্পর্কে জানুন: সুরা ইখলাসের নামকরণঃ শিরক থেকে মুক্ত হয়ে ‘তাওহীদ’ বা এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী হওয়াকে ‘ইখলাস’ বলা হয়। যে ব্যক্তি এই সুরা শিক্ষা করবে, তার প্রতি ঈমান আনবে, সে শিরক থেকে মুক্তি লাভ করবে এবং খাঁটি তাওহীদবাদী হয়ে আল্লাহর মুখলিস বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হবে। এইজন্য এই সুরাটির নাম রাখা হয়েছে সুরাতুল ইখলাস। সুরা ইখলাস নাযিল হওয়ার সময়ঃ এটি একটি ‘মাক্কী সুরা’, অর্থাৎ আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের মদীনাতে হিজতের পূর্বে, মক্কার জীবনেই অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ এই সুরাটি নাযিল হয়েছিলো। সুরা ইখলাস নাযিল হওয়ার শানে নুযূলঃ ক্বুরআনুল কারীম নাযিল হওয়ার যুগে ইয়াহুদীরা বলতো, “আমরা আল্লাহর পুত্র ওযায়ের আ’লাইহিস সালামের উপাসনা করি। আর খ্রীস্টানরা বলতো আমরা আল্লাহর পুত্র ঈসা আ’লাইহিস সালামের উপাসনা করি। মাজূসী বা যারা আগুনের পূজা করতো তারা বলতো, আমরা চন্দ্র-সূর্যের পূজা করি। আর মুশরিকরা লাত, মানাত, ওযযা সহ বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি পূজা করতো। দেখা যাচ্ছে, তখনকার যুগের মুশরেকরা পূর্ব যুগের অলি-আওলিয়াদেরকে ‘দেবতা’ বানিয়ে পূজা করতো আর আহলে কিতাবী যারা (ইয়াহুদী এবং খ্রীস

সমুদ্রের পানি

Image
  ❖ কোন পানি সম্পর্কে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “তার পানি পবিত্র এবং উহার মৃতপ্রাণী হালাল"? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ সমুদ্রের পানি। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা হচ্ছে, আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সমুদ্রের পানি পবিত্র এবং তার মৃত প্রাণী হালাল। চারজন এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইবনু খুযাইমাহ ও তিরমিযী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। ইমাম মালিক, শাফি’ঈ ও আহমাদ বিন হাম্বালও এটি বর্ণনা করেছেন। আবু দাউদ ৮৩, নাসায়ী ১/৫০, ১৭৬, ৭০৭, তিরমিযী ৬৯, ইবনু মাযাহ ৩৮৬, ইবনু আবী শায়বাহ ১৩১, ইবনু খুযাইমাহ ১১১। সফওয়ান বিন সুলাইম সূত্রে; তিনি আলে বানী আযরাকে এর সাঈদ বিন সালামাহ (রাঃ) থেকে, তিনি বানী আব্দুদ দার এর মুগীরাহ বিন আবু বুরদাহ থেকে বর্ণনা করেন। তিনি আবু হুরায়রাহ (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা সমুদ্রে বিচরণ করি, আর আমাদের সাথে অল্প পরিমাণ পানি নিয়ে যাই, ফলে আমরা যদি এই পানি দিয়ে অযূ করি তাহলে আমাদের খাবার পানির পিপাসায় ভোগার আশংকা রয়েছ

আল্লাহর রাস্তায় খরচ করলে

Image
  আল্লাহর রাস্তায় এক টাকা খরচ করলে আল্লাহ তাআ’লা সেটাকে ৭x১০০=৭০০ গুণ বা আরো বেশি গুণ বৃদ্ধি করেন। মহান আল্লাহর বাণীঃ “যারা নিজেদের ধন-সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে তাদের (দানের) উপমা একটি বীজের মত, যা সাতটি শীষ উৎপাদন করে, তার প্রত্যেক শীষে একশ শস্যদানা রয়েছে। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছে বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেন। আর আল্লাহ্‌ সর্বব্যাপী- প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।“ সুরা আল-বাক্বারাহঃ ২৬১। তাফসীরঃ এই আয়াতে বর্ণিত হয়েছে যে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআ’লার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে স্বীয় ধন-সম্পদ খরচ করে, সে বড়ই বরকত ও পুণ্য লাভ করে থাকে। তাকে সাতগুণ প্রতিদান দেওয়া হয়। তাই বলা হচ্ছে যে, যারা আল্লাহর পথে খরচ করে অর্থাৎ আল্লাহর যেকোন আদেশ পালনের জন্য, জিহাদের জন্য ঘোড়ার লালন-পালনে, অস্ত্র-শস্ত্র কেনার জন্য, নিজে হজ্ব করার কাজে কিংবা অপরকে হজ্ব করানো ইত্যাদি কাজে ধন-সম্পদ খরচ করে থাকে তাদের দানের উপমা হচ্ছে যেমন একটি শস্য বীজ। প্রত্যেক বীজে উৎপন্ন হয়ে থাকে সাতটি শীষ, আবার প্রত্যেক শীষে উৎপন্ন হয় একশো শস্যদানা। (সুবহা’নাল্লাহ), কি মনোমুগ্ধকর উপমা! একের বিনিময়ে সাতশো পাবে, মহান আল্লাহর সরাসরি এই কথা বলা

ধৈর্যের পুরস্কার জান্নাত

Image
  ধৈর্যের পুরস্কার জান্নাত — ড. ইয়াসির ক্বাদী আল্লাহ তাঁর ক্ষমা, জান্নাত এবং জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা পাওয়াকে ধৈর্য ধারণ করার সাথে যুক্ত করেছেন। আমি আবারো বলছি, আল্লাহ তাঁর ক্ষমাকে ধৈর্যের সাথে যুক্ত করেছেন। আল্লাহ কুরআনে বলেন- اِلَّا الَّذِیۡنَ صَبَرُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ؕ اُولٰٓئِکَ لَهُمۡ مَّغۡفِرَۃٌ وَّ اَجۡرٌ کَبِیۡرٌ - "তবে যারা সবর করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্যই রয়েছে ক্ষমা ও মহা প্রতিদান।" (১১:১১) তাহলে আল্লাহর ক্ষমা ধৈর্যের সাথে সম্বন্ধযুক্ত। জান্নাতে প্রবেশ এবং জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা পাওয়াকেও ধৈর্য ধারণের সাথে সম্পর্কযুক্ত করা হয়েছে। আল্লাহ কুরআনে বলেন, جَنّٰتُ عَدۡنٍ یَّدۡخُلُوۡنَهَا وَ مَنۡ صَلَحَ مِنۡ اٰبَآئِهِمۡ وَ اَزۡوَاجِهِمۡ وَ ذُرِّیّٰتِهِمۡ وَ الۡمَلٰٓئِکَۃُ یَدۡخُلُوۡنَ عَلَیۡهِمۡ مِّنۡ کُلِّ بَابٍ ﴿ۚ۲۳ - "স্থায়ী জান্নাতসমূহ, যাতে তারা এবং তাদের পিতৃপুরুষগণ, তাদের স্ত্রীগণ ও তাদের সন্তানদের মধ্যে যারা সৎ ছিল তারা প্রবেশ করবে। আর ফেরেশতারা প্রতিটি দরজা দিয়ে তাদের নিকট প্রবেশ করবে।" سَلٰمٌ عَلَیۡکُمۡ بِمَا صَبَرۡتُمۡ فَنِعۡمَ عُقۡبَ

পুরুষদের পোশাক সংক্রান্ত

Image
  পুরুষদের পোশাক সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু দিক নির্দেশনাঃ (১) সালাতের বাইরে পুরুষদের জন্য সতর হচ্ছে নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত। আর সালাতের ভেতরে নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত আর দুই কাঁধ ঢাকা থাকতে হবে। অনেকে গোসলের পরে বা গরমে খালি গায়ে সতর উন্মুক্ত করে রাখে, যা সম্পূর্ণ হারাম। আর অনেকে মনে করে পুরুষ মানুষের লজ্জা-শরম কিসের? পুরুষদের মাঝে সতর ঢাকা জরুরী না! এইগুলো অজ্ঞ লোকদের কথা, এইগুলো ভুলেও করবেন না। (২) থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট টাইট না হলে ও হাঁটুর নীচে পর্যন্ত ঢাকা থাকলে তা পড়া জায়েজ আছে, তবে মসজিদে এটা না পড়াই ভালো। কারণ অনেক থ্রি কোয়ার্টার আসলে বাসায় পরার জন্য বা পরে ঘুমানোর জন্য উপযুক্ত, যেটা মানুষ জমায়েত হয় এমন জায়গায় পরার জন্য উপযোগী নয়। যেমন ধরুন, পুরুষদের জন্য লুংগি পড়া জায়েজ আছে, কিন্তু তাই বলে কেউ কোনদিন গুরুত্বপূর্ণ অফিসিয়াল মিটিং-এ লুংগি পরে যাবে? অবশ্যই না। তবে এমন থ্রি কোয়ার্টার যা ঢিলেঢালা, শালীন পর্যায়ের লম্বা এবং খুব বেশি রংচং বা ডিজাইনের না, সেইগুলো আশা করি মসজিদে পড়লে দূষণীয় হবেনা। (৩) হাঁটুর উপরে উঠে থাকে এমন পোশাক পরা সম্পূর্ণ হারাম, কেউ এমন পোশাক পড়ে থাকলে তাঁর সতরের দিকে

নিজেকে ধাপে ধাপে পরিবর্তন করুন

Image
  ❖ ফেরেশতাগণ ইবাদতের জন্য যে গৃহ নির্মাণ করেছিলেন তার নাম কি? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ বাইতুল মামুর। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা হচ্ছে, দুনিয়াবাসী মানুষের ইবাদতের জন্যে, নামাযের জন্য ও তাওয়াফ করার জন্যে যেমন ‘কাবা’ রয়েছে, ঠিক তেমনি আকাশবাসী ফেরেশতাদের জন্যে সমান মর্যাদাসম্পন্ন একটা মসজিদ রয়েছে, যাকে ‘বায়তুল মামুর’ বলা হয়। বায়তুল মামুরের অবস্থান হচ্ছে একেবারে আমাদের কাবা বরাবর সোজা সাত আসমানের উপরে। প্রতিদিন সত্তর হাজার ফেরেশতা এই বায়তুল মামুরে নামায পড়ার জন্যে প্রবেশ করেন। ফেরেশতাদের সংখ্যা এতো বেশি যে, একদিন যেই সত্তর হাজার ফেরেশতাদের বায়তুল মামুরে প্রবেশ করেন, কেয়ামত পর্যন্ত তাদের কারো সেখানে পুনরায় প্রবেশ করার সুযোগ হবেনা। আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম মেরাজের রাত্রিতে নিজ চোখে বায়তুল মামুর দেখেছিলেন। (সুরা তুরঃ আয়াত ৪-এর তাফসীর, ইবনে কাসীর) ****************************** নিজেকে ধাপে ধাপে পরিবর্তন করুনঃ 🔴টাস্কঃ ১ ইমানকে দৃঢ় রাখতে চেস্টা করুন। সকল প্রকার ছোট শিরক, বড় শিরককে না বলুন। আল্লাহ ছাড়া আল্লাহর কোন সৃষ্টিকে ভরসা করবেন না। একমাত্র আল্লা

লক্ষ্মী, কুফা, শনির দশা

Image
  লক্ষ্মী, কুফা, শনির দশা বলা অর্থাৎ কোনকিছুকে সুলক্ষণ বা কুলক্ষণ বলে মনে করা শিরক। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এক হাদীসে বলেছেনঃ وَلا طِيَرَةَ وَلا هَامَةَ অর্থঃ পাখি উঁড়িয়ে কল্যাণ-অকল্যাণ নির্ধারণ করারও কোনো ভিত্তি নেই। ‘হামাহ’ তথা হুতুম পেচাঁর ডাক শুনে অশুভ নির্ধারণ করা ভিত্তিহীন। সহীহ বুখারী, অধ্যায়ঃ কুষ্ঠরোগ। ইকরিমা রহি’মাহুল্লাহ বলেনঃ আমরা একদা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসস রাদিয়াল্লাহু আ’নহুমার নিকট বসা ছিলাম। এমন সময় একটি পাখি ডাকাডাকি করতে করতে অতিক্রম করছিল। তখন এক লোক বললঃ ভাল হোক! ভাল হোক! আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আ’নহু তখন বললেনঃ ভাল বা খারাপ কোনটাই না হোক। ইবনে আব্বাস তাদের কথার দ্রুত প্রতিবাদ করলেন। যাতে করে কল্যাণ ও অকল্যাণের ব্যাপারে ঐ পাখির কোনো প্রভাব আছে বলে বিশ্বাস না করা হয়। একদা তাউস রহি’মাহুল্লাহ একজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে কোনো এক সফরে বের হলেন। তখন একটি কাক চিৎকার করে ডাকছিল। তখন তাউসের সাথী বলতে লাগলঃ ভালো হোক। এ কথা শুনে তাউস বললেনঃ এই কাকের নিকট কোনো ভালো আছে কী? এখন থেকে তুমি আমার সাথে আর চলবেনা। ولا هامة হামাহ ( হুতুম পেচাঁর ) ডাক শু

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সৃষ্টি না হলে

Image
  ❖ "রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সৃষ্টি না হলে, পৃথিবীর কোন কিছুই সৃষ্টি হতো না"— কথাটি কি ধরনের? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ এটা কুরআন-হাদিসের কোন কথা নয়, এটা একটা ডাহা মিথ্যা-বানোয়াট কথা, এটা একটা জালিয়াতি কথা, এটা একটা ভিত্তিহীন কথা। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা হচ্ছে, আল্লাহু সুবহানাহুতায়ালা যদি রাসূল (সা.)-কে সৃষ্টি না করতেন, তাহলে এই সৃষ্টিজগৎ বা মাখলুকাত কিছুই সৃষ্টি করতেন না, এটি একেবারেই ডাহা মিথ্যা-বানোয়াট কথা। এ কথা যদি হাদিসের নামে বলা হয়, তাহলে এটি সবচেয়ে বড় জালিয়াতি। আর এ কথার সত্যিকার অর্থে কোনো ভিত্তিই নেয়। এটি শুধু আবেগের কথা, যা মানুষের কাছে প্রচারিত হয়েছে। আল্লাহু সুবহানাহুতায়ালা মানুষ সৃষ্টির বিষয়ে সূরা আজ-জারিয়াতের ৫৬ নম্বর আয়াতে বলেছেন, জিন ও ইনসানকে আমি সৃষ্টি করেছি আমার ইবাদত করার জন্য। আল্লাহু রাব্বুল আলামিন আরো স্পষ্ট করেছেন, আমি পৃথিবীতে খলিফা প্রেরণ করব। আদম (আ.)-কে যখন সৃষ্টি করার জন্য আল্লাহু রাব্বুল আলামিন সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন এটা প্রকাশ করলেন ফেরেশতাদের কাছে যে, আমি আদমকে সৃষ্টি করছি। আমি পৃথিবীতে খলিফা প্রেরণ করছি।এভাবে আল্ল

সকাল ও সন্ধ্যার যিকির

Image
  সকাল ও সন্ধ্যার যিকিরঃ প্রাণপন চেষ্টা করুন নিচের এই দুয়াগুলো মুখস্থ করে প্রতিদিন আমল করার জন্য। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নাহ থেকে যিকিরের জন্য তিনটি বিশেষ সময় পাওয়া যায়। আর তা হলোঃ (১) সকাল বেলা, (২) সন্ধ্যা বেলা এবং (৩) রাতে ঘুমানোর পূর্বে। এখানে সকাল বেলা অর্থ হচ্ছেঃ ফযরের পর থেকে যোহরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত, আর সন্ধ্যা অর্থ হচ্ছেঃ আসরের পর থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত সময়। সকাল ও সন্ধ্যার যিকির থেকে কয়েকটি বিশেষ দুয়া, যেইগুলো ছোট কিন্তু আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী ও প্রয়োজনীয়, অশেষ সওয়াব ও মর্যাদার অধিকারী তার বর্ণনা দেওয়া হলো। দুয়াগুলো মুখস্থ না হওয়া পর্যন্ত বই দেখে দেখে পড়া যাবে, কোনো সমস্যা নাই। এই দুয়াগুলো করা সুন্নত, ফরয নয়। তবে চেষ্টা করা উচিত, সবার নিজেদের সময় ও সাধ্য অনুযায়ী যতগুলো দুয়া সম্ভব হয়, তার উপর আমল করা। যার পক্ষে যগুলো সম্ভব ও ভালো লাগে। মা-বোনেরা মাসিক ঋতু থাকা অবস্থাতেও এই দুয়াগুলো পড়বেন, কোনো বাঁধা নাই। সকাল ও সন্ধ্যার যিকিরের গুরুত্বঃ হা’ফিজ ইবনুল ক্বাইয়িম রহি’মাহুল্লাহ বলেছেন, “সকাল সন্ধ্যার যিকির হচ্ছে যুদ্ধের সময় ব্যবহ