Posts

Showing posts from July, 2021

জীবনের সুরক্ষা ইসলামি বিধিবিধানের প্রধান উদ্দেশ্য

Image
  জীবনের সুরক্ষা ইসলামি বিধিবিধানের প্রধান উদ্দেশ্য আল্লাহ তাআলা মানুষের সুরক্ষার তথা ইহজাগতিক শান্তি ও নিরাপত্তা এবং পারলৌকিক মুক্তির জন্য যে বিধান দিয়েছেন, তার নাম হলো ইসলাম। ইসলাম মানে আল্লাহর আনুগত্যের মাধ্যমে শান্তি লাভ করা। যাঁরা এ বিধান বিশ্বাস তথা মান্য করেন, তাঁরা হলেন মুমিন বা বিশ্বাসী। মুমিন অর্থ হলো নিরাপত্তা লাভকারী ও নিরাপত্তা বিধানকারী। ইসলামের প্রকৃত অনুসারীকে বলা হয় মুসলিম আর প্রকৃত ইমানদারকে বলা হয় মুমিন। মুসলিম হতে হলে নিজের শান্তি ও অন্যদের শান্তি রক্ষায় কাজ করতে হবে এবং মুমিন হতে হলে নিজের নিরাপত্তা ও অন্যদের নিরাপত্তা বিধানে ভূমিকা রাখতে হবে। মানুষ ‘আবদুল্লাহ’ তথা আল্লাহর বান্দা, দাস বা গোলাম; যে আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন করবে। আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘জিন ও ইনসানকে আমি আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা-৫১ যারিয়াত, আয়াত: ৫৬)। মানুষ খলিফাতুল্লাহ বা আল্লাহর প্রতিনিধি। যে সৃষ্টির সেবায় আত্মনিয়োগ করে, সৃষ্টির লালন ও সংরক্ষণে খোদাপ্রদত্ত দায়িত্ব পালন করবে। এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে: ‘নিশ্চয়ই আমি দুনিয়াতে খলিফা বা প্রতিনিধি পাঠাচ্ছি।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩০)। ‘আবদুল্লাহ’ ও

হাদীস

Image
collected from rosevision 24  

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বিদায় হজ্বের ভাষণ

Image
  রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বিদায় হজ্বের ভাষণ:- “উপস্থিত মানব মন্ডলী! •আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনো। হয়তো আমি আর কখনো এখানে তোমাদের সঙ্গে একত্রিত হতে পারব না। হে মানব মন্ডলী! •আজকের এই দিন (জুমার দিন), এই মাস (জিলহজ মাস) ও এই শহর (মক্কা) যেমন পবিত্র; তোমাদের জানমাল, ইজ্জত-আবরু, মান-সম্মান কিয়ামত পর্যন্ত এমনই পবিত্র। •কারো কাছে যদি কোনো আমানত রক্ষিত থাকে, তাহলে সে যেন তা আমানতকারীর কাছে পৌঁছে দেয়। আজ থেকে সব ধরনের সুদ রহিত করা হলো। তোমাদের কেবল মূলধনের ওপর অধিকার রইল। •তোমরা অন্যের ওপর অত্যাচার করবে না, নিজেরাও অত্যাচারিত হবে না। সর্বপ্রথম আমি হজরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিবের সুদ রহিত করছি। অন্ধকার যুগের সব কৌলীন্য বিলুপ্ত করা হলো। শুধু কাবাঘরের তত্ত্বাবধান ও হাজিদের পানি পান করানো ছাড়া। •আজকের পর তোমাদের ভূখণ্ডে শয়তানের উপাসনার ব্যাপারে সে নিরাশ হয়ে গেছে। কিন্তু কিছু ব্যাপার, যেগুলোকে তোমরা বড় পাপ মনেই করো না। তার অনুসরণ করলে শয়তান খুশি হবে। হে মানব মন্ডলী! •তোমাদের নিজ স্ত্রীদের ওপর যেমন তোমাদের অধিকার রয়েছে, তদ্রূপ তাদেরও তোমাদের ওপর অধিকার রয়েছে। স্ত্রীদের ওপর তোমাদের

মৃত্যুর পূর্বে কিছু সাওয়াবের গাছ

Image
আসুন, মৃত্যুর পূর্বে কিছু সাওয়াবের গাছ লাগিয়ে যাই: মসজিদ-মাদরাসা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা একমাত্র সাদাকায়ে জারিয়াহ নয়। যে দানের উপকারিতা স্থায়ী বা দীর্ঘ মেয়াদী হয়, সেটাই সাদাকায়ে জারিয়াহ। বৃক্ষরোপন একটি সাদাকায়ে জারিয়ামূলক নেক কাজ। যদি কেউ মানুষ কিংবা প্রাণীকূলের উপকার সাধনের লক্ষে ফলজ বা বনজ গাছ রোপণ করে এবং এর মাধ্যমে সাওয়াব আশা করে, তবে এটি একটি উত্তম সাদাকায়ে জারিয়াহ; যার সওয়াবের ধারা ব্যক্তির মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকতে পারে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন- ‘যদি কোনো মুসলমান একটি বৃক্ষ রোপণ করে অথবা কোনো শস্য উৎপাদন করে এবং তা থেকে কোনো মানুষ কিংবা পাখি অথবা পশু ভক্ষণ করে, তাহলে তা সে ব্যক্তির জন্য সাদাকাস্বরূপ।’ (সহীহ বুখারী-২৩২০, সহীহ মুসলিম-১৫৫৩) আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এভাবী মানুষদের বাড়ির আঙিনা, এতিমখানা ও আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে উন্নত জাতের অধিক ফলনশীল গাছের চারা/কলম রোপন করার উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। এতে একাধারে সাধারণ মানুষের অক্সিজেনের যোগান হবে, দুস্থ ও অসহায়রা আত্মনির্ভরশীল হবেন এবং স্বচ্ছলদের সাদাকায়ে জারিয়ার সওয়াব অর্জি

যে ইহুদি নবিজীকে (সা:) ঋণ দেন

Image
  যে ইহুদি নবিজীকে (সা:) ঋণ দেন একজন সাহাবীর প্রয়োজন মেটানোর জন্য নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ইহুদির কাছ থেকে ঋণ নেন। ঋণ গ্রহণের সময় বিধান হলো ঋণ ফেরতের তারিখ নির্ধারণ করা। নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহুদিকে একটি তারিখ বলেন, যে তারিখে তিনি ঋণ ফেরত দিবেন। একদিন নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীদেরকে নিয়ে একটি জানাযা থেকে ফিরছেন। তাঁর সাথে ছিলেন আবু বকর, উমরের (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) মতো মহান সাহাবী। ঠিক সেই সময় ঐ ইহুদি লোকটি নবিজীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গলার চাদরে ধরে রাগতস্বরে, অভদ্র ভাষায় বললো- “ও মুহাম্মদ! আমার কাছ থেকে যে ঋণ নিয়েছিলে, সেই অর্থ কোথায়? আমি তো তোমার পরিবারকে চিনি। ঋণ নিলে তোমাদের আর কোনো খবর থাকে না!” নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনা রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান। তাঁর কথায় সাহাবীরা নিজেদের জীবন দিয়ে দিতে পারেন। তিনি যদি সাহাবীদেরকে একটু ইশারা দেন, তাহলে সাহাবীরা তার (ইহুদি) গর্দান উড়িয়ে ফেলবেন। তাঁকে সবার সামনে এতো বড়ো অপমান করা হলো? অথচ ঋণ পরিশোধের যে তারিখ ধার্য করা হয়েছিলো, সেটা এখনো বাকি আছে। সময়ের আগেই সু

রুবিন থেকে আবু বকর

Image
  রুবিন থেকে আবু বকর (অনুবাদ গল্প) অনুবাদকঃ তাহমীদ ইসলাম মূলত আমার গল্পের শুরু ইউনিভার্সিটি থেকে। একটা বছর, যেই বছরে আমি অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলাম। সেই বছরেই আমার আব্বু আম্মুর বিচ্ছেদ হয়েছিলো। আমার কুকুরটাও মারা যায়। এক সপ্তাহের মধ্যে আমি দুই দুইবার সড়ক দূর্ঘটনায় পতিত হই। তাছাড়াও, আমার এক বন্ধু সেই বছরেই মারা যায়। হয়তোবা এই ঘটনাগুলোই আমাকে বেশ কিছু প্রশ্নের দিকে নিয়ে যায়। আমি এখানে কেন? আমার জীবনের উদ্দেশ্য কি? তো, আমি তখন থেকে এসব বিষয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করলাম। সেখান থেকেই আমি একধরণের ‘স্বর্গীয় অনুসন্ধান’ করা শুরু করি। একজন অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে আমি প্রথমেই খ্রিষ্টান ধর্মকে জানার চেষ্টা করি। আমার একটা চার্চ ক্যাম্পে যাওয়ার কথা মনে পড়ে। সবাই গান গাচ্ছিলো। যদিও শুনতে অনেক ভালই শোনাচ্ছিলো- কিন্তু তাও সেটা ছিলো অদ্ভূত। সেখানে সবাই আমাকে বলছিলো যে ঈশ্বর তোমাকে কত ভালোবাসে! আর আমি চিন্তা করছিলাম, “ঈশ্বর আমাকে ভালোবাসে? আমার পোষা কুকুরটা তো মরে গেলো!’ পর্যায়ক্রমে, খ্রিষ্টান ধর্মের অনেকগুলো দিক আমার সামনে আসতে লাগলো। প্রত্যেকবার যখন আমি তাদের প্রশ্ন করতাম তখন তারা এভাবে বলতো না যে, “ভাই! এই

নারীর মর্যাদা

Image
  নারীর মর্যাদা ● স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে খেয়ানত করে, পরনারীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তবে ঐ স্বামীর শাস্তি হচ্ছে তাকে প্রস্তরাঘাতে হত্যা করা। ● ২য় স্ত্রী বিবাহ করলে স্বামী যদি উভয় স্ত্রীর সাথে সমতা বা ইনসাফ রক্ষা না করে, তবে কিয়ামত দিবসে তার শরীরের এক অংশ বিকলাঙ্গ অবস্থায় উত্থিত হবে। ● মোহরানা নির্ধারণ করার পর স্বামী তা স্ত্রী প্রদান না করলে কিয়ামত দিবসে চোর হিসেবে উত্থিত হবে। ● স্ত্রীকে তালাক দিলে, মোহরানার কোন অংশ ফেরত নেয়ার অধিকার নেই স্বামীর। ● স্ত্রীকে প্রহার করলে বা লাঞ্ছিত করলে সেই স্বামী ইসলামের দৃষ্টিতে ইতর শ্রেণীর লোক। স্ত্রীকে সম্মান করা উঁচু স্বভাবের লোকদের কাজ। ● চার মাসের বেশী সময় ছেড়ে থাকলে, স্ত্রীর অধিকার আছে তার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার। ● প্রাপ্য মীরাছ থেকে নারীকে বঞ্ছিত করা, আল্লাহর সীমালঙ্ঘণকারীর কাজ। আর এরূপ ব্যক্তি জালেম। ● স্ত্রীকে অপছন্দ করলে, স্বামীকে সবর করতে বলা হয়েছে। কেননা হতে পারে, তোমারা যা অপছন্দ কর, তাতেই আল্লাহ রেখেছেন অফুরন্ত কল্যাণ। ● কোন কারণে স্ত্রীকে তালাক দিলে তার অনুগ্রহ ও ভালো বিষয়গুলো অস্বীকার করা ভদ্রলোকের কাজ নয়। ● তালাক হয়ে গেলে সন্ত

সাল ১৭৬৫

Image
সাল ১৭৬৫, উশ, পূর্ব তুর্কিস্তান। আশেপাশে প্রচণ্ড হট্টগোল। প্রায় আড়াইশ মানুষের একটা দল। গন্তব্য পিকিং, চিং সাম্রাজ্যের রাজধানী। দলটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে সুচেং। সুচেং এই শহরে চিংদের প্রতিনিধি। সে আজ বেজায় খুশি। চিং সম্রাটের জন্য রাজকীয় উপহার নিয়ে যাচ্ছে সে। কিন্তু, সকাল হতেই তার মনে কু ডাকছে। মনে হচ্ছে কোথায় যেন ঘাপলা আছে। কিছুক্ষণ পরই তার সন্দেহ সত্য প্রমাণিত হল। মুসলিমদের এই দলটি বিদ্রোহ ঘোষণা করল। তাঁদের দেখাদেখি শহরের লোকজনও বিদ্রোহ ঘোষণা করল। সুচেং ও তার তুর্কি চ্যালা আব্দুল্লাহ সমস্ত সৈন্য নিয়ে দুর্গে অবস্থান নিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। তাদেরকে কচুকাটা করল শহরের মুসলিমরা। বিদ্রোহের খবর দ্রুত পৌঁছে গেল চীনে, চিং (Qing) সম্রাটের কাছে। সে বাহিনী পাঠাল উশ শহরের বাসিন্দাদের শায়েস্তা করতে। কয়েক মাস অবরুদ্ধ রাখার পর শহরে প্রবেশ করল তারা। দুই হাজার এর উপরে পুরুষকে হত্যা করল এবং আট হাজার এর মত নারীকে দাসী বানাল তারা। চীনারা পূর্ব তুর্কিস্তান দখলের পর হতে এটা ছিল চীনাদের বিরুদ্ধে তুর্কিদের প্রথম বড় কোন বিদ্রোহ। বিদ্রোহের সূত্রপাত হয় সুচেং এর কারণে। সে এবং তার ছেলেরা মুসলিম নারীদের জোরপূর্বক

মাযহাব মানা - না মানা!

Image
  ▌মাযহাব মানা - না মানা! ________________________ মাযহাব মানা যাবে কি যাবে না, সে বিষয়ে মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে কেউ কেউ অসত্য তথ্য প্রচার করে থাকেন। তাদের কাউকে কাউকে বলতে শুনেছি, চার মাযহাবের যে কোন এক মাযহাব অনুসরণ করাকে সৌদি আরবের আলেমগণ দোষণীয় মনে করেন না। জী, আমি তাদের সাথে একমত পোষণ করছি। সৌদি আরবের ওলামায়ে কেরাম এমনটিই মনে করেন। তবে কথা এখানেই শেষ নয়। কারণ, এটুকু বলে থেমে গেলে স্বার্থের জন্য তাঁদের আংশিক বক্তব্য প্রচার করা হবে। . সঠিক কথা হলো, তাঁরা নির্দিষ্ট একটি মাযহাবের অনুসরণ জায়েয মনে করেন এ শর্তে যে, মাযহাবের প্রতিটি ফৎওয়া সর্বাবস্থায়, সর্বযুগে চোখ বন্ধ করে মেনে নেওয়া যাবে না। কারণ, তাদের ভুল হওয়া স্বাভাবিক। সেকারণে শুধুমাত্র তাদের দলীল ভিত্তিক ফৎওয়া অনুসরণ করতে হবে। . (ফাতাওয়াহ আল-লাজনাহ আদ-দায়েমাহ, ৫/২৮) . . আসলে মাযহাব বিষয়ে সৌদি আরবের ওলামায়ে কেরাম এবং বাংলাদেশের আলেমদের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে পার্থক্য দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। . ১- বাংলাদেশের হানাফী আলেমগণ যে কোন এক মাযহাব মানাকে ফরয মনে করেন এবং নিজেরাও মাযহাবী গোঁড়ামির কারাগারে আবদ্ধ। পক্ষান্তরে

মুসলিম বোনদের প্রতি

Image
  মুসলিম বোনদের প্রতি খোলা চিঠি . -- ইবনে তৈয়ব . প্রিয় বোন, বিশ্বাস কর তোমার সমালোচনা করা আমার অভিপ্রায় নয়। তোমাকে মন্দ ঠাওরানোতেও কোনো লাভ নেই আমার। পর্দা মেনে চল বা না চল, যেহেতু তোমার মাঝে ঈমান আছে তাই তুমি আমার বোন। গোড়ায় আমাদের বাবা ও মা অভিন্ন। আমাদের বিশ্বাস ও আদর্শ অভিন্ন। যে দেশ বা যে ধর্মেরই হও না কেন আদি পিতার এ সম্পর্ক নস্যাৎ করে সাধ্য কার? আমার মিনতি, কথাগুলোর ওপর একবার চোখ বুলাও। একটুখানি ভেবে দেখ খোলা মনে। . ভেবো না পৃথিবী আজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সাফল্য ও সমৃদ্ধির শীর্ষ চূড়ায় উপনীত হয়েছে। ধুলির ধরা ছাড়িয়ে মানুষ এখন পৌঁছে গেছে নানা গ্রহে-উপগ্রহে। সারা বিশ্ব এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। সুতরাং এখন পর্দা করা মানে মধ্যযুগে ফিরে যাওয়া! পর্দা করা মানে নিজেকে বঞ্চিত করা! আমাদের মুক্তি নারী স্বাধীনতায়! মুক্তি ইসলাম উপেক্ষায়! . ইতিহাস পড়ে দেখ, ইসলামই সর্বপ্রথম নারীকে মুক্তি দিয়েছে। নারীকে ভোগের পণ্য হতে দেয়নি শান্তির ধর্ম ইসলাম। একমাত্র ইসলামই কন্যা সন্তান প্রতিপালনে পুরষ্কার ঘোষণা করেছে। ইসলামই পুরুষের চারিত্রিক শুচিতা যাচাইয়ে স্ত্রীর সাক্ষ্যের কথা বলেছে। ইসলামে

কুর'আনের সহজ সরল বাংলা অনুবাদ এবং উচ্চারণ

Image
কুর'আনের সহজ সরল বাংলা অনুবাদ এবং উচ্চারণ link below http://www.quran.gov.bd/quran/pdf/ab/fab.pdf

ঈদের আনন্দ হোক সর্বজনীন ও নিরাপদ

Image
  ঈদের আনন্দ হোক সর্বজনীন ও নিরাপদ ইসলামে দুটি ঈদ বা উৎসব। ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদ এবং ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদ। ঈদ মানে আনন্দ; কোরবানি হলো ত্যাগের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জন। কোরবানি ঈদ হলো ত্যাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সফলতার খুশি। এটি মূলত ইবাদতের আনন্দ ও আত্মত্যাগের উৎসব। এই কোরবানি মানব ইতিহাসের সূচনা থেকে বিদ্যমান। ঈদ হলো দায়িত্ব পালন ও কর্তব্যকর্ম সম্পাদনের আনন্দ, পাপমুক্তির আনন্দ, সফলতার আনন্দ। মনের সব কালিমা দূর করে, মান-অভিমান বিসর্জন দেওয়ার আনন্দ। পশুবৃত্তি, পাশবিকতা তথা মনের পশুকে কোরবানি বা পরাজিত করার আনন্দ। কোরবানি প্রভুপ্রেমের পরীক্ষা। কালক্রমে বিভিন্ন রূপে কোরবানি চলে আসছে। সামর্থ্যবান নারী ও পুরুষদের জন্য কোরবানি একটি ওয়াজিব আমল, যা কার্যত ফরজের মতোই বাধ্যতামূলক। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সকল সম্প্রদায়ের জন্য আমি কোরবানির বিধান দিয়েছি, তিনি (আল্লাহ) তাদের জীবনোপকরণসহ যেসব চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছেন, সেগুলোর ওপর যেন তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে (কোরবানি করে)।’ (সুরা-২২ হজ, আয়াত: ৩৪)। ‘আমি তোমাকে প্রাচুর্য দান করেছি। তুমি তোমার রবের জন্য সালাত আদায় করো এবং কোরবানি (পশ

ঈদ ও কোরবানির বিধিবিধান

Image
  ঈদ ও কোরবানির বিধিবিধান কোরবানি অর্থ নৈকট্য, ত্যাগ–তিতিক্ষা। যেকোনো ত্যাগের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনই হলো কোরবানি। ইসলামি পরিভাষায় কোরবানি হলো জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগপর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট পশু জবাই করা। ঈদ মানে আনন্দ। ইসলামে দুটি ঈদ—ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদ ও ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। আজহা অর্থ হলো কোরবানির পশু; এর আরেক অর্থ হলো ছাগল বা বকরি। তাই একে বকরিদও বলা হয়। ইতিহাসে প্রথম কোরবানি করেন বাবা আদম (আ.)–এর দুই পুত্র হাবিল ও কাবিল। হাবিলের কোরবানি ছিল দুম্বা আর কাবিলের কোরবানি ছিল কিছু খাদ্যশস্য। সেকালে কোরবানি কবুল হলে আসমানি আগুন এসে তা পুড়িয়ে ছাই করে দিত, কবুল না হলে তা হতো না। হাবিলের কোরবানি কবুল হয়েছিল, কাবিলের তা হয়নি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আদম (আ.)–এর পুত্রদ্বয়ের বৃত্তান্ত আপনি তাদের শোনান। যখন তারা উভয়ে কোরবানি করেছিল, তখন একজনের কোরবানি কবুল হলো আর অন্যজনেরটা কবুল হলো না। অবশ্যই আল্লাহ মুত্তাকিনদের কোরবানি কবুল করেন।’ (সুরা–৫ মায়িদা, আয়াত: ২৭)। যুগপরম্পরায় কোরবানি ছিল। হজরত ইব্রাহিম (আ.) আদিষ্ট হয়েছিলেন প্রি