Posts

Showing posts from December, 2021

রাত এবং ঘুম সংক্রান্ত

Image
  রাত এবং ঘুম সংক্রান্ত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের কিছু উপদেশঃ (১) রাতের বেলা কুকুর ও গাধা শয়তান জিনদেরকে দেখতে পেলে চিৎকার-চেঁচামেচি করে। অনেক সময় ইশা বা ফযরের আযান দিলে কুকুরেরা বেশি চিৎকার করা আরম্ভ করে। কারণ, তখন কুকুরেরা আযান শুনে পলায়নরত শয়তান জিনদের দেখতে পায়। যেহেতু রাতের বেলা কুকুর ও গাধা শয়তান দেখলে ডাকে, একারণে রাতের বেলা গাধা ও কুকুরের ডাক শুনলে “আ’উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম” এই দুয়া পড়ে শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হয়। সহীহ মুসলিমঃ ২৭৬৯। (২) নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যখন তোমাদের কেউ ঘুম থেকে উঠবে, সে যেন নাকে পানি দিয়ে তিনবার নাক ঝেড়ে নেয়। কেননা, শয়তান তার নাকের ভেতর রাত্রি যাপন করে।” সহীহ বুখারী ৩২৯৫, সহীহ মুসলিম। (৩) কোন ব্যক্তি সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত ঘুমিয়ে ফযরের নামায কাযা করে ফেললে শয়তান তার কানে পেশাব করে দেয়। সহীহ বুখারীঃ ৫৪/৪৯২। (৪) ঘুম থেকে জেগে উঠে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম নীচের এই দুয়া পড়ে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও তাঁর প্রশংসা করতেনঃ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِيْ أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَ

চিন্তা করে দেখুন

Image
  চিন্তা করে দেখুন— যখন সালাতে দাঁড়ান, আল্লাহকে কিছু দেয়ার উদ্দেশ্যে দাঁড়ান নাকি আল্লাহর কাছ থেকে পাওয়ার জন্য? তাঁর দয়া লাভের জন্যে তো? কুরআন পাঠের সময়ও বিষয়টি মাথায় রাখুন। নিজেকে কুরআনের লেভেলে তুলুন। কুরআনকে নিজের স্তরে নামিয়ে আনবেন না। কুরআনের কাছে আসুন কুরআন থেকে নেয়ার উদ্দেশ্যে, নিজের বুঝ কুরআনের উপর চাপিয়ে দিতে নয়। কুরআন আমাদের চিন্তাভাবনা পরিশুদ্ধ করে। সঠিকভাবে চিন্তা করতে শেখায়। অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে কুরআন আমাদের অধিক মর্যাদা দিতে শেখায়। আমাদের মনের মধ্যে হাজারো বিষয় হিজিবিজি হয়ে থাকে। কুরআন প্রায়োরিটি অনুযায়ী আমাদের চিন্তাধারাকে সাজায়। যখন কুরআন পড়ছেন শব্দের ব্যাখ্যা, বিজ্ঞান, ফিলোসোফি, ফিকহ, সোসাইটি ইত্যাদি থেকে নিতে যাবেন না। কুরআন থেকে নিন। কুরআন কী বুঝিয়েছে তা কুরআন থেকে বুঝুন, আপনার ব্যক্তিগত জীবন থেকে নয়। নিজেকে কুরআনের লেভেলে তুলুন! বিষয়টি মাথায় রাখুন— যখন কুরআনের কাছে যাবেন কুরআনকে দিতে নয়, কুরআন থেকে নিতে যাবেন। এভাবে কুরআন পড়লে আমরা সঠিক ফায়দা হাসিল করতে পারবো আশা করা যায়। কুরআন এসেছে আমাদের চিন্তাধারা সংশোধন করতে, কুরআনকে প্রমান হিসেবে ব্যবহারের জন্য নয়। — ড

হাদীস

Image
 

ভয় এবং আশা

Image
  আমরা যদি আল্লাহর রাসূলের শ্রেষ্ঠতম সাহাবাদের দিকে তাকাই— হজরত আবু বকর, ওমর, ওসমান (রা) যাদেরকে রাসূল (স) জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। আর তাই তাঁদের এখন এটা বিশ্বাস করতে হবে যে, তাঁদের কোনো শাস্তি হবে না। কিন্তু তারপরেও তাদের অন্তরে আল্লাহর ভয় ছিল। তারপরেও তারা রাত জেগে ইবাদাত করতেন। তারপরেও তারা কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর ভয় পোষণ করতেন। আবু বকর (রা) কে রাসূল (স) বলেন—"হে আবু বকর! জান্নাতের আটটি দরজা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশের আহবান জানাবে।" একবার ধারণা করুন, জান্নাতের আটটি দরজা আপনাকে জান্নাতে নেয়ার জন্য পরস্পর প্রতিযোগিতা করছে। হযরত ওমর সম্পর্কে রাসূল (স) বলেন—হে ওমর! তুমি যখন কোনো পথ দিয়ে হাট, শয়তান সেখান থেকে পালিয়ে যায়। আর হজরত ওসমানের নিকট রাসূল (স) তার দুই কন্যাকে বিয়ে দেন। (একজনের মৃত্যুর পর অন্য জনকে) একবার কল্পনা করুন, আল্লাহর রাসূল আপনার শ্বশুর। হজরত আলী (রাঃ) সহ এরকম দশ জন সাহাবীকে জান্নাতের সুসংবাদ দেয়া হয়। তারপরেও তাদের অন্তরে আল্লাহর ভয় ছিল। এখন আমি আপনাদের জিজ্ঞেস করছি, তাহলে কেন আমাদের এ ব্যাপারে কোনো উদ্বেগ উৎকণ্ঠা নেই। তাহলে আমাদের অন্তরে কোনো ভ

বেশি করে দিন কম করে নিন

Image
  বেশি করে দিন কম করে নিন ----------- *-------- আমাদের সবার জীবনেই বিভিন্ন রকম সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি কিছু নেন এবং কিছু দিয়ে থাকেন। বিবাহের ক্ষেত্রে আপনি কিছু দিয়ে থাকেন এবং কিছু নিয়ে থাকেন। যখন আপনি পিতা বা মাতা হন তখনো কিছু দিয়ে থাকেন এবং কিছু নিয়ে থাকেন। যখন আপনি একজন শিক্ষক তখনো কিছু দিয়ে থাকেন এবং কিছু নিয়ে থাকেন। যখন আপনি কারো চাকরি করেন বা মালিক পক্ষের হয়ে থাকেন তখনো কিছু নিয়ে থাকেন এবং কিছু দিয়ে থাকেন। সবসময় সম্পর্কটা দেওয়া নেওয়ার। রাসূলুল্লাহ (স) বলেন - "মু'মিনের উদাহরণ হল ঠিক মৌমাছির মত।" মৌমাছির মত হলে কী হবে? আর কীভাবে মৌমাছির মত হব? মৌমাছি আমাকে আমার ঈমান সম্পর্কে কী শেখাবে? মৌমাছি যা কিছু নেয় তার চেয়ে অনেক বেশি দিয়ে থাকে। এটি নেওয়ার চেয়ে দেয় অনেক বেশি। আর যা প্রদান করে তা গ্রহীতার জীবনকে উন্নত করে। আর যা নিয়ে যায় তা গ্রহীতার কোন ক্ষতি করে না। এটি ফুল থেকে যা নেয় তা ফুলের কোন ক্ষতি করে না। এটি ফুলের উপর খুব সুন্দর করে পাগুলো রাখে। প্রসঙ্গত, ফুলের খুব কোমল জায়গায় মৌমাছিকে বসতে হয়। ফুলের তুলনায় মৌমাছি ভারী একটি জীব। যদি সে তার সম্প

হাদীস

Image
 

হাদীস

Image
 

হাদীস

Image
 

হাদীস

Image
 

হাদীস

Image
 

হাদীস

Image
 

মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতি

Image
  সবসময় মনে রাখার জন্য কিছু কথা --------------*-----------*----------- "প্রতিটি মানুষকে এই জীবন দেওয়া হয়েছে মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতি নিতে। সহজ বিষয়। কুরআন এই ব্যাপারে খুবই পরিষ্কার। এই দুনিয়া তোমার বাড়ি নয়। এটা তোমার বাসস্থান নয়। সবার জীবনকাল এখানে অল্প কিছু সময়ের জন্য। এরপর তুমি মারা যাবে। সবাইকে তাদের রবের সামনে দাঁড়াতে হবে। সবার বিচার হবে। যদি এখানে আল্লাহর আদেশ-নিষেধ অনুযায়ী ভাল জীবন অতিবাহিত করে থাক, তুমি জান্নাতে প্রবেশ করবে। যারা ব্যর্থ হবে তারা জাহান্নামে যাবে। এই বিষয়ে কুরআন একেবারেই পরিষ্কার। প্রতিটি ব্যক্তির বিচার হবে শেষ বিচারের দিন। সেখানে তোমাকে কোন কোন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে কুরআন সেগুলোও পরিষ্কার করে তুলে ধরেছে। কুরআন এই বিষয়টাও পরিষ্কার করে তুলে ধরেছে যে, এটাই একমাত্র জীবন যেখানে তুমি সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রস্তুত করবে। এছাড়া আর কোনো জীবন নেই। প্রত্যেককে এই একটি চান্স-ই দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় বারের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। কারো জন্যই না।" —ডক্টর আকরাম নাদভী "এই দুনিয়াতে যত ভোগ্য সামগ্রী আল্লাহ আমাদের দান করেছেন সবগুলোই হলো জান্নাতে যা দি

দেহ-মনের পবিত্রতায় গোসলের গুরুত্ব ও বিধান

Image
  আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্রতা পছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘এবং যারা পবিত্র থাকে, তাদের আল্লাহ ভালোবাসেন।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ২২২)। ‘সেথায় এমন লোক আছে, যারা পবিত্রতা অর্জন ভালোবাসে এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের আল্লাহ ভালোবাসেন।’ (সুরা-৯ তাওবা, আয়াত: ১০৮)। ইসলামি শরিয়াহমতে, তিনটি আমল সম্পাদনের জন্য পবিত্রতা ফরজ বা পূর্বশর্ত—নামাজ পড়া, কোরআন স্পর্শ করা ও কাবা শরিফ তাওয়াফ করা। শারীরিক পবিত্রতা অর্জনের তিনটি পদ্ধতি হচ্ছে অজু, গোসল ও তায়াম্মুম। গোসল হলো সর্ববৃহৎ ও পরিপূর্ণ পবিত্রতা; যেটি এমন একটি ইবাদত, যার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ পবিত্রতা অর্জনের পাশাপাশি দেহ-মনে বিশেষ প্রশান্তি লাভ হয়, শরীরের শ্রান্তি–ক্লান্তি দূর হয়, মন প্রফুল্ল ও চিত্ত প্রসন্ন হয়, সঙ্গী ফেরেশতারা স্বস্তি লাভ করে, শয়তান ও শয়তানি ওয়াসওয়াসা বিদূরিত হয়, রুহ শান্তি পায় এবং নফস কলুষমুক্ত হয়। সর্বোপরি সব পাপ-পঙ্কিলতা মুক্ত হয়, ইবাদতে আগ্রহ ও মনোনিবেশ বৃদ্ধি হয়। পরিভাষায় আপাদমস্তক পুরো শরীর ধৌত করাকে গোসল বলা হয়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা কোরআন মাজিদে বলেন, ‘যদি তোমরা অপবিত্র থাকো, তবে বিশেষভাবে পবিত্র হবে।’ (সুরা-৫ মায়িদ

শারীরিক পবিত্রতা

Image
  তিনটি ইবাদতে শারীরিক পবিত্রতা ফরজ। এগুলো হলো নামাজ আদায় করা, কাবা শরিফ তাওয়াফ করা এবং কোরআন মাজিদ স্পর্শ করা। অন্যান্য কাজে অজু সুন্নাত ও নফল। আল্লাহ তাআলার নির্দেশ, ‘আমার সহিত কোনো শরিক কোরো না এবং আমার গৃহকে পবিত্র রেখো।’ (সুরা-২২ হজ, আয়াত: ২৬)। পোশাক–পরিচ্ছদ পবিত্রকরণে আল্লাহ তাআলার আদেশ, ‘তোমার পরিচ্ছদ পবিত্র রাখো, অপবিত্রতা পরিহার করে চলো।’ (সুরা-৭৪ মুদ্দাসসির, আয়াত: ২-৪)। ইবাদতের স্থান পবিত্র রাখার নির্দেশনা, ‘আমার গৃহ পবিত্র রাখতে আদেশ দিলাম; তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী এবং রুকু ও সিজদাকারীদের জন্য।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১২৫)। নামাজের জন্য পবিত্রতা জরুরি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনেরা! নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তোমরা সালাতের নিকটবর্তী হয়ো না, যতক্ষণ না তোমরা যা বলো, তা বুঝতে পারো এবং যদি তোমরা মুসাফির না হও, তবে অপবিত্র অবস্থাতেও নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমরা গোসল করো।’ (সুরা-৪ নিসা, আয়াত: ৪৩)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ বেহেশতের চাবি, অজু নামাজের চাবি।’ (মুসনাদে আহমাদ)। অজু অর্থ ধৌত করা, গোসল অর্থও ধৌত করা। এ জন্য অজুকে ছোট গোসল এবং গোসলকে বড় অজু বলা হয়ে থাকে। অজু ও গোসল পানি দিয়ে

অধিকাংশ_লোক কোন_দলিল_নয়ঃ

Image
  'অধিকাংশ' মানেই বিপদ #অধিকাংশ_লোক কোন_দলিল_নয়ঃ ➲অধিকাংশ লোক মিলাদ পড়ে,, ➲অধিকাংশ লোক বেনামাজি,, ➲অধিকাংশ লোক পীর ভক্ত, ➲অধিকাংশ লোক পর্দা করে না,, ➲অধিকাংশ লোক চল্লিশা করে,, ➲অধিকাংশ লোক মাজারে যায়,, ➲অধিকাংশ লোক নেশাদার দ্রব্য পান করে,, ➲অধিকাংশ লোক বিভিন্ন তরিকা অনুসরন করে,,, ➲অধিকাংশ লোক টাখনুর নিচে প্যান্ট পড়ে,, #এটাই_বাস্তবতা #অধিকাংশদের_ব্যাপারে_আল্লাহ্_বলেন : ■►“অধিকাংশই অজ্ঞ” [সূরা আনআম : ১১১] ■►“অধিকাংশই নির্বোধ” [সূরা মায়িদাহ ১০৩] ■►“অধিকাংশ মানুষ প্রকৃত ব্যাপার সম্পর্কে অবগত নয়” [সূরা ইউসুফ : ৬৮] ■►“অধিকাংশ লোকই অবগত নয়” [সূরা আনআম :৩৭] ■►“অধিকাংশই জানে না” [সূরা আরাফ : ১৩১] ■►“তুমি যতই প্রবল আগ্রহ ভরেই চাও না কেন, মানুষদের অধিকাংশই ঈমান আনবে না” [সূরা ইউসুফ :১০৩] ■►“আমি তোমার নিকট সুস্পষ্ট আয়াত নাজিল করেছি, ফাসিকরা ছাড়া অন্য কেউ তা অস্বীকার করে না; বরং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে না” [সূরা বাকারাহ: ৯৯-১০০] ■►“আমি তো তোমাদের কাছে সত্য নিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই ছিলে সত্য অপছন্দকারী” [সূরা যুখরুফ :৭৮] ■►“তাদের অধিকাংশকেই আমি প্রতিশ্রু

আল্লাহর পরিকল্পনায় আস্থা রাখুন

Image
  আল্লাহর পরিকল্পনায় আস্থা রাখুন —নোমান আলী খান বাস্তবতা হলো দুই রকম। একটা আপনি চোখে দেখতে পান আর অন্যটা চোখে দেখা যায় না। এই মুহুতে আমি আপনাদের দেখতে পারছি। আপনাদের দুই কাঁধের ফেরেশতাদের আমি দেখতে পাচ্ছি না। আমি উনাদের দেখতে পাচ্ছি না। বুঝতে পারছেন? কিন্তু, উনারা বাস্তব। উনারা এখানেই আছেন। তাহলে এক ধরণের বাস্তবতা আমরা দেখতে পাই আর অন্য বাস্তবতা আমরা দেখতে পাই না। লাইলাতুল কদরে আকাশের দিকে তাকালে আপনি শুধু আকাশই দেখতে পান। কিন্তু অদৃশ্য বাস্তবতা হলো— সমগ্র আকাশ অবতরণরত ফেরেশতাদের দ্বারা ছেয়ে থাকে।" تَنَزَّلُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ وَ الرُّوۡحُ فِیۡهَا بِاِذۡنِ رَبِّهِمۡ ۚ مِنۡ کُلِّ اَمۡرٍ" - “সে রাতে ফেরেশতারা ও রূহ (জিবরাইল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করে।” (৯৭:৪) এটা হলো একটি অদৃশ্য বাস্তবতা। বুঝতে পারছেন? তাহলে বাস্তবতা দুই ধরণের। একটা হলো দৃশ্যমান বাস্তবতা এবং অপরটা হলো অদৃশ্যমান বাস্তবতা। এখন, এই জ্ঞান আমরা যা প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি— আমাদের সকল মতামতগুলো, সকল অনুভূতিগুলো এবং সকল চিন্তা-ভাবনাগুলো সবসময় দৃশ্যমান বাস্তবতা দ্বারা প্রভাবিত হয়। কারণ আমাদ

অপব্যয় এবং কার্পণ্য

Image
  আল্লাহ তায়ালা বলেন- وَ الَّذِیۡنَ اِذَاۤ اَنۡفَقُوۡا لَمۡ یُسۡرِفُوۡا وَ لَمۡ یَقۡتُرُوۡا وَ کَانَ بَیۡنَ ذٰلِکَ قَوَامًا - "আর তারা যখন ব্যয় করে তখন অপব্যয় করে না এবং কার্পণ্যও করে না। বরং মাঝামাঝি অবস্থানে থাকে।" (২৫:৬৭) রহমানের বান্দারা যখন টাকা ব্যয় করে তখন অতিরিক্ত ব্যয় করে না। আবার তারা কৃপণও নয়। তারা এ দু'য়ের মধ্যবর্তী অবস্থানে থাকে। শপিং করতে গেলে… "আমি তো যথেষ্ট ভালো টাকা উপার্জন করি। যা যা পছন্দ সব কিনে ফেলো। আমি এগুলোর দুইটা নিব, ঐগুলোর তিনটা নিব আর ঐ যে ঐটা থেকে পাঁচটা নিব।" "আপনার দোকানে সবচেয়ে বড় টিভি কোনটা? আমি ঐটা নিব।" আল্লাহ বলছেন যখন তারা ব্যয় করে তখন দায়িত্বানুভূতি নিয়ে ব্যয় করে। আবার তারা কার্পণ্যও করে না। স্ত্রীকে নিয়ে দোকানে গেলেন সিরিয়াল, দুধ, সবজি কেনার জন্য। সে দুধের প্যাকেট ঝুড়িতে রাখলে আপনি বলে উঠেন- "তোমার কি পুরা প্যাকেটটাই কিনতে হবে? ছোট প্যাকেটটা নাও।" এমন করবেন না। বেশি ব্যয় যেমন করবেন না আবার কার্পণ্যও করবেন না। আপনাকে আপনার বাজেটে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। আপনাদের একটা ব্যাপার বলছি। পৃথিবীতে যে অর্থ

সঠিক কাজটি করুন

Image
যদি বুদ্ধি বলে ধূমপান ক্ষতিকর তবে বুদ্ধির কথা শুনে ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। হয়তো তখন মনে মনে বলবেন- "কিন্তু বিড়ি টানা ছাড়া তো ভালো লাগে না।" চিন্তা করবেন না। ভালো লাগা কোনো ব্যাপার না। সঠিক কাজটি করুন। সঠিক কাজ করুন আপনার ভালো লাগুক বা না লাগুক। আপনি পছন্দ করেন বা না করেন এতে কিছু যায় আসে না। ঠিক কাজটা করুন। নিজেকে দিয়ে জোর করে ঠিক কাজটা করান। তবেই আপনি সফল হবেন। যদি শুধু নিজের কাছে যা ভালো লাগে তাই করেন, তবে কোনোদিন সফল হতে পারবেন না। আপনার কাছে কি কি ভালো লাগবে তা শিক্ষা দিতে কুরআন আসেনি। কুরআন এসেছে আপনাকে শিক্ষা দিতে কোন কোন জিনিস আপনার উপকারে আসবে। কুরআন একজন ভালো মানুষ তৈরী করতে চায়, সুখী মানুষ নয়। সুখ একসময় আসবে যা হবে সত্যিকারের সুখ। প্রথমে আপনাকে ভালো মানুষ হতে হবে তারপর ইনশাআল্লাহ আপনি সুখী হবেন। কিন্তু যদি শুধু সুখ চান, ভালো মানুষ হতে না চান তবে এই বই আপনার জন্য নয়। সুতরাং, নিজের বিবেক-বুদ্ধি যখন কিছু করতে বলে করে ফেলুন। - ড. আকরাম নদভী ******************************************************************* যখন সূরা বাকারার ২৪৫ নং আয়াত নাজিল হলো, তখন ইহুদিদের মাঝ