Posts

Showing posts from December, 2022

জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসী কারা হবে?

Image
  ❖ জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসী কারা হবে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ মেয়ে মানুষ। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা হচ্ছে, জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসী হবে মহিলা বা নারী বা মেয়ে মানুষ। আমাদের দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী এই কথাটি আমরা যেন বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ভুলে যাই। ইমানদারদের জন্য দুনিয়া হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আমলের জায়গা, ভোগবিলাসের জায়গা নয়। আর যারা আল্লাহকে ভুলে ভোগবিলাসে ব্যস্ত তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি। সহীহ হাদিসে জাহান্নামের বর্ণনা এসেছে এভাবে - আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঐদিন (হাশরের দিন) জাহান্নামকে এভাবে হাযির করা হবে যে এর সত্তুর হাজার লাগাম হবে। প্রত্যেক লাগামের সাথে সত্তুর হাজার ফেরেশতা তাকে টেনে নিয়ে যাবে। [সহীহ মুসলিম, অষ্টম খণ্ড, অধ্যায়-৫৩, হাদীস নং- ৬৯৬৮] আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের (ব্যবহৃত) আগুন জাহান্নামের আগুনের সত্তুর ভাগের একভাগ মাত্র। বলা হল, 'ইয়া রাসূলাল্লাহ! জাহান্নামীদের শাস্তির জন্য দুনিয়ার আগুনই তো যথেষ্ট ছিল।

আল্লাহর রাস্তায় এক টাকা খরচ করলে....

Image
  আল্লাহর রাস্তায় এক টাকা খরচ করলে আল্লাহ তাআ’লা সেটাকে ৭x১০০=৭০০ গুণ বা আরো বেশি গুণ বৃদ্ধি করেন। মহান আল্লাহর বাণীঃ “যারা নিজেদের ধন-সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে তাদের (দানের) উপমা একটি বীজের মত, যা সাতটি শীষ উৎপাদন করে, তার প্রত্যেক শীষে একশ শস্যদানা রয়েছে। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছে বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেন। আর আল্লাহ্‌ সর্বব্যাপী- প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।“ সুরা আল-বাক্বারাহঃ ২৬১। তাফসীরঃ এই আয়াতে বর্ণিত হয়েছে যে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআ’লার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে স্বীয় ধন-সম্পদ খরচ করে, সে বড়ই বরকত ও পুণ্য লাভ করে থাকে। তাকে সাতগুণ প্রতিদান দেওয়া হয়। তাই বলা হচ্ছে যে, যারা আল্লাহর পথে খরচ করে অর্থাৎ আল্লাহর যেকোন আদেশ পালনের জন্য, জিহাদের জন্য ঘোড়ার লালন-পালনে, অস্ত্র-শস্ত্র কেনার জন্য, নিজে হজ্ব করার কাজে কিংবা অপরকে হজ্ব করানো ইত্যাদি কাজে ধন-সম্পদ খরচ করে থাকে তাদের দানের উপমা হচ্ছে যেমন একটি শস্য বীজ। প্রত্যেক বীজে উৎপন্ন হয়ে থাকে সাতটি শীষ, আবার প্রত্যেক শীষে উৎপন্ন হয় একশো শস্যদানা। (সুবহা’নাল্লাহ), কি মনোমুগ্ধকর উপমা! একের বিনিময়ে সাতশো পাবে, মহান আল্লাহর সরাসরি এই কথা বলা

পবিত্র কুরআনে ১১ টা জিনিষের শপথ

Image
  ❖ পবিত্র কুরআনে ১১ টা জিনিষের শপথ করে আল্লাহ বলেছেন, "অবশ্যই সে সফলকাম হয়ে গেল"। তিনি কার ব্যাপারে এই সফলতার কথা বলেছেন? গতকালকের এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ যে নিজেকে পাপ থেকে পরিশুদ্ধ করেছে, যে নিজের নফস ও প্রবৃত্তিকে দুষ্কৃতি থেকে পবিত্র করে, যে সকল প্রকার অশ্লীলতা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখে এবং যে নফসের চাহিদা থেকে নিজেকে বিরত রাখে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা হচ্ছে, আল্লাহ্ তা‘আলা মানুষের মধ্যে গোনাহ ও ইবাদতের যোগ্যতা গচ্ছিত রেখেছেন, কিন্তু তাকে কোন একটি করতে বাধ্য করেননি; বরং তাকে উভয়ের মধ্য থেকে যে কোন একটি করার ক্ষমতা দান করেছেন । হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দো‘আ করতেন اللّٰهُمَّ آتِ نَفْسِيْ تَقْوَ اهَا وَزَ كِّهَا أَنْتَ خَيْرُ مَنْ زَكَّاهَا أَنْتَ وَلِيُّهَا وَمَوْ لَاهَا অর্থাৎ “হে আল্লাহ্ আমাকে তাকওয়ার তওফীক দান করুন এবং নাফসকে পবিত্র করুন, আপনিই তো উত্তম পবিত্রকারী। আর আপনিই আমার নাফসের মুরুব্বী ও পৃষ্ঠপোষক।” [মুসলিম: ২৭২২] তাকওয়া যেভাবে ইল্হাম হয়, তেমনিভাবে আল্লাহ্ তা‘আলা কোন কোন মানুষের পাপের কারণে তাদের অন্তরে পাপেরও ইল্হাম করে

ইসলামি দাম্পত্যবিধানে স্বামী-স্ত্রীর দায়িত্ব

Image
  প্রথম মানব ও প্রথম নবী হজরত আদম (আ.)–কে সৃষ্টি করার পর তিনি একাকিত্ব অনুভব করলেন। তাঁর অস্থিরতা দূর করার জন্য মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর সঙ্গী হিসেবে আদি মাতা বিবি হাওয়া (আ.)–কে সৃজন করলেন। এখান থেকেই শুরু যুগলবন্দী দাম্পত্যজীবনের। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের মহাপরিকল্পনায় বাবা আদম (আ.) ও মা হাওয়া (আ.) দুনিয়াতে এলেন। তাঁদের ঔরসজাত সন্তানেরাই পৃথিবী সাজিয়েছে। আর সে সময় থেকে ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে এই বিবাহবন্ধন ও দাম্পত্যবিধান। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনিই মহান সত্তা! যিনি তোমাদের এক ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন ও তা হতে তার জোড়া সৃষ্টি করেন; যাতে সে তার নিকট প্রশান্তি লাভ করে।’ (সুরা-৭ আরাফ, আয়াত: ১৮৯) মানসিক প্রশান্তি, পারিবারিক সমৃদ্ধি ও সামাজিক সহাবস্থানের জন্য দায়িত্বের বাইরেও নীতিগত কারণে ভালোবাসার প্রতিদানস্বরূপ কিছু কাজ করতে হয়। সমঝোতার ভিত্তিতে একে অন্যের সহযোগী হলে দাম্পত্যজীবন সহজ সুন্দর ও সুখের হয়   দাম্পত্যজীবন শরিয়তসিদ্ধ একটি আইনগত সম্পর্ক হলেও এর মূল হলো ভালোবাসা ও মায়া–মমতা। কোরআন মজিদের বর্ণনা, ‘এবং তার নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের নিজেদের মধ্য হতে জোড়া সৃষ্টি