Posts

Showing posts from June, 2019

ইতিহাসে অমর খন্দকের যুদ্ধ

Image
ইতিহাসে অমর খন্দকের যুদ্ধ ফেরদৌস ফয়সাল ইসলামের যুদ্ধগুলোর মধ্যে খন্দকের যুদ্ধ অন্যতম। ৫ হিজরির শাওয়াল মাসে খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে মক্কার কুরাইশ, মদিনার ইহুদি, বেদুইন, পৌত্তলিকেরা সম্মিলিতভাবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছিল। খন্দক শব্দের অর্থ পরিখা বা গর্ত। যেহেতু এ যুদ্ধে অনেক পরিখা খনন করা হয়, তাই এর নাম দেওয়া হয়েছে খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধ আহজাব নামেও পরিচিত। আহজাব অর্থ সম্মিলিত বাহিনী। নবীজি (সা.) মদিনায় আসার আগে সেখানে বড় দুটি ইহুদি সম্প্রদায় বসবাস করত। বনু নাজির ও বনু কোরায়জা। ইহুদিদের প্ররোচনায় কুরাইশ ও অন্যান্য গোত্র মদিনার মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। খন্দকের এই যুদ্ধ ছিল মদিনার ওপরে গোটা আরব সম্প্রদায়ের এক সর্বব্যাপী হামলা এবং কষ্টকর অবরোধের এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। এই যুদ্ধে শত্রুদের সৈন্যসংখ্যা ছিল ১০ হাজার, যা ছিল মদিনার মোট জনসংখ্যার চেয়ে বেশি। মুসলিম বাহিনীর সৈন্যসংখ্যা ছিল ৩ হাজার। কিন্তু তারা যে অভিনব যুদ্ধকৌশল অবলম্বন করে, তা শত্রুদের অজানা ছিল। ফলে তারা হতাশাগ্রস্ত ও পর্যুদস্ত হয়ে অবশেষে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। আবু সুফিয়ানের নেতৃত্

আপনার গন্তব্য ঢাকা থেকে মক্কায় নাকি মদিনায়

Image
আপনার গন্তব্য ঢাকা থেকে মক্কায় নাকি মদিনায় আপনার গন্তব্য ঢাকা থেকে মক্কায়, নাকি মদিনায়—তা জেনে নিন। যদি মদিনায় হয়, তাহলে এখন ইহরাম করতে হবে না। যখন মদিনা থেকে মক্কায় যাবেন, তখন ইহরাম করতে হবে। বেশির ভাগ হজযাত্রী আগে মক্কায় যান। যদি মক্কায় যেতে হয়, তাহলে ঢাকা থেকে বিমানে ওঠার আগে ইহরামের নিয়ত করা ভালো। কারণ, জেদ্দা পৌঁছানোর আগেই ‘মিকাত’ (ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট স্থান)। বিমানে যদিও ইহরামের নিয়ত করার কথা বলা হয়, কিন্তু ওই সময় অনেকে ঘুমিয়ে থাকেন; আর বিমানে পোশাক পরিবর্তন করাও দৃষ্টিকটু। বিনা ইহরামে মিকাত পার হলে এ জন্য দম বা কাফফারা দিতে হবে। তদুপরি গুনাহ হবে। ইহরাম করার পর সাংসারিক কাজকর্ম নিষেধ—যেমন সহবাস করা যাবে না, পুরুষদের জন্য কোনো সেলাই করা জামা, পায়জামা ইত্যাদি পরা বৈধ নয়, কথা ও কাজে কাউকে কষ্ট দেওয়া যাবে না, নখ, চুল, দাড়ি-গোঁফ ও শরীরের একটি পশমও কাটা বা ছেঁড়া যাবে না, কোনো ধরনের সুগন্ধি লাগানো যাবে না, কোনো ধরনের শিকার করা যাবে না, তবে ক্ষতিকারক প্রাণী মারা যাবে। ক্ষতি করে না এমন কোনো প্রাণী মারা যাবে না। ঢাকা বিমানবন্দরে যা করতে হবে উড্ডয়নের সময় অন

হজে যাচ্ছেন: কী করবেন, কীভাবে করবেন

Image
হজে যাচ্ছেন: কী করবেন, কীভাবে করবেন ফেরদৌস ফয়সাল জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ আগস্ট পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। এবার যাঁরা হজে যাচ্ছেন, তাঁদের প্রস্তুতি নিতে হবে এখনই। এ বিষয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমান জানালেন, এবার যাঁরা হজে যাচ্ছেন, তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা, টিকা দেওয়া, স্বাস্থ্যসনদ সংগ্রহ, হজের জন্য প্রয়োজনীয় মালপত্র সংগ্রহ করা দরকার। হজ পালনের প্রশিক্ষণও নিতে হবে। হজ প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য তথ্য ঢাকার আশকোনা হজ কার্যালয় থেকে জানা যাবে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় বইপুস্তক বা পরিচিত লোকজনের কাছ থেকেও হজবিষয়ক তথ্য জানতে পারেন। আর হজের প্রয়োজনীয় তথ্য www.hajj.gov.bd ঠিকানার ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। হজে যাচ্ছেন, আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করুন—‘হে আল্লাহ! আমার হজকে সহজ করো, কবুল করো’—দেখবেন, আপনার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। হজের দীর্ঘ সফরে ধৈর্য হারাবেন না। সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মানসিকতা রাখবেন, তাহলে অল্পতেই বিচলিত হবেন না। হজে যাওয়ার আগে পাসপোর্ট, বিমানের টিকিট সংগ্রহ ও তারিখ নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করতে ভু

মুঠোফোনে হজ গাইড

Image
মুঠোফোনে হজ গাইড বাংলাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক মুসলমান হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব যান। ভাষার ভিন্নতা, নতুন দেশ, নতুন পরিস্থিতির কারণে তাঁদের নানা সমস্যায় পড়তে হতে পারে। হজযাত্রীরা যাবেন পবিত্র মক্কা, মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায়। এ ছাড়া মদিনায় মসজিদে নববিতে নামাজ আদায় করবেন। মক্কা বা মদিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে একাধিকবার বাসা থেকে বেরোতে হবে। রাস্তা নতুন হওয়ায় অনেকেই পথ হারিয়ে ফেলেন। এ জন্য মুঠোফোনে অ্যাপ ব্যবহার করা ভালো। হজের দরকারি সব তথ্য পাওয়া সহজ করতে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বিজনেস অটোমেশন মুঠোফোনের জন্য হজ গাইড সফটওয়্যার তৈরি করেছে। এটি অ্যান্ড্রয়েডে চলা স্মার্টফোনে  চলে। ফোনটিতে সৌদি আরবের ইন্টারনেটসহ সিমকার্ড থাকতে হবে। গুগল প্লে–স্টোর থেকে অথবা হজের ওয়েবসাইট ( www.hajj.gov.bd )  থেকে হজ গাইড সফটওয়্যারটি নামানো যাবে। বিজনেস অটোমেশন লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক জাহিদুল হাসান জানালেন, এ সফটওয়্যারটি ইনস্টল করা হলে সেটিংস থেকে হাজি তাঁর প্রাক্-নিবন্ধন নম্বর (১০ সংখ্যার নম্বর), মোবাইল নম্বর লিখে নিবন্ধন করতে পারবেন। এটি একবারই করতে হয়। অ্যাপটিতে মক্কা-মদিনার সময়, হজে

হজের দিনগুলোতে মুঠোফোনের ব্যবহার

Image
হজের দিনগুলোতে মুঠোফোনের ব্যবহার শোয়েব আহমেদ হজ ব্যবস্থাপনার অনেকাংশই এখন তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর। তথ্যপ্রযুক্তিকে ব্যবহার করে হজের প্রাক্​-নিবন্ধন ও নিবন্ধন করছেন হজযাত্রীরা। ব্যাংকে হজ প্যাকেজের টাকা জমা দেওয়ার পর ব্যাংক থেকে নিবন্ধন সনদ পাচ্ছেন, যাতে প্যাকেজ সম্বন্ধে বিস্তারিত থাকছে। হজযাত্রীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ অনেক ভুল–বোঝাবুঝিকে দূর করে সার্বিক অভিজ্ঞতাকে উন্নততর করা সম্ভব হয়েছে। হজের ওয়েবসাইটে ট্র্যাকিং নম্বর দিয়ে সার্চ দিলে তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হচ্ছে। কিয়স্কের মাধ্যমে ট্রিটমেন্ট কার্ড প্রদানের ফলে সৌদি আরবে চিকিৎসাসেবা গ্রহণে কম সময় লাগছে। সৌদি আরবে হারানো হজযাত্রীদের সেবা প্রদান দ্রুততার সঙ্গে করা যাচ্ছে। আর এই সবই করা যায় মুঠোফোনের মাধ্যমে। প্রযুক্তির যেসব সেবা হজযাত্রীর পক্ষে তাঁর হজ এজেন্সি এবং বাংলাদেশ ও সৌদি সরকারের বিভিন্ন দপ্তর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করছে। ফলে সার্বিকভাবে তাঁর প্রশাসনিক কাজগুলোয় সময় কম লাগছে। তবে হজযাত্রী নিজে তাঁর মুঠোফোনে ‘হজগাইড’ অ্যাপের মাধ্যমে হজসং

ডায়াবেটিসের রোগীদের ফল খাওয়া

Image
ডায়াবেটিসের রোগীদের ফল খাওয়া এখন প্রচুর ফলের সমারোহ। কিন্তু এ সময় ডায়াবেটিসের রোগীদের অনেকে একটু মন খরাপ করেই থাকেন। আম, লিচু, কাঁঠাল, তরমুজ ইত্যাদি ফল খাওয়া কি তাঁদের একেবারেই নিষেধ? ব্যাপারটা তা নয়। আর সব খাবারের মতো ফলমূল খাওয়ার বেলায়ও তাঁদের হিসাব বজায় রাখতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীরা যেকোনো খাবার গ্রহণের আগে ভাবা উচিত সেই খাবারটির ক্যালরি মান কত, গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ও গ্লাইসেমিক লোড কেমন। কোন খাদ্য রক্তে সহসা কতটা শর্করা বাড়িয়ে দিতে পারে তার গাণিতিক হিসাব হলো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ও গ্লাইসেমিক লোড। জিআই ৫৫–এর নিচে হলে তাকে কম জিআইযুক্ত খাবার, ৫৬ থেকে ৬৯ হলে মধ্যম জিআই খাবার এবং ৭০–এর বেশি হলে তাকে উচ্চ জিআই খাবার বলা হয়। যে খাবারের জিআই যত কম, সেটা তত কম শর্করা বাড়ায়। আবার জিআইয়ের সঙ্গে খাবারের শর্করার পরিমাণ পূরণ করে তার শতাংশ করলে গ্লাইসেমিক লোড জানা যায়। এর ওপর ভিত্তি করে খাবারগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়: নিম্ন (১০ বা এর কম), মধ্যম (১১-১৯) এবং উচ্চ (২০ বা তার বেশি)। আসুন জেনে নিই একজন ডায়াবেটিসের রোগী দিনে কোন ফল কত পরিমাণে গ্রহণ করতে পারবেন। মনে রাখবেন। তাজা ফলমূলে আ

ইসলামের দ্বিতীয় যুদ্ধ ওহুদ

Image
ইসলামের দ্বিতীয় যুদ্ধ ওহুদ ফেরদৌস ফয়সাল ৩ হিজরির শাওয়াল মাসে ইসলামের দ্বিতীয় যুদ্ধ ওহুদ সংঘটিত হয়। মদিনার মসজিদে নববি থেকে উত্তরে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ওহুদের প্রান্তর। বদর যুদ্ধের ঠিক এক বছর পর ওহুদ যুদ্ধ হয়। মক্কার অমুসলিম ও মদিনার মুসলিমদের মধ্যে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। বদর যুদ্ধের পরাজয়ের শোক মক্কার জনগণ মানতে পারছিল না। ওই যুদ্ধে বেঁচে যাওয়া নেতারা পরামর্শ করলেন আবু সুফিয়ানের বাণিজ্য কাফেলায় যাঁদের ব্যবসা রয়েছে, তাঁরা শুধু মূলধন ফেরত পাবেন এবং লভ্যাংশের টাকায় সামরিক শক্তি অর্জন করে মুসলমানদের ওপর প্রতিশোধ নেওয়া হবে। ঘরে ঘরে যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। কিনানা ও তিহামা গোত্রের লোকেরা একেবারে প্রস্তুত হয়ে গেলেন। হাবশিরা বর্শা নিক্ষেপে পারদর্শী, তাঁদের তির লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় না। তাই ওয়াহশি নামের এক হাবশি ক্রীতদাসকে মুসলমানদের হত্যার বদলে মুক্তির প্রলোভন দেওয়া হয়। যুদ্ধের সার্বিক প্রস্তুতি শেষে মদিনার দিকে রওনা হয় আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে তিন হাজারের বেশি যোদ্ধা। তাদের মধ্যে ৭০০ যোদ্ধা ছিল বর্ম পরিহিত। ছিল ২০০ ঘোড়া ও ৩০০০ উট। সঙ্গে নেওয়া হলো নারীদের। তাদের কাজ ছিল গানে গানে যোদ্ধ

শাওয়াল মাসের আমল ও ছয় রোজার ফজিলত

Image
শাওয়াল মাসের আমল ও ছয় রোজার ফজিলত শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী রমজানের পরের মাস শাওয়াল। রমজানে পূর্ণ মাস রোজা পালন করা ফরজ, শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখা সুন্নত। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘যখন তুমি (ফরজ দায়িত্ব পালন থেকে) অবসর হবে, তখন (নফল ইবাদতের মাধ্যমে) তোমার রবের প্রতি মনোনিবেশ করো’ (সুরা-৯৪ ইনশিরাহ, আয়াত: ৮)। শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যারা রমজানে রোজা পালন করবে এবং শাওয়ালে আরও ছয়টি রোজা রাখবে, তারা যেন সারা বছরই রোজা পালন করল’ (মুসলিম, হাদিস: ১১৬৪; আবু দাউদ, হাদিস: ২৪৩৩; তিরমিজি, নাসায়ি, ইবনে মাজাহ, সহিহ্-আলবানি)। শাওয়াল হলো আরবি চান্দ্র বছরের দশম মাস। এটি হজের তিন মাস—শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজের প্রথম মাস; এই মাসের প্রথম তারিখে ঈদুল ফিতর বা রমজানের ঈদ। পয়লা শাওয়াল সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা আদায় করা এবং ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব। এই মাসের সঙ্গে হজের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, এর সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে ঈদের; এর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে রোজা ও রমজানের এবং এর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সদকা ও জাকাতের। তাই এই মাস আমল ও ইবাদতের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এক বর্ণনায় রয়েছে

তাওহীদ ও ঈমান

Image
তাওহীদ ও ঈমান তাবলীগের কাজই হলো ঈমানের দিকে ডাকা। ঈমানকে পাকাপোক্ত করা। নিজের ও অন্যের একত্ববাদে বিশ্বাসকে দৃঢ় করা। তাই ঈমানের জন্য জরুরি হলো, এক দিকে যেমন তাওহীদের স্বীকৃতি দিতে হবে অন্য দিকে সব ধরনের শিরকের বিষয়ে নারাজীর ঘোষণাও দিতে হবে। কারো হৃদয়ে ঈমানের সাথে শিরকের সহাবস্থান সম্ভব নয়। তাইফের লোকেরা, যারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে ফিরিয়ে দিয়েছিল তারা পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললো, হে রাসূল! আমরা তো ঈমান আনতে চাই তবে একটা শর্ত, বহু দিন থেকে দেবী মূর্তিগুলোর বিশেষ করে লাত দেবীর পূজা করে আসছি হঠাৎ করে তা ছেড়ে দিই কী করে? আমাদের তিন বছর সময় দিন আল্লাহরও ইবাদত করবো এবং লাতেরও পূজা দিব, ক্রমে মূর্তি পূজা ছেড়ে দেবো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিষ্কার না করে দিলেন। তারা দুই বছর পরে এক বছরের অবকাশ প্রার্থনা করলো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে অবকাশ দিতেও অস্বীকৃতি জানালেন। শেষ পর্যন্ত তারা আরজ করলো অন্তত এক মাসের অবকাশ দিন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক দিনের জন্য,

তোমাদের পাপ পুণ্যে পরিণত করে দিলাম

Image
তোমাদের পাপ পুণ্যে পরিণত করে দিলাম তোফায়েল গাজালি হতে পারে আজই রহমতের মাসের শেষ দিন। আজকের প্রতিটি মুহূর্ত স্মরণ করিয়ে দেবে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত লাভের সুযোগ বয়ে যাচ্ছে। মাওলার রহমতে সিক্ত হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ যারা হেলায় পার করেছেন তাদের জন্য দুঃখ করা ছাড়া কী থাকতে পারে? এ প্রসঙ্গে একটি হাদিস উল্লেখযোগ্য। হজরত আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন মহানবী (সা.) মিম্বরে ওঠার সময় প্রথম সিঁড়িতে পা রেখে বললেন ‘আমিন’, দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রেখে আবার বললেন ‘আমিন’, তৃতীয় সিঁড়িতেও পা রেখে বললেন ‘আমিন’। এভাবে তিনবার ‘আমিন’ বলার তাৎপর্য সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন সাহাবায়ে কেরাম। জবাবে হজরত নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, আমি যখন মিম্বরের প্রথম সিঁড়িতে পা রাখলাম, তখন জিবরাইল এসে আমাকে জানালেন, যে ব্যক্তি আপনার নাম শুনেও দরুদ পাঠ করে না, তার প্রতি আল্লাহর অভিশাপ। আমি বললাম, ‘আমিন’। তিনি আবার বললেন, যে ব্যক্তি মাতা-পিতা দু’জনকে কিংবা একজনকে বৃদ্ধ বয়সে পেয়েও তাদের খেদমতের বদৌলতে জান্নাতের উপযুক্ত হতে পারল না, তার প্রতি আল্লাহর অভিশাপ। আমি বললাম, ‘আমিন’। তারপর জিবরাইল (আ.) বললেন, যে ব্যক্

তওবার মাধ্যমে পাপমুক্তি

Image
তওবার মাধ্যমে পাপমুক্তি ফেরদৌস ফয়সাল রমজান মাসে বিশুদ্ধ তওবার মাধ্যমে রোজাদারের পাপমুক্তি, ক্ষমাশীলতা ও নাজাত প্রাপ্তির পথ সুগম রাখা হয়েছে। তওবার আক্ষরিক অর্থ ফিরে আসা। ইসলামি শরিয়তে এর অর্থ অতীত পাপকাজ থেকে ফিরে আসা এবং ভবিষ্যতে তা না করার দৃঢ়সংকল্প করা। প্রকৃত তাৎপর্য হলো আন্তরিক অনুশোচনা। অর্থাৎ, তওবা করে পাপাচার ত্যাগ করে পূর্বাবস্থায় ফিরে এসে সৎ পথে চলা। শরিয়তের পরিভাষায় শয়তানের প্ররোচনায় কোনো পাপকাজ করে ফেললে তা বুঝে আসামাত্র দুঃখিত, অনুতপ্ত ও লজ্জিত হয়ে তা তাৎক্ষণিক পরিত্যাগ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এই প্রতিজ্ঞা করা যে ভবিষ্যতে তা আর কখনোই করব না। কোরআনের একটি পূর্ণাঙ্গ সুরার নামকরণ করা হয়েছে সুরা তওবা। এ ছাড়া সুরা নুর, সুরা তাহরিম, সুরা বাকারা, সুরা ফুরকানসহ কোরআনের আরও অনেক স্থানে তওবা এবং এর গুরুত্ব উল্লেখ করা হয়েছে। ইস্তিগফার অর্থ হলো ক্ষমা প্রার্থনা করা। সব সময় ইস্তিগফার পড়লে আল্লাহ ৫টি জিনিস দেন—১. বিপদ থেকে উদ্ধার করেন, ২. টেনশনমুক্ত রাখেন, ৩. রিজিকের ব্যবস্থা করেন, ৪. কোনো আজাব দেন না, ৫. দোয়া করলে তা কবুল করেন। আসতাগফিরুল্লাহ হচ্ছে সবচেয়ে ছোট

আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর

Image
আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর তোফায়েল গাজালি আজকের রাত বা রমজানের ২৭তম রাত সাধারণভাবে লাইলাতুল কদর বা কদরের রাত হিসেবে পরিচিত। লাইলাতুল কদর অর্থ সম্মানের রাত। সূরা কদরে ঘোষণা করা হয়েছে- লাইলাতুল কদরের মর্যাদা হাজার মাসের চেয়ে বেশি। এক দিন প্রিয় নবী (সা.) এ ভেবে অস্থির হচ্ছিলেন যে, আগের নবীর উম্মতেরা দীর্ঘজীবন পেতেন। ফলে তারা অনেক বেশি ইবাদত বন্দেগির সুযোগ পেতেন। কিন্তু শেষ নবীর উম্মতের জীবন খুবই সীমিত। এত অল্প সময়ের ইবাদতে তারা মাবুদের কাছে উচ্চ মর্যাদা লাভ করবেন কিভাবে। তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে সূরা কদরের উপহার নিয়ে উপস্থিত হন হজরত জিবরাইল (আ.)। শান্ত হন রাহমাতাল্লিল আলামিন (সা.) ও তার সাহাবিরা। আল্লাহতায়ালা এ রাতেই মহাগ্রন্থ আল কোরআন নাজিল করেছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তেমনি এ রাতটির মর্যাদা হাজার মাসের চেয়ে বেশি বলেও ঘোষণা করেছেন। কিন্তু রাত কোনটি তা বলে দেননি। হাদিস শরিফেও নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি কোনটি কদরের রাত। নিঃসন্দেহে এতে অনেক রহস্য ও তাৎপর্য রয়েছে। হয়তো আল্লাহতায়ালা ও তার রাসূল (সা.) চাননি মুসলমানরা একটি রাতের ভরসায় বসে থেকে সারা বছর বা সারা মাস অবহেলায় কাটিয়ে দিক। এজ