পোস্টগুলি

আপনার আমলই আপনার মুক্তি

ছবি
  আপনার আমলই আপনার মুক্তি || ------------------------------------------------------ জান্নাতকে আকর্ষণীয় করে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু জান্নাত পাওয়ার জন্য যে কাজগুলো করতে হয়, সেগুলোকে অনাকর্ষণীয় করে ডিজাইন করা হয়েছে। আবার জাহান্নামকে অনাকর্ষণীয় করে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু যে কাজগুলো মানুষকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে সেগুলোকে আকর্ষণীয় করে ডিজাইন করা হয়েছে। যেটা আমরা জিব্রাইল (আ)কে জান্নাত জাহান্নাম দেখানোর হাদিস থেকে জানি। মানুষের দুনিয়াবী কাজগুলোই শেষ পর্যন্ত হয় জান্নাতের নেয়ামত অথবা জাহান্নামের শাস্তিতে পরিণত হবে। এ আয়াতগুলোর দিকে লক্ষ্য করুন। وَذُوۡقُوۡا عَذَابَ الۡخُلۡدِ بِمَا كُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ‏ - তোমরা চিরস্থায়ী শাস্তি আস্বাদন করতে থাক, তোমরা যা করতে তার জন্য। (৩২:১৪) وَتِلۡكَ الۡجَنَّةُ الَّتِىۡۤ اُوۡرِثۡتُمُوۡهَا بِمَا كُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ‏ - এটাই জান্নাত, তোমাদেরকে যার অধিকারী করা হয়েছে, তোমাদের কর্মের ফল স্বরূপ। (৪৩:৭২) كُلُوۡا وَاشۡرَبُوۡا هَـنِٓـيـْئًا ۢ بِمَا كُنۡـتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَۙ‏ - "তোমরা যা করতে তার প্রতিফল স্বরূপ তোমরা তৃপ্তির সাথে পানাহার করতে থাক।" (৫২:১৯) س...

সূরা কাহাফের চারটি ঘটনা এবং মুসলিম উম্মাহর রাজনৈতিক অবস্থা

ছবি
  সূরা কাহাফের চারটি ঘটনা এবং মুসলিম উম্মাহর রাজনৈতিক অবস্থা ---------------------- * --------------------- এখন, আমি মানাজির আহসান গিলানির মাথানষ্ট করা বিস্ময়কর কিছু চিন্তাভাবনা শেয়ার করবো। রেডি আপনারা? মানাজির রাহিমাহুল্লাহ? উহ! এই মানুষটার চিন্তাধারা ছিল অন্য লেভেলের। আল্লাহ তার জন্য চিন্তার দরজাগুলো উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। শুনুন তাহলে এ সূরা নিয়ে উনার চিন্তাধারা। খুবই এপিক! তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের জানিয়েছেন এই উম্মাহ কতগুলো পর্যায় অতিক্রম করবে। প্রথম স্টেজটা হলো- খিলাফা আলা মিনহাজিন নবুওয়্যাহ। এ সময়টা ছিল প্রথম পাঁচ খলিফার সময়কাল। (আবু বকর, ওমর, ওসমান, আলীর খিলাফতকাল। এবং হাসান (রা) এর সংক্ষিপ্ত সময়কাল।) এটা ছিল শান্তির সময়, সমৃদ্ধির সময় ও সম্প্রসারণের সময়। এরপর আসবে রাজতন্ত্র। এটা হবে কিছুটা কঠোর শাসনকাল। এ সময়টা ছিল উমাইয়া, আব্বাসীয়, অটোমান ইত্যাদি শাসনকাল। এরপর কিছুকাল অন্যরা আমাদের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবে। এ সময়টাও আমরা প্রায় পার করে এসেছি। যখন ইউরোপীয়রা আমাদেরকে ঔপনিবেশিক শাসনে আবদ্ধ করে রেখেছিলো। বিশেষ করে ফ্রেঞ্চ এবং ব্রি...

ইসরাইলিদের আগে দুইবার ভয়ঙ্কর শাস্তি দেওয়া হয়েছিল

ছবি
  ইসরাইলিদের আগে দুইবার ভয়ঙ্কর শাস্তি দেওয়া হয়েছিল ----------------------------------------------- আল্লাহ তায়ালা বলেন— আমি কিতাবের মাধ্যমে বনী ইসরাঈলকে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে, তোমরা অবশ্য অবশ্যই পৃথিবীর বুকে দু’ দু’বার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং ঔদ্ধত্য দেখাবে মারাত্মকভাবে। অতঃপর যখন এ দু’য়ের প্রথম ওয়াদা আসল, তখন আমি তোমাদের উপর আমার কিছু বান্দা পাঠালাম, যারা কঠোর যুদ্ধবাজ। অতঃপর তারা ঘরে ঘরে ঢুকে ধ্বংসযজ্ঞ চালাল। আর এ ওয়াদা পূর্ণ হওয়ারই ছিল। অতঃপর আমি তোমাদেরকে তাদের উপর বিজয় দান করলাম আর তোমাদেরকে ধন-সম্পদ আর সন্তানাদি দিয়ে সাহায্য করলাম, তোমাদেরকে জনবলে বহুগুণ বাড়িয়ে দিলাম। তোমরা ভাল কাজ করলে নিজেদের কল্যাণের জন্যই তা করবে, আর যদি তোমরা মন্দ কাজ কর, তাও করবে নিজেদেরই জন্য। অতঃপর যখন দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি পূরণের সময় আসলো, (তখন অন্য বান্দাদের প্রেরণ করলাম) যাতে তারা তোমাদের চেহারাসমূহ মলিন করে দেয়, আর মাসজিদে (আকসায়) ঢুকে পড়ে যেভাবে তারা সেখানে প্রথমবার ঢুকে পড়েছিল, আর তাদের সম্মুখে যা পড়ে তাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয়। (এরপরও) হয়তো তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের প্রতি দয়া করবেন, কিন্তু ...

বুদ্ধিমানদের জন্য বহু নিদর্শন

ছবি
  আপনার বন্ধুরা যদি আপনাকে বুদ্ধিমান বলে খুব ভাল লাগে তখন, তাই না? আরও ভালো লাগে যখন আপনার শিক্ষকেরাও আপনার সম্পর্কে বলে-- "আরে ও তো খুবই বুদ্ধিমান ছেলে বা ও তো খুবই বুদ্ধিমতী মেয়ে।" এমনকি বাবা মা বা পরিবারের লোকজনও যদি মনে করে যে, আমাদের পরিবারে অমুক সবচেয়ে বুদ্ধিমান। তখন ব্যাপারটা আপনার মনে এক ধরনের তৃপ্তি এনে দেয়। আল্লাহ আমাদের অহংকার থেকে রক্ষা করুন। এখন, ভেবে দেখুন তো? যদি বিলিয়ন বিলিয়ন গ্যালাক্সির সৃষ্টিকর্তা, সাত আসমানের প্রভু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আপনাকে বুদ্ধিমান বলেন তখন অনুভূতিটা কেমন হবে? কল্পনা করা যায়? কুরআনে আল্লাহ কাদেরকে বুদ্ধিমান বলেছেন জানেন? আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন- اِنَّ فِیۡ خَلۡقِ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ اخۡتِلَافِ الَّیۡلِ وَ النَّهَارِ لَاٰیٰتٍ لِّاُولِی الۡاَلۡبَابِ - নিশ্চয়ই আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিতে এবং রাত্র ও দিনের আবর্তনে বুদ্ধিমানদের জন্য বহু নিদর্শন আছে। الَّذِیۡنَ یَذۡکُرُوۡنَ اللّٰهَ قِیٰمًا وَّ قُعُوۡدًا وَّ عَلٰی جُنُوۡبِهِمۡ وَ یَتَفَکَّرُوۡنَ فِیۡ خَلۡقِ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ۚ رَبَّنَا مَا خَلَقۡتَ هٰذَا بَا...

যা চিরকাল রয়ে যাবে

ছবি
  ড. আকরাম নদভীর কাছে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" এর পর সবচেয়ে প্রিয় বাক্যটি হলো ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের এ কথাটি-- " لَاۤ اُحِبُّ الۡاٰفِلِیۡنَ লা উহিব্বুল আফিলিন। (৬:৭৬) যা অস্তমিত হয়ে যায় আমি তা ভালোবাসি না।" যা শেষ হয়ে যায় আমি তা ভালোবাসি না। যা হারিয়ে যায় আমি তা ভালোবাসি না। যে মেয়েটির রূপ লাবণ্য দেখে আপনি এখন মুগ্ধ সে একদিন বৃদ্ধ হয়ে পড়বে এবং মরে যাবে। যে ছেলেটির শক্তি এবং ব্যক্তিত্ব দেখে আপনি মগ্ন সেও একদিন হারিয়ে যাবে। যে সাম্রাজ্যের ক্ষমতা দেখে আপনি অভিভূত সে সাম্রাজ্যটিও একদিন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। যে বাড়িটির বিলাসিতা দেখে আপনি চমৎকৃত সেটিও একদিন ধুলোমনিল হয়ে ভেঙে পড়বে। এভাবে এ জগতের সবকিছু। একমাত্র যার কোনো ক্ষয় নেই, যিনি কোনোদিন শেষ হয়ে যাবেন না তিনি হলেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। کُلُّ مَنۡ عَلَیۡهَا فَانٍ - পৃথিবী পৃষ্ঠে যা আছে সবই ধ্বংসশীল, وَّ یَبۡقٰی وَجۡهُ رَبِّکَ ذُو الۡجَلٰلِ وَ الۡاِکۡرَامِ - "কিন্তু চিরস্থায়ী তোমার প্রতিপালকের চেহারা—যিনি মহীয়ান, গরীয়ান।" (৫৫:২৬-২৭) আর আল্লাহ জান্নাতের নেয়ামতরাজিকে চিরস্থায়ী করে বানিয়েছেন। হ্যাঁ, ...

ইবাদতে তিনটি আবেগ

ছবি
  ইবাদতে তিনটি আবেগ : ভালোবাসা, ভয় ও আশা আগেকার যুগের বহু আলেমেরা বলতেন, আল্লাহ্‌ তাআলার ইবাদত করা হয় মূলত তিনটি আবেগের উপর ভিত্তি করে: [১] আল-হুব (ভালোবাসা) [২] খাউফ (ভয়) এবং [৩] রজা (আশা) আমরা আল্লাহর ইবাদত করি, কারণ আমরা আল্লাহকে ভালোবাসি। আমরা আল্লাহর ইবাদত করি, কারণ আমরা আল্লাহর শাস্তিকে ভয় করি। আমরা আল্লাহর ইবাদত করি, কারণ আমরা আল্লাহর প্রতি এবং তাঁর দয়ার প্রতি আশাবাদী। এই আশা ধরে রাখার কয়েকটি বিষয় রয়েছে। এক—আমাদের ভালো কাজের জন্য আল্লাহর কাছে পুরস্কার আশা করা। আমরা যদি দান করি, আমাদের আশা আছে যে আল্লাহ এই দান কবুল করে আমাদেরকে পুরস্কৃত করবেন। যদি মানুষের সাথে ভালো আচরণ করি, নামাজ পড়ি, রোজা রাখি, অর্থাৎ যেকোনো ভালো কাজই করি না কেন—আমাদের আশা আছে আল্লাহ আমাদেরকে এই সমস্ত কাজের জন্য পুরস্কার দিবেন। এই ভালো কাজের সর্বোচ্চ আশার পর্যায় হলো আল্লাহর জান্নাতের প্রত্যাশা রাখা। এই আশা করা যে আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। দুই—এই আশা করা যে আল্লাহ আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দিবেন। হ্যাঁ, প্রত্যেক ঈমানদারের আল্লাহর দয়ার প্রতি আশা থাকা উচিত। আল্লাহ যে ক্ষমা করে দ...

মানব জাতির প্রতি আল্লাহর নাযিলকৃত সর্বশেষ শব্দ কী?

ছবি
  এরকম আশাদায়ক কথা সম্ভবত আগে কখনো শুনেন নাই। ------------------------------------------------ নিজের পাপের কারণে আল্লাহর শাস্তির ভয় করবেন, কাঁদবেন, বারবার আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন কিন্তু কখনোই একদম হতাশ হয়ে যাবেন না। আশার আলোটা সবসময় অন্তরে প্রজ্বলিত রাখবেন। কারণ, আমাদের ধর্মে আল্লাহর ক্ষমা পাওয়ার আশা থেকে একদম হতাশ হয়ে পড়ার অনুমতি নেই। আপনি যদি তাওবা করেন, অনুতপ্ত হোন, নিজেকে শুধরে নেন আপনিও জান্নাতের স্বপ্ন দেখতে পারেন। খুবই বিস্ময়কর এবং চরম আশাব্যঞ্জক একটি ব্যাপার জানাচ্ছি। জানেন? মানব জাতির প্রতি আল্লাহর নাযিলকৃত সর্বশেষ শব্দ কী? আল্লাহর নাম তাউওয়াব। অর্থাৎ, যিনি বারবার তাওবা কবুল করেন। কুরআনের সমাপ্তি হয়েছে আল্লাহর নাম তাউওয়াব বলার মাধ্যেম। এটা খুবই খুবই গভীর একটি ইঙ্গিত বহন করে। চিন্তা করে দেখুন। সর্বশেষ যে শব্দ আল্লাহ মানবজাতির প্রতি প্রেরণ করেছেন তা ছিল তাঁর নাম তাউওয়াব। আমরা কীভাবে এটা জানি? কারণ, সবার শেষে কোন সূরাটি নাযিল হয়? "ইজা জায়া নাসরুল্লাহি ওয়াল ফাতহ। ওয়া রাআইতান নাসা ইয়াদখুলুওনা ফিই দিই নিল্লাহি আফওয়াজা, ফাসাব্বিহ বিহামদি রাব্বিকা ওয়াস তাগফিরহু, ইন্নাহু...