Posts

হজরত দাউদ (আ.)

Image
  হজরত দাউদ (আ.) নবী ও বাদশাহ ছিলেন। নবী হিসেবে তিনি আল্লাহর কাছ থেকে যে প্রত্যাদেশ পান, সেগুলোর সংকলন হলো জাবুর। জাবুর ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ। কোরআনের অনেকগুলো সুরায় দাউদ (আ.)–এর কথা উল্লেখ আছে। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত দাউদ (আ.) ছিলেন আল্লাহভক্ত সাধক এবং লৌহবর্ম নির্মাণের মাধ্যমে জীবিকা অর্জনকারী স্বনির্ভর নবী। লোহা তাঁর হাতে নমনীয় হয়ে যেত। তাঁর কণ্ঠস্বর ছিল অসম্ভব মিষ্টি। তাঁর পাঠ শুনে সবাই মুগ্ধ হতো। পাহাড়, তরুলতা, পশুপাখি এরাও তাঁর সঙ্গে উপাসনায় যোগ দিত। আল্লাহ পাহাড়-পর্বত ও পক্ষীকুলকে তাঁর প্রভাবাধীন করে দিয়েছিলেন। সুরা বাকারায় আছে, দাউদ (আ.) জালুতকে হত্যা করেন। এ সুরায় আল্লাহ্‌র তাঁকে কর্তৃত্ব ও হিকমত দানের কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ দাউদ (আ.)–কে বিপুল শক্তি ও ক্ষমতা দিয়েছিলেন। যুবক বয়স থেকেই তিনি ছিলেন মেধাবী ও বীর। খুব অল্প বয়সেই তিনি তালুতের নেতৃত্বে পরিচালিত যুদ্ধে কুখ্যাত যুদ্ধবাজ জালুতকে হত্যা করেছিলেন। কোরআনে মহান আল্লাহ সে ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন। কোরআনে আছে, ‘সুতরাং তখন তারা আল্লাহর অনুমতিক্রমে তাদের পরাজিত করল। দাউদ জালুতকে বধ করল ও আল্লাহ তাকে কর্তৃত্ব ও হিকমত দান করলেন এব

শানে নুযূল free PDF মাহমুদ ইবনে জামিল মিসরী

Image
  শানে নুযূল PDF মাহমুদ ইবনে জামিল মিসরী click above শানে নুযূল PDF মূল সংকলক: মাহমুদ ইবনে জামিল মিসরী অনুবাদ মাওলানা ফজলুদ্দীন শিবলী সম্পাদনা মাওলানা মোহাম্মদ লিয়াকত আলী হামিদিয়া লাইব্রেরী

মহানবী (সা.)–র কোন জীবনী পড়বেন

Image
  নবীজি (সা.)–র কোন জীবনীটা উত্তম, এমন প্রশ্ন প্রায়ই শোনা যায়। একেক সময় একেকজনকে একেক বইয়ের কথা বলতে হয়। প্রশ্নকর্তার অবস্থা বুঝে উত্তর দেওয়া হয়। তবে কোন জীবনীটা পড়ব—এই প্রশ্নের আগে নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত, আমি নবীজীবনী কেন পড়তে চাই? কীভাবে পড়তে চাই? তাঁর ধারাবাহিক জীবনী জানতে? তিনি কেমন ছিলেন সেটা জানতে? তাঁর মোজেযা বা অলৌকিক ঘটনাবলি জানতে? নাকি আরও গভীর কিছু? নবীজি (সা.)–কে জানার জন্য মোটা দাগে পাঁচ ধরনের বই আছে। ১. ধারাবাহিক জীবনী এ ধরনের জীবনীকে বলে সিরাত। একসময় বলা হতো ‘মাগাজি’ বা ‘সিয়ার’। নবীজি (সা.)–এর জন্মপূর্ব সময়, জন্ম ও বংশ পরিচয়, বেড়ে ওঠা, বিয়ে, নবুয়ত, মক্কাত্যাগ, মদিনা, সন্ধি, যুদ্ধ, মক্কা বিজয়—এই ধারাক্রমে যেসব বই লেখা তাকে ‘সিরাত’ গ্রন্থ বলে। যদি এভাবে জানা আপনার উদ্দেশ্য হয়, তাহলে আপনি পড়তে পারেন নীচের যে-কোনওটি: ক. সফিউর রহমান মোবারকপুরির লেখা  আর রাহিকুল মাখতুম । দারুল হুদা কুতুবখানা থেকে প্রকাশিত মীযান হারুনের অনুবাদ অথবা আয-যিহান পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত কাজী আবুল কালাম সিদ্দিকের অনুবাদ পড়তে পারেন। খ. আবুল হাসান আলি নদভির লেখা  নবীয়ে রহমত । বাংলায় এর একটা অনুবাদই

ফজরের নামাজের বিশেষ ফজিলত

Image
  ফজরের বিশেষ গুরুত্ব যেমন নামাজের মধ্যে আছে, তেমনি সময়ের মধ্যেও। কোরআনে সুরা ফজরের শুরুতে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, শপথ ফজরের। (সুরা ফজর, আয়াত: ১) ফজরের নামাজ পড়ার কয়েকটি উপকারের কথা জানা যাক, ১. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে জামাতের সঙ্গে এশার নামাজ আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত নফল নামাজ আদায় করল। আর যে ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করল, সে যেন সারা রাত জেগে নামাজ আদায় করল।’ (মুসলিম, হাদিস: ১,৩৭৭) ২. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া ও তার সবকিছুর চেয়ে উত্তম।’ (মুসলিম, হাদিস: ১,৫৭৩)  ৩. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ফজরের নামাজ আদায় করল সে মহান আল্লাহর রক্ষণাবেক্ষণের অন্তর্ভুক্ত হলো।’ (মুসলিম, হাদিস: ১,৩৭৯) ৪. রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘সেই মানুষটি জাহান্নামে যাবে না, যে সূর্যোদয়ের আগের এবং সূর্যাস্তের আগের অর্থাৎ ফজর ও আসরের নামাজ আদায় করে। (মুসলিম, হাদিস: ১,৩২২) ৫. রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুনাফিকদের জন্য ফজর ও এশার চেয়ে বেশি ভারি কোনো নামাজ নেই। এ দুই নামাজের ফজিলত যদি তারা জানত, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা উপস্থিত হতো।’ (বুখারি, হাদিস: ৬৫৭) ৬. খলিফা হজর

প্রতিবেশীর অধিকার

Image
  প্রতিবেশীর সঙ্গে অবশ্যই উত্তম ব্যবহার করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ইমান রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীর সঙ্গে সদ্ব্যবহার করে। মানুষ একাকী বাস করে না। প্রতিবেশীর সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ, আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল আচরণের মধ্য দিয়ে তাকে বাঁচতে হয়। এ জন্য প্রতিবেশীর অধিকার ও মর্যাদার প্রতি ইসলামে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হজরত হাসান (র.) বর্ণনায় আছে, প্রতিবেশী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছেন, নিজের ঘর থেকে সামনের ৪০টি, পেছনের ৪০টি, ডানপাশের ৪০টি এবং বাঁপাশের ৪০টি ঘরের অধিবাসীই প্রতিবেশী। প্রতিবেশীর ব্যাপারে রাসুল (সা.)–কে জিবরাইল (আ.) বারবার তাগিদ দিতেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘জিবরাইল (আ.) এসে আমাকে প্রতিবেশীর ব্যাপারে অবিরত উপদেশ দিতে থাকতেন। এমনকি মনে হতো যে সম্ভবত তিনি প্রতিবেশীকেই উত্তরাধিকারী বানিয়ে দেবেন। প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া ও নির্যাতন করে গৃহত্যাগে বাধ্য করা গুনাহের কাজ। হজরত সাওবান (রা.) প্রায়ই বলতেন, যে প্রতিবেশী তার কোনো প্রতিবেশীকে নির্যাতন করে বা তার সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করে, যাতে সে ব্যক্তি গৃহত্যাগে বাধ্য হয়; সে ব্যক্তি নিশ্চিত ধ্বংসের মধ্যে পতিত হ

ঋণ মুক্তির আমল

Image
  একবার এক লোক ঋণ পরিশোধের জন্য ইসলামের চতুর্থ খলিফা হজরত আলী (রা.)–এর কাছে কিছু সাহায্য চাইলেন। আলী (রা.) তাঁকে বললেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে কয়েকটি শব্দ শিখিয়ে দিয়েছিলেন, আমি কি তোমাকে সেটা শিখিয়ে দেব? সেটা পড়লে আল্লাহ তোমার ঋণমুক্তির দায়িত্ব নেবেন। তোমার ঋণ যদি পর্বতপ্রমাণ হয়, তাহলেও।’ এরপর আলী (রা.) ওই ব্যক্তিকে কথাগুলো শিখিয়ে দিলেন, ‘আল্লাহুম্মাক ফিনি বি হালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’ অর্থাৎ, হে আল্লাহ, হারামের পরিবর্তে তোমার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট করো। আর তোমাকে ছাড়া আমাকে কারও মুখাপেক্ষী কোরো না এবং তোমার অনুগ্রহ দিয়ে আমাকে সচ্ছলতা দান করো। (তিরমিজি, হাদিস: ৩,৫৬৩; মুসনাদে আহমদ: ১,৩২১) আর্থিক দুরবস্থায় পড়লে মানুষ ঋণ নিতে বাধ্য হয়। ঋণের টাকায় প্রয়োজন পূরণের চেষ্টা করে। তবে সাধ্যের বাইরে ঋণ দেওয়া-নেওয়া দুটিই ইসলাম নিষেধ করেছে। কারণ, তাতে সময়মতো ঋণ পরিশোধের সম্ভাবনা কমে যায়। এর ফলে ঋণদাতাকে যেমন হতাশাগ্রস্ত হয়, ঋণগ্রহীতার আত্মমর্যাদাও ক্ষতির শিকার হয়। মহানবী (সা.) আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন যাতে তিনি ঋণে জড়িয়ে না পড়েন। হজরত আয়েশা (রা.) বল

জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম মুক্তির পথ

Image
  হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) নামে একজন সাহাবি ছিলেন। তিনি ছিলেন মদিনা মনোয়ারার একটি মসজিদের ইমাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে ইয়েমেনের কাজি হিসেবে নিয়োগ করেন। মুআজ (রা.) যেদিন কর্মস্থলে রওনা দেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)–ও তাঁকে পায়ে হেঁটে বেশ কিছু পথ এগিয়ে দিতে আসেন। মুআজ (রা.) অত্যন্ত লজ্জিত হয়ে বললেন, ‘আপনি সওয়ারিতে আরোহণ করুন।’ নবীজি (সা.) বলেন, ‘আমি তোমার প্রতি নয়, তোমার জ্ঞানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করছি।’ নবীজি (সা.) যখন মুআজ (রা.)-কে বিদায় জানাচ্ছিলেন, তাঁকে খুব চিন্তিত দেখাচ্ছিল। তিনি বলছিলেন, ‘হে মুআজ, সম্ভবত আমার সঙ্গে তোমার আর সাক্ষাৎ হবে না।’ বাস্তবে ঘটেছিল তা–ই। হজরত মুআজ (রা.) ইয়েমেন থেকে ফিরে আসেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ইন্তেকালের পর। মুআজ (রা.)–কে বিদায় জানাতে গিয়ে সর দিন রাসুলুল্লাহ (সা.) একটি বক্তব্য দেন। হজরত মুআজ (রা.) বিদায়কালে বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনি এমন একটি পথ বাতলে দিন, যাতে আমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি। জাহান্নাম থেকে নাজাত পেতে পারি।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘মুআজ, তুমি আমাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন করেছ। আল্লাহ অবশ্য এটি যার জন্য সহজ করে দেন, তা