Posts

Showing posts from September, 2019

ঘুমানোর আগে গুরুত্বপূর্ণ ৭টি সুন্নতী আমল (ঘুম হোক ইবাদত!)

Image
ঘুমানোর আগে গুরুত্বপূর্ণ ৭টি সুন্নতী আমল (ঘুম হোক ইবাদত!) ১. আয়াতুল কুরসী পাঠ করা – ১ বার। ঘুমানোর পূর্বে আয়াতুল কুরসী পাঠ করার ফযীলতঃ ক. সকাল পর্যন্ত তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন হেফাজতকারী (ফেরেশতা) তাকে নিরাপত্তা দেবে। খ. শয়তান তার কাছে আসতে পারবেনা। “যখন বিছানায় ঘুমুতে যাবে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমার উপর সব সময় একজন হেফাযতকারী নিযুক্ত থাকবে এবং ভোর পর্যন্ত শয়তান তোমার ধারে কাছেও আসতে পারবে না।” সহীহ বুখারী, খন্ড ৬, অধ্যায় ৬১, হাদিস নং- ৫৩০। _____________________________ ২. সুরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পড়া – ১ বার। ঘুমানোর আগে সুরা বাক্বারার শেষ ২ আয়াত (২৮৫+২৮৬) পড়ার ফযীলতঃ ক. রাত জেগে তাহাজ্জুদ নামায পড়ার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে খ. বালা-মুসিবত ও যেকোনো ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য যথেষ্ঠ হবে। গ. জিন ও শয়তানের ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য যথেষ্ঠ হবে। ঘ. আয়াতগুলো পড়ে শেষ “আমিন” বললে আয়াতগুলোতে যেই দুয়া আছে সেইগুলো আল্লাহ তাআ’লা কবুল করে নেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি রাতের বেলা সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত

ইসলামের শিক্ষা নবীনে স্নেহ ও প্রবীণে শ্রদ্ধা

Image
ইসলামের শিক্ষা নবীনে স্নেহ ও প্রবীণে শ্রদ্ধা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী শৈশব ও বার্ধক্য প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম। শৈশব ও বার্ধক্য মানবজীবনের এক অনিবার্য বিধান। শৈশব ও বার্ধক্য সৃষ্টির সূচনা ও পূর্ণতার উদাহরণ। কোরআন মাজিদে এই উভয়ের স্বরূপ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ, যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন দুর্বল অবস্থায়, দুর্বলতার পর তিনি দেন শক্তি, শক্তির পর আবার দেন দুর্বলতা ও বার্ধক্য। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং তিনিই সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান।’ (সুরা-৩০ রুম, আয়াত: ৫৪) শৈশবে মানুষ দুর্বল থাকে, বার্ধক্যেও দুর্বলতার দিকেই ফিরে আসে। বার্ধক্য মানেই নানাবিধ দুর্বলতা। বার্ধক্যপীড়িত মানুষের প্রতি যত্নবান হওয়া ও সহানুভূতিশীল হওয়া খোদার বিধান। ইসলাম মানবকল্যাণের বিধান। মনুষ্য সভ্যতার ও সমাজের সুখ, শান্তি–সম্প্রীতি, স্থিতি, সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও অগ্রগতি এর লক্ষ্য। যার সুফল প্রতিফলিত হবে ব্যক্তিজীবনে ও আচরণে, দ্বৈত বা যৌথ কর্মে, দাম্পত্য জীবনে, পরিবারে, সমাজে, জাতিতে, প্রশাসনে ও রাষ্ট্রে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। শুদ্ধাচার ও শিষ্টাচার মানবজীবনের অলংকার। গর্ব, অহমিকা ও দুরাচার কলঙ্ক ও অন্ধকার। রাসুলুল্লা

বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের শিক্ষা

Image
বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের শিক্ষা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী ইসলাম সমগ্র মানবজাতিকে একই পরিবারভুক্ত মনে করে। ইসলামের দাবি হচ্ছে, সব মানুষই এক আল্লাহ তাআলার সৃষ্টি এবং তিনি সমগ্র বিশ্বজগতের স্রষ্টা ও প্রতিপালক। তিনি প্রত্যেক মানুষকেই মানবীয় গুণ ও বৈশিষ্ট্য দিয়ে সৃষ্টির সেরা করেছেন। ব্যক্তিমানুষের সম্মানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সংরক্ষণ করে ইসলাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অবশ্যই আমি মানুষকে সর্বোত্তম অবয়বে সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা-৯৪ তিন, আয়াত: ৫) সব মানুষ ভাই ভাই, কারণ সবাই একই পিতা–মাতার সন্তান। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মানবমণ্ডলী! তোমরা তোমাদের রবকে ভয় করো, যিনি তোমাদের এক প্রাণ থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তার থেকে তার জোড়া সৃষ্টি করেছেন; অতঃপর এতদুভয় থেকে বহু নর ও নারী সম্প্রসারণ করেছেন।’ (সুরা-৪ নিসা, আয়াত: ১) ইসলামে ভৌগোলিক, আঞ্চলিক, নৃতাত্ত্বিক, জাতিগত ও ধর্মীয় প্রভেদে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সমর্থন করে না। ইসলামে কোনো প্রকার শ্রেণিবৈষম্য নেই, কোনো অস্পৃশ্যতাও নেই। ইমান আনা না–আনার বিষয়টি মানুষের বিবেক–বুদ্ধি ও ইচ্ছার ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘দ্বীন সম্প

নাম রাখার ব্যাপারে যে নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম

Image
নাম রাখার ব্যাপারে যে নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম মুস্তাকিম আল মুনতাজ পৃথিবীতে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তাকে সম্বোধন করে ডাকার জন্য যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়, তাই ইসম বা নাম। অন্যভাবেও বলা যায়, কোনো মানুষকে অপরাপর মানুষ থেকে পার্থক্য করার জন্য যে বিশেষ শব্দের মাধ্যমে ডাকা হয়, তাই নাম। আর এই নাম রাখার ব্যাপারে ইসলামে অত্যধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রতিটি মানুষের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে তার নাম, উপনাম কিংবা উপাধি। নাম রাখার ব্যাপারে হজরত রাসূল (সা.) শিশুর জন্মের সপ্তম দিন নবজাতকের উত্তম ও সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।(তিরমিজি ) সুন্দর নাম রাখার তাগিদ দিয়ে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, কিয়ামতের দিন তোমাদের নিজ নাম ও পিতার নামে ডাকা হবে। সুতরাং তোমরা সুন্দর নাম রাখো। (আবু দাউদ) ইসলামে নামের গুরুত্ব সম্পর্কে নিন্মোক্ত বিষয়গুলো প্রণিধানযোগ্য। যেমন- ১.  আল্লাহর নির্দেশ : নাম রাখার গুরুত্ব সম্পর্কেও ইসলামে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, `হে জাকারিয়া, আমি (আল্লাহ) তোমাকে একপুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি। তার নাম হবে ইয়াহইয়া। এ

গল্পটা উম্মুল কোরার মিশরীয় এক প্রফেসরের

Image
গল্পটা উম্মুল কোরার মিশরীয় এক প্রফেসরের সালাহউদ্দিন আহমেদ মিশরে অবস্থানকালে তিনি একদিন ট্যাক্সিতে চড়ে দূরে কোথাও যাচ্ছিলেন। কথার ফাঁকে ড্রাইভার জানালেন তিনি আগে খ্রিস্টান ছিলেন, এখন আলহামদুলিল্লাহ মুসলিম। এ কথা শুনে প্রফেসর সাহেবের কৌতূহল হল ড্রাইভারের মুসলিম হওয়ার পেছনের গল্পটা শুনার। তিনি জানতে চাইলেন, কিভাবে তিনি ইসলামে দীক্ষিত হলেন? ড্রাইভার জানালেন তিনি তার স্ত্রীর মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে ইসলামের ছায়াতলে এসেছেন। প্রফেসর ভাবলেন, হয়তো কোন মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করার শর্তে তিনি নিজেও মুসলিম হয়েছেন। প্রফেসর বললেন, তোমার স্ত্রী কি মুসলিমা ছিলেন? ড্রাইভার জবাব দিলেন, না। তারপর বলতে শুরু করলেন, ‘আমারা দুজনই নাসারা (খ্রিস্টান) ছিলাম। আমার স্ত্রী আরবি সাহিত্যের একজন শিক্ষিকা। তার কাজের সুবিধার্থে আমরা কায়রো শহরে এক জায়গায় একটি ভাড়া বাসায় উঠি। সেই বাসার একেবারে পাশেই ছিল মুসলিমদের ইবাদাতের জন্য নির্মিত একটি মসজিদ। পাঁচ ওয়াক্ত আযান ও সালাতে তিলাওয়াতের আওয়াজ খুব স্পষ্টই আমরা শুনতে পেতাম।’ দীর্ঘ দুই বছর সেখানে অবস্থানের পর আমাকে একদিন আমার স্ত্রী বললেন, একটি বিষয় খেয়া

আশুরায় মর্সিয়া-ক্রন্দন কি ইসলামসম্মত?

Image
আশুরায় মর্সিয়া-ক্রন্দন কি ইসলামসম্মত? মাওলানা হুসাইন আহমদ বাহুবলী আহলে বাইত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সব সাহাবীকে ভালোবাসা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকীদার অন্যতম অংশ। হযরত হাসান ও হুসাইন (রা.) যেহেতু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সম্মানিত কন্যা ফাতেমার (রা.) সন্তান এবং তাদের ফযীলতে বেশকিছু সহীহ হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তাই প্রতিটি মুসলিমের উচিত তাদের মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসা। তাই আমাদেরও হযরত হাসান ও হুসাইনকে (রা.) অন্তর থেকে ভালোবাসি। রাসূল (সা.)-এর আদরের এ দুই নাতির ফযীলতের ব্যাপারে অসংখ্য সহীহ হাদীস বর্ণিত হয়েছে, (ক) বারা বিন আযিব (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখেছি, তিনি হাসান বিন আলীকে কাঁধে নিয়ে বলেছেন, হে আল্লাহ! আমি তাঁকে ভালবাসি। সুতরাং তুমিও তাকে ভালবাসো এবং যে তাকে ভালোবাসে তুমি তাকেও ভালোবাসো। (বুখারী) (খ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, হাসান ও হুসাইন জান্নাতবাসী যুবকদের সরদার হবেন। (তিরমিজী, সিলসিলায়ে আহাদীসে সহীহা, হাদীস নং-৭৯৬) (গ) আনাস বিন মালিক (রা.) বলেন, হযরত হু

আশুরার ফজিলত ও আমল

Image
আশুরার ফজিলত ও আমল আশুরা ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। আশুরা অর্থ দশম তারিখ। ইসলামি পরিভাষায় মহররমের ১০ তারিখকে আশুরা বলা হয়। মহররম হলো চান্দ্রবর্ষের প্রথম মাস। মহররম অর্থ অধিক সম্মানিত। সৃষ্টির শুরু থেকে মহররমের ১০ তারিখ, তথা আশুরার দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ফলে আশুরা মর্যাদাবান ও মাহাত্ম্যপূর্ণ এবং স্মরণীয় ও বরণীয় হয়েছে। আগে মুসলমানদের জন্য আশুরার রোজা ফরজ ছিল। দ্বিতীয় হিজরিতে শাবান মাসে রমজানের রোজা ফরজ হলে আশুরার রোজা নফল হয়ে যায়। তবে নফল রোজার মধ্যে আশুরার রোজা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ। (সুনানে আবু দাউদ, জামে তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, দারেমি ও মুসনাদে ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ.)।  হিজরতের পর মদিনায় এসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দেখতে পেলেন, ইহুদিরাও এদিনে রোজা রাখছে। প্রিয় নবী (সা.) তাদের রোজার কারণ জানতে চাইলেন, জানতে পারলেন, এদিনে মুসা (আ.) সিনাই পাহাড়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাওরাত লাভ করেন। এদিনেই তিনি বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের জুলুম থেকে উদ্ধার করে তাঁদের নিয়ে লোহিত সাগর অতিক্রম করেন এবং ফেরাউনের সলিলসমাধি ঘটে। তাই তারা এদিন রোজা রাখে। নবী করিম (সা.) সাহাবিদে

আহলে বাইত ও শোহাদায়ে কারবালা

Image
আহলে বাইত ও শোহাদায়ে কারবালা প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা ও আনুগত্যই ইমান। আল্লাহ তাআলা কোরআন কারিমে বলেন, ‘(হে নবী সা.) আপনি বলুন, “তোমরা যদি আল্লাহর ভালোবাসা পেতে চাও, তবে আমাকে অনুসরণ করো, তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন, তোমাদের গুনাহ মাফ করে দেবেন”’ (সুরা-৩ আল ইমরান, আয়াত: ৩১)। হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার পিতা, তার সন্তান ও সব মানুষের চেয়ে বেশি প্রিয় না হব’ (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, পরিচ্ছেদ: ৮, হাদিস: ১৩-১৪, পৃষ্ঠা: ১৯, ই. ফা.)। নবীজি (সা.)-এর ভালোবাসার পূর্ণতা হলো আহলে বাইতের ভালোবাসায়। আল্লাহ তাআলা কোরআন কারিমে উল্লেখ করেছেন, ‘ (হে নবী সা.) আপনি বলুন, “আমি তোমাদের কাছে কোনো বিনিময় চাই না, চাই শুধু আমার স্বজনদের (আহলে বাইতদের) প্রতি ভালোবাসা”’ (সুরা-৪২ শুরা, আয়াত: ২৩)। আহলে বাইত হলো নবী পরিবার—হজরত ফাতিমা (রা.), হজরত আলী (রা.), হজরত হাসান (রা.) ও হজরত হুসাইন (রা.) এই পরিবারের সদস্য। এঁদের মাধ্যমেই সংরক্ষিত হয়েছে নবীবংশ। নবীবংশেরই ৭০ জন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শাহাদত বরণ

ইসলামে পরমতসহিষ্ণুতা ও উদারতা

Image
ইসলামে পরমতসহিষ্ণুতা ও উদারতা মানুষ আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীব বা ‘আশরাফুল মাখলুকাত’। মানুষের এ শ্রেষ্ঠত্ব তার ‘ইলম’ তথা বুদ্ধি-বিবেক বা জ্ঞানের জন্য। এই জ্ঞানের জন্যই মানুষের অবস্থান ফেরেশতার ওপরে। মানুষকে মহান আল্লাহ তাআলা দিয়েছেন চিন্তার স্বাধীনতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সামর্থ্য। তাই মানুষের ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া যায় না। মানুষ পরিচালিত হয় তার স্বীয় ইচ্ছা অনুযায়ী। মানুষ ভালো-মন্দ বিচার করে যার যার জ্ঞানের আলোকে। জ্ঞানের ভিত্তি হলো তথ্য। এ জন্যই আল্লাহ তাআলা সব নবী-রাসুলকে সত্য তথ্য প্রচারের জন্য দাওয়াত ও তাবলিগের দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছেন, জোর করে বাধ্যতামূলক বিশ্বাস চাপিয়ে দেওয়ার জন্য নয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘যদি তারা বিমুখ হয়, তবে আমি আপনাকে তাদের জন্য রক্ষকরূপে পাঠাইনি। শুধু বাণী পৌঁছে দেওয়া ভিন্ন আপনার কোনো দায়িত্ব নেই’ (৪২: ৪৮)। ‘(হে রাসুল!) আপনি উপদেশ দিন, আপনি উপদেশদাতা ভিন্ন নন। আপনি তাদের কর্মনিয়ন্ত্রক নন। তবে যারা মুখ ফিরিয়ে নেবে ও কুফরি করবে, আল্লাহ তাদের মহাশাস্তি দেবেন। তারা আমার কাছেই ফিরে আসবে এবং তাদের হিসাব গ্রহণ আমারই দায়িত্বে’ (৮৮: ২১-২৬)।  ইমা

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

Image
সহজ দশটি(১০)টি জিকির!... .... .... যে সহজ (১০ দশটি) আযকার যিকির প্রতিদিন করলে মৃত্যুর পর জান্নাত । (১) প্রতিদিন ১০০ বার সুবহান আল্লাহ্ পাঠ করলে ১০০০ সাওয়াব লিখা হয় এবং ১০০০ গুনাহ মাফ করা হয়। [সহীহ মুসলিম-৪/২০৭৩] (২) 'আলহামদুলিল্লাহ' মীযানের পাল্লাকে ভারী করে দেয় এবং সর্বোত্তম দোআ’। [তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/৫০৩,সহীহ আল জামে’-১/৩৬২] (৩) 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' সর্বোত্তম যিকর। [তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/৫০৩,সহীহ আল জামে’-১/৩৬২] (৪) 'সুবহান আল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর' এই কালিমাগুলি আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় এবং নবী (সঃ) বলেনঃ পৃথিবীর সমস্ত জিনিসের চইতে আমার নিকট অধিক প্রিয়। [ সহীহ মুসলিম -৩/১৬৮৫, ৪/২০৭২] (৫) যে ব্যক্তি 'সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী' প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করবে সমুদ্রের ফেনা পরিমান (সগীরা) গুনাহ থাকলে ও তাকে মাফ করে দেওয়া হবে। [সহীহ আল-বুখারী-৭/১৬৮,সহীহ মুসলিম-৪/২০৭১] (৬) নবী (সঃ) বলেনঃ 'সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহী সুবহানাল্লিল আযীম' এই কালীমাগুল

লোভনীয় কিছু আমল

Image
লোভনীয় কিছু আমল 😍😍 ১. বেশি বেশি সালাম দেওয়া। যে বেশি বেশি সালাম দিবে আল্লাহ তাকে জান্নাতে একটা কামরা দিবেন যার ভেতর থেকে বাহির দেখা যায় আর বাহির থেকে ভেতর দেখা যায়। ২. মোসাফাহা করা। মোসাফাহা করলে মোসাফাহাকারী ব্যক্তিদ্বয় আলাদা হওয়ার পূর্বে তাদের সগীরাহ গুনাহসমূহ মাফ হয়ে যায়। ৩. ১০০ বার সুবহানাল্লাহ পড়া। ১০০ বার সুবহানাল্লাহ পড়লে ১০০০ গুনাহ মাফ হয়, আর ১০০০ সাওয়াব হয়। ৪. তিন বার সূরা ইখলাস পড়া। তিনবার সূরা ইখলাস পড়লে এক খতমের সওয়াব হয়। ৫. ১০০ বার সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি পড়া। ১০০ বার সুবহানাল্লহি ওয়াবিহামদিহি পড়লে সকল সগীরাহ গুনাহ মাফ হয়ে যায়, যদিও তা সমুদ্রের ফেনা পরিমানও হয়। ৬. বেশি বেশি 'সুবহানাল্লহি ওয়াবিহামদিহি সুবহানাল্লহিল আযিম' পড়া। এটা মিযানের পাল্লাকে ভারী করবে। মানুষের আমল গনণা করা হবে না বরং ওজন করা হবে তাই এটা পড়া জরুরি। ৭. প্রতিদিন রাতে সূরা মুলক পড়া। এই সূরা তিলাওয়াত করলে ব্যক্তি কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাবে। ৮. প্রতিদিন অল্প করে হলেও কুরআন তিলাওয়াত করা। কেননা এর প্রতিটা হরফে রয়েছে ১০টি নেকি। ৯. প্রতিদিন রাসূলুল্লাহ সা এর উ