র্যাগিং ও র্যাগিং মানসিকতাঃ
র্যাগিং ও র্যাগিং মানসিকতাঃ
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে র্যাগিং নামে যা কিছু চলে তা মূলত নবীন শিক্ষার্থীদের অপেক্ষাকৃত সিনিয়র শিক্ষার্থী কর্তৃক অপমান, মানসিক বা শারীরিক নির্যাতন, যা কখনো কখনো অশ্লীলতার চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করে। আমি অনেক শিক্ষার্থীকে জানি যারা র্যাগিং এর শিকার হয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। কারণ, তারা জীবনে এত ভয়ংকর ও ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি আগে কখনোই হয়নি... আমাদের নিজেদের মাঝেও একধরণের র্যাগিং ম্যান্টালিটি কাজ করে। দেখুন তো, আপনার মাঝে সেরূপ কোনো মানসিকতা কাজ করছে কিনা? নীচে কয়েকটি প্রশ্ন দেয়া আছে, আপনার উত্তর যদি ‘হা’ হয়, তাহলে আপনার ভেতরেও বসবাস করছে একজন র্যাগার। ১. আপনি রিকশায় চড়ে গন্তব্যে নামার পর রিকশাচালক আপনার কাছে বাড়তি ভাড়া চাইলে আপনার কি তাকে চড় দিতে মন চায়? বা মনে করেন, চড়টা তার প্রাপ্য এবং আপনার অধিকার? মাঝেমধ্যে দুই-একটা চড় দিয়েই দেন এবং আনন্দ লাভ করেন? ২. গাড়ির ড্রাইভার বা বাসার দারোয়ানকে আপনার খুব ছোটলোক মনে হয়, এবং সুযোগ পেলেই তার ওপর চড়াও হয়ে পড়েন, অপমান করেন বা কখনো হাত ব্যবহার করে শাসিয়ে দেন? ৩. কাজের মেয়েটার ২৪ ঘণ্টাই আপনার জন্য বরাদ্দ মনে করেন, এবং ঘুম থেকে দেরিতে উঠলে, কিংবা গোসলে সময় বেশি নিলে, বা একটু বসে থাকলেই রাগ/অপমান বা চড় বসাতে ভুল করেন না? এবং এটাকে সম্পূর্ণ নিজের অধিকার মনে করেন? ভাবেন, এদের সাথে এমন ব্যবহারই করা উচিৎ? ৪. মিস্ত্রি একটু কাজে উল্টা-পাল্টা করলে মুখ থেকে গালি বের হয়ে আসে, হাতটা হিসপিস করে? ভাবেন, এদের জাতটা এমনই? ৫. পথশিশু বা বস্তির লোকদের দেখলে গা ঘিনঘিন করে? মনে করেন, এদের জন্য এমন জীবনই ঠিক আছে? ৬. অফিসের কর্মচারীদের ২৪ ঘণ্টা নিজের জন্য বরাদ্দ মনে করেন? অফিস টাইম শেষে তাদের মিটিংয়ে ডাকতে বা বসিয়ে রাখতে আনন্দ লাভ করেন? একটু এদিক-সেদিক হলেই অধীনস্থের ওপর চড়াও হন। ভাবেন, টাকা দিচ্ছেন বা বস্ হয়েছেন তো এই অধিকার আপনার আছেই? ৭. ছেলের বউ দেরী করে ঘুম থেকে উঠলে রাগ ওঠে প্রচুর? তাকে অপমান করে আনন্দ পান? ভাবেন, কাজ না করলে কেমন বউ সে? ৮. ভাড়াটিয়াকে ইচ্ছে করে সময় মত পানি না দিয়ে মাস শেষে ভাড়া পেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন? এমনকি উঠতে বসতে তাকে কটু কথা শোনান? ভাবেন, এই অধিকার আপনার আছে? এভাবে আরো অনেক প্রশ্ন করা যাবে, শেষ হবে না। আপনি যদি কোনোভাবে কোনো ক্ষেত্রে অন্যকে অপমান করে আনন্দ বোধ করেন, অন্যকে কষ্ট দিয়ে আপনার আনন্দ হয়, অন্যকে বিপদে দেখলে আপনার হাসি পায় – নিশ্চিত থাকুন, আপনার ভেতরেও ভয়ংকর এক র্যাগার বসে আছে। আমাদের সমাজে এভাবে স্কুলে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে, কর্মস্থলে, পরিবারে – প্রতিটা জায়গায় ছড়িয়ে আছে র্যাগিং, বুলিং বা অন্যকে অপমান করার চর্চা। নিজেকে পরিবর্তন করুন, নিজের সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দিন। তবেই আমরা এক পরিবর্তিত সমাজের স্বপ্ন দেখতে পারব ইনশা’আল্লাহ।". source-nokib tv 24/youtube
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে র্যাগিং নামে যা কিছু চলে তা মূলত নবীন শিক্ষার্থীদের অপেক্ষাকৃত সিনিয়র শিক্ষার্থী কর্তৃক অপমান, মানসিক বা শারীরিক নির্যাতন, যা কখনো কখনো অশ্লীলতার চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করে। আমি অনেক শিক্ষার্থীকে জানি যারা র্যাগিং এর শিকার হয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। কারণ, তারা জীবনে এত ভয়ংকর ও ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি আগে কখনোই হয়নি... আমাদের নিজেদের মাঝেও একধরণের র্যাগিং ম্যান্টালিটি কাজ করে। দেখুন তো, আপনার মাঝে সেরূপ কোনো মানসিকতা কাজ করছে কিনা? নীচে কয়েকটি প্রশ্ন দেয়া আছে, আপনার উত্তর যদি ‘হা’ হয়, তাহলে আপনার ভেতরেও বসবাস করছে একজন র্যাগার। ১. আপনি রিকশায় চড়ে গন্তব্যে নামার পর রিকশাচালক আপনার কাছে বাড়তি ভাড়া চাইলে আপনার কি তাকে চড় দিতে মন চায়? বা মনে করেন, চড়টা তার প্রাপ্য এবং আপনার অধিকার? মাঝেমধ্যে দুই-একটা চড় দিয়েই দেন এবং আনন্দ লাভ করেন? ২. গাড়ির ড্রাইভার বা বাসার দারোয়ানকে আপনার খুব ছোটলোক মনে হয়, এবং সুযোগ পেলেই তার ওপর চড়াও হয়ে পড়েন, অপমান করেন বা কখনো হাত ব্যবহার করে শাসিয়ে দেন? ৩. কাজের মেয়েটার ২৪ ঘণ্টাই আপনার জন্য বরাদ্দ মনে করেন, এবং ঘুম থেকে দেরিতে উঠলে, কিংবা গোসলে সময় বেশি নিলে, বা একটু বসে থাকলেই রাগ/অপমান বা চড় বসাতে ভুল করেন না? এবং এটাকে সম্পূর্ণ নিজের অধিকার মনে করেন? ভাবেন, এদের সাথে এমন ব্যবহারই করা উচিৎ? ৪. মিস্ত্রি একটু কাজে উল্টা-পাল্টা করলে মুখ থেকে গালি বের হয়ে আসে, হাতটা হিসপিস করে? ভাবেন, এদের জাতটা এমনই? ৫. পথশিশু বা বস্তির লোকদের দেখলে গা ঘিনঘিন করে? মনে করেন, এদের জন্য এমন জীবনই ঠিক আছে? ৬. অফিসের কর্মচারীদের ২৪ ঘণ্টা নিজের জন্য বরাদ্দ মনে করেন? অফিস টাইম শেষে তাদের মিটিংয়ে ডাকতে বা বসিয়ে রাখতে আনন্দ লাভ করেন? একটু এদিক-সেদিক হলেই অধীনস্থের ওপর চড়াও হন। ভাবেন, টাকা দিচ্ছেন বা বস্ হয়েছেন তো এই অধিকার আপনার আছেই? ৭. ছেলের বউ দেরী করে ঘুম থেকে উঠলে রাগ ওঠে প্রচুর? তাকে অপমান করে আনন্দ পান? ভাবেন, কাজ না করলে কেমন বউ সে? ৮. ভাড়াটিয়াকে ইচ্ছে করে সময় মত পানি না দিয়ে মাস শেষে ভাড়া পেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন? এমনকি উঠতে বসতে তাকে কটু কথা শোনান? ভাবেন, এই অধিকার আপনার আছে? এভাবে আরো অনেক প্রশ্ন করা যাবে, শেষ হবে না। আপনি যদি কোনোভাবে কোনো ক্ষেত্রে অন্যকে অপমান করে আনন্দ বোধ করেন, অন্যকে কষ্ট দিয়ে আপনার আনন্দ হয়, অন্যকে বিপদে দেখলে আপনার হাসি পায় – নিশ্চিত থাকুন, আপনার ভেতরেও ভয়ংকর এক র্যাগার বসে আছে। আমাদের সমাজে এভাবে স্কুলে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে, কর্মস্থলে, পরিবারে – প্রতিটা জায়গায় ছড়িয়ে আছে র্যাগিং, বুলিং বা অন্যকে অপমান করার চর্চা। নিজেকে পরিবর্তন করুন, নিজের সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দিন। তবেই আমরা এক পরিবর্তিত সমাজের স্বপ্ন দেখতে পারব ইনশা’আল্লাহ।". source-nokib tv 24/youtube
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন