শয়তানের ধোকাঃ

শয়তানের ধোকাঃ

শয়তান মানুষকে এমনভাবে আশ্বস্ত করে যে, তার জীবন অনেক দীর্ঘ এবং তার কাছে সৎকর্ম ও তওবা করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তাই সে যখন নামাজ পড়ার ইচ্ছা পোষণ করে শয়তান তাকে বলে, তুমি তো এখনও সেই ছোট রয়ে গেছ, যখন বড় হবে নামাজ পড়বে। এবং যখন আত্মশুদ্ধিকারী ব্যক্তি আত্মশুদ্ধি করতে চায় শয়তান তাকে বলে এটাতো তোমার প্রথম মওসুম; আগামী বৎসরের জন্যে তুমি অপেক্ষা কর। আর যখন কোন মানুষ কোরআন পড়তে চায় শয়তান তাকে বলে তুমি সন্ধ্যায় পড়বে। এবং সন্ধ্যা হলে বলে তুমি আগামীকাল পড়বে। এবং আগামীকাল বলে তুমি পরশু পড়বে, এভাবে মৃত্যু পর্যন্ত অপরাধকারী তার পাপের ওপর অবশিষ্ট থাকবে। আর এই প্রক্রিয়ায় শয়তান কিছু মানুষকে ইসলাম থেকে নিবৃত্ত করে রাখে।

পোশাকের কারণে পুরুষেরা জাহান্নামে যাবেঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তিন প্রকার লোক এমন রয়েছে, যাদের সাথে আল্লাহ কথা বলবেন না, আর না কেয়ামতের দিন তাদের দিকে তাকাবেন, আর না তাদের পবিত্র করবেন বরং তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।” আমি (আবু হুরাইরা) বললাম, আল্লাহর রাসূল! তারা কারা? ওরা তো ক্ষতিগ্রস্ত! তিনি (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “তারা হচ্ছেঃ (১) টাখনুর নিচে কাপড় পরিধানকারী (পুরুষ) (২) ব্যবসার সামগ্রী মিথ্যা কসম দিয়ে বিক্রয়কারী এবং (৩) কাউকে কিছু দান করার পর তার খোটাদাতা।” (সহীহ মুসলিমঃ ২৯৪) জাহান্নামের কঠিন শাস্তির সামান্য বর্ণনাঃ আল্লাহ তায়া'লা বলেন, “নিশ্চয়ই সীমালংঘনকারী অবাধ্য লোকদের জন্যে জাহান্নাম শত্রুর মতো ওত পেতে বসে আছে, তাদেরকে গ্রাস করার জন্য। তারা সেখানে শতকের পর শতক ধরে থাকবে। কিন্তু সেখানে তারা তৃপ্তিদায়ক কোন খাবার বা পানি খেতে পারবেনা। তাদেরকে শুধুমাত্র ফুটন্ত গরম পানি ও দুর্গন্ধযুক্ত পচা পূজ খাওয়ানো হবে। এটাই হচ্ছে তাদের উপযুক্ত প্রতিদান, কারণ তারা হিসাব-নিকাশের কোন পরোয়া করতোনা। আর আমার আয়াত (বা নিদর্শন) সমূহকে মিথ্যা বলতো।” (সুরা নাবার ২২-২৮ আয়াতের তর্জমা থেকে নেওয়া) সুতরাং সাবধান হয়ে যান এখনোই। টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা আজ থেকেই সম্পূর্ণ পরিহার করুণ। আল্লাহকে ভয় করুণ। আল্লাহ আমাদের সকলকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করুক। আমিন। সুতরাং আর সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চেয়ে নিয়ে আল্লাহর ইবাদাত করা শুরু করুণ। সময় থাকতে সাবধান হন। জীবনের শেষ সময় চলে আসলে আল্লাহ্ তখন কাউকে অবকাশ দিবেন না। ঐ দিন কাঁদবেন, যখন উপলব্ধি করবেন জীবন শেষ হয়ে এলো অথচ কোনও নেক কাজ করা হলো না। ইয়া আল্লাহ্, বিতাড়িত শয়তানের প্ররোচনা থেকে আমাদেরকে বাচিয়ে রাখুন, আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন। আমাদেরকে নামাজ কায়েমকারী বানান। আমীন...।
source-islamic Media BD/youtube

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

নিশ্চয়ই কষ্টের সাথেই স্বস্তি আছে