Posts

Showing posts from April, 2020

ক্ষমাপ্রার্থনা করার আদেশ ও তার মাহাত্ম্য

Image
ক্ষমাপ্রার্থনা করার আদেশ ও তার মাহাত্ম্য nazmulhaque592 আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿ وَٱسۡتَغۡفِرۡ لِذَنۢبِكَ وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِۗ ١٩ ﴾ [محمد : ١٩] অর্থাৎ তুমি ক্ষমা-প্রার্থনা কর তোমার এবং মুমিন নর-নারীদের ত্রুটির জন্য।  (সূরা মুহাম্মাদ ১৯ আয়াত) তিনি আরও বলেছেন, ﴿ وَٱسۡتَغۡفِرِ ٱللَّهَۖ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ غَفُورٗا رَّحِيمٗا ١٠٦ ﴾ [النساء : ١٠٦] অর্থাৎ আল্লাহর কাছে তুমি ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয় আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।  (সূরা নিসা ১০৬ আয়াত) তিনি অন্য জায়গায় বলেছেন, ﴿ فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّكَ وَٱسۡتَغۡفِرۡهُۚ إِنَّهُۥ كَانَ تَوَّابَۢا ٣ ﴾ [النصر: ٣] অর্থাৎ সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা কর এবং তাঁর সমীপে ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় তিনি অধিক তাওবা গ্রহণকারী।  (সূরা নাস্র ৩ আয়াত) তিনি অন্যত্র বলেছেন, ﴿ لِلَّذِينَ ٱتَّقَوۡاْ عِندَ رَبِّهِمۡ جَنَّٰتٞ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَا وَأَزۡوَٰجٞ مُّطَهَّرَةٞ وَرِضۡوَٰنٞ مِّنَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ بَصِيرُۢ بِٱلۡعِبَادِ ١٥ ٱلَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَ

জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্থি।

Image
জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্থি। Mushahid Ali12 শরীয়তের ভাষায় আছে " আল ঈমানু বাইনাল খাউফে ওয়ার রাজা" । ঈমান হচ্ছে ভয় এবং আশার মধ্যে। ইসলামী শরীয়তের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আল্লাহর ভয় ,জাহান্নামের ভয় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাতের আশা পোষণ করা। এ উভয়টি বিষয় কে সাথে নিয়ে যে বিশ্বাস আবর্তিত হয়, তাই হচ্ছে ইসলাম। তাই জাহান্নামের ভয়াবহ পরিনাম সম্পর্কে সম্যক ধারণা ও ভয় একজন মু' মিন ব্যক্তিকে মোত্তাকী রূপে গড়ে তোলার নিয়ামক।  আল্লাহ পাক ঘোষণা করেন -" ওয়াল্লাজিনা কাফারু ওয়া কাজ্জাবু বি আয়াতিনা উলাইকা আসহাবুন নারে হুম ফিহা খালিদুন"। অর্থাৎ যারা অবিশ্বাস করে এবং আমার আয়াত সমূহকে অস্বীকার করে তারা হচ্ছে জাহান্নামের অধিবাসী, সেথায় তারা চির স্থায়ী ভাবে বসবাস করবে।  জাহান্নামের আগুনের অধিবাসীদের ব্যপারে সুরা হজ্জ্বের ১৯--২২ নং আয়াতে বলা হয়েছে-- " যারা কুফরী করেছে তাদের জন্য আগুনের পোষাক প্রস্তুত করা হয়েছে ।তাদের মাথার উপর ফুটন্ত পানি ঢেলে দেয়া হবে । ফলে তাদের পেঠে যা আছে তা এবং তাদের চামড়া গলে যাবে এবং তাদের জন্য রয়েছে লোহার গুর্জসমূহ।  যখন ই যন্ত্রনায় অতিষ্ট হয়

কুর’আন পড়ুন

Image
কুর’আন পড়ুন nazmulhaque592 কুর’আন পড়ুন ,  কারণ কিয়ামাতের দিন এটা তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে “ আমি আল্লাহ্‌র রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ “তোমরা কুর’আন  আবূ উমামাহ আল বাহিলী (রাদ্বিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ  পড় ,  কারণ ক্বিয়ামাতের দিন সে তার পাঠকারীর জন্য শাফা’আতকারী হিসাবে আসবে…” [মুসলিম ৮০৪] এই হাদীসটিতে কুর’আন পড়ার গুরুত্ব এবং এটা আমাদের জন্য যে পুরস্কার বয়ে নিয়ে আনবে সে ব্যাপারে বলা হয়েছে। ক্বিয়ামাতের দিন কুর’আন তার পাঠকারীকে জান্নাত প্রদান করার জন্য আল্লাহ্‌র কাছে অনুরোধ করবে।   আল-নাওয়াস ইবনু সাম’আন (রাদ্বিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন ,  আমি নাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ “ ক্বিয়ামাতের দিন কুর’আন ও কুর’আন অনুযায়ী যারা ‘আমাল করত তাদেরকে আনা হবে। সূরাহ বাক্বরহ্‌ ও সূরাহ ‘আল ‘ইমরন্‌ অগ্রভাগে থাকবে। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূরাহ দুটি সম্পর্কে তিনটি উদাহরণ দিয়েছিলেন যা আমি কখনো ভুলিনি। তিনি বলেছিলেনঃ “এই সূরাহ দু’টি দু’খণ্ড ছায়াদানকারী মেঘের আকারে অথবা দু’টি কালো চাদরে

তাকওয়া

Image
তাকওয়া nazmulhaque592 প্রিয় ভাই! পবিত্র কুরআনের বহু আয়াতে তাকওয়ার আলোচনা হয়েছে, সে ব্যাপারে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাকওয়ার ফলাফল এবং আল্লাহ্‌ ভীরু হওয়ার উপায়-উপকরণ সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। একারণেই নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখনই খুতবা শুরু করতেন, তাকওয়া সম্বলিত আয়াত সমূহ প্রথমে পাঠ করতেন। এথেকে বুঝা যায় মুসলিম ব্যক্তির জীবনে তাকওয়ার গুরুত্ব কতটুকু। তাকওয়ার অর্থ: ইবনে রজব (রহ:) বলেন, “তাকওয়া মানে আনুগত্য শীল কর্মের মাধ্যমে এবং নাফরমানি মূলক বিষয় থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে আল্লাহ্‌র ক্রোধ এবং শাস্তি থেকে বেঁচে থাকা।” কুশাইরী (রহ:) বলেন, “প্রকৃত তাকওয়া হল, শিরক থেকে বেঁচে থাকা, তারপর অন্যায় ও অশ্লীল বিষয় পরিত্যাগ করা, অতঃপর সংশয়পূর্ণ বিষয় থেকে বিরত থাকা, এরপর অনর্থক আজেবাজে বিষয় বর্জন করা।” আবদুল্লাহ্‌ বিন মাসঊদ (রা:) বলেন, “তাকওয়া হচ্ছে: আল্লাহ্‌র আনুগত্য করা- নাফরমানি না করা, তাঁকে স্মরণ করা- ভুলে না যাওয়া, তাঁর কৃতজ্ঞতা করা- কুফরী না করা।” সাহ্‌ল বিন আবদুল্লাহ্‌ বলেন, “বিশুদ্ধ তাকওয়া হল- ছোট-বড় সব ধরণের গুনাহের কাজ পরিত্