চরিত্রের কতিপয় খারাপ দিক
চরিত্রের কতিপয় খারাপ দিকগুলো :-
১। দ্রুত রাগ করা
২। অতিরিক্ত বকাঝকা করা ও বারবার ছোট-খাটো দোষ ধরা
৩। অহংকার করা
৪। ব্যবহারে কঠোরতা ও রূঢ়তা প্রকাশ করা
৫। মানুষকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা
৬। গীবত তথা কারো অসাক্ষাতে তার সমালোচনা করা
৭। মানুষের দোষ খুঁজে বেড়ানো বা কারো পেছনে লেগে থাকা
৮। গোপনীয়তা প্রকাশ করে দেয়া
৯। মানুষের হঠাৎ ঘটে যাওয়া ভুল ক্ষমা না করা
১০। হিংসা-বিদ্বেষ
১১। কৃপণতা
১২। স্ত্রীর সাথে অশালীন আচরণ করা
১৩। কাজের লোক বা কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরণ করা
১৪। প্রতিবেশীর সাথে খারাপ আচরণ করা
১৫। যে উপকার করল তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করা।
১৬। লজ্জাহীনতা
১৭। কুরুচিপূর্ণ ও নোংরা ভাষা ব্যবহার করা
১৮। উপকার করে খোঁটা দেয়া
১৯। নির্দোষ মানুষকে অপমান করা
২০। মানুষের ওজর গ্রহণ না করা
২১। অযথা ঝগড়া, চিৎকার ও চেঁচামেচি করা
২২। মানুষের সুন্দর নাম বাদ দিয়ে খারাপ নামে ডাকা।
আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেরকে উল্লেখিত ও তৎসংশ্লিষ্ট চারিত্রিক খারাপ দিকগুলো থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখার তাওফীক দান
করেন,আমিন ৷
জিহ্বার মাধ্যমে ১৫টিরও বেশী মারাত্মক দোষ (গুনাহ) আছে যেগুলো জিহ্বা ব্যতীত সংগঠিত হতে পারে না, সেগুলো হচ্ছে-
১. মিথ্যা বলা;
২. খারাপ ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা;
৩. অশ্লীল ও খারাপ কথা বলা;
৪. গালি দেয়া;
৫. নিন্দা করা;
৬. অপবাদ দেয়া;
৭. চোগলখুরী করা;
৮. বিনা প্রয়োজনে গোপনীয়তা ফাঁস করে দেয়া;
৯. মোনাফিকী করা ও দুই মুখে কথা বলা;
১০. বেহুদা ও অতিরিক্ত কথা বলা
১১. বাতিল ও হারাম জিনিস নিয়ে আলোচনা করে আনন্দ লাভ করা;
১২. গীবত করা;
১৩. খারাপ উপনামে ডাকা;
১৪. অভিশাপ দেয়া;
১৫. সামনা-সামনি প্রশংসা করা;
১৬. মিথ্যা স্বপ্ন বলা।
অবশেষে বলব, আমরা যেন নিম্নোক্ত হাদিসের উপর আমাল করতে উদ্যোগী হই-
সাহাল ইবনে সায়াদ রা: হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী অঙ্গ (জিহ্বা) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী অঙ্গ (গুপ্তাঙ্গ) সম্বন্ধে জামিন হবে, আমি তার জন্য জান্নাতের জামিন হব।
বুখারী ৬৪৭৪, ৬৮০৭, তিরমিযী ২৪০৮
source-rose tv/youtube
source-rose tv/youtube
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন