বাহ্যিক বেশভূষা

 


আমরা কারো বাহ্যিক বেশভূষা দিয়ে কখনও একজনকে বিচার করতে পারিনা। অন্তত ইসলামে না। একটা উদাহরণ দিই।

দু'জন লোক দৌড়িয়ে আসর নামাযের দ্বিতীয় রাকাহ্‌ কোনমতে ধরল। দু'জনের মধ্যে একজনের উপর আল্লাহ অসন্তুষ্ট হতে পারেন আর একজনের সাওয়াব হতে পারে। কেন? প্রথম জনের, সে বিগত কয়েক বছর যাবত প্রথম কাতারের মুসল্লি। ঐদিন অনেকটা ইচ্ছা করেই দেরী করে আসল। তার যে ঈমানের অবস্থা আর আল্লাহ তার জন্য যেভাবে ভাল কাজগুলো সহজ করে দিয়েছেন সেই তুলনায় সে আশানুরূপ কাজ করেনি। তাই আল্লাহর দৃষ্টিতে ইচ্ছাকৃতভাবে দেরী করে আসার জন্য সে গুনাহগার হতে পারে। অপরজন, সে অনেক বছর পর নামায পড়তে আসল। ভাল কথা, ভাল লেকচার শুনার সুযোগ তার কমই হয়েছে জীবনে। ইসলামিক পরিবেশে বেড়ে উঠার সুযোগ হয়নি। কোন একটি ঘটনার কারণে সে সিদ্ধান্ত নিলো নামায শুরু করবে। তাই নামাযে নিয়মিত হতে একটু হিমশিম খাচ্ছে। এইজন্য তার সাওয়াব হতে পারে। ব্যাপারটা শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলাই জানেন। এখন আমার আপনার ঐ দু'জন কে দেখে বুঝার উপায় আছে কার সাওয়াব হল কার গুনাহ হল? একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার গুলো আল্লাহ তায়ালা জানেন। ব্যাপার গুলো আপেক্ষিক। শেষ কথা হল, আমি আপনি কাউকে দেখেই মনে মনে বিচার করার কোন সুযোগ নেই। আমরা জানিনা কে কী রকম ব্যক্তিগত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আর কতটুকু ইসলামের শিক্ষা পেয়েছে জীবনে। সকল মুসলিম সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখাই ইসলামের শিক্ষা। [ লেখাটি উস্তাদ নুমান আলী খানের সুরা নাসরের আলোচনা থেকে অনুপ্রাণিত। ]
source-nakinbangla/youtube

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট