আমরা কীভাবে আল্লাহর রহমত অর্জন করতে পারি?


 আমরা কীভাবে আল্লাহর রহমত অর্জন করতে পারি? কীভাবে আমরা আল্লাহর রহমা লাভ করব?

এক নাম্বারঃ আমি ইতোমধ্যে এটা বলেছি। অন্যদের প্রতি রাহমা প্রদর্শন করুন, আল্লাহ আপনার প্রতি রাহমা প্রদর্শন করবেন। খুব সুন্দর একটি হাদিসে এ কথা এসেছে। মুখস্ত করে রাখুন। খুব সুন্দর আরবি। الرَّاحِمُونَ يَرْحَمُهُمُ الرَّحْمَنُ - আররহিমুন ইয়ারহামুহুমুর রহমান। ارْحَمُوا مَنْ فِي الأَرْضِ يَرْحَمْكُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ - ইরহামু মান ফীল আরদ, ইয়ারহামকুম মান ফিস শা-মা। 'আররাহিমুন' - যাদের দয়া আছে, 'ইয়ারহামুহুমুর রহমান' - আর-রহমান তাদের প্রতি দয়া দেখাবেন। যারা দয়া দেখায় তাদের প্রতি দয়া দেখানো হবে তার দ্বারা যিনি দয়ালু। পৃথিবীর মানুষের প্রতি দয়া দেখান, যিনি আকাশে আছেন তিনি আপনার প্রতি দয়া দেখাবেন। এটি একটি হাদিস। খুব সুন্দর একটি হাদিস। তুমি আল্লাহর রাহমা চাও? তাহলে দয়া দেখাও এমনকি একটি কুকুরের প্রতিও। প্রাণীদের প্রতি দয়া দেখাও। গাছ গাছালির প্রতি দয়ালু হও। সৃষ্টির প্রতি দয়া দেখাও। তাহলে, আল্লাহ আপনার প্রতি দয়া দেখাবেন। আল্লাহর রহমত চান? আমাদের রাসূল (স) বলেন - "রাহিমাল্লাহু আব্দান...আল্লাহ সেই বান্দার প্রতি করুণা প্রদর্শন করুন-- যখন কোন কিছু ক্রয় করে সে কোমল আচরণ করে, যখন কিছু বিক্রি করে সে কোমল আচরণ করে, যখন মানুষের সাথে লেনদেন করে সে ভদ্র আচরণ করে।" কোমল এবং ভদ্র আচরণ করলে অন্য মানুষের সাথে, রাহিমাল্লাহ আল্লাহর দয়া আপনার উপর বর্ষিত হবে। তাই, আল্লাহর রহমত পাওয়ার এক নাম্বার উপায় হল, অন্যদের সাথে আচরণের বেলায় রহমত প্রদর্শন করা। দুই নাম্বারঃ মসজিদে আসা। নামাজ পড়া, ইসলামী আলোচনা শোনা। বুখারি এবং মুসলিম শরিফের একটি হাদিসে এসেছে - যখন একদল লোক আল্লাহর ঘরে একত্রিত হয়, কুরআন তিলাওয়াত করে এবং জ্ঞানগর্ভ আলোচনা উপভোগ করে তখন আল্লাহর রহমত এসে তাদের ঘিরে ধরে। রাহমা এসে তাদের পরিবেষ্টন করে। এবং সাকিনা বা প্রশান্তি তাদের উপর অবতীর্ণ হয়। এবং ফেরেশতারা তাদের ডানা দিয়ে ঘিরে ধরে। তাহলে, যারা মসজিদে আসে তাদের জন্য রাহমা আসে। মসজিদে এলে আল্লাহর রহমত ঘিরে ধরে। তিন নাম্বারঃ কীভাবে আল্লাহর রহমত পেতে হয় এই বিষয়ে এটাই শেষ পয়েন্ট। আর তা হল, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে। "ওয়া আতিউল্লাহা ওয়ার রাসুলা, লাআল্লাকুম তুরহামুন।" আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের কথা শোন হয়তো তোমাদের প্রতি দয়া দেখানো হবে। প্রিয় ভাই এবং বোনেরা, মনে রাখুন। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন - "কালা আজাবিই উসিইবু বিহি মান আসাআ।" তিনি বলেন, আমার শাস্তি শুধু তাদের নিকটেই পৌঁছবে যাদের নিকট আমি পৌঁছাতে চাই। আমার শাস্তি শুধু তাদের নিকটেই যাবে যাদের আমি বাছাই করব। ওয়া রাহমাতিই ওয়াসিয়াত কুল্লা শাই। "আর আমার রাহমা সব কিছুকে পরিবেষ্টন করে আছে।" (৭ঃ১৫৬) এই হলেন আমাদের প্রভু আল্লাহ। এই হলেন আর-রাহমান। এই হলেন আর-রহিম। এই হলেন আর-হামুর রাহিমিন। এই হলেন খাইরুর রাহিমিন। এই হলেন জুর-রহমা। এই যদি হন আমাদের রব, তাহলে কীভাবে আমাদের পক্ষে তাঁর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া সম্ভব? যিনি হলেন চূড়ান্ত স্নেহময় এবং করুণাময়। আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা আমাদের অন্তরে আর-রাহমানের প্রতি ঈমান বৃদ্ধি করে দিন। আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ালু করে তুলুন যেন এর মাধ্যমে আমরা তাঁর দয়া পেয়ে ধন্য হতে পারি। আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা আমাদেরকে আর-রহমানের যোগ্য দাসে পরিণত করুন। ওয়াস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। -- শায়েখ ইয়াসির কাদি।source-nakinbangla/youtube

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট