সাল ১৭৬৫


সাল ১৭৬৫, উশ, পূর্ব তুর্কিস্তান। আশেপাশে প্রচণ্ড হট্টগোল। প্রায় আড়াইশ মানুষের একটা দল। গন্তব্য পিকিং, চিং সাম্রাজ্যের রাজধানী। দলটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে সুচেং। সুচেং এই শহরে চিংদের প্রতিনিধি। সে আজ বেজায় খুশি। চিং সম্রাটের জন্য রাজকীয় উপহার নিয়ে যাচ্ছে সে। কিন্তু, সকাল হতেই তার মনে কু ডাকছে। মনে হচ্ছে কোথায় যেন ঘাপলা আছে। কিছুক্ষণ পরই তার সন্দেহ সত্য প্রমাণিত হল। মুসলিমদের এই দলটি বিদ্রোহ ঘোষণা করল। তাঁদের দেখাদেখি শহরের লোকজনও বিদ্রোহ ঘোষণা করল। সুচেং ও তার তুর্কি চ্যালা আব্দুল্লাহ সমস্ত সৈন্য নিয়ে দুর্গে অবস্থান নিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। তাদেরকে কচুকাটা করল শহরের মুসলিমরা।

বিদ্রোহের খবর দ্রুত পৌঁছে গেল চীনে, চিং (Qing) সম্রাটের কাছে। সে বাহিনী পাঠাল উশ শহরের বাসিন্দাদের শায়েস্তা করতে। কয়েক মাস অবরুদ্ধ রাখার পর শহরে প্রবেশ করল তারা। দুই হাজার এর উপরে পুরুষকে হত্যা করল এবং আট হাজার এর মত নারীকে দাসী বানাল তারা। চীনারা পূর্ব তুর্কিস্তান দখলের পর হতে এটা ছিল চীনাদের বিরুদ্ধে তুর্কিদের প্রথম বড় কোন বিদ্রোহ। বিদ্রোহের সূত্রপাত হয় সুচেং এর কারণে। সে এবং তার ছেলেরা মুসলিম নারীদের জোরপূর্বক তুলে নিয়ে এসে দুর্গে আটকে রাখত এবং মাসের পর মাস তাদেরকে গণধর্ষণ করত। তারা জোরপূর্বক অতিরিক্ত কর আদায় করা সত্ত্বেও মুসলিমরা এতদিন সয়ে গেছিল, কিন্তু তাদের হাত যেদিন মুসলিম নারীদের উপর উঠল সেদিন তুর্কিরা আর সহ্য করতে পারল না। ঘৃণার আগুন জ্বলে উঠল দাও দাও করে। বলা হয় যে, মুসলিমরা সুচেং ও তার পরিবারের অসভ্যতায় এতটাই উন্মত্ত ছিল যে, তারা তাদের (সুচেং ও তার ছেলেদের) চামড়ার তৈরি বিছানায় ঘুমাতে চেয়েছিল এবং তাদের মাংস খেতে চেয়েছিল [১][২]। উশের বিদ্রোহের পরও এটা থেমে যায়নি। আগের মতই মেয়েদের তুলে নিত চীনারা, কিন্তু কিছুটা কম মাত্রায়, পাছে নতুন কোন বিদ্রোহ শুরু হয়ে যায়। তারা এই ভূমিতে পতিতাবৃত্তি চালু করল। চিং সরকার এই রকম সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলোতে সৈন্যদের তাদের পরিবারদেরকে নিতে বারণ করত। তাই সৈন্যরা তাদের লালসার সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটাতে চাইত মুসলিম নারীদের উপর। ১৮১৮ সালে বিন-জিং নামে এক সরকারী চীনা কর্মকর্তা তুর্কিদের এক বড় নেতার মেয়েকে ধর্ষণ করে, যার ফলে সে নারী আত্মহত্যা করে [৩]। এই ছিল পূর্ব তুর্কিস্তানের অবস্থা, চীনাদের অধীনে। জিল্লাতির এক কাল অধ্যায়। কিন্তু, সাহসী মুসলিম তুর্কিদের এই দুর্দিন শুরু হল কীভাবে? ১৭৫৯ সালে চীনারা জুঙ্গার (Dzungar) মঙ্গোলদের হারিয়ে পূর্ব তুর্কিস্তান দখল করে নেয়, সাথে সাথে জুঙ্গারদের উপর গণহত্যা চালিয়ে তাদের অস্তিত্ব বিলীন করে দেয় সেই এলাকা হতে। চীনাদের পূর্বে তুর্কিরা জুঙ্গার মঙ্গোলদের অধীনে নিষ্পেষিত হচ্ছিল। সতের শতকের শুরুর দিকেই পূর্ব তুর্কিস্তানে শত বছর ধরে শাসন করে আসা চাগাতাই সম্রাটদের হটিয়ে দেয় সূফী খোজারা। তারা ছিল নকশাবন্দীয়া তরীকার অনুসারী। কিন্তু, ক্ষমতার ঘ্রাণ পেতেই তারা দুই খণ্ডে বিভক্ত হয়ে যায়। আফাকী খোজা এবং ইসহাকী খোজা নামে দুই দল তৈরি হয় এবং তাদের মধ্যে শুরু হয় যুদ্ধ। ইসহাকীরা আফাকীদের পরাজিত করে যুদ্ধে। পরাজিত আফাকী খোজারা এবার একটি ঘৃণ্য কাজ করল। তারা তিব্বতের তৎকালীন পঞ্চম দালাই লামাকে আহবান করল তাদের সহায়তা করার জন্য। পঞ্চম দালাই লামা দেখল এ-তো ভালো সুযোগ পাওয়া গেল অবিশ্বাসীদের ভূমি দখলের। সে তার আজ্ঞাবহ বৌদ্ধ জুঙ্গার মঙ্গোলদের নেতা গালদানকে নির্দেশ দিল আফাকীদের সহায়তা করার জন্য। ১৬৭৮-১৬৮০ সালে গালদানের নেতৃত্বে জুঙ্গাররা আফাকীদের সহায়তা করল যুদ্ধে জিততে। তবে, যুদ্ধ শেষে খোজা আফাক শুধুমাত্র একজন পুতুল রাজা হিসেবে থাকবে, মূলতঃ পূর্ব-তুর্কিস্তান শাসন করবে জুঙ্গাররা। এ জয় ছিল জুঙ্গারদের জয়, আর এভাবেই পূর্ব-তুর্কিস্তান কাফিরদের অধীনে এলো। জুঙ্গাররা সারাদেশে তুমুল উৎসাহের সাথে লুটের রাজত্ব কায়েম করল, যার একটা ভাগ গিয়েছিল পঞ্চম দালাই লামার কাছে [৪]। সেই থেকে শুরু হয়েছে পূর্ব তুর্কিস্তানের মুসলিমদের জিল্লাতির জীবন। যা আজও বিদ্যমান। নিজেদের মধ্যে বিভক্তি ও যুদ্ধকে তারা হয়ত বড় কিছু ভাবেনি, একে অন্যের বিরুদ্ধে কাফিরদের সহায়তা করাকে তারা দূষণীয় কিছু মনে করেনি, কিন্তু ইতিহাসের এই ছোট ছোট কিছু ঘটনাই পরবর্তী বহু প্রজন্মের ভাগ্য ঠিক করে দেয়। চেপে বসে লাঞ্ছনা ও অপমান শতাব্দী হতে শতাব্দী। জুঙ্গারদের অধীনে থাকা সেই অসহনীয় সময় ৮০ বছরের মত স্থায়ী হয়। এই সময়টিতে জুঙ্গাররা মুসলিমদের চরমভাবে শোষণ করে। কর হার এত বেশী ছিল যে, সেই সময় পূর্ব তুর্কিস্তানে অবস্থানরত রাশিয়ান এবং চীনা পরিব্রাজকরা একে ডাকাতি বলে উল্লেখ করেছেন। শুধু করের হার বেশী ছিল এমন নয়, কর ছিল হাজার রকমের। ফলচাষ হতে গবাদি পশু পালন, গাছ হতে ঘাস, সোনা-রুপা, ব্যবসা-বাণিজ্য, রাস্তাঘাট-ব্রিজ, সব জায়গায় কর দিতে হত মুসলিমদের। শুধু তাই নয়, মুসলিমরা যে গম উৎপাদন করত তার ৪০-৫০% জুঙ্গারদের দিয়ে দিতে হত। তবে তাদের নোংরামো সীমা ছাড়াত যখন তারা প্রত্যেক ফসল তুলার সিজনে কর সংগ্রহ করতে আসত তখন। তাদের অলিখিত রীতি ছিল এই যে, তারা যখন কর সংগ্রহ করতে লোক পাঠাবে তখন সেই সমস্ত লোকদের মদ, মাংস ও নারী সাপ্লাই করতে হবে। তারা জোর করে মুসলিমদের কাছ থেকে এসব সংগ্রহ করত। একে তারা নাম দিয়েছিল বিদায়ী উপহার। কোন বছর যদি বিদায়ী উপহারে মন না ভরত তখন তারা ঘরে ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র ডাকাতি করত এবং নারীদের ধর্ষণ করত [৫]। মঙ্গোলরা ছিল বন্য এবং হিংস্র। চোখের জল ফেলা ছাড়া মুসলিমরা আর কিছুই করতে পারেনি। প্রায় ৮০ বছর পর চীনারা এই মঙ্গোলদের মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়, এবং দুনিয়াতে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু, এতে পূর্ব-তুর্কিস্তানের মুসলিমদের অবস্থার তেমন কোন পরিবর্তন হয় না। মঙ্গোলদের পরিবর্তে এবার চীনাদের দাসত্ব করবার পালা। সেই যে শুরু হল, এরপর বহু বিদ্রোহ ও যুদ্ধ ঘটল, কিন্তু পূর্ব তুর্কিস্তানের উইঘুর মুসলিমরা আজও স্বাধীনতা পায়নি, আজও কাফিররা তাদের নারীদের শোষণ ও ধর্ষণ করে চলছে। আগে তাদের ভাষা ও ধর্মকে অন্তত ছেড়ে দিয়েছিল কাফিররা, এখন তো ভাষা ও ধর্মকে ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে তারা। এই উপমহাদেশেও ঠিক কিছুটা এমনই ঘটেছিল, কাশ্মীরের সাথে। যদিও কাশ্মীরিদের এখানে আসলে তেমন কিছু করার ছিল না কিন্তু তাদের পরাধীনতা দীর্ঘ হওয়ার পিছনে কারণ ছিল মুসলিমদের নিজেদের মধ্যে বিভক্তি ও সংঘর্ষ এবং একে অন্যকে পরাজিত করতে কাফিরদের সহায়তা নেয়া। নেতৃত্ব নিয়ে সংঘর্ষ হওয়ায়, ১৮৩০ সালে বালাকোটের ময়দানে সৈয়দ আহমাদ শহীদ বারেলভী রহঃ-কে আক্রমণ করার জন্য শিখদের আহবান জানিয়েছিল খাইবার-পখতুনের পাঠান গোত্রপতিরা। যুদ্ধে শহীদ হন এই মহান আলিম যোদ্ধা, সাথে আরও শহীদ হয় বহু আলিম ও তালিবুল ইলম। যদি সৈয়দ আহমাদ শহীদ বারেলভী রহঃ-এর এই আন্দোলন সফল হত তাহলে শিখরা আরও শক্তিশালী হত না এবং কাশ্মীরে তাদের শাসন আরও দৃঢ় হত না; কাশ্মীর মুক্তির অনেক বড় সম্ভাবনা ছিল যদি পাঠান এবং মুজাহিদরা একসাথে কাজ করত। তবে এই বিশ্বাসঘাতকতার কড়া মাশুল দিতে হয়েছে পাঠানদের। কয়েক বছর পরই শিখ রাজা রণজিৎ সিংহ – এর দৃষ্টি ঘুরে যায় পেশাওয়ার এর উপর, ১৮৩৪ সালে পাঠানদের কাছ থেকে পেশাওয়ার দখল করে নেয় সে। এই রণজিৎ সিংহ-এর অত্যাচারী ডোগরা রাজপুত কর্মচারী গুলাব সিংহ যে কিনা শিখদের পক্ষ হতে কাশ্মীরের গভর্নর ছিল, পরবর্তীতে ব্রিটিশদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে কাশ্মীর শাসন করার অধিকার কিনে নেয়। এখানে বলে রাখা ভালো যে, ব্রিটিশরা শিখদের পরাজিত করে কাশ্মীর দখল করে নিয়েছিল তবে তারা কাশ্মীর সরাসরি শাসন করার পরিবর্তে ভারতীয় কাউকে দিয়ে শাসন করাই নিরাপদ মনে করল। কাশ্মীর কিংবা পূর্ব তুর্কিস্তানে চেপে বসা সেই পরাধীনতার শৃঙ্খল আজও চূর্ণ হয়নি। নিজেদের মধ্যে বিবাদ ও যুদ্ধের এই ভয়ংকর ভুল এভাবেই মুসলিম ভূমিগুলোতে ডেকে আনে পরাধীনতা, যা চলতে থাকে প্রজন্ম হতে প্রজন্ম, শতাব্দী হতে শতাব্দী। হয় নিজেরাই অথবা অন্য কোন মুসলিম জাতি এই ভুলের মাশুল দেয়। এভাবেই চলতে থাকে বিভক্তি ও পরাধীনতার চক্র। রেফারেন্সঃ ১/ Millward, James A. (2007). Eurasian Crossroads: A History of Xinjiang, pp. 108-109। ২/ Millward, James A. (1998). Beyond the Pass: Economy, Ethnicity, and Empire in Qing Central Asia, 1759-1864, p. 124। ৩/ Millward, James A. (2007). Eurasian Crossroads: A History of Xinjiang, pp. 206-207। ৪/ Dani, Ahmad Hasan; Masson, Vadim Mikhaĭlovich, eds. (2003). History of Civilizations of Central Asia: Development in contrast : from the sixteenth to the mid-nineteenth century, pp. 791। ৫/ Dani, Ahmad Hasan; Masson, Vadim Mikhaĭlovich, eds. (2003). History of Civilizations of Central Asia: Development in contrast : from the sixteenth to the mid-nineteenth century, pp. 196।
************************************
মুসলমান কেন নির্যাতিত হচ্ছে এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সা. এর ভবিষ্যদ্বাণী। , মুসলমানের রক্তে ভাসছে পুরো পৃথিবী। মুসলমানের মৃতদেহ নিয়ে উল্লাস করছে বিধর্মীরা। শিশু থেকে আবাল বৃদ্ধ বণিতা সবাই নির্মম নির্যাতনের শিকার। নারীদের আর্ত চিৎকারে কেঁপে ওঠছে আকাশ-বাতাস। ফিলিস্তিন, কাশ্মির, মিয়ানমার, আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাকসহ সর্বত্র করুণ কান্না। রাসুল সা. চৌদ্দশত বছর আগে বিধর্মীদের দ্বারা মুসলমানদের নির্যাতিত হওয়ার কারণ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী ঘোষণা করে গেছেন। আজ তার ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন হচ্ছে। সুনানে আবু দাউদের একটি হাদীসে বর্ণিত আছে, ‘তোমাদের ওপর এমন একটি সময় আসবে, তোমাদের বিরুদ্ধে সকল জাতি এমনভাবে ডাকবে, যেমনটি খাওয়ার দস্তরখানের দিকে লোকদের ডাকা হয়ে থাকে! এ কথা শোনে একজন লোক দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! সে দিন কি আমাদের মুসলিমদের সংখ্যা কম হবে? রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, না, সেদিন তোমরা সংখ্যায় কম হবে না। বরং তোমরা সেদিন আরো অনেক বেশি হবে। তবে তোমরা বন্যার পানির উপরিভাগে ভাসমান খড়কুটার মত হবে। মহান আল্লাহ তোমাদের দুশমনদের অন্তর থেকে তোমাদের ভয় দূর করে দেবেন। আর তোমাদের অন্তরে ‘ওহান’ ঢেলে দেবেন। এক লোক দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! ওহান জিনিসটি কী? আল্লাহর রাসুল সা. বলেন, দুনিয়ার মহব্বত আর মৃত্যুকে অপছন্দ করা।’ (সুনানে আবু দাউদ/ ৪২৯৭) উল্লেখিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ সা. মুসলমানদের নির্যাতিত ও লাঞ্চিত হওয়ার দু’টি কারণ উল্লেখ করেছেন। এ দু’টি কারণ বর্তমান যুগের অধিকাংশ মুসলমানের মাঝে পাওয়া যায়। একটি হলো দুনিয়ার মহব্বত, আরেকটি হলো মৃত্যুর ভয়। তারা দুনিয়ার মহব্বতে এমন পাগল যে, দুনিয়ার ধনসম্পদ ও সম্মান-মর্যাদা অর্জনে সদা ব্যস্ত থাকায় আল্লাহর হুকুম আহকাম পালনের প্রতি চরম উদাসীন। আর মৃত্যুর ভয়ে এমন ভীত যে জালিম কাফির মুশরিকদের জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে জিহাদ করার সাহস পায় না। ঈমানদারগণ ঈমান গ্রহণের পর দুনিয়ার মোহে পড়ে সৎ আমল করতে অবহেলা না করলে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে খিলাফত দান, ইসলাম প্রতিষ্ঠা এবং বিধর্মীদের অত্যাচার থেকে নিরাপত্তা দানের ওয়াদা করেছেন। এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের ওয়াদা দিয়েছেন, তাদের অবশ্যই পৃথিবীতে শাসনকর্তৃত্ব দান করবেন যেমন তিনি শাসনকর্তৃত্ব দান করেছেন তাদের পূর্ববতীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই সুদৃঢ় করবেন তাদের ধর্মকে, যা তিনি তাদের জন্যে পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়-ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই তাদেরকে শান্তি দান করবেন। তারা আমার এবাদত করবে এবং আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না। এরপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে, তারাই অবাধ্য। (সুরা নুর : আয়াত ৫৫) আর মৃত্যুর ভয়কে উপেক্ষা করে জিহাদ করা ব্যতিত কাফির বেঈমানদের অত্যাচার থেকে অসহায় মাজলুম মুসলমানদের রক্ষার কোন উপায় নেই। এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও। (সুরা নিসা: আয়াত ৭৫) হায় আফসোস! নির্যাতিত মুসলমানদের রক্ষার জন্য যুদ্ধ করা তো অনেক দূরের কথা তাদের আশ্রয় দিতেও বর্তমানে মুসলিমরা রাজি নয়। কোন মুসলমান রাষ্ট্র নির্যাতিতদের সাহায্যে তেমন জোরালোভাবে এগিয়ে আসছে না।

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট