আপনার নেক আমল


আপনার নেক আমল এবং চারিত্রিক ও মানবীয় গুণাবলীর কথা নিজে থেকে কাউকে বলার দরকার নেই। এগুলো আল্লাহ্ নিজেই বিভিন্ন উসিলায় মানুষকে জানিয়ে দেন। নিজে থেকে বলার ক্ষতি অনেক। প্রথমত এটি লৌকিকতার সম্ভাবনা রাখে, যা খুব বাজে একটি গুনাহ; কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটি শির্কের পর্যায়ে চলে যায়। আবার নিজের ভালো গুণগুলো বলে বেড়ানোর মাধ্যমে বাহ্যত অনেকের প্রশংসা পেয়ে আপনি অহংকারী হয়ে ওঠবেন, যা আপনার পতন ডেকে আনতে পারে। পাশাপাশি, বলে বেড়ানোর ফলে মানুষ আপনাকে জানবে, ফলে আত্মমুগ্ধতা চলে আসবে। তখন আপনি নিজেই নিজের ফ্যান হয়ে যাবেন। নিজের ভুলগুলো আর চোখে পড়বে না বা সংশোধনের ইচ্ছা জাগবে না।

. আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেওয়া মানদণ্ডে যারা প্রকৃতপক্ষেই ভালো মানুষ, তাদের উত্তম গুণাবলী এবং সুনামের কথা তার প্রতিবেশী ও সঙ্গী-সাথীরা কোনো-না-কোনোভাবে জেনেই যায়। এটি আল্লাহই করেন। সুতরাং আল্লাহর কাছেই কেবল মর্যাদা তালাশ করুন। তিনিই ইজ্জত দেওয়ার মালিক, তিনিই বেইজ্জতির মালিক। . খলিফা উমার ইবনুল খাত্তাব (রা.) আবু মুসা আল আশ‘আরি (রা.)-কে প্রেরিত একটি চিঠিতে বলেন, ‘যে ব্যক্তি সত্যের জন্য তাঁর নিয়তকে খালিস (একনিষ্ঠ) করবে⚊যদিও তা নিজের বিরুদ্ধে যায়⚊তবে, আল্লাহ তাঁর এবং মানুষের মধ্যকার বিষয়গুলোর (সমাধানের) জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবেন। আর, যে নিজেকে ঐ জিনিস দিয়ে সুসজ্জিত করবে, (প্রকৃতপক্ষে) যা তার ভেতরে নেই, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করবেন।’ [বাইহাকি, আস-সুনানুল কুবরা: ২০৫৩৭]

"হে আদম সন্তান,আল্লাহর ইবাদতের জন্য তুমি নিজের অবসর সময় তৈরী কর ও ইবাদতে মন দাও, তাহলে আমি তোমার অন্তরকে প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেব এবং তোমার দারিদ্র ঘুচিয়ে দেব। আর যদি তা না কর, তবে তোমার হাতকে ব্যস্ততায় ভরে দেব এবং তোমার অভাব কখনোই দূর করব না।" [তিরমিযী : ২৬৫৪; ইবন মাজাহ : ৪১০৭]
**********************************************************************************

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

নিশ্চয়ই কষ্টের সাথেই স্বস্তি আছে