ধর্মীয় বিষয়ে মনগড়া ব্যাখ্যা এবং দ্ব্যর্থবোধক শব্দের ব্যবহার


সেক্যুলারিজম শব্দের অনুবাদ ধর্মহীনতা। সীমিত ও সহনীয় অর্থে
 বঙ্গবন্ধুর ব্যাখায় এবং বাংলাদেশের সংবিধানে সংযোজিত বাংলারূপ হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা। যার মর্ম হচ্ছে, রাষ্ট্রের সব ধর্মের মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার। সংসদনেত্রীর ভাষায়, মুসলমানরা নিজের ধর্ম সঠিকভাবে পালনের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মের মানুষের ধর্মীয় অধিকারের কথা স্বীকার করবে। এটি ইসলামী সভ্যতারও কনসেপ্ট।

তবে সমস্যা হয় অতি ধর্মনিরপেক্ষদের নিয়ে। যারা পূর্ণ সেক্যুলার, ধর্মহীন বা খাঁটি ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী হিসাবে সংবিধানের দোহাই দিয়ে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ওপর ধর্মহীনতা চাপিয়ে দিতে চান। যে অভিজ্ঞতা তুরস্কের খেলাফত বিলোপ ও ইসলাম নির্মূলের ইতিহাস থেকে বোঝে আসে। বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন রোধে অখন্ড ভারতীয় নেতৃবৃন্দ যে মহান উদ্দেশ্যে খেলাফত আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।

অতি ধর্মনিরপেক্ষদের জানা কর্তব্য যে, বাংলা একাডেমির ইংলিশ-বাংলা ডিকশনারিতে সেক্যুলার অর্থ পার্থিব, ইহজাগতিকতা, জড়, জাগতিক। সেক্যুলার স্টেট ‘গীর্জার সঙ্গে বৈপরিত্যক্রমে রাষ্ট্র’। এ অর্থ অনুযায়ী মুসলিম দেশে এর ব্যাখ্যা দাঁড়ায় ‘শরীয়তের সঙ্গে বৈপরিত্যক্রমে রাষ্ট্র’। সেক্যুলার মানে, ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার সাথে যে বিষয়ের কোনোই সম্পর্ক নাই।

যেসব দেশে শিক্ষানীতির মূল আদর্শ বানানো হয়েছে সেক্যুলারিজমকে। তাদের শিক্ষানীতি শিশু শ্রেণি থেকেই মুসলিম ছেলেমেয়ের সেক্যুলার আদর্শে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়েছে। কোমলমতি শিশুদের অঙ্কুর থেকেই ধর্মহীন ভাবধারায় গড়ে তোলার মতো উপাদান রাখা হয়েছে টেক্সটবুকগুলোতে। মুসলিম নাগরিকদের আদালতে বিচারক যুক্তি দিচ্ছেন, যেহেতু আমাদের রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেয়েদেরকে বোরকা পরতে বলা যাবে না। দাড়ি টুপি বোরকা হিজাবেও শাস্তির ব্যবস্থা এ নীতি থেকেই হতো।

স্পষ্টত রাষ্ট্র থেকে ইসলামকে দূরে সরিয়ে রাখাই আসল উদ্দেশ্য। কেননা একমাত্র ইসলামের নীতিমালাই তাদের পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুসরণের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। সেক্যুলারিজমের বক্তব্য হচ্ছে, আইন-আদালত, বিচারকার্য এসব চলবে ধর্মহীন রাষ্ট্রীয় নীতি অনুযায়ী। রাষ্ট্র যেভাবে আইন করে সেভাবে নাগরিক চলবে। ধর্মের সেখানে প্রবেশাধিকার নেই। প্রকৃত মুসলমানদের জন্য শরীয়তবিবর্জিত নীতি সংস্কৃতি ও বিধি বিধান নির্বিচারে মেনে চলা কখনই সম্ভব হয় না। বিশ্বব্যাপি এটাই সভ্যতা ও জীবনব্যবস্থার দ্ব›দ্ব।

কেউ যদি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী হন সেটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। রিদ্দাহ বা ইরতিদাদ ইসলামে কুফুরীর চেয়েও বেশি নিন্দিত বিষয়। বাংলাদেশে মুরতাদ বলে যা পরিচিত। কেননা ঈমান পাওয়ার পর আবার বেঈমান হয়ে যাওয়া মানবজীবনের সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা। একজন মুসলমান বিশ্বাসগতভাবে সেক্যুলার হওয়া এ ধরনেরই একটি দুঃখজনক বিষয়। আরেকটি পর্যায় আছে পশ্চিমা সেক্যুলার বা ধর্মহীন না হয়ে নিজেদের তৈরি পরিভাষায় ভিন্ন অর্থবোধক ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া।

যার উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি সমাজে সকল ধর্মের মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা। রাষ্ট্র ও রাজনীতি, শাসন ও বিচার বিবেচনায় ইসলামী পদ্ধতিতে এই স্বাধীনতা সবচেয়ে বেশি সুরক্ষিত। মুসলিম শাসননীতিতে জিম্মিদের (প্রচলিত অর্থে জিম্মি নয়, এর অর্থ মুসলিম শাসিত রাষ্ট্রের অমুসলিম নাগরিক) অধিকার একটি আকর্ষণীয় বিষয়। অমুসলিম জিম্মি নাগরিকদের জন্য মুসলমানদের জন্য হারাম এমন কোনো কোনো বিষয়ও তাদের সমাজে প্রচলিত থাকায় মুসলিম রাষ্ট্রে এসবের বিশেষ অনুমতি থাকে। যা ইসলামই পৃথিবীকে শিখিয়েছে। আধুনিক উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে ক‚টনীতিকদের বেলায় যেমন বিশেষ আইন থাকে ঠিক তেমনই মুসলিম রাষ্ট্রে অমুসলিম জিম্মি নাগরিকদের জন্য অধিক মানবাধিকার সম্বলিত বিশেষ আইন রয়েছে।

উদাহরণ স্বরূপ জিম্মিদের নিজস্ব বলয়ে মদ্যপান, শুকরের ব্যবহার, এসবের ব্যবসা, নারী-পুরুষের বেপর্দা একত্রে চলাফেরা প্রভৃতি মুসলিম সমাজের মতো নিষিদ্ধ নয়। তাদের ধর্ম কর্ম পালন নিষিদ্ধ নয়। তাদের ধর্মীয় উপাসনালয়, ধর্মীয় সংস্কৃতি, ধর্মীয় সম্পত্তি ইত্যাদি নির্মাণ উন্নয়ন এবং এসবের নিরাপত্তা মুসলিম রাষ্ট্রের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কেবল ধর্মীয় কারণে এদের উপর কোনোরূপ জুলুম ইসলামী রাষ্ট্র হতে দেয় না। নবী করীম (সা.) বলেছেন, মুসলিম সমাজে যদি কোনো অমুসলিম জিম্মি নির্যাতিত হয় তাহলে রোজ কেয়ামতে আমি নিজে বাদী হয়ে আল্লাহর দরবারে তার পক্ষে নালিশ করব।

এ বিধান ও সংস্কৃতিকে কেউ যদি ইসলামের উদারতা বলে তাহলে কি বেশি ভালো শোনায়, না এ সবকে ধর্মনিরপেক্ষতা বললে বেশি ভালো হয়। এ বিবেচনা বিজ্ঞ পাঠককে করতে হবে। তারা কি ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ ও এর প্রয়োগ চিন্তা না করেই বলতে আগ্রহী হবেন যে, কোরআন শরীফেও ধর্মনিরপেক্ষতা আছে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও (নাঊজুবিল্লাহ) ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। এ ধরনের অসংযত বাক্য প্রয়োগের ফেতনায় বর্তমানে মুসলমানরা পতিত হয়েছে।বাংলাদেশের সংসদে একজন কমিউনিস্ট ভাবধারার এমপি একবার বলেছিলেন, মহানবী (সা.) নিজেই ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। এটি তাদের ধারণার ধর্মনিরপেক্ষতা। তারা গভীরভাবে চিন্তা করতে চান না যে, ধর্মনিরপেক্ষতা আসলে সেক্যুলারিজমের ভাবানুবাদ। যার মূল অর্থ ধর্মহীনতা। আগেই বলা হয়েছে, একটি ধর্মের নবী কেন এবং কীভাবে ধর্মনিরপেক্ষ হবেন। তিনি সকল ধর্মের মানুষের সামাজিক ও মানবিক অধিকার দেওয়ার পক্ষে একটি সহনশীল রাষ্ট্র ও সমাজচিন্তা দান করে গিয়েছেন।

সরকারের উচ্চ পদে কর্মরত একজন দায়িত্বশীল (বর্তমানে মৃত) একবার দাবি করলেন, মদীনা সনদ ছিল ধর্মনিরপেক্ষ এবং এর শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ছিল না। বিষয়টি নিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বেশ হই চই ফেলে দিলে এই ভুল তথ্য রদ করা কিছু উলামা মাশায়েখ ও দীনদার বুদ্ধিজীবী নিজেদের ঈমানী দায়িত্ব বলে মনে করেন। বিখ্যাত সব ইতিহাসগ্রন্থ থেকে মদীনা সনদের অধ্যায় ফটো করে ওই মহলটির কাছে পেশ করা হয়। স্পষ্ট হরফে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয়।

আর মদীনা সনদের শুরুতে আল্লাহর কালেমা, তাওহীদ ও রেসালতের সাক্ষ্য এবং মদীনার সব ধর্মের নাগরিকরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নেতৃত্ব মেনে একটি নাগরিক শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা এবং বহিঃশত্রুর আক্রমণ সম্মিলিতভাবে মোকাবিলার যে চুক্তিপত্রে সম্মতি প্রদান করে, এরই নাম ছিল মদীনা সনদ বলে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এটি ইসলামের কোনো চিরস্থায়ী রাষ্ট্রদর্শন বা বিধান নয়। ধর্মনিরপেক্ষতার দৃষ্টান্তও নয়। এটিকে অজ্ঞতা, হঠকারিতা বা অপব্যাখ্যার আশ্রয় নিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ কোনো সনদ বলা মোটেও ইসলামসম্মত নয়।

সাহাবায়ে কেরাম হজরত নবী করিম (সা.)-কে উদ্দেশ্য করে বলতেন, রায়িনা ইয়া রাসুল সা.। অর্থাৎ হে রাসুল, আপনি আমাদেরকে তদারকি করুন। এ শব্দটির আরেকটি অর্থ হচ্ছে, হে আমাদের রাখাল। মক্কার মুশরিকরা এই দ্বিতীয় অর্থে কথাটি ব্যবহার করে সাহাবীদের কথার বিদ্রুপ করতো। তখন আল্লাহ সাহাবীদের বললেন, তোমরা রায়িনা বলো না, বলো উনজুরনা। এর অর্থ হে রাসুল, আপনি আমাদের প্রতি তত্ত্বাবধায়কের দৃষ্টিতে তাকান। আমাদেরকে সফল মানুষ হিসাবে গড়ে তুলুন। আমাদের প্রতি নেকদৃষ্টি দিন।

দ্ব্যর্থহীন শব্দ ব্যবহার করা ইসলামের শিক্ষা। একটি শব্দের দুটি অর্থ হতে পারে। শত্রুরা এর অপব্যবহার করতে পারে। অতএব দ্ব্যর্থবোধক শব্দ বাদ দিয়ে স্পষ্ট এবং একার্থবোধক শব্দ ব্যবহার করার নির্দেশ আল্লাহ মুসলমানদের দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন : হে মুমিনগণ! তোমরা ‘রা‘ইনা’ বলে সম্বোধন করো না, (যার অর্থ আমাদের রাখাল) বরং তোমরা বলবে ‘উনজুরনা’ (অর্থাৎ আমাদের প্রতি নেকদৃষ্টি দিবেন।) এবং শুনে নাও, বস্তুতঃ অবিশ্বাসীদের জন্যই রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি। (সূরা বাকারাহ : ১০৪)।

বিদেশী শব্দ ও পরিভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রেও আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে, আমরা যেন কুফরী, উপনিবেশবাদ, সাম্রাজ্যবাদী অপসংস্কৃতির শিকার না হই। আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা যাবে না। ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দীন ধর্ম কিংবা ইসলামসম্মত নয় এমন কোনো বিশ্বব্যবস্থা জীবনবিধান তন্ত্র ইজম বা মতবাদ অনুসরণ করা যাবে না। আল্লাহ, রাসূলুল্লাহ (সা.) এবং দীনকে মানার পথ সুস্পষ্ট। মুসলমানদের এর বাইরে যাওয়ার কোনো অনুমতি নেই। যাদের বিষয়টি জানা নেই বা জানলেও অস্পষ্ট, তারা ভালো করে জেনে নিন।

সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর কেন, বলুন আল্লাহ। চেতনা কেন, বলুন ঈমান আকিদা। রাজনীতি কেন, বলুন রাষ্ট্র, সরকার ও বিচারব্যবস্থায় দীনের কালেমাকে বিজয়ী করার সুন্নাহসম্মত কর্মপন্থা। বিপ্লব, আন্দোলন, সংগ্রাম কেন, বলুন, শিক্ষা সংস্কৃতি অর্থনীতিসহ গোটা সমাজব্যবস্থাকে ইসলামীকরণের লক্ষ্যে দাওয়াত তালীম তারবিয়া ও ইসলাহি কাজ।

নতুন বিশ্বব্যবস্থা কেন, বলুন ‘কোরআন সুন্নাহ ও শরীয়াহ’। ডেমোক্রেসি কেন, বলুন ‘জনগণের ক্ষমতা, অধিকার ও স্বাধীনতা’। সেক্যুলারিজম কেন, বলুন ‘নাগরিকদের ধর্মীয় অধিকার’। সোশ্যালিজম কেন, বলুন ‘অর্থনৈতিক মুক্তি ও সামাজিক সুবিচার’। জাতীয়তাবাদ কেন, বলুন ‘দেশের মানুষের নাগরিক ও আর্থসামাজিক অগ্রাধিকার’। আইনের শাসন কেন, বলুন ‘ইসলামের সুশাসন ও ন্যায়বিচার’।  সুফিবাদ কেন, বলুন ‘তাসাওওফ, তরিকা, তাযকিয়া ও ইহসান’।

আমাদের সংবিধানের সোশ্যালিজম শব্দটি একটি পূর্ণাঙ্গ ইজম বোঝায়। যদিও সংবিধান রচয়িতাদের অনেকেরই শতকরা ৯২ ভাগ মুসলমানের ঈমানের দাবি সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং বিশ্ব মোড়লদের তাবেদারিজনিত কারণে এসব সাম্রাজ্যবাদী পরিভাষা স্বাধীন দেশের সংবিধানে প্রবিষ্ট হয়। নিজেদের ঐতিহ্যবাহী রাষ্ট্র ও সমাজদর্শন থাকা সত্তে¡ও ঈমানবিরোধী পশ্চিমা দর্শন বঙ্গবন্ধু আলাদা ব্যাখা দিয়ে শোষণহীন সমাজ এবং জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি বোঝাতেই সংবিধানের অংশ করেছেন। গণপরিষদ বঙ্গবন্ধুর নেওয়া অর্থেই এসব বিষয় সংবিধানের অংশ করেছে। প্রণেতাদের অর্থে আসল মার্ক্সিজম বোঝাতে অবশ্যই নয়। কারণ বঙ্গবন্ধু বা তার দল কোনোদিনই মার্ক্সবাদী ছিলেন না। অর্থনীতি বিষয়ক কিছু বিষয় বোঝানো ছাড়া নাস্তিক্যবাদী ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত পরিপূর্ণ মার্ক্সবাদ ১০০ ভাগ সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী জনগণের স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের সংবিধানে রাখার যৌক্তিকতাও যে নেই।

কেননা কার্ল মার্ক্স নিজেই তার পুস্তকে বলে দিয়েছেন, আল্লাহর অস্তিত্ব অস্বীকার করা মার্ক্সবাদের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এদেইজম ইজ দ্য আনসেপারেবল পার্ট অব মার্ক্সিজম। (দ্য ক্যাপিটাল।)

মুসলিম বিশ্বের আইন রচয়িতাদের উচিৎ ধর্মহীন সেক্যুলারিজম না বলে সব ধর্মের নাগরিকদের ধর্মীয় অধিকার ও স্বাধীনতা বলা। তাদের কর্তব্য নাস্তিক্যবাদী সোশ্যালিজম না বলে অর্থনৈতিক মুক্তি ও শোষণহীন সমাজ বলা। অর্থ বিভ্রাট বা অপব্যাখ্যা হতে পারে এমন ক্ষতিকর পরিভাষা না ব্যবহার করাই উচিৎ। আল্লাহর কোরআন থেকেই আমরা এ শিক্ষা পেতে পারি যে, ঈমান, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সংবিধানের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি ক্ষেত্রে দ্ব্যর্থহীন শব্দের ব্যবহার অধিক বাস্তবসম্মত ও নিরাপদ।

উবায়দুর রহমান খান নদভী
 | daily inqilab

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট