ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর বই Pdf Download

 বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম; ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর বই সমূহের pdf ফাইল ডাউনলোড করতে নিচে  ক্লিক করুন;

https://www.tauhiderdak.com/2021/03/abdullah-jahangir-pdf-download.html


ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর বই Pdf Download

খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডক্টর

খোন্দকার আবু নাসর মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর.jpeg
ব্যক্তিগত
জন্ম১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬১
ধোপাঘাট-গোবিন্দপুর গ্রাম, ঝিনাইদহ সদরঝিনাইদহ
মৃত্যু১১ মে ২০১৬ (বয়স ৫৫)
ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক, মাগুরা জেলা
মৃত্যুর কারণসড়ক দুর্ঘটনা[১]
ধর্মইসলাম
জাতীয়তাবাংলাদেশী
দাম্পত্য সঙ্গীফাতিমা আবুল আনসার
সন্তানখোন্দকার উসামা জাহাঙ্গীর (পুত্র)
জাকিয়া খোন্দকার, রিফাত খোন্দকার ও বুসাইনা খোন্দকার (৩ কন্যা)
উল্লেখযোগ্য কাজপবিত্র বাইবেল: পরিচিতি ও পর্যালোচনা, জিজ্ঞাসা ও জবাব (৫ খন্ড), আল-ফিকহুল আকবর, হাদিসের নামে জালিয়াতি, এহইয়াউস সুনান, খুতবাতুল ইসলাম, ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ, কিতাবুল মোকাদ্দস, ইঞ্জিল শরীফ ও ঈসায়ী ধর্ম, বুহুসুন ফি উলূমিল হাদীস
যেখানের শিক্ষার্থীইমাম মুহাম্মদ ইবনে সৌদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়
সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা
যে জন্য পরিচিতইসলামী ব্যক্তিত্ব, লেখক, গবেষক ও শিক্ষাবিদ
কাজঅধ্যাপনা, আল হাদিস বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ
প্রতিষ্ঠানআস সুন্নাহ ট্রাস্ট
মুসলিম নেতা
শিক্ষকআব্দুল আজিজ ইবনে বাযমুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উথাইমিনসালেহ আল-ফাওজানউবায়দুল হকআবদুর রহিমমোহাম্মাদ ফখরুদ্দীন (শিক্ষক)

খোন্দকার আবু নাসর মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (১৯৬১-২০১৬) ছিলেন একজন বাংলাদেশী ইসলামি ব্যক্তিত্ব,[৩] অধ্যাপক, গবেষক, লেখক, টিভি আলোচক ও অনুবাদক।[৪][৫][১][৬][৭][৮] তিনি ইসলামিক টিভিএনটিভিপিস টিভিএটিএন বাংলাচ্যানেল নাইন প্রভৃতি গণমাধ্যমে ইসলামের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন।[১][৯][১০] এবং আইটিভি ইউএস (মার্কি‌ন ইসলামি টেলিভিশন চ্যানেল)-এর উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদিস ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।[৪] তারবাংলাদেশে উশর বা ফসলের যাকাত: গুরুত্ব ও প্রয়োগ গ্রন্থটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সকল আলিয়া মাদ্রাসার সম্মান পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[১১][১২] এছাড়াবুহুসুন ফি উলূমিল হাদীস (بُحُوثٌ في عُلُومِ الْحَدِيْث) এবং হাদিসের নামে জালিয়াতি দুইটি বই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[১৩][১৩] এছাড়াও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকালীন তার অধীনে ১২ জন পিএইচডি এবং ৩০ জন এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেছেন।[১৪]

ইসলামে অবদান[সম্পাদনা]

ইসলামি আলোচনা[সম্পাদনা]

তিনি শিরক, বিদয়াত, আকিদা সহ ইসলামের সমসাময়িক বিষয়ে পিস টিভি, ইসলামিক টিভি, এটিএন বাংলা, এনটিভি, বাংলা ভিশন, দিগন্ত টিভিসহ বিভিন্ন টিভিতে ইসলামি আলোচনায় অংশ নিতেন।[৫][৩০] তিনি আরবি, ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু ভাষায় পারদর্শী ছিলেন, এসব ভাষায় দেশের শীর্ষস্থানীয় অনুষ্ঠানে আলোচনা করতেন।[৩১]

ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের আলেমদের মতপার্থক্য নিরসনে তিনি কাজ করতেন। তিনি ইসলামের বিভিন্ন উপদলের মধ্যে সমন্বয় করে কথা বলার জন্য সুপরিচিত হয়েছিলেন, তিনি সালাফিআহলুল হাদিস, মাজহাবপন্থি, আহল-ই-হাদীস সহ সকল দলের মধ্যে সমাদৃত ছিলেন।[৩২] এছাড়াও তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামি আলোচনার জন্য যেতেন এবং সশরীরে আলোচনা করতেন। তিনি অনলাইনে জনপ্রিয় ছিলেন, ইসলামের সমসাময়িক বিভিন্ন সমস্যা, দিক-নির্দেশনা নিয়ে তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল, তার ফেসবুকে পাতায় আলোচনা করতেন। এছাড়াও তার আস সুন্নাহ ট্রাস্ট ওয়েবসাইটে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতেন।[৩৩][৩৪][৩৫]

গ্রন্থবিবরণী[সম্পাদনা]

সমাজ সংস্কার, শিক্ষা, আল ফিকহ, আল হাদিস, তুলনামূলক ধর্মীয় আলোচনা, ইসলামি ঐক্য প্রভৃতি বিষয়ের উপর ৫০টির অধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু বইয়ের নাম উল্লেখ করা হলো:

ইংরেজি ভাষায়
  • এ ওম্যান ফ্রম ডেজার্ট (মরুভূমি থেকে একজন মহিলা) (১৯৯৫)
  • গাইডেন্স ফর ফাস্টিং মুসলিমস (রোজা মুসলমানদের জন্য হেদায়েত) (১৯৯৭)
  • এ সামারি অফ থ্রি ফান্ডামেন্টালস অফ ইসলাম (ইসলামের তিনটি মৌলিক সংক্ষিপ্তসার) (১৯৯৭)
আরবি ভাষায়
  • বুহুসুন ফি উলুমিল হাদিস [৩৬] (আধুনিক বিজ্ঞানে গবেষণা) (২০০৭)
বাংলা ভাষায়
অনুবাদ

সামাজিক কর্মকান্ড[সম্পাদনা]

তিনি বহুবিদ সামাজিক উন্নয়ন, ইসলামি শিক্ষা উন্নয়ন, দুস্থ মানুষের সহযোগিতার কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।

আস সুন্নাহ ট্রাস্ট[সম্পাদনা]

সমাজসেবা ও দ্বীনের বহুমুখী কাজ যথাযথভাবে করার জন্য ২০ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে তিনি ‘আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট’ প্রতিষ্ঠা করেন। এর অন্তর্গত ইসলামিক বিদ্যালয় রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা ইসলামের প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চতর গবেষণার জন্য পড়াশোনা করে থাকে।[৪১] এই বিদ্যালয়ের বালক ও বালিকা উভয় শাখা রয়েছে।[৪২] বর্তমানে ৩০০-৪০০ শিক্ষার্থী এখানে অধ্যায়নরত আছে। এটি অনেকটাই দাতব্য প্রতিষ্ঠানের ন্যায়। শিক্ষার্থীরা এখানে স্বল্প ও বিনা খরচে পড়াশোনার সুযোগ পেয়ে থাকে।[৪৩] এছাড়াও গরীব মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ, বিনামূল্যে বই বিতরণ, বয়স্ক ও শিশু-কিশোরদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষা,[৪৪] বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবাসহ[৪৫] নানামুখী সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মেধা উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে থাকে। এর অধীনে আরও কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

  • আস সুন্নাহ পাবলিকেশন্স: একটি ইসলামি প্রকাশনা সংস্থা। তারা আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর সহ ইসলামি লেখকদের বই ছাপিয়ে থাকে।[৪৬]
  • আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট পাঠাগার: সাধারণ মানুষ ও যুবকদেরকে বইপড়ায় অভ্যস্থ করতে তারা একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেছে।[৪৭]
  • আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট মসজিদ: ট্রাস্টের পক্ষ থেকে সুবৃহৎ ৪ তলা আকর্ষণীয় মসজিদ নির্মান করা হয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য।[৪৮]
  • মাদরাসাতুস-সুন্নাহ বালক বালিকা ও হিফজ শাখা:
  • মারকাযুস সুন্নাহ মক্তব:

আল ফারুক একাডেমী[সম্পাদনা]

আল ফারুক একাডেমী দুই বছর মেয়াদী উচ্চতর ইসলামি গবেষণা করার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান,আলিয়া মাদ্রাসার আদলে এই মাদ্রাসাটি করা হয়েছে, তবে এখানে কিছু কওমি মাদ্রাসার পাঠ্যবই যুক্ত রয়েছে।[১৮] তিনি কওমি ও আলিয়া ধারার সমন্বয়ে ছাত্রদেরকে উভয়দিকে দক্ষ আলেম তৈরি করার লক্ষ্যে 'উচ্চতর হাদীস গবেষণা বিভাগ' এবং ধর্মীয় অপতৎপরতার বিরুদ্ধে 'উচ্চতর দাওয়াহ ও তুলনামূলক ধর্মবিজ্ঞান বিভাগ' প্রতিষ্ঠা করেন।[১৮] এছাড়াও নূরানী মক্তব, বালক ও বালিকা হিফজ বিভাগ ও কিতাব বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছেন।

অন্যান্য[সম্পাদনা]

  • ঝিনাইদহ দাতব্য ফাউন্ডেশন: তিনি সাধারন দুস্থ, অসহায় ব্যক্তি ও গরীব ছাত্রদের সাহায্য করার জন্য সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এই ফাউন্ডেশন চালু করেন।
  • কর্মসংস্থান ও সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র: আস সুন্নাহ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে দুস্থ-অভাবী মানুষদের কর্মসংস্থানের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে সবাইকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয় ও কর্মসংস্থান পেতে সাহায্য করা হয়।[১৮][৪৯]

পুরস্কার ও সন্মাননা[সম্পাদনা]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

তিনি দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্ন সময় পুরস্কারপ্রাপ্ত ও সন্মানিত হয়েছেন। যেমন:

স্মরণিকা ও জীবনী[সম্পাদনা]

  • প্রেরণার বাতিঘর (ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্মারকগ্রন্থ)[৫১] - আবুল কালাম আজাদ আযহারী সম্পাদিত

তার মৃত্যুর পর বাংলাদেশ জাতীয় মুফাসসির পরিষদ কর্তৃক প্রকাশিত হয় প্রেরণার বাতিঘর। এই স্মারকগ্রন্থটিকে আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীরের স্মরণে ঢাবির সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দিন আহমদ, কবি আল মাহমুদ, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, সাবেক সচিব শাহ্ আব্দুল হান্নাননয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনসহ অনেকেই বক্তব্য দিয়েছেন।[৫২]

আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীরের মৃত্যুতে ১৮ মে ২০১৬ তারিখে তার নিজ কর্মস্থল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে,[৩][৫৩] ৪ জুন ২০১৬ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয় মুফাসসির পরিষদ কর্তৃ‌ক[৫১] এবং ১৯ মে ২০১৬ আইটিভি টোয়েন্টিফোর কতৃক দোয়া অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা আয়োজিত হয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে আস সাফা ইসলামিক সেন্টার কতৃক দোয়া মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এছাড়া ২০১৭ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে তার জীবন কর্ম আলোচনা বিষয়ের উপর সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিলো।[৫৪]

আস সুন্নাহ পাবলিকেশন্স থেকে ২০২০ সালে তার জীবনীগ্রন্থ যুগের মহান দাঈ ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) প্রকাশিত হয়েছে। এই গ্রন্থে তার সমন্ধে সমকালীন ইসলামি পন্ডিতদের বক্তব্যের একটি সংকলনও যুক্ত করা হয়েছে।

আলোচনা-সমালোচনা[সম্পাদনা]

আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর বাংলাদেশের ইসলামের সকল উপদলের মানুষসহ, সকল সাধারণ মানুষের নিকট সমান জনপ্রিয় ছিলেন।[৫৫] হটাৎ দুর্ঘটনায় তার মৃত্যুতে অনেকের মধ্যে রহস্যের সৃষ্টি হয়। কিছু আলেম ধারণা করেন, জনৈক খ্রিষ্টান মিশনারীর বিরুদ্ধে তৎপর থাকায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।[৫৬] যুক্তরাজ্যের আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বলেন, এই যুগশ্রেষ্ঠ ও ভারসাম্যপূর্ন মনীষী ও আলেমের জীবন ও কর্মের উপর উচ্চমানের গুণগত গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বলেছেন:

source-wikipedia

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

দিরিলিসের আরতুগ্রুলের সকল পর্ব কিভাবে দেখবেন?

নিশ্চয়ই কষ্টের সাথেই স্বস্তি আছে