জুমু'আর দিনে
জুমু'আর দিনে রয়েছে বিপুল পরিমাণে সাওয়াব অর্জনের সুযোগ।
বিখ্যাত তাবেঈ সাঈদ ইবনুল মুসাইব রাহিমাহুল্লাহ বলেন _ "আমার কাছে নফল হজ্জ করার চেয়েও বেশি উত্তম হলো জুমু'আর আমল।" হাদিসে এসেছে যে ব্যক্তি জুমু'আর দিনে পাঁচটি শর্ত পূরণ করবে তার জন্য প্রতি কদমের বিনিময়ে রয়েছে এক বছরের নফল সিয়াম ও কিয়ামুল্লাইল পালন করার সাওয়াব। সুবহানাল্লাহ! ★শর্তসমূহ ★ ১. ফরয গোসলের ন্যায় গোসল করতে হবে। ২. আগে আগে মসজিদে যেতে হবে। ৩. বাহনে না চড়ে হেঁটে হেঁটে মসজিদে যেতে হবে। ৪. ইমামের কাছাকাছি বসার চেষ্টা করতে হবে। ৫. অনর্থক কাজে লিপ্ত না হয়ে মনোযোগসহ খুতবা শুনতে হবে। [তিরমিজি: ৪৯৬, আবু দাউদ: ৩৪৫ ]। প্রতি কদমের বিনিময়ে অর্থাৎ কারো বাসা থেকে মসজিদ ৭০ কদমের দূরত্বে হলে সে ৭০ বছরের নফল সিয়াম ও কিয়াম পালনের সাওয়াব অর্জন করতে পারবে। "সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি।" পুরুষদের জন্য এ সুবর্ণ সুযোগ যেন কিছুতেই মিস না হয়। সকলেই মসজিদে প্রথম প্রবেশকারী হওয়ার জন্য চেষ্টায় থাকবেন, তাহলে উট কুরবানীকারির ন্যায় সাওয়াব পাবেন এই বিষয়েও হাদিস রয়েছে [মুসনাদে আহমাদ: ৩/৮১]। মেসওয়াক, নিজের সর্বোত্তম পোশাক পরিধান ও সুগন্ধি ব্যবহার করবেন। নারীরা কি করবেন সে বিষয়ে জানতে এই পোস্টের কমেন্টে আমরা একটি লিংক দিচ্ছি সেটা দেখে নিন। এছাড়াও জুমু'আর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আমলসমূহও যেন কারো মিস না হয়। যেমন _ ★সূরা কাহাফ ★ দরূদ ★ ইস্তিগফার ★ দু'আ (আসর থেকে মাগরিবের সময়টা গুরুত্বপূর্ণ)।
***********************************************
একটি ভুল তথ্য : সুরমা কি তুর এর তাজাল্লী থেকে সৃষ্টি?
.
সুরমার বিষয়ে কোনো কোনো লোককে বলতে শোনা যায় যে, হযরত মুসা আ. যখন তুর পাহাড়ে আল্লাহকে স্বচক্ষে দেখতে চেয়েছিলেন তখন আল্লাহর তাজাল্লীতে পাহাড় ভস্ম হয়ে গিয়েছিল। সেই ভস্মিভূত পাহাড় থেকেই সুরমার উৎপত্তি ও ব্যবহার।
এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সুরমা একটি খণিজ দ্রব্য। এর সাথে তুর পাহাড়ের কোনো সম্পর্ক নেই। মুসা আ.-এর আল্লাহকে দেখার ইচ্ছা ও তুর পাহাড়ের মূল ঘটনাটি সত্য। কুরআন মজীদে এর পূর্ণ বিবরণ রয়েছে। (সূরা আ‘রাফ : ১৪৩ দ্রষ্টব্য) কিন্তু কোথাও এই ঘটনার সাথে সুরমাকে জড়িয়ে দেওয়ার কথাটির সামান্যতমও উল্লেখ নেই। অতএব এই ধরনের কথা পরিহার করা জরুরি।
.
[ মাসিক আলকাউসার || শাওয়াল-১৪৩২ || সেপ্টেম্বর-২০১১ ]
Collected
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন