কোরবাণী কবুল হওয়ার শর্ত!

 কোরবাণী কবুল হওয়ার শর্ত!


আপনার কোরবাণী কবুল হতে হলে আপনাকে মুত্তাকিন হতে হবে। মুত্তাকিন ছাড়া আল্লাহ তা‘আলা কারও কোরবাণী কবুল করেন না। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ إِنَّمَا يَتَقَبَّلُ اللَّهُ مِنَ الْمُتَّقِينَ “নিঃশ্চয়ই আল্লাহ শুধু আল-মুত্তাকুনদের থেকে (কুরবাণী) কবুল করেন।“ সুরা আল-মাইদাহ ৫:২৭ তাহলে কারা এই মুত্তাকিন? মুত্তাকিন তারাইঃ ১) যারা বিশ্বাস করে আল-গায়েবে ২) যারা সালাত আদায় করে ৩) যারা আল্লাহ যা দিয়েছেন তা থেকে ব্যয় করে ৪) যারা বিশ্বাস করে যা পাঠানো হয়েছে মুহাম্মাদ (সাঃ) এর নিকট ৫) যারা বিশ্বাস করে যা পাঠানো হয়েছিল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর পুর্বের নবী-রাসুলগণের নিকট ৬) যারা পরকালে নিশ্চিত বিশ্বাস করে। এ ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা সুরা বাকারাহতে (২:২-৫) বলেছেনঃ ﴿ذَلِكَ الْكِتَابُ لاَ رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ﴾ ২:২। ইহা সেই কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই, (ইহা) মুত্তাকিনদের জন্য এক হেদায়েত (পথ প্রদর্শক)। ﴿الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلوةَ وَمِمَّا رَزَقْنَـهُمْ يُنفِقُونَ﴾ ২:৩। যারা বিশ্বাস করে আল-গায়েবে এবং সালাত আদায় করে এবং আমরা যা রিযিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে ﴿وَالَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ وَبِالأْخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ﴾ ২:৪। আর যারা বিশ্বাস করে (কুরআন ও সুন্নাহতে) যা আপনার (হে মুহাম্মাদ সাঃ) নিকট পাঠানো হয়েছে এবং (বিশ্বাস করে) তাতে যা পাঠানো হয়েছিল আপনার পূর্ববর্তীদের নিকট (অর্থাৎ যাবুর, তাওরাত এবং ইঞ্জিল ইত্যাদি) এবং তারা আখিরাতের (পরকালের) উপর নিশ্চিত বিশ্বাস রাখে (অর্থাৎ পুনরুত্থান, ভাল ও মন্দ আমলের প্রতিদান, জান্নাত ও জাহান্নাম)। ﴿أُوْلَـئِكَ عَلَى هُدًى مِّن رَّبِّهِمْ وَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ﴾ ২:৫। উহারাই তাদের রাব্বের হেদায়েতের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং উহারাই কৃতকার্য। সুরাহ বাকারাহ ২ঃ২-৫ কাজেই আসুন আমরা সবাই সালাত আদায় করি এবং সামর্থ অনুযায়ী যাকাত প্রদান করি এবং আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে মুত্তাকিন হই।



*************************************
🍀 নামাজের সিজদায় দোয়া করার নিয়ম 🍃 🍃 সিজদায় দোয়া কবুল হয়। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘বান্দা যখন সিজদারত থাকে, তখন সে তার রবের সবচেয়ে নিকটবর্তী হয়। কাজেই তোমরা এ সময়ে বেশি বেশি দোয়া করবে।’ (সহিহ মুসলিম: ১/৩৫০)। 🍃 সিজদায় দোয়া করার জন্য প্রথমে অবশ্যই সিজদার তাসবিহ পড়ে নিতে হবে। সে হিসেবে সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা বা অন্য কোনো তাসবিহ (৩ বার) পড়ার পরই দোয়া শুরু করতে হবে, হোক সেটি ফরজ, সুন্নত বা নফল সালাত। অর্থাৎ ফরজ সালাতেও সিজদায় দোয়া করা বৈধ। তবে, আলেমদের অনেকেই বলেছেন, ফরজ নামাজের সিজদায় দোয়া না করা উত্তম, তবে এটি ‘নাজায়েজ’ নয়।  🍃 সিজদায় দুনিয়াবি দোয়া করা যাবে কিনা? এই ব্যাপারে হানাফি মাজহাবের বিভিন্ন গ্রন্থে এসেছে— যেভাবে দোয়া করলে মনে হবে, মানুষের পারস্পরিক কথোপকথন বা যে বিষয়টি মানুষের কাছে চাইলে পাওয়া যাবে, সেটি সিজদায় আল্লাহর কাছে চাইলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। যেমন: ‘হে আল্লাহ! আমাকে ১ লক্ষ টাকা দাও!’  তবে, যে বিষয়টি মানুষের সাধ্যে নেই, সেটি আল্লাহর কাছে সিজদায় চাওয়া যাবে। যেমন: ঋণমুক্তি, ভালো জীবনসঙ্গী, সচ্ছলতা, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ইত্যাদি। এগুলো কোনোটিই মানুষের হাতে নেই। আল্লাহই সর্বাধিক জানেন।  মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন। ✒ সংগৃহীত


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

নিশ্চয়ই কষ্টের সাথেই স্বস্তি আছে