জুম’আর দিন

 


▣ জুম’আর দিন মসজিদের দরজায় ফেরেশতা এসে হাজির হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে তারা সর্বাগ্রে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকে। প্রথম ভাগে যারা মসজিদে ঢুকেন তাদের জন্য উট, দ্বিতীয়বারে যারা আসেন তাদের জন্য গরু, তৃতীয়বারে যারা আসেন তাদের জন্য ছাগল, চতুর্থবারে যারা আসেন তাদের জন্য মুরগী, ও সর্বশেষ পঞ্চমবারে যারা আগমন করেন তাদের জন্য ডিম কুরবানী বা দান করার সমান সওয়াব লিখে থাকেন। আর যখন ইমাম খুৎবা দেওয়ার জন্য মিম্বরে উঠে পড়েন ফেরেশতারা তাদের এ খাতা বন্ধ করে খুৎবা শুনতে বসে যান। [বুখারী ৯২৯, ইফা ৮৮২, আধুনিক ৮৭৬]

▣ খোৎবার সময় ইমামের সন্নিকটে থাকার ফযীলত সম্পর্কিত একটি হাদিসঃ- "হযরতে সায়্যিদুনা সামু রাদ্বীয়াল্লাহ তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ– তোমরা খোৎবা পাঠের সময় উপস্থিত থাক এবং ইমামের সন্নিকটে থেকেই তা শ্রবণ কর। কেননা খোৎবা পাঠেরসময় যে ইমাম থেকে যতটুকু পরিমাণদূরত্বে থাকবে, সে জান্নাতেও ততটুকু পরিমাণ পিছনে থাকবে। [আবু দাউদ/ খন্ড ১/পৃ ৪১0/হাদিস ১১০৮] ▣ জামাতে প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর ফযিলত সম্পর্কিত একটি হাদিসঃ- রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেন, মানুষ যদি জানত আজান দেয়া এবং প্রথম কাতারে ছালাত আদায় করার প্রতিদান কি, তাহলে (কে আজান দেবে বা কে প্রথম কাতারে ছালাত আদায় করবে তা নির্ধারণ করার জন্য) তারা পরস্পর লটারি করতে বাধ্য হত। তারা যদি জানত আগেভাগে ছালাতে আসাতে কি প্রতিদান রয়েছে, তবে তারা প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ত। [বুখারী ও মুসলিম] বিঃদ্রঃ- ৩নং এই হাদিসটি শুধুমাত্র জুম’আর নামাযের জন্য নয় বরং পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের জন্যই। গুরুত্বপূর্ণ এই পোস্টটি অবশ্যই সবার সাথে শেরার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিবেন। আল্লাহ্‌ আপনাকে এর উত্তম প্রতিদান দিবেন। ইনশাআল্লাহ।
*************************
❖ জুমআর দিনে কোন সুরাটি পাঠ করলে, তার জন্য স্বীয় অবস্থানের জায়গা হতে পবিত্র মক্কা পর্যন্ত একটি নূর হবে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ সূরা কাহাফ, ১৮ নং সুরা। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা হচ্ছে, সূরা কাহাফের ফজিলতঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন তার জন্য এমন একটি নূর হবে, যা তার অবস্থানের জায়গা থেকে মক্কা পর্যন্ত আলোকিত করে দিবে। আর যে ব্যক্তি উহার শেষ দশটি আয়াত পাঠ করবে, তার জীবদ্দশায় দাজ্জাল বের হলেও সে তার কোন ক্ষতি কর`তে পারবে না।” (সিলসিলায়ে সহীহাঃ ২৬৫১) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি জুমআর রাত্রিতে সূরা কাহাফ পাঠ করবে, তার জন্য স্বীয় অবস্থানের জায়গা হতে পবিত্র মক্কা পর্যন্ত একটি নূর হবে”। (সহীহ তারগীব ওয়াত্ তারহীবঃ ৭৩৬) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “যে ব্যক্তি জুমআর দিনে সূরা কাহাফ পাঠ করবে, তার জন্য পরবর্তী জুমআ পর্যন্ত আলোকময় হবে”। (সহীহ তারগীব ওয়াত্ তারহীবঃ ৭৩৬) সুরা কাহাফ হচ্ছে, পবিত্র কোরানের ১৫-১৬ নং পারার মধ্যে ১৮ নং সুরা। সুরাটি শুরু হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ দ্বারা।

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট