অতীত নিয়ে অনুশোচনা

 


অতীত নিয়ে তুমি যতই অনুশোচনা করো না কেনো, আর ভবিষ্যত নিয়ে তুমি যতই দুঃশ্চিন্তা করো না কেনো, তুমি তার কোনটাই পরিবর্তন করতে পারবে না। সুতরাং, সহজ-সাবলীলভাবে ও ধীর-স্থিরতার সাথে তুমি সামনের দিকে অগ্রসর হও, কারণ প্রত্যেকটা কাজের ফলাফল নির্ধারণ করেন আল্লাহ সুবহানাহু তাআ’লা। যা অন্য কোথাও যাবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, সেটা কোনদিন তোমার কাছে আসবে না। আর যা তোমার ভাগ্যে লিখা রয়েছে, সেটা থেকে তুমি কোনভাবেই পলায়ন করতে পারবে না।

মনে রেখো, আল্লাহ যা করেন তা অবশ্যই অবশ্যই ভালোর জন্যই করেন। তবে সবসময় আমাদের সেটা ভালো নাও লাগতে পারে। কিন্তু, যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তিনি অত্যন্ত কৌশলী ও বিজ্ঞ, আমাদের সেই মহান রব্বের কোন ইচ্ছা বা সিদ্ধান্তের ব্যপারে আপত্তি করা আসলে নিজের উপরেই জুলুম করা। সুতরাং, আল্লাহর সিদ্ধান্ত মেনে নাও, ধৈর্য্য ধারণ করো এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য চাও, দেখবে একসময় যেটা তিক্ত মনে হয়েছিলো, সেটা মধুর মত মিষ্টি মনে হবে। ইনশাআল্লাহ।

**********************************
❖ কোন শ্রেণীর মানুষের উপর জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যায় বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ যার মেজায নরম, স্বভাব কোমল, মানুষের নিকটতম এবং আচরণ সরল সহজ। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা হচ্ছে, জাহান্নামের আগুন হারাম যাদের উপরেঃ আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ)বর্ণিতঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে এমন লোকের সংবাদ দিব না? যার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যায়; আর আগুনও তাকে স্পর্শ করতে পারবে না। এমন প্রত্যেক ব্যক্তি যার মেজায নরম, স্বভাব কোমল, মানুষের নিকটতম (মিশুক) এবং আচরণ সরল সহজ’। (আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত, হা/৫০৮৪)।

*******************************************

সবচাইতে মর্যাদাপূর্ণ নফল ইবাদত, যা কোন ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআ’লার নৈকট্যশীল করে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে অধিক পরিমাণে ক্বুরআন তিলাওয়াত করা, ক্বুরআন তিলাওয়াত শ্রবণ করা, ক্বুরআনের আয়াত নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা এবং ক্বুরআনের অর্থ বুঝা। জেনে রাখা দরকার যে, আল্লাহর রহমত অর্জন করার একটি বড় উপায় হচ্ছে, বেশি বেশি ক্বুরআন তিলাওয়াত করা এবং ক্বুরআন তিলাওয়াত শ্রবণ করা। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে তৌফিক দান করুক। আমিন। যদি জীবনকে সুখী ও শান্তিময় করতে চান, তবে কুরআনের সাথে আপনার সম্পর্ক আরো সুন্দর, মজবুত ও প্রাণবন্ত করুন। আর সেটা হচ্ছে ক্বুরআন পড়া, ক্বুরআন শোনা, ক্বুরআন বুঝা ও ক্বুরআনের উপর আমল করা তথা কুরআন দিয়ে জীবন গড়া। মনে রাখবেন, আল্লাহর যিকির দ্বারা মানুষের অন্তর সমূহ শান্তি পায়। আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “জেনে রাখ, আল্লাহর স্মরণ দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায়।” (সুরা রাদঃ ২৮)

************************************
একটি স্ত্রী মাকড়সা যখন ডিম দেয়, তখন সে ডিমটি অন্য কোন প্রাণী খেয়ে ফেলার ভয়ে অন্য কোথাও না রেখে নিজের বুকের সাথে আকড়ে ধরে রাখে। সে সময় বাচ্চারা তার মায়ের রক্ত-মাংসগুলো খেয়ে খেয়ে বড় হয় এবং অবশেষে তার "মা" কে শুকনো খোসায় পরিণত করে মৃত দেহটি ফেলে রেখে চলে যায় অন্যত্রে। এটিই হল "মা"। যে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে সন্তানের জন্য। “রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানী সগিরা" -আমিন।

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট