"নামায চোর"

 


❖ হাদিসে কাদেরকে "নামায চোর" বলে উপাধি দেয়া হয়েছে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ উপরের সবগুলোই। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা হচ্ছে, সবচেয়ে নিকৃষ্ট চোর হচ্ছে নামাজ চোর: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মানুষের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট চোর ঐ ব্যক্তি, যে তার সালাত চুরি করে। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, সালাত কিভাবে চুরি করে? তিনি বললেন, সে সালাতের রুকু এবং সিজদা পূর্ণ করে না। (মুসনাদে আহমদ, হা/২২৬৯৫; মিশকাত হা/৮৮৫; মিশকাত বাংলা হা/৮২৫; সানাদ সহীহ)

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এবং আমাদের পরিবার-পরিজন আত্মীয়-স্বজন তথা সকল মুমিন-মুসলিমকে হাদীসে উল্লেখিত নিকৃষ্ট চোর নামাজ চোর মুসল্লীদের তালিকাভূক্ত হওয়া থেকে হেফাজত করুন। তিক্ত হলেও সত্য যে আমাদের সমাজে চার দিকে নামাজ চুরির হিড়িক পড়েছে। যারা শয়তানের গোপন ধোকায় পড়ে এই অপকর্ম করে নিজেদের মহামূল্যবান আমল নামাজকে বিনষ্ট করে চলছেন তারা বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত। প্রথম শ্রেণীর সালাত চোর:আমাদের দেশে বহু ইমাম ও মুসল্লী সালাতের রুকু, সাজদা, কাওমা ও জালসা ধীর-স্থিরতার সাথে আদায় করেন না। বিশেষ করে জাম’আতে সালাত আদায় করতে গিয়ে বহু মসজিদে এত দ্রুত রুকু-সাজদা করতে দেখা যায় যে, তাদের সালাত আদায়ের অবস্থা সালাত চোর সংক্রান্ত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর হাদীসের সাথে হুবহু মিলে যায়। আল্লাহ্ আমাদের হিদায়াত করুন। এসব ইমামদের সাথে সালাতে রুকু বা সাজদায় শুদ্ধ করে তাসবীহ আদায় করা যায় না। এত দ্রুত রুকু-সাজদা আদায় করা হয়, মনে হয় যেন কেউ তাদের পিছন থেকে তাড়া করে যাচ্ছে। রুকু-সাজদায় তাড়াহুড়া করার কারণে আমাদের সালাত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। নিজে ধীরে স্থিরে সাবধানতার সাথে সালাত আদায় করুন এবং তাড়াহুড়া করে সালাত আদায়কারীদেরকে সতর্ক করুন। দ্বিতীয় শ্রেণীর সালাত চোর: সালাতের কিরআত চোর। এ ধরণের চোর দুই প্রকার। (১) জেহরী-প্রকাশ্য সালাতে কিরআত চোর (২) র্সিরী-অপ্রকাশ্য সালাতে কিরআত চোর। জেহরী-প্রকাশ্য সালাতে কিরআত চোর: এধরণের চুরি সাধারণতঃ কুরআন নাযিলের মাস রামাদ্বানে হয়ে থাকে। রামাদ্বানের তারাবীহর (কিয়ামুল লাইল বা কিয়ামে রামাদান) সালাতে আমাদের অধিকাংশ হাফিজ সাহেবগণ যেভাবে কুরআন তেলাওয়াত করেন তাতে সুস্পষ্টভাবে আল্লাহ্র কুরআনের অপমান করা হয়। মহান আল্লাহ্ বলেন, وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا ‘আর কুরআন পাঠ কর ধীরে ধীরে (থেমে থেমে)। (আল কুরআন, সূরা মুযযাম্মিল, ৭৩: ৪) আমাদের দেশে তারাবীহর সালাতের অধিকাংশ তিলাওয়াত অস্পষ্ট ও বোধগম্যহীন ভাবে আদায় করা হয়। গুনগুন করে কী পড়েন তা বুঝা যায় না। অথচ হাদীসে আছে: রাসূলুল্লাহ (সা.) কুরআন তেলায়াত ধীরে ধীরে এবং প্রতি আয়াত আলাদা আলাদা করে পড়তেন। আমরা আমাদের দুনিয়াবী জীবনের প্রতিটি কাজে Quality (কোয়ালিটি) বা মানসম্মত হওয়ার ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কিন্তু তারাবীহের সালাতের ক্ষেত্রে Quality (কোয়ালিটি) বা মানসম্মত হওয়ার ব্যাপারটিকে গুরুত্ব না দিয়ে Quantity (কোয়ানটিটি) বা সংখ্যাকেই বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকি। মানসম্মত হওয়ার ব্যাপারে আমাদের কোনো খেয়াল নেই। এই বিষয়ে মুফতি, মুহাদ্দিস, ইমামগণ তথা আলিম-উলামা অধিকাংশই যেন অন্ধ ও বধির হয়ে আছেন। তারা তারাবীহের সালাতের অস্পষ্ট ও অবোধগম্য কিরআত এর ব্যাপারে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন। কুরআন নাযিলের মাসে কুরআন তিলাওয়াতের উপর এমন নির্মম অত্যাচার তারা আলিম হয়ে কীভাবে সহ্য করেন? এই নাজাইয কাজের বিরুদ্ধে তাদের কোনো প্রতিবাদী বক্তব্য, বা নসিহত-উপদেশ কিছুই শুনা যায় না কেন? এটি আজ আলিম-উলামার প্রতি সচেতন মুসল্লিদের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। অপ্রকাশ্য (সিররী সালাতের) কিরআত চোর: মাগরিব ও ইশার প্রথম দুই রাকাআত এবং ফজরের দুই রাকাআত সালাতে অধিকাংশ মসজিদের ইমাম সাহেবগণ সুন্দর করে ধীরতার সাথে সূরা ফাতিহা ও কিরআত পাঠ করেন। কারণ, এসব ফরজ সালাতে জোরে কিরআত পড়তে হয়। জোহর, আছর, মাগরিবের শেষ রাকাআত এবং ইশার শেষ দুই রাকাআতে সুরা-কিরাত আস্তে পাঠ করেন। তখন অধিকাংশ মসজিদের ইমাম সাহেবগণ খুব দ্রুত ও তাড়াহুড়া করে সুরা-কিরাত পাঠ করে থাকেন। তারা এতো তাড়াতাড়ি কীভাবে পড়েন, এটা বর্তমানে সচেতন মুসল্লিদের একটা বিরাট প্রশ্ন? বিশেষ করে যেসব মুসল্লিরা সহীহ হাদীসের আলোকে ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়েন তাদের বক্তব্য হচ্ছে: অধিকাংশ ইমামগণ আস্তে পাঠের সালাত ও রাকাতসমূহে সুরা-কিরাত যথাযথ ভাবে আদায় করেন না। সচেতন মুসল্লীদের দাবি হলো, এত দ্রুত সূরা ফাতিহা এবং অন্য সুরা পড়া অসম্ভব। কারণ, জেহরী-জোরে ও সিররী-আস্তে তিলাওয়াতে ইমামগণ আকাশ-পাতাল তফাত করে থাকেন। এতে সুস্পষ্ট ভাবে প্রতীয়মান হয় যে, তারা সিররী অবস্থায় ঠিক মত সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা পড়তে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন না। বিশেষ করে জোহর, আসর ও ইশার শেষ দুই রাকাত এবং মাগরিবের শেষ এক রাকাতে অধিকাংশ ইমামের সুরা ফাতেহা না পড়ার বিষয়টি পরিস্কার ভাবে ধরা পড়ে। কারণ, সহীহ হাদীসের আলোকে ইমামের পিছনে যারা সুরা ফাতেহা পাঠ করেন তারা সুরা ফাতেহা শেষ করাতে পারেন না। তারা সাধারণতঃ “মালিকি ইয়াওমিদ্দীন” বলতে না বলতেই ইমাম সাহেব রুকুতে চলে যান। এতে প্রমাণ হয় যে ইমাম সাহেব সুরা ফাতেহা পাঠ না করেই রুকুতে চলে গেছেন। এমনকি কোনো কোনো ইমাম এই কথা স্বীকারও করে থাকেন। অথচ সহীহ হাদীসে আছে: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সালাতে সুরা ফাতিহা পাঠ করে না তার সালাতই হবে না। সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, মিশকাত হা/নং ৮২২, ৮২৩, ৮৫৪; বুখারী তাও:পাব:৭৫৬; বুখারী আধু:প্রকা:৭১২। উক্ত হাদীস দ্বারা সালাতে সুরা ফাতেহা পাঠ করা ফরজ প্রমাণিত। ইমাম এবং একাকি সালাত আদায়কারী প্রত্যেক রাকাতে অবশ্যই সুরা ফাতেহা পাঠ করতে হবে। এতে কারো কোনো এখতেলাফ নেই। কিন্তু আফসোস! ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে একশ্রেণীর ইমামগণ সালাতের শেষ রাকাতগুলোতে সুরা ফাতেহা না পড়েই খুব দ্রুত রুকুতে চলে যান। এতে সালাত বাতিল হয়ে যাবে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। লা-হাওলা ওয়ালা-কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। তৃতীয় শ্রেণীর সালাত চোর: আমাদের সমাজে জানাযার ফরজে কেফায়া সালাতকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে আদায় করা হয়ে থাকে। এ সালাতের ১ম তাকবিরের পর ছানা পড়া হয়, এ ছানাতে বাড়তি কিছু শব্দ রয়েছে {অ জাল্লা ছানা উকা}। বাড়তি উক্ত শব্দসমূহ সহ ছানা পাঠের কোন ভিত্তি সহীহ সুন্নাহ দ্বারা সাব্যস্ত নয়। বরং সহীহ দলীল দ্বারা ১ম তাকবিরের পর সূরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে {সহীহুল বুখারী, হা/১৩৩৫)} ২য় তাকবিরের পর দুরূদে ইবরাহীমী ৩য় তাকবিরের পর মৃতের জন্য দু‘আ ৪র্থ তাকবিরের পর সালাম ফিরানোর মাধ্যমে জানাজার সালাত শেষ করা হয়। বর্তমানে আমাদের সমাজের অধিকাংশ মুসলিম জানাযার সালাতের দু‘আ, দুরূদ না জানার কারণে প্রায় সব জানাযার সালাতই অত্যন্ত দ্রুততার সাথে আদায় করা হয় (ইল্লা মা-শা-আল্লাহ)। যারা জানাযার সালাতের দু‘আ-দুরূদ জানেন তারা বুঝতে পারেন কিভাবে জানাযার সালাতে চুরির আশ্রয় নেয়া হয়ে থাকে (অর্থাৎ দ্রুত আদায় করা হয়ে থাকে)। জানাযার সালাতে মাইয়্যিতের জন্য খালিস করে দু‘আ করা জন্য সহীহ হাদীসে নির্দেশনা রয়েছে। {সুনানে আবু দাউদ হা/৩১৯৯; ইবনে হিব্বান হা/৩০৭৬}। মাইয়্যিতের জন্য খাস একটি দু’আ আছে। এই চমৎকার দু‘আটি সহীহ মুসলিমে রয়েছে। কিন্তু আফসোস! এই দু’আটি আমাদের সমাজের সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা অনেক আলিমগণও মুখস্থ বলতে পারেন না। দু’আটি সকলের মুখস্থ করে নেয়া উচিত। দু’আটি এই: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ وَعَافِهِ وَاعْفُ عَنْهُ وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَنَقِّهِ مِنْ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الْأَبْيَضَ مِنْ الدَّنَسِ وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ وَأَهْلًا خَيْرًا مِنْ أَهْلِهِ وَزَوْجًا خَيْرًا مِنْ زَوْجِهِ وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ ( و مِنْ عَذَابِ النَّارِ) উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মাগফির লাহু অরহামহু অ‘আ-ফিহী অ‘ফু ‘আনহু অআরিম নুযুলাহু অঅসসি‘ মুদখালাহু, অগ্সিলহু বিলমা-ই অস্সালজি অলবারাদ। অনাক্কিহী মিনাল খাত্বায়া কামা য়্যুনাক্কাস সাউবুল আবয়্যাদ্বু মিনাদ দানাস। অ আবদিলহু দা-রান খাইরাম মিন দা-রিহী, অ আহলান খাইরাম মিন আহলিহী, অযাওজান খাইরাম মিন যাওজিহ। অ আদখিলহুল জান্নাতা অ আ‘ইয্হু মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি অ মিন ‘আযা-বিন্নার। অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তুমি তাকে (মাইয়্যিতকে) ক্ষমা কর, তাকে দয়া করো, তাকে আরাম দাও, তার পাপ মুছে ফেল, তার আতিথ্য (মেহমানী) সম্মানজনক কর, তার প্রবেশক্ষেত্র-কবরটিকে সম্প্রসারিত কর। তুমি তাকে (গুনাহ থেকে) পানি, বরফ, শিশির দিয়ে ধৌত করে দাও। তুমি তাকে গুনাহ থেকে এমন ভাবে পরিস্কার কর যেমন সাদা কাপড় ধৌত করে ময়লা মুক্ত করা হয়। তাকে তার বাড়ী হতে উত্তম বাড়ী দাও, তার পরিবার ও স¦জন হতে উত্তম স¦জন দাও। তার এই জোড়া হতে উত্তম জোড়া প্রদান কর। তুমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও, আর তাকে কবরের আজাব হতে বাঁচাও (এবং জাহান্নামের আযাব হতে বাঁচাও)। {সহীহ মুসলিম, হা/১৬০০-১}। চতুর্থ শ্রেণীর সালাত চোর: এ প্রকারের সালাত চুরি সাধারণত: রামাদ্বান মাসের তারাবীর সালাতে পাওয়া যায়। তারাবীর সালাত দুই দুই রাকাআত করে আদায় করা হয়। প্রিয় পাঠক! একটু খেয়াল করে দেখুন তো তারাবীর সালাতের দুই রাকাআতের শেষ বৈঠকে আপনি কি কখনো তাশাহ্হুদ, দুরূদ ও দু’আ-ই মাসুরা পড়ে শেষ করতে পেরেছেন? আপনি যদি পাঠ করতে না পারেন তবে আপনার ইমাম সাহেব কিভাবে পাঠ করলেন? নাকি তিনি আদৌও পাঠ করেন না? প্রিয় পাঠক! মনে রাখবেন রাসূলুল্লাহ (সা.) নফল সালাত খুব ধীর-স্থির ভাবে আদায় করতেন। আমরা এত কষ্ট করে যে সালাত আদায় করছি তা যদি আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআলার কাছে গ্রহনযোগ্য না হয়; তবে আমাদের শ্রম প- হবে। আমরা আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব। আমাদের সালাতসমূহের ব্যাপারে এখনই সচেতন হতে হবে। নামাজ চুরি থেকে নিজেদের নামাজ (সালাত)-কে হেফাজত করার চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহ্ আমাদের সহায় হোন। আমীন!

******************************************
পর্দার সাথে হলেও মহিলারা পারফিউম বা সেন্ট বা সুগন্ধি জাতীয় কোন কিছু ব্যবহার করে বাইরে যেতে পারবে না। কারণ তাতে ফিতনা আছে। মহানবী (সঃ) বলেছেন, “প্রত্যেক চক্ষুই ব্যাভিচারী। আর মহিলা যদি (কোন প্রকার) সুগন্ধি ব্যবহার করে কোন (পুরুষের) মজলিসের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে, তবে সে ব্যভিচারিণী (বেশ্যা মেয়ে)।” (আবূ দাঊদ, তিরমিযীঃ ৪৫৪০) এমন কি মসজিদে নামায পড়ার উদ্দেশ্যে যেতেও সে সেন্ট ব্যবহার করতে পারবে না। মহানবী (সঃ) বলেন, “আল্লাহ্‌র বান্দীদেরকে মসজিদে আসতে বারণ করো না, তবে তারা যেন খোশবূ ব্যবহার না করে সাধাসিধাভাবে আসে।” (আহমাদ, আবূ দাঊদঃ ৭৪৫৭) মহানবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বলেছেন “যে মহিলা সেন্ট ব্যবহার করে মসজিদে যাবে, সে মহিলার গোসল না করা পর্যন্ত কোন নামায কবুল হবে না।” (ইবনে মাজাহঃ ৪০০২) বুঝতেই পারছেন নারীদের জন্য সেন্ট ব্যবহার করে বাহিরে যাওয়া কতটা ভয়ানক পাপ। সুতরাং সাবধান হয়ে যাও হে মুসলিম নারী। আল্লাহ আমাদেরকে সকল প্রকার গুনাহের কাজ পরিত্যাগ করার তৌফিক দান করুক। আমিন।

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট