আসমান যমীন সৃষ্টি করার দিন একশটি রহমত সৃষ্টি


❖ আল্লাহ তায়ালা ১০০টি রহমতের মধ্যে সর্বমোট কতটি রহমত পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ একটি। এ বিষয়ে হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ তাআ’লা আসমান যমীন সৃষ্টি করার দিন একশটি রহমত সৃষ্টি করলেন। প্রতিটি রহমত আসমান ও যমীনের মধ্যস্থল পরিপূর্ণ (বিশাল বড়)। অতঃপর তিনি তার মধ্য হতে একটি রহমত পৃথিবীতে (সবার মাঝে) অবতীর্ণ করলেন। ঐ একটি রহমতের (অংশ পাওয়ার) কারণেই মা তার সন্তানকে মায়া করে এবং হিংস্র প্রাণী ও পাখীরা একে অন্যের উপর দয়া করে থাকে। অতঃপর যখন কিয়ামতের দিন হবে, তখন আল্লাহ এই রহমত দ্বারা সংখ্যা পূর্ণ করবেন। (সহীহ বুখারীঃ ৬৪৬৯)

❖ শয়তান মানুষকে কোন দিক দিয়ে ধোঁকা দেয়?এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ চতুর্দিক দিয়ে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা হচ্ছে, মানুষকে ধোকায় ফেলতে যেসব ক্ষমতা পেয়েছে শয়তান। শয়তান মানুষের প্রকাশ্য দুশমন। মানুষকে সঠিক পথ থেকে সরিয়ে নিতে আল্লাহর কাছে ক্ষমতা চেয়ে নিয়েছে শয়তান। আল্লাহ তাআলা শয়তানের সে আবদার মঞ্জুর করে তাকে অনেক বড় ক্ষমতা দিয়েছেন। শয়তানের পথভ্রষ্ট হওয়া ও মানুষের ক্ষতিতে ক্ষমতা লাভ ছিল তার অহংকার ও দাম্ভিকতা। কুরআনুল কারিমে এ ঘটনা বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে। সুরা আরাফে আল্লাহ তাআলা বলেন- >> আর আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, এরপর আকার-অবয়ব, তৈরি করেছি। তারপর আমি ফেরেশতাদেরকে বলছি- আদমকে সেজদা কর। তখন সবাই সেজদা করেছে, কিন্তু ইবলিস সে সেজদাকারীদের অন্তর্ভূক্ত ছিল না। >> আল্লাহ বললেন- আমি যখন নির্দেশ দিয়েছি, তখন তোকে কিসে সেজদা করতে বারণ করল? সে বলল, আমি তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ। আপনি আমাকে আগুন দ্বারা সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা। >> (আল্লাহ) বললেন তুই এখান থেকে নেমে যা। এখানে অহংকার করার কোনো অধিকার তোর নেই। অতএব তুই বের হয়ে যা। তুই হীনতমদের অন্তর্ভুক্ত। (সুরা আরাফ : আয়াত ১১-১৩) শয়তানকে যখন আল্লাহ তাআলা বেহেশত থেকে বের করে দিলেন, তখন শয়তান আল্লাহর কাছে মানুষের ক্ষতি করার জন্য বেশি কিছু ক্ষমতা চেয়ে নিয়েছেন। আর তাহলো- >> কেয়ামত পর্যন্ত হায়াত লাভ। >> মানুষকে ধোকা দেয়ার ক্ষমতা লাভ। >> সব দিক থেকে মানুষকে গোমরাহ করার ক্ষমতা লাভ। শয়তানকে দেয়া ক্ষমতার বিবরণও আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে তুলে ধরেছেন। আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেন- >> সে (শয়তান) বলল, ‘সে দিন পর্যন্ত আমাকে অবকাশ দিন, যেদিন তাদের (আদম সন্তানকে) পুনরুজ্জীবিত করা হবে।’ >> তিনি (আল্লাহ) বললেন, ‘নিশ্চয় তুমি অবকাশপ্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত।’ >> সে (শয়তান) বলল, ‘যেহেতু আপনি আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, সে কারণে অবশ্যই আমি তাদের জন্য আপনার সোজা পথে বসে থাকব। >> তারপর অবশ্যই আমি তাদের কাছে তাদের সামনে থেকে, তাদের পেছন থেকে, তাদের ডান দিক থেকে, তাদের বাম দিক থেকে উপস্থিত হব। আর আপনি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ পাবেন না।’ (সুরা আরাফ : আয়াত ১৪-১৭) আল্লাহ তাআলা শয়তানকে তার চাহিদা মোতাবেক কেয়ামত পর্যন্ত হায়াত দান করেছেন। মানুষকে পথভ্রষ্ট করে থাকে। মানুষের শরীরের রগে রগে বিচরণ করতে পারে। মানুষকে সব দিক থেকে বিপদে ফেলার কুমন্ত্রণা দিয়ে থাকে। সে কারণেই মানুষ শয়তানে পাতা ফাঁদে পা দিয়ে গোনাহ করে থাকে। শয়তানের প্ররোচনায় মানুষের গোনাহ করা একটা স্বাভাবিক বিষয়। এতে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেননা শয়তান আল্লাহর সঙ্গে এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছিল। আল্লাহও বান্দাকে তাওবার মাধ্যমে ক্ষমা করার সহজ বিধান রেখেছেন। যখনই কোনো আদম সন্তান শয়তানের প্ররোচনায় গোনাহ করবে। আর পরক্ষণেই গোনাহ থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর কাছে তাওবা করবে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন। হাদিসে এসেছে- হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘প্রত্যেক আদম সন্তান চরম গোনাহগার। এদেরমধ্যে সবচেয়ে উত্তম হচ্ছে তাওবাকারীরা।’ (তিরমিজি, ইবজেন মাজাহ) সুতরাং শয়তানের প্ররোচনায় হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। মহান আল্লাহ তাআলা শয়তান যেমন ক্ষমতা দিয়েছেন তেমনি পথহারা মানুষকে ক্ষমা করে দিতে তিনি খোলা রেখেছেন তাওবার দরজা।  

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে সঠিক পথে থাকার তাওফিক দান করুন। তাওবার মাধ্যমে ক্ষমা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

 ❖ "জায়নামাযের দোয়া" নামে যে দুয়াটি পড়া হয় সেটা পড়ার বিধান কি? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ উপরের সবগুলো কথাই সঠিক। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা হচ্ছে, নামাযের আগে জায়নামাযে দাঁড়িয়ে এই দোয়া পড়া- আল্লাহুম্মা ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়ায হিয়া লিল্লাযি ফাতারাস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদ হানীফা ওমা আনা মিনাল মুশরিকী্ন– শরীয়তের কোন দলীল দ্বারা প্রমাণিত নয়। মুলতঃ জায়নামাযের দোয়া বলতে শরীয়তে কিছু নেই। অবশ্য উপরোক্ত দোয়াটি রাসুলুল্লাহ ﷺ কখনো তাহাজ্জুদের নামাযে তাকবীরে তাহরীমার পর সানার স্থানে পড়তেন বলে প্রমাণিত আছে। যেমন, আলী রাযি. থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে,

كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ قَالَ ‏”‏ وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ রাসুলুল্লাহ ﷺ যখন (রাতের বেলা) দাঁড়াতেন তখন (তাকবীরে তাহরীমার পর) বলতেন, ওয়াজ্জাহতু ওয়ায হিয়া লিল্লাযি ফাতারাস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদ হানীফা ওমা আনা মিনাল মুশরিকীন…। (মুসলিম ১৬৮৫)

দুনিয়ায় বিভিন্ন ডিজাইনের ঘর তৈরি খুবই আনন্দের ব্যাপার। এজন্য সবাই কষ্ট করে অর্থ উপার্জন করেন এবং স্বপ্ন দেখেন একটি ভালো ঘর বা বাড়ি তৈরি করার। দুনিয়ায় ঘর নির্মাণ করলে সে ঘরে চিরস্থায়ীভাবে বসবাস করা যায় না। তবে পরকালে যদি জান্নাতে ঘর নির্মাণ করা হয় সেই ঘরে চিরস্থায়ীভাবে থাকা যাবে আর সেটাই হবে মুমিনদের জন্য সবচেয়ে বেশি আনন্দের। জান্নাতে ঘর তৈরি করতে হলে প্রয়োজন দুনিয়ায় নেক আমল করা। আল্লাহ তায়ালা সেই নেক আমলের বিনিময়ে বান্দার জন্য জান্নাতে ঘর তৈরি করে দিবেন। এর একটি অন্যতম উপায় আল্লাহর এই জমিনে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আল্লাহর ঘর বা মসজিদ নির্মাণ করা। রাসুল (স) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য মসজিদ নির্মাণ করল তার জন্য আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’(খুজামুস সগীর-১১৬১, শুয়াবুল ঈমান-২৯৩৯) কিন্তু মসজিদ তৈরি করার সামর্থ্য অনেকেরই নেই। এরপরও যার যতটুকু সম্ভব মসজিদ নির্মাণ বা সংস্কারে সামর্থ্য অনুযায়ী টাকা-পয়সা বা শ্রম দিতে হবে। আর সময় পেলেই মসজিদে গমন করে মুসল্লিদের কষ্ট হয় এমন কোনো বস্তু দেখামাত্রই মসজিদের খাদেমের অপেক্ষায় না থেকে তা দূর করে মসজিদকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে হবে। হজরত সাঈদ খুদরী (রা) হতে বর্ণিত, রাসুল (স) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মসজিদ থেকে ময়লা-আবর্জনা কিংবা কষ্ট হয় এমন বস্তু দূরীভূত করবে তার জন্য আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করে দিবেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ ২য়/৩২৯ পৃষ্ঠা), তুহফাতুল আশরাফ-৫ম/৩৬২পৃষ্ঠা) জান্নাতে ঘর তৈরি করতে হলে ফরজ নামাজের সঙ্গে সঙ্গে সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ নামাজের প্রতিও গুরুত্ব দিতে হবে। সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ নামাজ দৈনিক ১২ রাকাত আদায় করলে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করে দিবেন। হজরত উম্মে হাবিবা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ফরজ নামাজগুলো ছাড়া দৈনিক বারো রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ নামাজ আদায় করল তার জন্য আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করে দিবেন।’ (ইবনে মাজাহ-১১৪১) তাছাড়া জান্নাতে আল্লাহ যেন একটি ঘর তৈরি করে দেন, এজন্য প্রয়োজন হয় শুধু একটি দোয়াও। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) হতে বর্ণিত, রাসুল (স) বলেন, যে ব্যক্তি বাজারে প্রবেশ করে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ইউহইয়ু ওয়া ইউমিতু ওয়া হুয়া ইউমিতু বিয়াদিহিল খাইরু কুল্লুহু ওয়া হুয়া আ‘লা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির’ এই দোয়টি পড়বে আল্লাহ তায়ালা তার আমলনামায় দশ লক্ষ নেকী লিপিবদ্ধ করবেন আর তার দশ লক্ষ পাপ মোচন করে দিবেন এবং দশ লক্ষ মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করবেন।’ (তিরমিযী-৩৪২৯, আহমদ-৩২৯) জান্নাতে সেই ব্যক্তি ঘর তৈরি করতে পারবেন যিনি তার সন্তান মৃত্যু হলে ধৈর্য ধরতে পারবেন। এজন্য আল্লাহ তায়ালা ‘বাইতুল হামদ’ নামক একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য ফিরিশতাদের নির্দেশ দেন। হজরত আবু মুসা আশআরী (রা) হতে বর্ণিত, রাসুল (স) ইরশাদ করেন, ‘যখন কারো সন্তান মারা যায় তখন আল্লাহ ফিরিশতাদেরকে ডেকে বলেন যে তোমরা আমার বান্দার সন্তানের জান কবজ করে ফেলেছ? তারা বলেন, হ্যাঁ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা তার কলিজার টুকরার জান কবজ করে ফেলেছ? তারা বলেন, হ্যাঁ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমার বান্দা কী বলছে? তারা বলেন, আপনার বান্দা এই বিপদেও ধৈর্য ধারণ করে আপনার প্রশংসা করেছে এবং ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন পড়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা আমার এই বান্দার জন্য জান্নাতে একটি গৃহ নির্মাণ কর এবং তার নামকরণ কর বাইতুল হামদ বা প্রশংসার গৃহ।’ (মিশকাতুল মাসাবীহ হাদীস নং ১৭৩৬, তিরমিযী ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা- ২১) জান্নাতে ঘর তৈরি করতে হলে দুনিয়ার জমিনে কখনো মিথ্যা কথা বলা এবং ঝগড়ায় লিপ্ত হওয়া যাবে না। হজরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ঝগড়া-বিবাদ থেকে বিরত থাকবে যদিও সে ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়, আমি তার জন্য জান্নাতের নিম্নাংশে একটি ঘরের জামিন হলাম। যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকবে যদিও তা ঠাট্টার ছলে হোক আমি তার জন্য জান্নাতের মধ্যবর্তী স্থানে একটি গৃহের জামিন হলাম আর যে ব্যক্তির চরিত্র সুন্দর হবে তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে একটি গৃহের জামিন হলাম।’(আবু দাউদ-৪৮০০, বাইহাকী-২১৭৮০) আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদেরকে এইসমস্ত আমলগুলো পরিপূর্ণভাবে করার তৌফিক দাণ করুক। আমিন

গুনাহ ত্যাগ করার উপকারীতাঃ- (১) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “সর্বোত্তম জিহাদ হচ্ছে, যে তার অন্তরের বিরুদ্ধে জিহাদ করে।” সিলসিলাহ সহী’হাহঃ ১৪৮১। (২) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “হিজরত হচ্ছে তোমার মন্দ কাজ বর্জন করা।” মুসনাদে আহমাদঃ ১৭০২৭। (৩) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “সর্বোত্তম মুহাজির হচ্ছে ঐ ব্যক্তি, যে আল্লাহর নিষিদ্ধ বস্তু বর্জন করে চলে।” সিলসিলা সহী’হাহঃ ১৪৯১। (৪) ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রহি’মাহুল্লাহ বলেছেন, “গুনাহ বা পাপকাজ ত্যাগ করার উপকারীতা হচ্ছেঃ (১) সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। (২) মানুষের অন্তরে মর্যাদা লাভ হয়। (৩) পূর্বে লোকেরা ক্ষতি করে থাকলে লোকদের কাছ থেকে সাহায্য এবং নিরাপত্তা পাওয়া যায়। (৪) লোকেরা যদি গীবত করে থাকে, তাহলে তার সম্মান রক্ষা পায়। (৫) আল্লাহ তার দুয়া কবুল করেন। (৬) আল্লাহ তাআ’লার নৈকট্য অর্জিত হয়। (৭) ফেরেশতাদের নৈকট্য পাওয়া যায়। (৮) মানুষ ও জিনদের মধ্য থেকে যারা শয়তান তারা দূরে সরে যায়। (৯) লোকেরা তাকে সাহায্য করার জন্য, তার চাহিদা পূরণ করার জন্যে এবং তার সাহচর্য ও ভালোবাসা পাওয়ার জন্য প্রতিযোগীতা করবে। (১০) সে মৃত্যুকে ভয় করবেনা, বরং আল্লাহ তাআ’লার সাথে সাক্ষাত লাভের জন্য ও তাঁর কাছ থেকে পুরষ্কার পাওয়ার জন্যে আগ্রহী হবে। (১১) এই দুনিয়া তার দৃষ্টিতে তুচ্ছ মনে হবে এবং পরকালকে সে অনেক মূল্যবান মনে করবে। (১২) পরকালে অনেক বড় রাজত্ব ও মর্যাদা পাওয়ার জন্যে চেষ্টা করবে। (১৩) আল্লাহর আনুগত্যের স্বাদ ফিরে পাবে। (১৪) ঈমানের মিষ্টতা অনুভব করবে। (১৫) আল্লাহর মহান আরশ বহনকারী ফেরেশতা ও আরশের চারপাশে আল্লাহর প্রশংসাকারী ফেরেশতাদের দুয়া লাভ করবে। (১৬) কেরামান কাতেবীন ফেরেশতাদ্বয় তার উপরে খুশি থাকবে এবং তারা জন্য দুয়া করবে। (১৭) জ্ঞান, বুদ্ধি ও ঈমান বৃদ্ধি পাবে। (১৮) আল্লাহর ভালোবাসা অর্জিত হবে। (১৯) আল্লাহর সাথে সাক্ষাত কামনা করবে। (২০) তোওবা করে পবিত্র জীবন-যাপনের উপরে সন্তুষ্ট থাকবে। (২১) আল্লাহ তাকে এমন সুখ ও শান্তি দান করবেন, যা সে যখন পাপ কাজে লিপ্ত ছিলো তা থেকে বঞ্চিত ছিলো। উৎসঃ আল-ফাওয়ায়েদ, পৃষ্ঠা-২৫৫

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট