ক্বিয়ামতের পূর্ব লক্ষণ

 


ক্বিয়ামতের পূর্ব লক্ষণ হিসেবে হাদীসে বর্ণিত কয়েকটি ফিতনাহ। (১) বর্তমান যুগে বড় একটা ফেতনাহ হচ্ছে সাধারণ মুসলমানদের মাঝে দ্বীনি জ্ঞানের মারাত্মক অভাব রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ক্বিয়ামতের লক্ষণ সমূহের মধ্যে রয়েছেঃ

(১) ‘ইলম’ (দ্বীনের জ্ঞান) উঠে যাবে, (২) জাহালত (অজ্ঞতা-মূর্খতা) বেড়ে যাবে, (৩) যিনা (ব্যাভিচার) বেশি হবে, (৪) মদপান বৃদ্ধি পাবে, (৫) পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে, (৬) নারীর সংখ্যা বেশি হয়ে যাবে। এমনকি একজন পুরুষ ৫০জন মহিলার পরিচালক হবে।” সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, মিশকাতঃ ৫২০৩। দ্বীনের সঠিক জ্ঞানের অভাবে অনেক মুসলমানেরা চিনতে পারেনা, কে আলেম আর কে জাহেল? একারণে অনেক মুসলমান পথভ্রষ্ট, বিদআ’তী, জাহেল (মূর্খ লোকদের) কাছ থেকে দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করছে, যারা লোকদেরকে ভুল শিক্ষা দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কেয়ামতের একটা লক্ষণ হচ্ছে যে, মানুষ জাহেল লোকদের কাছ থেকে ইলম অর্জন করবে।” তাবারানি, জামি আস-সাগীরঃ ২২০৩। পথভ্রষ্ট, বিদআ’তী, জাহেল (মূর্খ লোকদের) লিখিত বই-পুস্তক পড়ে, তাদের ওয়াজ-লেকচার শুনে দ্বীনের জ্ঞান গ্রহণ করার কারণে অনেক মুসলমানেরা শিরক, বিদআ’ত, ক্বুরআন ও হাদীসের অপব্যাখ্যা গ্রহণ করছে, এবং এইগুলোকে তারা ‘সহীহ দ্বীন’ হিসেবে গ্রহণ করছে। এমতাবস্থায় কোন হক্কপন্থী আলেম যখন শিরক ও বিদআ’তের সমালোচনা করেন, তখন সাধারণ মুসলমানেরা বিভ্রান্তির মাঝে পড়ে, “কার কথা শুনবে?” একেক জন একেক কথা বলে। কেউ বলে এটা করো, অনেক সওয়াবের কাজ। কেউ বলে, সাবধান এটা করোনা, এটা শিরক কিংবা বিদআ’ত। কেউ বলে এটা করা যাবে, কেউ বলা এটা করা যাবেনা। এইভাবে অজ্ঞতার কারণে সাধারণ মুসলমানেরা বিভিন্ন দল ও উপদলে বিভক্ত হয়ে আছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এই ফিতনার দিকে ইংগিত করে ইরশাদ করেছেন, “নিশ্চয় বনী ইসরাঈলের লোকেরা ৭২টি দলে বিভক্ত ছিল। আর আমার উম্মত বিভক্ত হবে ৭৩টি দলে। এই সবগুলো দল-ই জাহান্নামে যাবে, শুধুমাত্র একটি মাত্র দল ছাড়া।” সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন, “সেই দলটি কারা?” নবীজী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “যারা আমার ও আমার সাহাবাদের মত ও পথ অনুসরণ করবে।” তিরমিযীঃ ২৬৪১, আল মুজামুল কাবীরঃ ৭৬৫৯।” রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “জেন রাখ! নিশ্চয়ই তোমাদের পূর্বে আহলে কিতাবের (ইয়াহুদী ও খ্রীস্টানরা) ৭২টি দলে বিভক্ত হয়েছিল। আর নিশ্চয়ই (আমার) এই উম্মত অচিরেই ৭৩টি দলে বিভক্ত হবে। তন্মধ্যে ৭২টি দল-ই জাহান্নামে যাবে, আর একটি মাত্র দল জান্নাতী হবে। আর সেই (জান্নাতী দলের লোকেরা হলো) একটি জামআ’ত বা দল।” মুসনাদে আহমাদঃ ১৬৯৭৯, ইবনু মাজাহঃ ৩৯৯২। (২) অনেক শিরক, বিদআ’ত, গোমরাহী এবং অজ্ঞতা দুয়েকদিন ধরে চলে আসছেনা। বরং এমনও কিছু বিদআ’ত রয়েছে যা শত শত বছর ধরে, এমনকি ১০০০ বছর ধরে মুসলমানদের মাঝে চলে আসছে। বর্তমানে বিদআ’ত এতো ব্যপক ও ভয়ংকরভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে, অনেক মুসলমানেরা বিদআ’তকেই সুন্নত আর সুন্নতকেই বিদআ’ত বা ‘নতুন তরীকা’ বলে মনে করে। এ প্রসংগে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আ’নহু থেকে ‘মাওকুফ’ হিসেবে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে। অবশ্য এই হাদীসটি হুকুমগতভাবে ‘মারফূ’। তিনি (ইবনে মাসউদ) বলেছেন, “তোমাদের অবস্থা তখন কেমন হবে, যখন ফিতনাহ (বিদআ’ত) তোমাদেরকে এমনভাবে আষ্টে-পৃষ্ঠে জড়িয় ধরবে যে, এই ফিতনাহর মধ্যেই তোমাদের বড়রা বৃদ্ধ হবে, আর ছোটরা বড় হবে। এমতাবস্থায় মানুষ এই ফিতনাহকে (বিদআ’তকে) সুন্নাত হিসাবে গ্রহন করবে। আর যদি কেউ কোন বিদআ’ত পরিত্যাগ করে, তখন তাকে বলা হবে, “তুমি কি একটা সুন্নাত ত্যাগ করলে?” সাহাবীগন প্রশ্ন করলেন, “এমনটা কখন হবে?” তিনি বললেন, (ক) যখন তোমাদের (প্রকৃত) আলেমগণ মৃত্যুবরণ করবেন এবং মূর্খদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। (খ) যখন (সাধারণ) আলেম (দাবীদার) লোকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, কিন্তু বুঝ সম্পন্ন জ্ঞানী আলেমদের সংখ্যা কমে যাবে। (গ) যখন নেতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, কিন্তু আমানতদার (বিশ্বস্ত মানুষের) সংখ্যা হবে খুবই কম। (ঘ) যখন আখেরাতের কাজের মাধ্যমে মানুষ দুনিয়াবি লাভ খুঁজবে, এবং দ্বীন ব্যতীত অন্য উদ্দেশ্যে জ্ঞান অন্বেষণ করা হবে।” সুনান আদ-দারেমীঃ ১/৬৪, দুটি ভিন্ন সনদে, প্রথমটি সাহীহ এবং দ্বিতীয়টি হাসান, শায়খ আলবানী, হাকিমঃ ৪/৫১৪-১৫। এই হাদীস বর্ণনা করার পরে আধুনিক যুগের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস, আল্লামাহ মুহা’ম্মাদ নাসির উদ্দিন আলবানী রহি’মাহুল্লাহ তাঁর “তারাবীহ ও ইতিকাফ” নামক বইয়ে উল্লেখ করেছেন, “এই হাদীসটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের নবুওত ও তাঁর রিসালাতের সত্যতার নিদর্শন। কারণ বর্তমান যুগে এই হাদীসের প্রত্যেকটি অংশ সত্য প্রতিপন্ন হয়েছে। তন্মধ্যে অন্যতম হল বিদআ’তের আধিক্য এবং তার প্রতি মানুষের আকর্ষণ এমন পর্যায়ে উপনীত হওয়া যে, শেষাবধি তারা বিদআ’তকেই সুন্নাত হিসেবেই গ্রহণ করেছে এবং তাকেই অনুসরণীয় ধর্মাচরণে পরিণত করেছে। যখন আহলে সুন্নাহ প্রকৃত অর্থে বিদআ’ত থেকে বিমুখ হয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের সহীহ হাদীসকে আঁকড়ে ধরে, তখন বলা হয় সুন্নাহকে পরিত্যাগ করা হয়েছে।” তারাবীহ ও ইতিকাফঃ ১০। (৩) বর্তমানে অনেক মুসলমানেরা কাফের-মুশরেকদের অন্ধ অনুকরণ, অনুসরণ করছে। অনেক তরুণ ভাইয়েরা কাফের খেলোয়াড়, নায়ক-নায়িকা কিংবা গায়ক-গায়িকাদের অনুকরণ করে, তারা যদি ঘাড় ছিলা মুরগির মতো চুল কাটে, মুসলমানের সন্তানেরাও তাদের অনুকরণ করে উদ্ভট ও বিশ্রী চুলের স্টাইলে চুল কাটছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আদেশ করেছেন, পুরুষদেরকে টাখনুর উপরে কাপড় পরতে, আর নারীদেরকে সমস্ত শরীর ঢেকে রাখতে, এমনকি পা যাতে দেখা না যায় সেইজন্য বাইরে বের হলে পায়ের নীচে অর্ধ হাত কাপড় ঝুলিয়ে দিতে। অথচ আজকালকার সমাজের অনেক নামধারী মুসলমানেরা করছে পুরা উলটা। পুরুষেরা কাপড় পরছে টাখনুর নীচে, আর নারীরা কাপড় পরছে টাখনুর উপরে। ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক কিংবা আন্তর্জাতিক প্রতিটি ক্ষেত্রে মুসলমানেরা অমুসলিম সম্প্রদায়ের রীতি-নীতি অনুসরণ করে নিজেদেরকে আধুনিক ও উন্নত মনে করে গর্ব বোধ করছে। এইভাবে অজ্ঞতা মূর্খতার কারণে একশ্রেণীর মুসলমানেরা আস্তে আস্তে আল্লাহর গোলামী থেকে বের হয়ে ‘শয়তানের গোলামে’ পরিণত হচ্ছে। এই ফিতনাহর ব্যপারে সতর্ক করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “নিঃসন্দেহে তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের লোকদের রীতির অনুসরণ করবে, এক বিঘতের বিপরীতে এক বিঘত, এক হাতের বিপরীতে এক হাত (অর্থাৎ হুবহু)। এমনকি, তারা যদি কোন গুই সাপের গর্তে প্রবেশ করে, তাহলে তোমরাও তার অনুসরণ করে সেখানে প্রবেশ করবে।” সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসুল, আপনি কি ইহুদি খ্রিষ্টানদের অনুকরণ করার কথা বলছেন?” উত্তরে তিনি বললেন, “তাহলে আর কারা?” সহীহ বুখারীঃ ৩/১২৭৪, সহীহ মুসলিমঃ ৪/২০৫৪। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “আমার উম্মতের লোকেরা তাই করবে, যা করেছে বনী ইসরাঈলের লোকেরা (অর্থাৎ ইহুদী ও খ্রীস্টানরা), যেন একটি জুতা অপর জুতার সমান হওয়ার মত। এমনকি যদি ইহুদী ও খ্রীস্টানদের মাঝে কেউ তার মায়ের সাথে প্রকাশ্যে জিনা করে থাকে, তাহলে এই উম্মতের মাঝেও এমন ব্যক্তি হবে, যে এই কাজটি করবে।” সুনানে তিরমিযীঃ ২৬৪১, আল মুজামুল কাবীরঃ ৭৬৫৯, কানযুল উম্মালঃ ১০৬০। (৪) ফিলিস্থিন, বসনিয়া, আলজেরিয়া, আফগানিস্থান, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, ভারত, চীন, সুদান...এমন অসংখ্য মুসলিম দেশে অন্যায়ভাবে আক্রমন করে কাফির মুশরিকরা মুসলমানদেরকে হত্যা করছে। প্রায় প্রতিটা মুসলিম দেশেই মুসলিমরা নিজেদের ভেতরের বা বাহিরের শত্রুদের দ্বারা অত্যাচার, নির্যাতন ও লাঞ্চনার শিকার হচ্ছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অচিরেই (কাফের ও মুশরেক জাতির) লোকেরা তোমাদের (মুসলিমদেরকে) আক্রমন করার জন্যে একজন আরেকজনকে ডাকাডাকি করবে, যেমনিভাবে খাওয়ার জন্য দস্তরখানার দিকে একজন আরেকজনকে ডেকে থাকে।” (অর্থাৎ কাফেররা খুব সহজেই আনন্দের সাথে দল বেঁধে মুসলিমদেরকে আক্রমন করবে।) সাহাবারা এই কথা শুনে আশ্চার্যান্বিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “হে আল্লাহর রাসুল! তখন কি আমাদের সংখ্যা কম হবে?” উত্তরে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “না। সেদিন তোমাদের সংখ্যা কম হবে না, বরং তোমাদের সংখ্যা সেদিন অনেক বেশি হবে, কিন্তু তোমরা বন্যার পানিতে ভাসমান খড়-কুটার মত মূল্য বা ওজনহীন হবে। আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন তোমাদের শত্রুদের অন্তর থেকে তোমাদের প্রতি ভয়কে ছিনিয়ে নিবে। আর তোমাদের অন্তরে ‘ওয়াহান’ ঢেলে দেবেন।” সাহাবারা জিজ্ঞাস করলেন, “হে আল্লাহর রাসুল! ওয়াহান জিনিসটি কি?” উত্তরে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “দুনিয়ার প্রতি অত্যধিক ভালোবাসা এবং মৃত্যুকে ঘৃণা করা।” আবু দাউদঃ ৪২৯৭, মুসনাদে আহমদ; শায়খ আলবানী হাদিসটিকে ‘সহীহ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। (৫) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কিয়ামতের পূর্বে ‘হারজ’ দেখা দিবে।” সাহাবাগণ প্রশ্ন করলেন, “হারজ কি?” আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “অত্যাধিক হত্যাকান্ড।” সাহাবাগণ বললেন, “এখন আমরা যা হত্যা করছি, তার চাইতেও বেশি? আমরা তো হত্যা করছি প্রতি বছর সত্তর হাজারেরও বেশি লোক।” রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “মুশরিকদেরকে হত্যা করা নয়। তখন তোমরা নিজেরাই একজন আরেকজনকে হত্যা করবে।” সাহাবাগণ বললেন, “তখন কি আমাদের বিবেক-বুদ্ধি সচল থাকবে?” রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “সেই যুগের অধিকাংশ মানুষেরই বিবেক-বুদ্ধি উঠিয়ে নেয়া হবে। তখন শুধু বেঁচে থাকবে অযোগ্য, অপদার্থ জগাখিচুড়ি লোকেরা। তাদের অধিকাংশই মনে করবে, তারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু করছে; অথচ তারা ফিতনা-ফাসাদ ছাড়া আর কিছুই করছে না।” আহমাদঃ ৪/৪১৪, ইবনু মাজাহঃ ৩৯৫৯, শরহুস সুন্নাহঃ ৪২৩৪, সহীহুল জামিঃ ২০৪৩। (৬) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আমার উম্মতের মধ্যে শীঘ্রই এমন একদল লোক বের হবে, যাদের মধ্যে প্রবৃত্তি পরায়ণতা এমনভাবে প্রবহমান হবে, যেইভাবে কুকুরের বিষ (জলাতঙ্ক রোগ) আক্রান্ত ব্যক্তির সারা দেহে সঞ্চারিত হয়। কোন একটি শিরা বা জোড়া বাকী থাকে না যেখানে উক্ত বিষ প্রবেশ করে না।” তিরমিযীঃ ৬৪১, ইবনু মাজাহঃ ৩৯৯২। সহীহ, সিলসিলাহ সহীহাহঃ ১৩৪৮। এমন প্রবৃত্তি পূজারী ব্যক্তি বা দলের লোকেরা যখন মুসলমানদের ক্ষমতার উপর চেপে বসে, তখন স্বাভাবিকভাবে দ্বীনের ব্যপারে মুসলমানরা বাঁধার সম্মুখীন হবে।

❖ মাত্র একটি কাজের বিনিময়ে রাসুল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জান্নাতের গ্যারান্টি দিয়েছেন। কাজটি কি? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ রাগ না করলে। এ বিষয়ে হাদিসে এসেছে, একবার জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে বলল, “আমাকে কিছু উপদেশ দিন।” আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “তুমি রাগ করো না।” লোকটি বার বার আল্লাহর রাসুলের নিকট উপদেশ চায়, আর আল্লাহর রাসুল তাকে প্রত্যেকবার একই উপদেশ দিয়ে বললেন, “তুমি রাগ করো না।” (বুখারীঃ ৬১১৬) অপর এক হাদিসে রাসুলুলাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তুমি রাগ করো না, তাহলে জান্নাত তোমার হবে।” (সহীহ আল-জামিঃ ৭৩৭৪)

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট