"পুরুষ নারীর মত নয়।"

 


পশ্চিমা সমাজ তোমাকে যাই শেখাক না কেন, কার্টুনগুলো তোমাকে যাই দেখাক না কেন, ডিজনী চ্যানেলে যাই প্রদর্শন করা হোক না কেন— আমাদের বুঝতে হবে মানবজাতি পুরুষ এবং নারীতে বিভক্ত।

আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা বলেন— "ইয়া আইয়ুহান নাস! ইন্না খালাকনাকুম মিন জাকারিন ওয়া উনসা।" "ও মানুষ! আমি তোমাদের এক পুরুষ এবং এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি।" আমরা সবাই একজন পুরুষ এবং একজন নারী থেকে এসেছি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আরো বলেন- "ওয়া বাসসা মিনহুমা রিজালান কাসীরাও ওয়া নিসাআ।" ওই দুইজন থেকে আমি বহু পুরুষ এবং বহু নারী ছড়িয়ে দিয়েছি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আরো বলেন- "ওয়া লাইসাস জাকারু কাল উনসা" - "পুরুষ নারীর মত নয়।" এতো সহজ একটি আয়াত। শত শত বছর যাবৎ মানুষ এই আয়াতটার প্রতি ঐভাবে গুরুত্ব দেয়নি। এমন সহজ একটি কথা কেন কুরআনে উল্লেখ করা হলো! কিন্তু এখন, আধুনিক জাহেলিয়াতের এই যুগে আমাদেরকে এই আয়াতটির উদ্ধৃতি দিতে হচ্ছে। এখন, এই সহজ আয়াতটি বিশাল একটি অর্থ প্রদান করছে। "ওয়া লাইসাস জাকারু কাল উনসা- পুরুষ নারীর মত নয়।" এত সহজ একটি ফ্যাক্ট! এমন অকাট্য একটি ফ্যাক্ট! এমন অবিতর্কিত একটি বিষয়! তথাপি আল্লাহ এটি কুরআনে উল্লেখ করেছেন। কারণ, মডার্ন জাহেলিয়াতের এই যুগে আমাদেরকে এই আয়াতটি উল্লেখ করতে হবে। একেবারে প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরুষ নারীর মত নয়। আপনি যেকোনো শরীর থেকে যেকোনো একটি সেল নিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন এটি কি এক্সএক্স নাকি এক্সওয়াই ক্রোমোজোম। আপনি তখন বলতে পারবেন সেলটি কি একজন পুরুষ থেকে এসেছে নাকি একজন নারী থেকে। পুরুষের শরীর এবং নারীর শরীর ভিন্ন। ফিজিওলজিক্যাল্লি এটি আলাদা, জেনিটেলিয়ার দিক থেকে এটি আদালা। বডি ম্যাস এবং মাসল ম্যাস এর দিক থেকে এটি আদালা। প্রতিটি দিক থেকে। হাড়ের ঘনত্বের দিক থেকে এটি আলাদা। দশ লাখ বছর পূর্বের কোনো কঙ্কাল পরীক্ষা করে আপনি বলতে পারবেন কঙ্কালটি কি পুরুষের নাকি নারীর। এমনকি হাড়ের দিক থেকেও নারী পুরুষ আলাদা। হরমনাল্লি, ইন্টেলেকচুয়াল্লি, ফিজিক্যালি সব দিক থেকে নারী পুরুষ ভিন্ন। আমি যখন বলছি বুদ্ধিগত দিক থেকে আলাদা, আমি বলছি না যে একজন আরেকজন থেকে উত্তম। না। নারীরা এমনসব বিষয়ে খুবই উচ্চ পর্যায়ের প্রতিভাসম্পন্ন যেখানে পুরুষরা প্রতিভাসম্পন্ন নয়। আবার পুরুষরা এমনসব ক্ষেত্রে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিভাসম্পন্ন যেখানে নারীরা প্রতিভাসম্পন্ন নয়। একের এমনসব ট্যালেন্ট রয়েছে যা অন্যের নেই। তাদের প্রত্যেকের ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন শক্তিমত্তা রয়েছে। এভাবে এই উভয় ধরণের শক্তিমত্তার একত্রীকরণের মধ্য দিয়েই, নারীর শক্তিমত্তা এবং পুরুষের শক্তিমত্তার একত্রীকরণের মধ্য দিয়ে একটি শক্তিশালী পরিবার গড়ে উঠে। পরিবার সুরক্ষিত থাকে। —ড. ইয়াসির কাদি

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট