ফেরাউনের কৌশল


 "সে গণহত্যাকে একটা জাতীয় কারণ বানিয়েছিল। জনগণের চেতনা ভেঙ্গে দেওয়া ছিল তার সামরিক কৌশলের অংশ। সে তাদের হত্যার আদেশ দিতে পারত, কিন্তু তা যথেষ্ট হতো না। সামরিক অভিযানের অংশ ছিল

"আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে শিশুরা যেন মারা যায়"। এটাই ছিল তার নীতি। আল্লাহ এখন আমাদের বলছেন যে ফেরাউনের এই কৌশল তার সাথে থামেনি। আরও কিছু ফিরাউন আসবে এবং তারা একই কৌশল অবলম্বন করবে এবং শেষ পর্যন্ত তারা সর্বদা ব্যর্থ হবে। - নোমান আলী খান
Part 1... এমনকি ফেরাউনও প্রশ্ন তুলতে শুরু করলো, আমি যে পলিসি নিয়েছি সেটা কি সঠিক? প্রচুর পাবলিক প্রতিক্রিয়া। আমি যা করছি তাতে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছে! এটা সূরা আ'রাফে, আর অন্যান্য আয়াতেও বলা হচ্ছে...আমি আগের খুতবাতে যেমন বলেছি যে সে "জে # নো সাইড" করতে যাচ্ছে... Kill Everybody... কিন্তু এখনো সে এই পদক্ষেপ নেয়নি, সে এখন ভাবছে যে: what should be the strategy here..! আমাদেরকে মিলিটারি পদক্ষেপ নিতে হবে, কিন্তু তার আগে আমাদেরকে একটা বিষয় নিশ্চিত করতে হবে, যেন আমরা মিডিয়াকে সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি... মিডিয়াতে কারা ট্রাবল মেকার তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে... যাতে করে এই প্রবলেমটা কে নির্মূল করতে পারি... ... যখন ফেরাউন প্ল্যানিং শুরু করছে তখন তার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এর মধ্যেই দুটো অপজিট গ্রুপ হয়ে গিয়েছে... একটা গ্রুপ ইসলাম গ্রহণ করে নিয়েছে যেমন যশুদা... তার গভারমেন্টের ভিতরে আরও একটা গ্রুপ রয়েছে.... আর তাদের অভিমত হলো: না না না না না... আমাদেরকে এখন এগ্রেসিভ সমাধান বের করতে হবে.. এখন আমাদের সত্যিকারের নেতা প্রয়োজন... আপনাকেই লাল বোতামটা টিপতে হবে... যত সংখ্যায় সম্ভব মানুষকে শেষ করতে হবে... তো government এর মধ্যেই একদল ইসলাম গ্রহণ করলো, আর গভার্নমেন্টের মধ্যেই আরো একটা দল জাস্ট রক্তপাত চাইল। তাদের কাছে একমাত্র এটাই হল সমাধান। এখন এই দুটো দলই এক্সট্রিম পর্যায়ে। হয়তো মাঝে কিছু নীরব হয়ে রয়েছে। আর এখানেই আল্লাহ বলছেন, সূরা আ'রাফ, আয়াত ১২৭: (দ্য জেনারেলস, দা মিলিটারি কমান্ডারস, তারা তো শুধুমাত্র এটাই চায়, তাই না?) তারা ফেরাউনকে বলতে শুরু করলো, 'আপনি কি জাস্ট ওদিকে ছেড়ে দিতে চাইছেন? ওদিকে জীবন্ত ছেড়ে দিতে চাইছেন? মুসা আর তার জাতিকে? যাতে করে তারা আমাদের এই দেশে প্রবলেম তৈরি করেই যেতে পারে? এই মানুষগুলো হল প্রবলেম। আপনি ওদিকে ছেড়ে দিতে পারেন না। আপনি যদি এখনই এই প্রবলেম সমাধান না করেন, তাহলে এটা বারবার ফিরে আসবে। তাদেরকে এটা করে যাওয়ার সুযোগ দেবেন? তারাই তো ফ্যাসাদ এর কারণ। ... তো মিলিটারি কমান্ডারসদের লজিকটা কি? তারা বলতে চাইছে, দেখুন এই জাতিটা এতটাই trouble যে এখন একটাই সমাধান হলো ওদের সবাইকে মরতে হবে। আর একমাত্র এভাবেই আপনি এই প্রবলেম সলভ করতে পারবেন। আপনি কি প্রবলেম সমাধান করতে সিরিয়াস, না কি না? এ প্রবলেমটা চিরদিনের মত সমাধান করতে চান, না কি চান না? ..." আর তারা বলল, তারা শুধু আপনাকে পরিত্যাগ করবে না, তারা আপনার ধর্ম পর্যন্ত পরিত্যাগ করবে"... ইন্টারেস্টিং বিষয়টা দেখুন, তারা প্রথমে ধর্ম নিয়ে কথা বলেনি, তারা প্রথমে ফেরাউন এর বিষয়ে কথা বলল। তারা আপনার উপর প্রশ্ন তুলবে (ফেরাউনের নিজের জাতি)। তারা আপনার ক্ষমতাকে ছোট করে দেখতে পারে। গভারমেন্ট অফিসাররা তাদের নেতা ফেরাউনকে বলছে, শুনুন, যদি আপনি ওদিকে হত্যা না করেন, তাহলে বিষয়টা আপনাকে দুর্বল হিসেবে তুলে ধরবে। আপনার ক্ষমতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। আপনি হয়তো পরবর্তীতে "ইলেকসনেই" সমস্যায় পড়ে যাবেন। দুর্বল হবেন না, এটা আপনার জন্য ভালো নয়। আমাদের একজন স্ট্রং লিডার প্রয়োজন। আর এটাতো উল্লেখ করার প্রয়োজনই রাখে না যে তারা আপনার ধর্ম ত্যাগ করবে, অর্থাৎ আপনার পন্থা পরিত্যাগ করবে। আর তখন ফেরাউন বলল, আমরা তাদের শিশুদিকে হত্যা করব, জবাই করে ফেলব। তাদের নারীদিকে ছেড়ে দেব।
part 2...আর এখন আসল যে কারণে আমি এই খুতবাটা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাইছি তা হল: এই ভয়ানক প্রচার অভিযানের সামনে মুসা আলাই সালাম এর রিয়াকশনটা কি ছিল! তার কি প্রতিক্রিয়া ছিল! আমি একটা বিষয় আপনাদেরকে বুঝিয়ে নিতে চাই.... ফেরাউন এই পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী মিলিটারি পাওয়ার গুলোর মধ্যে একটা। আর বনি ইসরাইল ছিল সবচেয়ে অসহায় জাতি। তাদের কোন স্ট্যান্ডিং সেনাবাহিনী ছিল না। তারা একটা ওপেন এয়ার জেলখানায় বসবাস করত। তারা একচুয়ালি ক্যাম্পে বন্দী ছিল। তারা পালাতেও পারত না। তারা ছিল মূলত সিভিলিয়ানস। আর ফেরাউনের সেনাবাহিনী তাদের কাছে যেতে পারে, যা খুশি করতে পারে, যখন খুশি করতে পারে, যেভাবে খুশি করতে পারে। আর কেউ তাদেরকে প্রশ্ন করতে পারেনা। এটাই ছিল সিচুয়েশন। তো এই পরিস্থিতিতে মুসা আঃ সালামের সম্ভাবনা ছিল এমন একটা খুতবা দেওয়া তার সেই সমস্ত অনুসারীদিকে যারা আবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। তো সেই খুতবায় তিনি তাদেরকে কি বলতেন? কোন কথাটা বলা উচিত ছিল? কিভাবে তিনি তাদিকে এড্রেস করবেন? তাদের জন্য সমাধান টা কি? তিনি বনি ইসরাইল কে বললেন(সূরা আ'রাফ, আয়াত ১২৮), " আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করো। ধৈর্য ধারণ করো, সবর করো। জমিন আল্লাহর। তিনি যাকে চান তাকেই এর উত্তরাধিকার দান করেন, তার দাসদের মধ্যে হতে। আর শেষ পরিণতি, শেষ হাসিটা, শেষ জয় একমাত্র তাদের জন্য যাদের রয়েছে তাকওয়া"... তিনি তার জাতিকে এটাই দিলেন। তাদিকে এতোটুকুই তুলে দিলেন। এখন একটা বিষয় জেনে রাখুন যে, অডিয়েন্সের মধ্যে কিছু মানুষ ছিল যাদের ছিল স্ট্রং ইমান। যখন তারা এটা শুনলো তারা বুঝে গেল যে আমাদের জন্য এতোটুকুই যথেষ্ট। সেই জাদুকরদের মত যারা বলেছিল (সূরা আ'রাফ, আয়াত ১২৫...১২৬),"আমরা অবশ্যই আমাদের প্রতিপালকের দিকে প্রত্যাবর্তন করব... হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ধৈর্য ও সবর অবলম্বনের গুনে অভিষিক্ত করো আর মুসলমান হিসেবে আমাদের মৃত্যুদান করো"। তো সেই ঈমানদারদের জন্য এটাই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু অন্য লোকেরা বলল, জাতির সাধারণ মুসলমানরা, ...ওহ্, কাম অন মুসা! আমরা খুন হয়ে যাচ্ছি আর তুমি আমাদেরকে ঈমানের ওপর খুতবা দিচ্ছ! আমাদেরকে রিয়েল সলিউশন দাও। এটা কোন সত্যিকার সমাধান নয়। এটা তো জাস্ট তুমি আমাদেরকে শান্ত করতে চাইছো... কিভাবে আমরা ওই ভয়ানক প্রবলেম থেকে মুক্তি পাবো! তাই পরবর্তী আয়াতটা সেই সমস্ত মানুষদের জন্য যাদেরকে মুসা যখন একথা বলেছিলেন যে এই জমিন এর মালিক আল্লাহ, আল্লাহর একটা প্লান রয়েছে, আর তোমরা যেন তোমাদের ঈমান না হারিয়ে ফেলো। এটাই সবচেয়ে বেশি ইম্পরট্যান্ট সম্পদ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ একজন ঈমানদারের থাকে তা জমিন নয়, তা তাদের জীবন নয়, এটা বাস্তবে হল তাদের ঈমান। আর এই কথাটা জাদুকরেরা বুঝে গিয়েছিল যারা বলেছিল যে একটা জিনিস যা আমরা হারাতে পারিনা তাহলে আমাদের ঈমান তখন যখন আমরা মারা যাচ্ছি। তারা এটা বুঝে গিয়েছিল। কিন্তু আরো কিছু মানুষ ছিল যারা বলেছিল (আয়াতটার দিকে খেয়াল করুন, সূরা আ'রাফ আয়াত ১২৯)"তারা বলল, তুমি আসার আগেও (তারা মুসার সাথে কথা বলছে, মুসার কিছু অনুসারীরা!) তুমি আসার আগে আমরা অত্যাচারিত হতাম, তুমি আসার পরেও আমরা অত্যাচারিত হচ্ছি, তুমি এসে লাভ কি হল!" ....তুমি আমাদের কোন সমাধান দিলে!কারণ তাদের মাথায়, যদি কেউ ইসলাম অনুসরণ করে, যদি কেউ সত্যিকার ধর্ম অনুসরণ করে, তাহলে এটা তো তার প্রবলেম সলভ করে দেবে। জীবন উত্তম হয়ে যাবে, সম্পদ, টাকা জড় করা সহজ হয়ে যাবে। স্বাস্থ্য সুন্দর হয়ে যাবে, নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়ে যাবে, সে বা তার জাতি তো সুপার পাওয়ার হয়ে যাবে। কারণ সে আল্লাহর উপর ঈমান এনেছে। আর যে আল্লাহর উপর ঈমান আনে, তার তো দুনিয়ার সর্বোত্তম টা পাওয়া উচিত। আর তুমি হলে প্রফেট। আর তুমি এলে, আর যখন তুমি এলে, এই দুনিয়াটা তো আমাদের জন্য জান্নাত হয়ে যাওয়া উচিত! অথচ তুমি এলে, তুমি আসার আগেও আমরা মার খেতাম, আর তুমি আসার পরেও এখনো আমরা মার খাচ্ছি! তুমি এসে লাভ টা কি হলো! পয়েন্টটা কি? এর পারপাস টাই বা কি? আমরা তো কোন ডিফারেন্স দেখতে পাচ্ছি না! তুমি আমাদের সাথে থাকো বা আমাদের সাথে না থাকো, ছবি তো এক! এখন মুসা আঃ এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতেন, যেহেতু তারা এই কথাগুলো তাকে বলেছিল। তার জাতিকে খুতবা দেওয়ার পর তারা এই প্রতিক্রিয়া করেছিল। কল্পনা করুন, আল্লাহর একজন প্রফেট খুতবা দিচ্ছেন আর জুম্মাতে কিছু মানুষ দাঁড়িয়ে পড়ল আর পফেটের মুখের উপরেই কথা বলা শুরু করে দিল! খুতবার মাঝে! তো তিনি এই সমালোচনায় কি রেসপন্স করেছিলেন! তিনি এমন কিছু ভয়ানক বলেছিলেন,.. আমি চাই এই ভাবনাটা আপনাদিকে আর আমাকে যেন কিছুক্ষণ ব্যস্ত রাখে..., মুসা আঃ তাদেরকে কি বলেছিলেন! শুনুন... আয়াত ১২৯, " খুব সম্ভব যে আল্লাহ তোমাদের শত্রুদিকে ধ্বংস করে দেবেন।" (খুব সম্ভবনা রয়েছে যে তিনি তোমাদের শত্রুদেরকে ধ্বংস করে দেবেন। ফেরাউন আর তার রাজবংশ বহু শতাব্দী ধরে রাজ করে যাচ্ছে। আর আল্লাহ ফেরাউনদের সেই রাজত্ব এক মিনিটে শেষ করে দিয়েছিলেন। আল্লাহ যা চান তাই করতে পারেন, যখন চান, যেভাবে চান, যেখানে চান, করতে পারেন। এটা আমার জন্য বিরাট বড় সমস্যা হতে পারে, অন্য কারো জন্য বিশাল সমস্যা হতে পারে, কিন্তু এটা আল্লাহর জন্য কোন সমস্যা নয়। তো প্রথম যে বিষয়টা তিনি বললেন, "হতে পারে আল্লাহ তোমাদের শত্রুদিকে ধ্বংস করে দেবেন। আর তারপর তিনি তোমাদেরকে জমিনের উপর রাজত্ব দান করবেন" তো যখন শত্রুরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, কারা রাজত্ব পেতে যাচ্ছে? তোমরা, বনি ইসরাইল জমিনের মালিক হতে যাচ্ছ। আল্লাহ তোমাদেরকে শক্তিশালী করে তুলবেন। একথা শোনার পর তো মনে হবে যেন বলে উঠি, তাকবির... আল্লাহু আকবার। এখন শত্রুরা ধ্বংস হয়ে যাবে আমি জয়ী হব, আমি ক্ষমতার অধিকারী হব। কিন্তু তিনি মুসা আঃ এখানেই থামেননি। তারপর তিনি বললেন, "তখন আল্লাহ দেখে নেবেন যে তোমরা কোন ব্যবহারটা কর।" আল্লাহ লক্ষ্য করবেন, তোমাদের কিরূপ ব্যবহার হয়। তো এই মুহূর্তে তোমাদের শত্রু হলো ফেরাউন। আর সে এইরুপ জুলুম করে যাচ্ছে। আর সম্ভবত আল্লাহ তাকে ধ্বংস করে দেবেন। আর হয়তো তাকে ধ্বংস করার পর তিনি তোমাদিকে সেই ক্ষমতা দান করবেন যে ক্ষমতাটা তিনি ফেরাউনকে দান করেছিলেন। আর তারপর তিনি দেখে নেবেন তোমরা কি ফেরাউনের থেকে ভিন্ন কিছু, না কি তোমরা নিজেরাই ফেরাউন হয়ে উঠলে। তিনি দেখে নেবেন তোমরা কি কর। এখন খুব বেশিদিন অতীত হয়নি... যখন মুসলিমদের উপর ব্রিটিশরা রাজত্ব করেছিল, রাজত্ব করেছিল ফরাসিরা, রাজত্ব করেছিল ডাচ। মুসলিম দুনিয়ার একটা বিরাট বড় অংশ। এখন খুব বেশি অতীত হয়ে যায়নি, আমাদের পিতামহ, আমাদের পিতামহদের পিতা, মসজিদে সারারাত দাঁড়িয়ে থাকতো, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে থাকত, ভিক্ষা করতে থাকতো যে হে আল্লাহ, আমাদের ভূমি থেকে এই অত্যাচারীদিকে দূর করে দাও, আমাদেরকে মুক্তি দান কর। তারা আল্লাহর কাছে ভিক্ষা করতো। তারা বলতো যে যদি আল্লাহ তুমি আমাদেরকে বিজয় দান কর, যদি তুমি আমাদের ঘাড় থেকে কাফেরদের হাত সরিয়ে দাও, তাহলে আমরা শুধুমাত্র, একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করব, একমাত্র তোমারই দাসত্ব করব, শুধুমাত্র তোমার আইন, তোমার শরীয়ত মেনে চলবো, আমরা কারোর উপর অবিচার করব না, আমাদের জমিনের উপরে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করব, আমরা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করব, আমরা মুসলিমদের ভূমিতে আল্লাহর আলো জ্বালিয়ে দেব। আমরা একমাত্র তোমারই উপাসনা করব, আমরা তোমার কিতাবের ছায়ায় জীবন অতিবাহিত করব, যেভাবে তুমি জীবন অতিবাহিত করতে বলেছ, আপনার নবীর সুন্নত অনুযায়ী (সাঃ)। এটা কোন প্রাচীন ইতিহাস নয়। হাজার হাজার বছর আগের কোনো ঘটনা নয়। ১০০ বছরের মধ্যের ঘটনা। আমাদের নিজেদের পরিবারে, আমার পরিবারে, আপনাদের পরিবারের মানুষেরা ছিল যারা মসজিদে আল্লাহর কাছে কাতর হয়ে ভিক্ষা করে যাচ্ছিল... আল্লাহ, আমাদের স্বাধীনতা দান কর যাতে করে আমরা আমাদের ভূমির মালিক হতে পারি। আর এই দোয়া সেই জাতিগুলোর জন্য, বেশিরভাগের জন্যই কবুল হয়ে গিয়েছিল। তারা স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আর এটা নিশ্চিত, যখন তারা এই স্বাধীনতা অর্জন করল, তখন তারা আর কারোর উপর অত্যাচার করেনি! তারা কোন "করাপটেড" সরকার গঠন করেনি! তারা নির্বাচন ছিনিয়ে নেয়নি! তারা কোন প্রকার ঘুষ গ্রহণ করে না! তারা নিজেরাই ফেরাউন হয়ে ওঠেনি! তারা কোন নাগরিককে গোপনে উঠিয়ে নিয়ে যায়নি, বা গুপ্তহত্যা করেনি! তারা হক বলনেওয়ালাদের মুখ বন্ধ করে দেয়নি! তারা......!!!!! আল্লাহ বলছেন, সম্ভবত আল্লাহ তোমাদের শত্রুদেরকে ধ্বংস করে দেবেন... আর সম্ভবত আল্লাহ তোমাদের হাতে এই জমিনের দায়িত্ব তুলে দেবেন... আর তখন আল্লাহ দেখে নেবেন তোমরা কি কর... তোমরা কি রূপ ব্যবহারটা কর... আল্লাহ এই কথাটা বলেছেন মুসা আঃ এর জবানে বনি ইসরাইলদিকে। বনি ইসরাইল! হাজার হাজার বছর আগে তাদেরকে বলা হয়েছিল! সম্ভবত একদিন তোমাদিকে ক্ষমতা দান করা হবে, আর দেখে নেওয়া হবে তোমরা ভিন্ন কিছু কি না। ভাবুন। আল্লাহ কি শুধুমাত্র বনি ইসরাইলদের সাথে কথা বলছেন? তিনি আমার সাথে কথা বলছেন, আপনাদের সাথে কথা বলছেন। হয়তো একদিন আল্লাহ আমাকে, আপনাকে ক্ষমতা দান করবেন (যেটা তিনি প্রায় ১৩০০ বছর ধরে করেছিলেন) তখন আমাদের ব্যবহারটা কিরূপ হবে! হয়তো আমরা সরকারি ক্ষমতা পাবো না। কিন্তু আপনার হাতে আপনার পরিবারের ক্ষমতা থাকবে। আপনার বিজনেসে আপনার ক্ষমতা থাকবে। আপনার কমিউনিটির উপর আপনার ক্ষমতা থাকবে। এখন সেই ক্ষমতার কোন রূপটা আপনি দেখাবেন! আমি কি আল্লাহর সমস্ত নিয়ম এপ্লাই করি!সব আদেশ,সব নিষেধ! এ এক ভয়ানক প্রশ্ন! এ প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন মুসা আঃ আমাদের সামনে। তাদের প্রশ্নটা কি ছিল! তুমি আসার আগেও আমাদের প্রবলেম ছিল, তুমি আসার পরেও আমাদের প্রবলেম আছে। এমনকি মূসা আলাইহিস সালাম তাদের এই প্রশ্নটাকেই একনলেজ করেননি। কারণ, যারা এই প্রশ্নটা তুলেছিল তারা এমনকি ইসলামের মৌলিক ভিত্তিটাই বোঝেনি। এমন কি তারা উত্তর পাওয়ার যোগ্য নয়। কেন! কারণ, তাদের প্রশ্ন করার আগেই সত্যিকারের উত্তরটা কি ছিল!... ... জীবন হলো খুবই ক্ষণস্থায়ী... আমরা এখানে কোন লাগজারিয়াস জীবন যাপন করতে আসিনি... আমরা এখানে একটা পরীক্ষায় পাশ করতে এসেছি.... আর এই পরীক্ষার আল্টিমেট পাস করাটা হল, "আল্লাহ, আমাদেরকে মুসলিম হিসেবে মৃত্যু দান কর" - নোমান খান (অস্ট্রেলিয়ায় তৃতীয় খুতবার অংশ) - The Divine Signature

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট