জান্নাতুল ফিরদাউসে যাওয়ার সুযোগ

 


প্রতিটি মানুষের জান্নাতুল ফিরদাউসে যাওয়ার সুযোগ আছে। আপনার আমার আমাদের সবার। আর সেটা দূরের কোনো জিনিস না। দূরত্বটা মূলত মৃত্যু। যে কোনো সময় সেটা ঘটে যেতে পারে। প্রশ্ন হলো আপনি কি আসলেই সেখানে যেতে চান? সে জন্য যেরকম জীবন অতিবাহিত করার কথা আপনি আমি কি তা করছি?

রাসূলুল্লাহ (স) এর এক বিস্ময়কর হাদিস। রাসূল (স) বলেন- "আল্লাহ জান্নাতুল ফিরদাউসে সকল মানুষের জন্য ঘর তৈরি করে রেখেছেন।" সকল মানুষের জন্য, শুধুমাত্র বিশ্বাসীদের জন্য না। কিন্তু কিছু মানুষ ওখানে যেতে চায় না। বিশ্বাসীরা যখন যাবে তখন তারা অনেক খালি ঘর দেখতে পাবে। সুতরাং তারা সে ঘরগুলো উত্তরাধিকারসূত্রে পাবে। আপনার প্রতি আল্লাহর প্রত্যাশা রয়েছে যে আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন। সুতরাং এটা নষ্ট করবেন না। দুর্বল ঈমান নিয়ে থাকবেন না। আল্লাহর প্রতি নিজের বিশ্বাস হারাবেন না। জীবনের কঠিন সময় গুলোকে এভাবে দেখুন—আল্লাহ দেখতে চান আপনি সেই ঘরগুলোর জন্য কতটুকু মূল্য দিতে চান। এমন জান্নাত যেখানে আপনার বয়স হবে ৩৩, কোনোদিন বৃদ্ধ হবেন না এবং অসুস্থ হবেন না। দুঃখ বা দুঃশ্চিন্তা কোনোদিন আক্রমণ করবে না। শারীরিক শক্তিমত্তা হবে একশ মানুষের সমান। পাবেন সুবিশাল এক রাজত্ব, কুরআনের ভাষায় মূলকান কাবীরা। যেদিকে তাকাবেন দুচোখ জুড়ে শুধু দেখবেন নেয়ামত আর নেয়ামত। মন যা চায় তাই পাবেন, কুরআনের ভাষায় 'মা তাসতাহি আন্ফুসুকুম। যা কোনোদিন শেষ হবে না। প্রতিটি নেয়ামত দিন দিন শুধু বৃদ্ধি পেতে থাকবে। কখনো এক রকম নয়। যদি শুধু এ কাজগুলো করতে পারেন। ১। তারা নিজেদের নামাজে খুশু বজায় রাখে। ২। আর যারা অনর্থক কথাকর্ম থেকে বিমুখ। ৩। আর যারা যাকাতের ক্ষেত্রে সক্রিয়। এর আরেকটি অর্থ হলো- যারা নিজেদের পরিশুদ্ধ করার কাজে সক্রিয়। অন্য কথায়, তারা বুঝতে পারে আমার ব্যক্তিত্ব অশুদ্ধ, এর নির্দিষ্ট কিছু সমস্যা রয়েছে। হয়তো আমার রাগের সমস্যা আছে, আমি হয়তো মানুষকে মাফ করতে পারি না। কেউ কষ্ট দিলে তা হয়তো ভুলতে পারি না। আমি হয়তো বুঝতেও পারি না যে, কথা বলার সময় আমি মানুষকে কষ্ট দিয়ে ফেলি। আমি হয়তো বিনোদনে অনেক বেশি সময় ব্যয় করে ফেলি। এই আয়াতটি কিভাবে নিজ জীবনে বাস্তবায়ন করবেন? নিজের ব্যাপারে যে বিষয়গুলো অপছন্দ করেন তার একটি লিস্ট তৈরি করুন। আর আপনি নিশ্চিত যে, এগুলো আল্লাহও পছন্দ করেন না। এরপর এগুলো দূর করার চেষ্টায় আত্মনিয়োগ করুন। ৪। আর যারা তাদের নিজেদের লজ্জাস্থানের হিফাযতকারী। যারা অশ্লীলতা থেকে নিজেদের রক্ষা করে চলে। ৫। আর যারা নিজেদের আমানাত ও ওয়াদা পূর্ণ করে। ৬। আর যারা নিজেদের নামাযের ব্যাপারে যত্নবান। (দৈনিক নামাজগুলো ঠিকভাবে আদায় করে।) তারাই হল উত্তরাধিকারী। তারা ফিরদাউসের উত্তরাধিকার লাভ করবে, যাতে তারা চিরস্থায়ী হবে। (সূরা মু'মিনুনের আলোকে)

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট