ইয়েমেনিদের প্রশংসা

 


আমাদের রাসূলুল্লাহ (স) বহু হাদিসে ইয়েমেনিদের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন--"ইয়েমেনিরা তোমাদের কাছে এসেছে (তারা মদিনাতে এসেছিল ইসলাম গ্রহণ করতে), তাদের রয়েছে সবচেয়ে সেরা রূহ এবং কোমলতম অন্তর।" এরপর তিনি এই বিখ্যাত কথাটি বলেন- "আলঈইমা-নু ইয়ামানিন ওয়াল হিকমাতু ইয়ামা-নিয়্যাহ।" অর্থাৎ, ঈমান ইয়েমেনি এবং প্রজ্ঞাও ইয়েমেন থেকে।

সহিহ বুখারির একটি হাদিসে এসেছে-- "আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফিই শা-মিনা ওয়া ফিই ইয়ামানিনা।" অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমাদের শাম এবং ইয়েমেনে বারাকা দান করুন। সিরিয়া এবং ফিলিস্তিন সমগ্র অঞ্চলটাকে সে সময় শাম বলা হতো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা) কে দাওয়াতি কাজের উদ্দেশ্যে ইয়েমেনে পাঠান। সেসময় তিনি মুয়াজকে উপদেশ প্রদান করেন- "মানুষের জন্য সহজ করো, কঠিন করো না। মানুষকে সুসংবাদ প্রদান করো আর তাদেরকে দূরে ঠেলে দিও না। মানুষের মাঝে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করো, তাদের মাঝে বিভক্তি তৈরি করো না।" তিনি আবু মুসা আশয়ারিকেও ইয়েমেনের অন্য একটি প্রদেশে পাঠান। উনাদের হাতে গণহারে মানুষ ইসলামে দীক্ষিত হয়। আরব উপদ্বীপের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ইয়েমেনিরা অনেক সহজে ইসলাম গ্রহণ করে। আরেকটি সুন্দর হাদিসে আমাদের রাসূল (স) বলেছেন- "শেষ বিচারের দিন আমি আমার হাউজের (হাউজে কাউসার) দায়িত্বে থাকবো। আর আমি তখন নিশ্চিত করবো যেন সবাই ইয়মেনিদের জন্য জায়গা ছেড়ে দেয়। আমি আমার লাঠি দিয়ে সবাইকে সরিয়ে তাদের জন্য জায়গা করে দিবো।" অর্থাৎ, ইয়েমেনি মানুষেরা সবার আগে হাউজে কাউসার থেকে পানি পান করবে। -- শায়েখ ইয়াসির কাদি



একজন মুমিন হয়তো কোনো ভুল করে ফেলতে পারেন। কিন্তু তিনি ঐ ভুলের মাঝে পড়ে থাকেন না। তিনি এর থেকে বেরিয়ে আসেন। আদম (আ) এবং ইবলিছের ঘটনা থেকে আমরা এটা জানি। দু'জনেই ভুল করেছিল। আদম (আ) তার ভুলের জন্য লজ্জিত হলেন এবং আল্লাহর কাছে মাফ চাইলেন। আর ইবলিছ নিজের ভুলের পক্ষে যুক্তি প্রদর্শন করল এবং অহংকার করল। এটি আদম (আ) এবং ইবলিছের মাঝে বড় একটি পার্থক্য। ঈমান থাকা সত্ত্বেও আপনি ভুলের গর্তে পড়ে যেতে পারেন, এমনকি বড় ধরণের ভুলও করে ফেলতে পারেন। কেউই পারফেক্ট না। কিন্তু এরপর ঈমান আপনাকে আবারও উপরে উঠে আসতে অনুপ্রাণিত করবে। আপনি আবারও উঠে আসবেন। শুধু আল্লাহর প্রতি খাঁটি আন্তরিকতাই আপনাকে একটি ভুল থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে। এজন্যই আমাদের রাসূল (স) বলেছেন—আন নাদামু তাওবা। অর্থাৎ অন্তরে খাঁটি অনুশোচনা অনুভব করার নাম তাওবা। তাই কোনো ভুল হয়ে গেলে এর জন্য আল্লাহর কাছে লজ্জিত হোন এবং ক্ষমা চান। এরপর এই ভুলের উপর পড়ে থাকবেন না। এই ভুল কাজে আর জড়াবেন না। এর থেকে বেরিয়ে আসুন। —ড. ইয়াসির কাদির আলোচনা অবলম্বনে





Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট