Posts

Showing posts from March, 2024

ফেরেশতাদের বন্ধু ও এক মুমিনের গল্প

Image
  আজ খতমে তারাবিহতে পবিত্র কোরআনের সুরা জুমারের ৩২ থেকে সুরা মুমিন ও সুরা হামিম সাজদার ১ থেকে ৪৬ নম্বর আয়াত পর্যন্ত তিলাওয়াত করা হবে। ২৪তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। আজকের তারাবিহতে তওবা, সামাজিক শিষ্টাচার, মুমিন ও কাফেরের শেষ পরিণতি, মৃত্যু, নিরাশা, হক বাতিল, মুমিন ব্যক্তি কর্তৃক ফেরাউনকে সতর্ক, বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া, আল্লাহকে চেনার উপায়, কোরআন হেদায়াত ও শেফা, মানুষের কল্যাণে চতুষ্পদ প্রাণী, কিয়ামত, হেদায়াত, ইমানদারের জন্য ফেরেশতাদের দোয়া, জাহান্নামিদের অবস্থা, মুসা ও ফেরাউনের ঘটনা, আল্লাহর অনুগ্রহ, মানুষের অকৃজ্ঞতা, কোরআনের মাহাত্ম্য ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে। আল্লাহর রহমত নিয়ে নৈরাশ্য নিষেধ সুরা জুমারের ৫৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘বলো, হে আমার বান্দারা, যারা নিজেদের ওপর বাড়াবাড়ি করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ মানুষের জীবনে দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ-বেদনা, ঘাত-প্রতিঘাত, বিপদ–আপদ আসবে। দুঃখকে একেবারে উপেক্ষা করে চলা যায় না। আল্লাহ নবী-রাসুলদেরও বিপদে ফেলেছেন। কষ্ট দিয়েছেন। পরীক্ষা করেছেন। তাঁরা ধৈর্য ধরে পরীক্ষায় উত্ত

ধৈর্যের পুরস্কার পেয়েছিলেন আইয়ুব (আ.)

Image
  আজ খতমে তারাবিহতে পবিত্র কোরআনের সুরা ইয়াসিনের ২২ থেকে সুরা সাফফাত, সুরা সোয়াদ, সুরা জুমারের ১ থেকে ৩১ নম্বর আয়াত পর্যন্ত তিলাওয়াত করা হবে। ২৩তম পারা পড়া হবে। তারাবিহর এই অংশে নবীদের প্রতি অবিশ্বাসীদের উপহাস, আল্লাহর অস্তিত্ব, হাবিব নাজ্জারের উপদেশ, কিয়ামতের ভয়াবহতা, আল্লাহর জন্য ইবাদত, জাহান্নামিদের পরস্পরকে দোষারোপ, অবিশ্বাসীদের পরিণতি, মায়ের উদরে মানুষের অবস্থান, ইসলামি আকিদা-বিশ্বাস, শিঙায় ফুঁক, মৃত্যু-পরবর্তী জীবন, ফেরেশতাদের ইবাদত, পুনরুত্থান, হিসাব-নিকাশ, কোরআনের অলৌকিকতা, মুশরিকদের আপত্তির জবাব, আদম (আ.) ও শয়তানের কাহিনি ইত্যাদি বিষয়ের বর্ণনা রয়েছে।  কাঠমিস্ত্রি হাবিব নাজ্জারের গল্প আল্লাহ বলেন, ‘তাকে বলা হলো, তুমি জান্নাতে প্রবেশ কোরো।’ সে বলল, ‘হায়! আমার জাতি যদি জানতে পারত যে আমার রব আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন!’ (সুরা ইয়াসিন, আয়াত: ২৬-২৭) পৃথিবীতে ইসা (আ.) আগমনের আগের ঘটনা। সেই যুগে সমৃদ্ধি ও স্থাপত্যে প্রসিদ্ধ এক নগরী ছিল তৎকালীন আন্তাকিয়া শহর (বর্তমান তুরস্কে অবস্থিত)। আন্তাকিয়ার লোকেরা মূর্তিপূজা ও অন্যায়-অনাচারে লিপ্ত ছিল। বহু উপাসনায় ব

এক রাশ অলসতা

Image
  অনেক সময় নেক আমল করার ইচ্ছে থাকে, সময়ও থাকে কিন্তু কোত্থেকে যেন এক রাশ অলসতা এসে জড়িয়ে ধরে। এইতো উঠছি উঠছি করে আর উঠা হয় না। মূল্যবান সময়টা পার হয়ে যায়। পরে শুধু আফসোস করি। এরকম হলে নিম্নোক্ত আয়াতগুলো স্মরণে এনে নিজেকে উজ্জীবিত করে তুলুন। ১. সূরা আয যারিয়াতের ৫০তম আয়াত—فَفِرُّوۡۤا اِلَی اللّٰهِ ؕ اِنِّیۡ لَکُمۡ مِّنۡهُ نَذِیۡرٌ مُّبِیۡنٌ -"তোমরা আল্লাহর দিকে দৌড়াও। আমি তো তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য এক স্পষ্ট সতর্ককারী।" এই অংশটুকু মুখস্ত করে ফেলুন—ফাফিররু ইলাল্লাহ। তোমরা আল্লাহর দিকে দৌড়াও। যখনি অলসতা লাগবে "ফাফিররু ইলাল্লাহ।" ২. আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা বলেন- وَ سَارِعُوۡۤا اِلٰی مَغۡفِرَۃٍ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَ جَنَّۃٍ عَرۡضُهَا السَّمٰوٰتُ وَ الۡاَرۡضُ ۙ اُعِدَّتۡ لِلۡمُتَّقِیۡنَ - "তোমরা দ্রুত অগ্রসর হও তোমাদের প্রতিপালকের ক্ষমার দিকে ও সেই জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃতি হচ্ছে আসমানসমূহ ও যমীনের সমান। যা মুত্তাকীদের জন্য তৈরী করা হয়েছে।" (৩:১৩৩) ৩. এরচেয়ে আরো বেশি গতির আরেকটি শব্দও আল্লাহর মাগফিরাতের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। سَابِقُوۡۤا اِلٰی مَغۡف

সচ্চরিত্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান

Image
  বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সচ্চরিত্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ( রামাদান সিরিজ পর্ব ০৪) -------------------------------------------------------------------- আজকের হিকমা হলো সূরা আ'রাফের ১৯৯ নম্বর আয়াত। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নির্দেশ দান করেন, খুবই সুন্দর একটি সারসংক্ষেপ দিয়ে যে, কীভাবে তিনি মানব জাতির সাথে আচরণ করবেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন-- خُذِ الْعَفْوَ وَأْمُرْ بِالْعُرْفِ وَأَعْرِضْ عَنِ الْجَاهِلِينَ - খুযিল ‘আফওয়া, ওয়ামুর বিল’উরফি ওয়া আ’রিদ ‘আনিল জাহিলিন, অর্থাৎ ও আল্লাহর রাসূল! আপনি ক্ষমা এবং উদারতার পথ অবলম্বন করুন। “খুজিল আফওয়া” - আপনি ক্ষমার পথ ধরুন। এবং وَأْمُرْ بِالْعُرْفِ - ওয়া'মুর বিল উরফি, অর্থাৎ আদেশ করুন এবং প্রচার করুন যা সত্য-সঠিক। وَأَعْرِضْ عَنِ الْجَاهِلِينَ - ওয়া আ'রিদ আনিল জা-হিলিন, অর্থাৎ নির্বোধ তথা যারা নিজেদের আবেগ-অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করে না তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন। এই তিনটি বাক্যাংশ বা এই তিনটি কথা, মানব জাতির সাথে আচরণের সময় আমাদের সাধারণ মনোভঙ্গি কেমন হবে তার একটি সার

রমজান মাস: যেভাবে সম্ভব হলো মক্কা বিজয়

Image
  ইসলামের শ্রেষ্ঠ বিজয় ও মানবতার চূড়ান্ত বিজয় সংঘটিত হয় অষ্টম হিজরি সনের ১৯ রমজান। ইসলাম মানবতার জন্য, সত্য সুন্দর ন্যায় ও কল্যাণের জন্য ইসলাম; ইসলাম শান্তি সম্প্রীতি মৈত্রী সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য। আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন, ‘তোমরা শ্রেষ্ঠ জাতি, তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে মানবতার কল্যাণের জন্য। তোমরা সৎ কাজে আদেশ দেবে, মন্দ কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখবে।’ (সুরা আলে ইমরান)। হজরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনায় আগমনের পর দ্বিতীয় হিজরিতে কুরাইশরা মদিনা আক্রমণ করলে বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এতে চরমভাবে পরাজিত হলেও পরের বছর শাওয়াল মাসে তারা প্রায় পাঁচ শ কিলোমিটার দূরে এসে পুনরায় মদিনা আক্রমণ করে। সংঘটিত হয় ঐতিহাসিক ওহুদের যুদ্ধ। ষষ্ঠ হিজরির জিলকদ মাসে নবীজি (সা.) উমরার উদ্দেশ্যে দেড় হাজার সাহাবিসহ মক্কা গমন করেন। কুরাইশরা বাধা দিলে হজরত (সা.) হুদায়বিয়া নামক জায়গায় অবস্থান করেন। সেখানেই সম্পাদিত হয় ঐতিহাসিক ‘হুদায়বিয়ার সন্ধি’, যা বিশ্ব ইতিহাসে প্রথম লিখিত সন্ধিচুক্তি। ‘হুদায়বিয়ার সন্ধি’র পর মক্কার ‘বনু খোজাআ’ গোত্র হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সঙ্গে এবং ‘বনু বকর’ গো

কীভাবে ইস্তিগফার করবেন

Image
  ইস্তিগফার মানে হলো ক্ষমা প্রার্থনা করা। আল্লাহ হলেন ‘গাফির’ ক্ষমাকারী, ‘গফুর’ ক্ষমাশীল, ‘গফফার’ সর্বাধিক ক্ষমাকারী। ইস্তিগফার একটি স্বতন্ত্র ইবাদত; কোনো গুনাহ বা পাপ মাফ করার জন্য এই ইবাদত করা হয় না। যেমন নামাজ, রোজা, হজ ইত্যাদি ইবাদত দ্বারা গুনাহ মাফ হয়; কিন্তু এসব ইবাদত করার জন্য গুনাহ করা শর্ত নয়। তওবা ও ইস্তিগফার আল্লাহ তাআলার অতি পছন্দের একটি ইবাদত। তাই প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিষ্পাপ হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ বার তওবা ও ইস্তিগফার করতেন। অনুরূপ ইমানের পর নামাজ প্রধান ও সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত হওয়া সত্ত্বেও এই নামাজ আদায়ের পর তিনবার ইস্তিগফার পড়া সুন্নত। অর্থাৎ ইস্তিগফার শুধু পাপের পরে নয়, ইবাদতের পরেও করা হয়। যেমন হজের পর ইস্তিগফার করা বিষয়ে কোরআনে উল্লেখ আছে, ‘(হজ শেষে) তারপর তোমরা বেরিয়ে পড়ো, যেভাবে মানুষ চলে যাচ্ছে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৯৯)। ইস্তিগফার সম্বন্ধে কোরআনে আছে, ‘তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, নিশ্চয়ই তিনি মহাক্ষমাশীল।’ (সুরা নুহ, আয়াত: ১০)। ‘অতঃপর তোমার রবের প্রশংসাসহ পবিত

জাকাত–ফিতরা–সদকা যাদের দিতে হয়

Image
  জাকাত সম্পদের প্রবাহ তৈরি করে ও দারিদ্র্য বিমোচন করে। সঠিকভাবে জাকাত প্রদান করলেই সমাজ, দেশ, জাতি ও রাষ্ট্র এবং বিশ্ব দারিদ্র্যমুক্ত হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যাতে তোমাদের বিত্তবানদের মধ্যেই শুধু সম্পদ আবর্তন না করে।’ (সুরা-৫৯ হাশর, আয়াত: ৭)। হাদিস শরিফে জাকাত ও সদাকাত প্রদানের উপকারিতা প্রসঙ্গে এসেছে, ‘দাতা আল্লাহর কাছে প্রিয়, মানুষের কাছে প্রিয়, জান্নাতের নিকটতম; জাহান্নাম থেকে দূরে। সাধারণ দাতা অধিক ইবাদতকারী কৃপণ অপেক্ষা আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়।’ (সুনানে তিরমিজি)। কোরআন মজিদে জাকাত ব্যয়ের নির্দিষ্ট আটটি খাত উল্লেখ রয়েছে। সদকাতুল ফিতর, ওয়াজিব সদাকাত, ফিদিয়া, কাফফারা ও মান্নত ব্যয়ের খাতও এগুলোই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মূলত সদকাত হলো ফকির, মিসকিন, জাকাত কর্মী, অনুরক্ত ব্যক্তি ও নওমুসলিম, ক্রীতদাস, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, আল্লাহর পথে (ইসলামের সুরক্ষার জন্য) ও বিপদগ্রস্ত বিদেশি মুসাফির ও পথসন্তানদের জন্য। এটি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞানী ও পরম কৌশলী।’ (সুরা-৯ তাওবাহ, আয়াত: ৬০) ওই আটটি খাতের মধ্যে সময়ের প্রয়োজন ও ফলাফল বিবেচনা করে নিকটাত্মীয়, প্রতিবেশী ও অন্যদের অগ্রাধিকার দিতে

শত্রুর ঘরে নবীর পালন ও কারুনের ধ্বংসের গল্প

Image
  আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের সুরা নামলের ৬০ থেকে সুরা কাসাস ও সুরা আনকাবুতের ১ থেকে ৪৪ নম্বর আয়াত পর্যন্ত তিলাওয়াত করা হবে। ২০তম পারা পড়া হবে। এই অংশে আল্লাহর কুদরত, আসমান-জমিন সৃষ্টি, আল্লাহর ক্ষমতা, ইমানদারের পরীক্ষা, মৃত্যু-পরবর্তী জীবন, রিজিক, দুই নদীর মাঝখানে পার্থক্যরেখা, মুসা (আ.) ও ফেরাউনের কাহিনি, কারুনের ঘটনা, মুসলমানদের দুঃখ-কষ্ট, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য, সবুজ-শ্যামল বাগান সৃষ্টি, মিঠা পানি ও লবণাক্ত পানির দরিয়া, কোরআন আঁকড়ে ধরা ও হিদায়েত আল্লাহর হাতে ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে। বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া  সুরা নামলের ৬০ থেকে ৬৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহর কুদরত ও একাত্ববাদ প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। পরে মানুষের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহের আলোচনা এসেছে। আল্লাহর দয়ামায়া মানুষকে বেষ্টন করে আছে। অসহায় অবস্থায়, দুঃখ-কষ্টের সময় এবং অসুস্থতার মুহূর্তে তিনিই সাড়া দেন নিরুপায় বান্দার ডাকে। গভীর অন্ধকারে জলে-স্থলে তিনিই দেন পথের দিশা। বৃষ্টি বর্ষণের আগমুহূর্তে তিনি শীতল ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত করেন। তিনিই মানুষকে রিজিক দেন। জীবন দেন। ভালো কাজের প্রতিদান ইসলাম বিশ্বাসী মানুষের কাছে চায় শ্রেষ্ঠ ও উ

যে কারণে দোয়া ইউনুস পড়া হয়

Image
  হজরত ইউনুস (আ.) ছিলেন একজন নবী। সুরা ইউনুস নামে পবিত্র কোরআনে স্বতন্ত্র একটি সুরা আছে। এই সুরায় তওহিদের প্রমাণ ও অংশীবাদের প্রতিবাদ রয়েছে। সুরাটিতে অবিশ্বাসীদের সম্বোধন করে তওহিদ, ওহি, নবুয়ত ও পরকালের সত্যতা ঘোষণা করা হয়েছে। সুরা ইউনুস ছাড়াও কোরআনে আরও ছয়টি সুরায় হজরত ইউনুস (আ.) সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। দুজন নবী মায়ের নামে পরিচিত হয়েছেন। একজন হজরত ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ.), অন্যজন হজরত ইউনুস ইবনে মাত্তা (আ.)। মাত্তা হজরত ইউনুস (আ.)-এর মায়ের নাম। মায়ের নামেই তাঁকে ইউনুস ইবনে মাত্তা বলা হয়। কোরআনে তাঁকে তিনটি নামে উল্লেখ করা হয়েছে—ইউনুস, জুননুন ও সাহিবুল হুত। জুননুন ও সাহিবুল হুতের অর্থ মাছওয়ালা। মাছ–সংশ্লিষ্ট ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে তাঁকে এ নামে ডাকা হয়েছে। হজরত ইউনুস (আ.)-কে বর্তমান ইরাকের মসুল নগরীর কাছাকাছি নিনাওয়া জনপদে নবী হিসেবে পাঠানো হয়েছিল। সুরা সাফফাতের ১৪৭ আয়াতে এ নিয়ে আলোচনা আছে। তিনি মসুলবাসীকে আল্লাহর পথে ডাকলেন। আখিরাতের বিষয়ে সতর্ক করলেন। কিন্তু তাঁর সম্প্রদায়ের লোকেরা তাঁর কথা শোনেনি। নবী ইউনুস (আ.) তাদের ইমান নিয়ে হতাশ হয়ে পড়লেন। তিন দিনের মধ্যে আল্লাহর আজাব তাদের ওপর নি

হারুত-মারুত বাবেল শহরে অবতীর্ণ হয়েছিলেন

Image
  হারুত ও মারুত দুই ফেরেশতার নাম। নবী সোলায়মান (আ.)–এর সময়ে ওই দুই ফেরেশতা বাবেল শহরে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। হারুত–মারুত কিছু লোককে জাদু শিখিয়েছিলেন। শেখানোর শর্ত ছিল, সেই জাদু কারও ওপর প্রয়োগ করা যাবে না। জাদুবিদ্যা যে আসলে মন্দ, সবাইকে এটা শেখানোর জন্যই তাঁরা এসেছিলেন। নবীরা মুজিজা দেখান। মুজিজা জাদু নয়। কোরআনে সুরা বাকারায় আছে ‘আর সোলায়মানের রাজত্বে শয়তানেরা যা আওড়াত তারা (সাবাবাসীরা) তা মেনে চলত। সোলায়মান অবিশ্বাস করেনি, বরং শয়তানেরাই অবিশ্বাস করেছিল। তারা মানুষকে শিক্ষা দিত (সেই) জাদু যা বাবেল শহরের দুই ফেরেশতা হারুত ও মারুতের ওপর অবতীর্ণ হয়েছিল । তাই ‘আমরা তো (তোমাদের জন্য) ফিতনা (পরীক্ষাস্বরূপ)। তোমরা অবিশ্বাস কোরো না’—এই না বলে তারা কোনো মানুষকে শিক্ষা দিত না। এ-দুজনের কাছ থেকে তারা এখন বিষয় শিক্ষা করত, যা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারত, তবু আল্লাহর নির্দেশ ছড়া কারও কোনো ক্ষতি তারা করতে পারত না। তারা যা শিক্ষা করত তা তাদের ক্ষতিসাধনই করত, আর কোনো উপকারে আসত না। আর তারা ভালো করেই জানত যে যে-কেউ তা কিনবে পরকালে তার কোনো অংশ নেই । আর যদি তারা জানত, তারা যার বিনিময়ে