সচ্চরিত্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান

 বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম


সচ্চরিত্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ( রামাদান সিরিজ পর্ব ০৪) -------------------------------------------------------------------- আজকের হিকমা হলো সূরা আ'রাফের ১৯৯ নম্বর আয়াত। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নির্দেশ দান করেন, খুবই সুন্দর একটি সারসংক্ষেপ দিয়ে যে, কীভাবে তিনি মানব জাতির সাথে আচরণ করবেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন-- خُذِ الْعَفْوَ وَأْمُرْ بِالْعُرْفِ وَأَعْرِضْ عَنِ الْجَاهِلِينَ - খুযিল ‘আফওয়া, ওয়ামুর বিল’উরফি ওয়া আ’রিদ ‘আনিল জাহিলিন, অর্থাৎ ও আল্লাহর রাসূল! আপনি ক্ষমা এবং উদারতার পথ অবলম্বন করুন। “খুজিল আফওয়া” - আপনি ক্ষমার পথ ধরুন। এবং وَأْمُرْ بِالْعُرْفِ - ওয়া'মুর বিল উরফি, অর্থাৎ আদেশ করুন এবং প্রচার করুন যা সত্য-সঠিক। وَأَعْرِضْ عَنِ الْجَاهِلِينَ - ওয়া আ'রিদ আনিল জা-হিলিন, অর্থাৎ নির্বোধ তথা যারা নিজেদের আবেগ-অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করে না তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন। এই তিনটি বাক্যাংশ বা এই তিনটি কথা, মানব জাতির সাথে আচরণের সময় আমাদের সাধারণ মনোভঙ্গি কেমন হবে তার একটি সারসংক্ষেপ তুলে ধরেছে। আল্লাহ মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন পরস্পরের সাথে সর্বদা সাংঘর্ষিক অবস্থা দিয়ে। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন-- وَجَعَلْنَا بَعْضَكُمْ لِبَعْضٍ فِتْنَةً أَتَصْبِرُونَ - অর্থাৎ, “আমি তোমাদের একদলকে অপরদলের জন্য বানিয়েছি পরীক্ষাস্বরূপ। দেখি তোমরা ধৈর্য ধর কিনা” ? (২৫:২০) তাই দেখা যায়, কখনো কখনো আমরা আমাদের বন্ধু-স্বজনদের সাথে মানিয়ে চলতে পারি না। মাঝে মাঝে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। কখনো কখনো আমরা সহকর্মীদের সাথে কথা বলি না। কখনোবা ভাই ভাইয়ের সাথে কথা বলে না। এটাই মানব জাতির বাস্তবতা। আর আল্লাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নির্দেশ দিয়েছেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! দুই ব্যক্তিও যদি থাকে, তার মধ্যে আপনি উত্তম হওয়ার চেষ্টা করুন। কীভাবে ? “খুঁজিল আফওয়া”। আপনি ক্ষমার নীতি অবলম্বন করুন। নিজের বিদ্বেষকে দূর করে দিন। নিজের অন্তরটাকে পরিশুদ্ধ রাখুন। কেউ যদি অপছন্দনীয় কিছু বলে, কেউ যদি আপনার ক্ষতি করে বা কষ্ট দেয়, কেউ যদি এমন কিছু করে যা আপনার মনঃকষ্টের কারণ হয় – সেক্ষেত্রে সেটা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করুন। “খুঁজিল ‘আফু”। আপনি ‘আফু-র পথ অবলম্বন করুন। ‘আফু বলতে কী বুঝায়? ‘আফু মানে মুছে পরিষ্কার করে ফেলা। খাতাটি এখন একদম পরিষ্কার। আল্লাহর একটি নাম আল-’আফু (اَلْعَفُوْ)। রামাদানের শেষ দশদিন আমরা পড়তে থাকবো– اَللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّى - আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া, ফা'ফু আন্নি। 'আফু' মানে মুছে ফেলা। তো, আল্লাহ তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলছেন, বিদ্বেষ পুষে রাখবেন না। তিক্ততাকে সবসময় মনে রাখবেন না। খুঁজিল ‘আফু। উপেক্ষা করার এবং মুছে ফেলার পথ অবলম্বন করুন। এখন, সামনে এগিয়ে যাওয়ার পূর্বে কিছু কথা রয়েছে। ‘আফু-র কয়েকটি পর্যায় রয়েছে। এগুলো উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ। সর্বনিম্ন পর্যায়ের ‘আফু হলো- আপনি এই পৃথিবীতে প্রতিশোধ নিবেন না। কিন্তু এই প্রত্যাশা রাখবেন যে, এর বিনিময়ে পরকালে আল্লাহ আপনাকে পুরষ্কৃত করবেন। তার মানে আপনি আংশিকভাবে ক্ষমা করছেন। এই দুনিয়াতে আপনি ছেড়ে দিচ্ছেন। কিন্তু আপন মনে বলছেন যে, বিচার দিবসে আমি আমার হক্ক চাই। এরকমটা করা হয় ইসলামের শত্রুদের ক্ষেত্রে। যদি দুনিয়াতে প্রতিশোধ নিতে না পারেন, তখন অন্তরে এই আশা পোষণ করেন যে, শেষ বিচারের দিন আমি আমার অধিকার আদায় করে নিবো। এছাড়া অত্যন্ত জঘন্য মানুষদের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য যাদেরকে আপনি সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করতে পারেন না। আপনি বলেন, ও আল্লাহ! এই দুনিয়াতে আমি কিছু করতে পারছি না। কিন্তু শেষ বিচারের দিন আমি আমার পূর্ণ হক্ক চাই। এটা হলো সবচেয়ে নিম্ন পর্যায়ের আফু। যখন আপনি অবুঝের মত কিছু করে বসেন না বা প্রতিশোধ নিতে পারেন না। আর কুরআন এর কথা উল্লেখ করেছে মক্কী জীবনের প্রথম দিকে। রাসূল (স) এর কাছ থেকে আশা করা হচ্ছিল যে তিনি 'আফু প্রদর্শন করবেন, এমনকি কুরাইশদের মধ্যকার জাহেলদের প্রতিও, এমনকি মুশরিকদের প্রতিও। তখন প্রতিকারের কোনো উপায় ছিলো না। এই পর্যায়ের 'আফু মানে এটা নয় যে, আপনি ক্ষমা করে দিবেন আর সম্পূর্ণরূপে ভুলে যাবেন। 'আফু’ মানে ইয়া রাসূলাল্লাহ! চিন্তা করবেন না, আল্লাহ এদের বিচার করবেন। এই দুনিয়াতে আপনি তাদের প্রতি বিদ্বেষ পুষে না রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। তো এটা হলো সর্বনিম্ন পর্যায়ের ‘আফু। এরচেয়ে আরেকটু উত্তম পর্যায়ের 'আফু' হলো--আপনি খাঁটি মনে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ক্ষমা করে দেন, কিন্তু হারানো বন্ধুত্বটি আর পুণরুদ্ধার করেন না। এটা আপনাকে কষ্ট দেয়, কিন্তু আপনি সেই কষ্ট মনে রাখেন না। তবে বন্ধুত্বটাও আর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনেন না। এটা দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘আফু। আর এটাও সন্তোষজনক পর্যায়। আমরা এটা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা করি। এক্ষেত্রে আপনি বিদ্বেষ পুষে রাখেন না, কিন্তু যা ঘটে গেছে তার কারণে সম্পর্কের পুণরুজ্জীনও আর সম্ভব হয় না। এটা করার অনুমতি আছে। আর এটা সমস্যাজনকও নয়। সর্বোচ্চ পর্যায়ের ‘আফু সম্পর্কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেন, وَجَزَاءُ سَيِّئَةٍ سَيِّئَةٌ مِثْلُهَا فَمَنْ عَفَا وَأَصْلَحَ فَأَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ - ওয়া জাযাউ সাইয়্যিআতিন সাইয়্যিআতুন মিসলুহা, ফামান ‘আফা ওয়া আছলাহা, ফাআজরুহু ‘আলাল্লাহ। সর্বোচ্চ পর্যায়টি হলো, আপনি ক্ষমা করে দেন, নিজের হৃদয়কে পরিচ্ছন্ন করে নেন, আর তারপর আপনি সেই বিবাদটিকে সংশোধন করে নেন। আপনি সেই হারানো বন্ধুত্বকে ফিরিয়ে আনেন, সেই ভ্রাতৃত্বকে ফিরিয়ে আনেন, আগে ঠিক যেমনটা ছিলো সেই অবস্থায়। এটাই সর্বোচ্চ পর্যায়। যেই পর্যায়ই আপনি বাছাই করেন, তা পরিবেশ এবং পরিস্থিতি উপরে নির্ভর করবে। কিন্তু ইমানদারদের স্বাভাবিক অবস্থা হলো, তাঁরা বিদ্বেষ পুষে রাখেন না - خُذِ الْعَفْوَ - খুযিল ‘আফওয়া। তবে এই নিয়মের কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে। এই ব্যতিক্রমগুলো দুর্বৃত্ত সৈরাচারী লোকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; এমন লোকেদের ক্ষেত্রে যারা ইসলামের কারণে, ইসলামের জন্য আপনাকে ঘৃণা করে। এই লোকগুলোর বিরুদ্ধে আপনি হৃদয়ে বিদ্বেষ রাখতে পারবেন - বিচার দিবসের উদ্দেশ্যে। তবে কোনো রাষ্ট্রের পক্ষে যদি এই পৃথিবীতে এর প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ থাকে, তখন এটা ভিন্ন আরেক বাস্তবতা। কিন্তু ব্যক্তিগত পর্যায়ে মুসলিমদের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থা হলো ‘আফু। আর আল্লাহ ‘আফু ভালোবাসেন। আল্লাহ তাঁদেরকে ভালোবাসেন যারা ‘আফু-র চর্চা করেন। আর আল্লাহ সাহাবাদেরকেও ‘আফু-র উপদেশ দিয়েছিলেন; এমনকি আবু বকর আস-সিদ্দীককেও, যখন তাঁর কন্যা আয়েশা (রা)- র উদ্দেশ্যে এক ব্যক্তি অপবাদ দিয়েছিলো। এই প্রসঙ্গে আল্লাহ কুরআনে নাযিল করেন, “ও আবু বকর, তুমি কি চাও না যে তোমাকে ক্ষমা করা হবে ? তুমি যদি তাকে ক্ষমা করো, প্রতিদানে আমিও তোমাকে ক্ষমা করে দিবো”। তো মুসলিমদের মাঝে ‘আফু হলো প্রত্যাশিত অবস্থা। خُذِ الْعَفْوَ - খুযিল ‘আফওয়া। দ্বিতীয়ত, وَأْمُرْ بِالْعُرْفِ - ওয়ামুর বিল’উরফি, অর্থাৎ, ভালো কাজের আদেশ করো। তো ‘আফু হতে হবে হৃদয়ে, আদেশ হতে হবে জিহ্বায়। পরবর্তি পর্যায় অর্থাৎ উচ্চতর পর্যায় হলো, আপনাকে ভালোর ক্ষেত্রে অনুকরণীয় আদর্শ হতে হবে, পাশাপাশি অন্যদেরকেও ভালো কাজের আদেশ দিতে হবে। শুধুমাত্র নিজের জীবনে ভালো কাজ প্রতিষ্ঠিত করেই থেমে থাকবেন না, অন্যদের মাঝেও ভালোকাজের প্রচার করুন। অনুকরণীয় আদর্শে পরিণত হোন। পরিবর্তন সৃষ্টির চেষ্টা করুন। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উপাসনাই ইসলামের কাজ নয়, বরং সমাজে পরিবর্তন ঘটানোও ইসলামের কাজ। خُذِ الْعَفْوَ وَأْمُرْ بِالْعُرْفِ - খুযিল ‘আফওয়া ওয়ামুর বিল ‘উরফি। আপনি ক্ষমাশীলতার চর্চা করুন, তারপর সৎকাজের প্রচার করুন, এরপর وَأَعْرِضْ عَنِ الْجَاهِلِينَ - ওয়া আ’রিদ ‘আনিল জাহিলিন, অর্থাৎ মূর্খ লোকদেরকে এড়িয়ে চলুন। এটা শুধু আপনি নিজেই চর্চাই করবেন না, বরং প্রচারও করবেন, আর তা নিজের জীবনে প্রতিষ্ঠিত করবেন । অযথা বিরোধ তৈরী করবেন না, ফিতনা তৈরী করবেন না। ইমানদারগণ অযথা নাটকীয়তা সৃষ্টি করেন না। তাঁরা মানুষের মাঝে ফিতনা সৃষ্টি করেন না। ইমানদারগণ রাস্তার ঝগড়া-বিবাদ, ব্যক্তিকেন্দ্রিক বিতর্ক অথবা নোংরা পলিটিক্সে জড়ান না। ইমানদারগণ মর্যাদাপূর্ণ। ইমানদারগণ পাশ কাটিয়ে চলে আসেন এবং অজ্ঞ-মূর্খ মানুষের মতো নিচু স্তরে নেমে যান না। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, وَإِذَا سَمِعُوا اللَّغْوَ أَعْرَضُوا عَنْهُ - ওয়াইযা সামি’উল লাগওয়া আ’রদু ‘আনহু, অর্থাৎ যখন তারা মানুষের অর্থহীন কথা, ঝগড়া-বিবাদ, বিদ্রুপাত্বক কথা-বার্তা শুনে, তারা পাশ কাটিয়ে যায়, আর বলে, لَنَا أَعْمَالُنَا وَلَكُمْ أَعْمَالُكُمْ - লানা আ’মালুনা ওয়ালাকুম আ’মালুকুম, অর্থাৎ আমাদের জীবনচরিত এবং কর্ম আলাদা, তোমাদের জীবনচরিত এবং কর্মও আলাদা। سَلامٌ عَلَيْكُمْ - সালামুন ‘আলাইকুম - তোমাদের উপর প্রশান্তি নেমে আসুক। لَا نَبْتَغِي الْجَاهِلِينَ - লা নাবতাগিল জাহিলিন, অর্থাৎ জাহেলদের সাথে থাকার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। একজন ইমানদার জাহেল, মূর্খ, অবুঝদের স্তরে নেমে আসেন না। তিনি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায়, উঁচু স্তরে অবস্থান করেন। প্রসঙ্গক্রমে লক্ষ করুন, এই তিনটি আদেশের ক্ষেত্রে, প্রথমটি শুরু হয়েছে হৃদয়ে, তারপর এটা যাচ্ছে জিহ্বায়, আর তারপর এটা কাজে প্রকাশিত হচ্ছে। ইমানও ঠিক এরকমই। এর সূচনা হয় হৃদয়ে, এরপর এটা জিহ্বায় আসে, আর তারপর এটা কাজে প্রকাশিত হয়। এটাও লক্ষ করুন, এই তিনটি আদেশ শুধু আপনার সাথেই জড়িত। এর কোনো প্রতিক্রিয়া এখানে উল্লেখ হয়নি। কারণ আপনি আপনার নিজের জন্য দায়িত্বশীল। আপনি অন্যদের জন্য দায়িত্বশীল নন। আল্লাহ আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, “তুমি তোমার কাজ করো, অন্যরা যা করে, তাদের কাজের জন্য আল্লাহ তোমাকে জবাবদিহি করবেন না”। আপনি নিজের জীবনে ক্ষমাশীলতার চর্চা করুন। পরিচ্ছন্ন হৃদয়ের অধিকারী হোন। নিজে অনুকরণীয় আদর্শে পরিণত হওয়ার চেষ্টা করুন। সত্য প্রচার করুন। স্বপ্রণোদিত হয়ে নোংরা নাটকীয়তা তৈরী করা থেকে বিরত থাকুন। যখন মানুষ নেতিবাচক কাজ করে, অনিষ্টকর কাজ করে, আপনি সরে আসুন, পাশ কাটিয়ে যান, পরিস্থিতির তিক্ততাকে আরো বৃদ্ধি করবেন না। মর্যাদাপূর্ণ হোন- নিজের চিন্তায়, নিজের কথায়, নিজের চরিত্রে। এটাই ইমানদারদের জন্য আদর্শ। এই আয়াতটি আমাদের জন্য চারিত্রিক সৌন্দর্যের মূলকথা বা সারাংশ বর্ণনা করেছে। শুধুমাত্র রীতি-নীতি পালনই ইসলাম না, শুধুমাত্র ‘আকীদাই ইসলাম না, শুধুমাত্র শরীয়তই ইসলাম না, সৎচরিত্রও ইসলামের একটি অংশ। আর এই আয়াতে আমরা চারিত্রিক সৌন্দর্যের সারকথাকে প্রত্যক্ষ করছি। হৃদয় থেকে শুরু করুন, পরিচ্ছন্ন হৃদয়ের অধিকারী হোন। বিদ্বেষ পুষে রাখবেন না। যত বেশী সম্ভব ক্ষমা করুন। বিশেষ করে, পরিবারের সদস্যদের ক্ষমা করুন। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, হে ইমানদারগণ, তোমাদের কারো কারো স্ত্রীগণ এমন কাজ করে যার ফলে তোমরা মনে কষ্ট পাও, কখনো তারা এমন কাজ করে যা তাদেরকে তোমাদের শত্রুতে পরিণত করতে পারে। এক্ষেত্রে আল্লাহ কি বলেছেন ? فَاعْفُواْ وَاصْفَحُواْ - ফা’ফু ওয়াছফাহু, অর্থাৎ ক্ষমা করো এবং নতুন অধ্যায়ের সূচনা করো। শুধুই উপেক্ষা করো এবং সামনে এগিয়ে যাও। বিশেষ করে পরিবারের মধ্যে ক্ষমাশীলতার এই আদর্শটি চর্চা করার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা উচিৎ। এমনকি বন্ধুদের মাঝেও এবং সকল মুসলিমের ক্ষেত্রেও এটা প্রজোয্য। পরিচ্ছন্ন হৃদয়ের অধিকারী হোন, সত্যের প্রচার করুন, আর নেতিবাচক কোনো কিছুতে জড়িয়ে পড়বেন না। আল্লাহ আমাদেরকে এই শিক্ষাগুলো চর্চা করার সামর্থ দান করুন। ইনশা আল্লাহু তা’আলা আমরা এই আলোচনা চালিয়ে যাবো। আসসালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। -- শায়েখ ইয়াসির কাদি

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট