উম্মাহকে জাগিয়ে তোলার জন্য

 


উম্মাহকে জাগিয়ে তোলার জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই যার যার জায়গা থেকে ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। আমরা যদি বুঝতে পারি যে, ইসলামের মাঝে বিভিন্ন দলের বৈচিত্রময় উপস্থিতি প্রাকৃতিক এবং প্রতিটি গ্রূপ যার প্রতি আহ্বান করছে তা আসলে বৃহত্তর ইসলামিক পরিমন্ডলের ভেতরে থেকেই তারা করছে। এগুলো ইসলামের বাইরের কিছু নয়। এগুলো সবই খাইর। সবই উম্মাহর জন্য কল্যাণকর।

আমি নাম উল্লেখ করেই বলছি। কারণ আমি কারো সমালোচনা করছি না। বরং সবার প্রশংসা করছি। যেমন--দেওবন্দী আন্দোলন। মাশাআল্লাহ! হানাফী ফিকহ রক্ষার জন্য তারা কি অসাধারণ কাজই না করছে। উম্মাহর প্রতি তাদের এক নম্বর অবদান হলো তারা কুরআন মুখস্ত করার প্রতি জোর প্রদান করে। তাদের আরো অসংখ্য ভালো কাজ রয়েছে। কিন্তু তাদের এই একটি কাজের জন্য উম্মাহ তাদের নিকট চিরঋণী। যেখানেই তারা যাক মাশাআল্লাহ তাবারাকাল্লাহ সেখানেই হুফ্ফাজ ছড়িয়ে দিচ্ছে। দেওবন্দী আন্দোলনের জন্য আমরা আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞ। তাবলীগি জামায়াত। মাশাআল্লাহ তাবারাকাল্লাহ সুন্দর চরিত্রের মানুষদের জামায়াত। তাদের সাথে মিশলেই বিশুদ্ধতার একটি অনুভূতি আঁচ করতে পারেন। সরলতার একটি অনুভূতি আঁচ করতে পারেন। অধ্যাত্মিকতার একটি অনুভূতি আঁচ করতে পারেন। তারা চায় আপনি যেন জামাতে নামাজ আদায় করেন। জামাতে বের হোন। দাঁড়ি বড় রাখেন। খুবই ভালো। জাযাকুমুল্লাহু খাইর। আমাদের এগুলো প্রয়োজন। জামায়াতে ইসলামী। ইখওয়ান আন্দোলন। ভাইয়েরা! এই সমস্ত ইবাদাত ভালো। আমাদেরকে তো রাজনীতিতেও ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের সমাজ গড়তে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি মদিনাতে ইসলামী সমাজ কায়েম করেননি? আর এটা বৈধ একটি পয়েন্ট। তিনি (স) করেছেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই। সালাফী আন্দোলন। আকিদা, আকিদা এবং আকিদা। হ্যাঁ। এটাও ভালো। আমরা জানতে চাই। আমাদেরকে শেখান। কোনো সমস্যা নেই। ওয়া ফি কুল্লিন খাইর। তাদের প্রত্যেকের মাঝেই কল্যাণ আছে। তারা সবাই ইসলামের বৃহত্তর পরিমন্ডলের ভেতরেই আছেন। তারা প্রত্যেকেই নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের প্রতি দারুণ মনোযোগী। আর তাঁরা মনে করেন এটা উম্মাহর জন্য উত্তম। তাই, ভালোটা গ্রহণ করুন। আর খারাপটাকে ছোট করে দেখুন। বুঝতে চেষ্টা করুন, সবাই রাজনীতিতে আকৃষ্ট হবে না। সবাই ইসলামের পুঁথিগত বিদ্যা অর্জনে আকৃষ্ট হবে না। কিন্তু উম্মাহর ভেতরে আপনি নানারূপতা খুঁজে পাবেন। কিছু মানুষ কোনো একটি বিষয়ে ব্যাপক বুৎপত্তি অর্জন করবেন নির্দিষ্ট একটি দলের ভেতরে থেকে। যদি ঐ দল না থাকতো তাহলে তাঁরা হয়তো এতো উন্নতি অর্জন করতে পারতেন না। তাই, মাশাআল্লাহ, তারা এতে যোগদান করেন এবং দ্বীনের ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি লাভ করেন। এর জন্য তাদেরকে ক্রেডিট প্রদান করুন। তাই, বিভিন্ন গ্রূপের পদ্ধতিগত পার্থক্যকে কম্পিটিশন হিসেবে দেখবেন না। ও মুসলিম! যদি আপনার সন্তান পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে এবং বড় বড় পাপ থেকে বেঁচে থাকে তাহলে আল্লাহ আপনাকে দুনিয়ার সকল সম্পদ দান করেছেন। -- শায়েখ ইয়াসির কাদি

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

নিশ্চয়ই কষ্টের সাথেই স্বস্তি আছে