.
আমাদের কাছে চমৎকার একটি হাদিস রয়েছে একেবারে সর্বশেষ জান্নাতে প্রবেশকারী মানুষটি সম্পর্কে। জান্নাতে প্রবেশকারী একেবারে সর্বশেষ মানুষটি। এই হাদিসটি সহীহ মুসলিমে বর্ণনা করেছেন ‘আব্দুল্লাহ ইবনে মাস’উদ (রা)। তিনি বর্ণনা করেছেন যে, রসূল (স) বলেছেন, সর্বশেষ জান্নাতে প্রবেশকারী ব্যক্তিটি জাহান্নাম থেকে বের হবার জন্য জাহান্নামের দরজা অভিমুখে কষ্ট সহকারে হাঁটতে থাকবে। কখনো তার পা পিছলে যাবে, কখনো সে পড়ে যাবে। এরপর সে উঠে দাঁড়াবে এবং হাঁটা অব্যাহত রাখবে। আর আগুনের শিখা বারবার তার কাছে এসে তাকে দগ্ধ করতে থাকবে এবং ফিরে যেতে থাকবে। এরপর অবশেষে সে বের হবে। এর আগেই তাকে জানিয়ে দেয়া হবে যে সে বের হওয়ার অনুমতিপ্রাপ্ত হয়েছে। সে মূলত সর্বশেষ ব্যক্তি।
.
এখন সে সেই শাস্তির স্থান থেকে হেঁটে বেরিয়ে আসছে। আর এই হাঁটাটি সহজ কোনো বিষয় নয়। দীর্ঘ সময়ের শাস্তির পর অবশেষে সে এখন বের হতে পারছে, কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাকে কষ্ট সহকারে হাঁটতে হবে। এরপর অবশেষে যখন সে সেই এলাকা থেকে বের হবে, তখন পেছনে ফিরে তাকাবে এবং বলবে, تَبَارَكَ الَّذِي نَجَّانِي مِنْكِ - তাবারাকা-ল্লাযি নাজ্জানি মিনকি — কতো মহিমাময় সেই সত্ত্বা যিনি আমাকে তোমার কাছ থেকে মুক্তি দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি আমাকে এমন নেয়ামত দান করেছেন, যা পূর্বাপর কাউকেও প্রদান করেননি। সেই নেয়ামতটি কি ? আমিই সর্বশেষ মানুষ। এরপরে যারা জাহান্নামে রয়ে গিয়েছে, তারা সেখানে স্থায়ীভাবে চিরকাল থাকবে।
.
তো এই ব্যক্তিটি উপলব্ধি করতে পারছে যে, সে হচ্ছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া সর্বশেষ মানুষ। সে মাত্র বের হচ্ছে; তাই না ? আর সে যখন জাহান্নামে ছিলো, তার একমাত্র দোয়া ছিলো, ও আল্লাহ, আমাকে বের হওয়ার সুযোগ দিন, ও আল্লাহ, আমাকে বের হওয়ার সুযোগ দিন, ও আল্লাহ, আমাকে শুধু এখান থেকে মুক্তি দিন। সেই দোয়াটি এখন কবুল হয়েছে। সে-ই সর্বশেষ মানুষ। এখন তার সেই দোয়া গৃহীত হয়েছে, সে এখন মুক্তি পেয়েছে।
.
বাইরে বের হওয়ার পর কিছুটা দূরে সে একটি গাছ দেখতে পাবে। কিছুটা দূরে সে একটি গাছ দেখতে পেলো। তখন সে আল্লাহর কাছে আরেকটি দোয়া করবে। সে বলবে, ও আল্লাহ, আমাকে শুধু ঐ গাছটির কাছে যেতে দিন, যেখানে আমি বসে থাকতে পারবো, এর ছায়ায় আশ্রয় নিতে পারবো এবং গাছটির আশেপাশের পানি পান করতে পারবো। প্রথম দোয়াটি ছিলো — আমাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন। সে এখন জাহান্নামের বাইরে। এখন সে সেই এলাকায়, জান্নাতের বাইরে একটি গাছ দেখতে পাচ্ছে। এই এলাকাটি জান্নাতের অভিমুখে অবস্থিত। কিন্তু এখনো তা জান্নাত থেকে অনেক দূরে। সে এখন শুধুমাত্র একটি গাছই দেখতে পাচ্ছে।
.
তো সে বলবে, ও আল্লাহ, আমাকে সেখানে যাওয়ার সামর্থ দিন। মহান আল্লাহ তখন বলবেন, আমি যদি তোমাকে এটা দান করি, তুমি তো এরপরে আরো কিছু চাইবে ! লোকটি বলবে, আমি আপনার কাছে প্রতিজ্ঞা করছি, ও আল্লাহ, আমি প্রতিজ্ঞা করে বলছি যে, আমি শুধু এটাই চাই। রসূল (স) মন্তব্য করেছেন, আল্লাহ ইতিমধ্যেই তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন এই প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করার জন্য। আল্লাহ জানেন যে সে এটা ভঙ্গ করবে। আর আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। কারণ আল্লাহ জানেন যে মানুষের ধৈর্য্য সীমিত।
.
আমাদের অবস্থা হোলো — خُلِقَ الْإنْسَانُ ضَعِيْفاً - খুলিক্বাল ইনসানু দঈফা। আমাদের ধৈর্য্য সীমিত। কখনোই কখনোই আল্লাহকে বলবেন না, কখনোই আল্লাহকে বলবেন না যে, ও আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আর কোনো কিছু চাইবো না। কারণ আল্লাহকে আমাদের প্রয়োজন প্রতিটি মিলিসেকেন্ডে। আমরা কখনোই আল্লাহকে বাদ দিয়ে স্বনির্ভর হতে পারবো না। আমাদের সবসময় আল্লাহকে প্রয়োজন। আর আল্লাহর কাছে আমাদের এই প্রয়োজনেই আমাদের মর্যাদা। আল্লাহর নিকট দরিদ্র্যতার মধ্যেই আমাদের সমৃদ্ধি। কখনোই বলবেন না যে, ও আল্লাহ, আমি কেবলমাত্র এটাই চাই। না। “ও আল্লাহ আমি আপনার কাছে আরো চাই এবং আরো চাই এবং আরো চাই। আপনি আমাকে যা দিবেন তার সবই আমার প্রয়োজন। কারণ, ও আল্লাহ, আমি হতদরিদ্র্য, আর আপনিই ধনী।
.
কিন্তু এই লোকটি এগুলো কিছুই জানে না। সে হোলো জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া সর্বশেষ মানুষ। এই লোকটি হাদিসের প্রতিও মনোযোগী ছিলো না এবং এই সকল বিষয় জানতো না। দুনিয়ার জীবনে সে কি করেছে আমরা জানি না, কিন্তু সে-ই হোলো জাহান্নাম থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ মানুষ। তো সে আল্লাহকে বলবে, ও আল্লাহ, আমি আপনার কাছে প্রতিজ্ঞা করছি যে, এটাই আমার সর্বশেষ চাওয়া। তখন আল্লাহ তাকে অনুমতি প্রদান করবেন। এখন সে সেই গাছের কাছে যাবার শক্তি পেয়েছে। এখন সে বসে পড়বে এবং এই গাছের ছায়া উপভোগ করবে। আর সে সেখান থেকে পান করবে এবং গাছের ছায়ায় অবস্থান করবে। কিন্তু সেখানে অবস্থানরত অবস্থায় সে চারপাশে দেখছে, আর এখন সে এই গাছটির তুলণায় অধিকতর সুন্দর এবং বড় আরেকটি গাছ দেখতে পেলো। সে নিরবতা অবলম্বন করছে, কারণ সেই প্রতিজ্ঞার কথা তার স্মরণ আছে। সে নিরবতা অবলম্বন করবে। কিন্তু কতদিন ? কত শত, কত হাজার বছর সে নিরব থাকবে ?
.
তো এরপর সে আবার বলবে, হে প্রভু, আমি আপনার কাছে ঐ গাছটির কাছে যাবার অনুমতি চাইছি। তখন আল্লাহ বলবেন, ও আদম সন্তান, তুমি কি আমার সাথে প্রতিজ্ঞা করোনি যে, আমি যদি তোমাকে এই গাছটির কাছে আসতে দেই, তুমি আর অন্য কিছু চাইবে না ? তো সেই লোকটি তখন বলবে, হে প্রভু, আমাকে শুধু ঐ গাছটির কাছে যেতে দিন। আমি প্রতিজ্ঞা করছি যে, এরপর আর কিছু চাইবো না। মহান আল্লাহ তখন বলবেন, ঠিক আছে। রসূল (স) মন্তব্য করেছেন, আবারো আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন, কারণ আল্লাহ জানেন যে, তার নিরবতা অবলম্বনের মতো ধৈর্য্য নেই।
.
তো তখন সে সেই গাছটির কাছে যাবে। আর সে সেই গাছটির নিচে বসবাস করতে থাকবে। খাদ্য হিসেবে এর ফল গ্রহণ করবে এবং সেখানকার পানি পান করবে। কিন্তু এরপর সে একটি গাছ দেখতে পাবে যা থাকবে জান্নাতের সীমানার ঠিক বাইরে। সে সেই গাছটি দেখবে, আর সে জানে যে, সেই গাছটির পরেই রয়েছে জান্নাত। সেই গাছটি এমনকি এই গাছটির চেয়েও বেশি সুন্দর। হাদিসটির কোনো বর্ণনায় এসেছে যে বাইরে মোট দশটি গাছ থাকবে, কোনো বর্ণনায় রয়েছে তিনটি গাছের কথা। কিন্তু মূল কথা হোলো, সে যেতে থাকবে, যেতে থাকবে, যেতে থাকবে। অবশেষে সে এসে পড়বে সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে সুন্দর গাছটির কাছে। আর সেই গাছটি হোলো জান্নাতের দৃষ্টিসীমার মধ্যে।
.
প্রতিবারই সে আল্লাহর কাছে প্রতিজ্ঞা করছে — আর কিছু চাই না, আর কিছু চাই না, আর কিছু চাই না। সবশেষে সে সেই গাছটির কাছে আসলো। এখন সে জান্নাতের অধিবাসীদের হাসির শব্দ শুনতে পাচ্ছে, জান্নাতের নদীগুলোর বয়ে চলার শব্দ শুনতে পাচ্ছে, জান্নাতের সুরভী তার নাকে ভেসে আসছে। কতক্ষণ সে ঠিক থাকতে পারবে ? কতক্ষণ সে নিজেকে ধরে রাখবে ? আল্লাহর কাছে কঠিন প্রতিজ্ঞা করার পর, এরপর আরেকটি প্রতিজ্ঞা, আরেকটি প্রতিজ্ঞা, হতে পারে এরকম দশবার সে আল্লাহর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছে। আর প্রতিবারই সে আল্লাহর কাছে প্রতিজ্ঞা করছে যে, আর কিছু চাই না। কিন্তু এখন সে আক্ষরিকভাবেই জান্নাতের দরজার কাছে এসে পড়েছে। আক্ষরিকভাবেই, সে জান্নাতে প্রবেশকারী সর্বশেষ ব্যক্তি।
.
আর এখন সে দুই হাত তুলে আল্লাহকে বলবে, أَيْ رَبِّيْ أَدْخِلْنِيْهَا - আই রব্বি, আদখিলনীহা — ও আমার রব, আমাকে শুধু জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিন। আমাকে শুধু প্রবেশ করিয়ে দিন। أَدْخِلْنِيْهَا - আদখিলনীহা। মহান আল্লাহ তখন বলবেন, ও আদম সন্তান, কোন জিনিসটা তোমার এই প্রার্থনাকে থামিয়ে দিবে ? কোন জিনিসটা তোমার জন্য যথেষ্ট হবে ? তুমি কি সন্তুষ্ট হবে, যদি আমি তোমাকে সমগ্র পৃথিবী এবং এর অনুরূপ আরেকটি পৃথিবী প্রদান করি ? তুমি কি সন্তুষ্ট হবে যে নেয়ামতে পরিপূর্ণ এই দুনিয়া এবং এর মতো আরেকটি দুনিয়া তোমাকে প্রদান করা হবে ? তুমি কি সন্তুষ্ট হবে ?
.
এর ফলে সেই লোকটি কিছুটা বিরক্ত হয়ে যাবে, আর সে বলবে, ও আমার প্রভু, আপনি কি আমার সাথে উপহাস করছেন, আর আপনি হলেন রব্বুল ‘আলামীন ? আপনি কি রসিকতা করছেন ? ও আল্লাহ, আপনি কি আমার সাথে রসিকতা করছেন, আর আপনি হলেন মহান আল্লাহ ? আপনি আমার সাথে মজা করছেন যে আমাকে গোটা পৃথিবী দান করবেন ?
.
তখন এই হাদিসটির বর্ণনাকারী ইবনে মাস’উদ (রা) হাসতে লাগলেন। আর তিনি তাঁর ছাত্রদেরকে বললেন, জানো আমি কেনো হাসছি ? তাঁরা বললেন, কেনো ? তিনি বললেন, কারণ আমাদের রসূল (স) যখন এই হাদিসটি বর্ণনা করছিলেন, তিনিও তখন হেসেছিলেন। আর নবীজীও আমাদেরকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, জানো আমি কেনো হাসছি ? তখন সাহাবীগণ বললেন, কেনো ? রসূল (স) বলেছিলেন, কারণ এই লোকটির অধৈর্য্য এবং হতাশ হওয়া দেখে মহান আল্লাহও হাসবেন যখন সে বলবে, “আপনি কি আমার সাথে উপহাস করছেন, আপনি কি রসিকতা করছেন, আর আপনি হলেন জগৎসমূহের অধিপতি” ?
.
তখন আল্লাহ উত্তর দিবেন, “আমি তোমার সাথে উপহাস করছি না, আমি রসিকতা করছি না। আমি যা চাই তা-ই করতে পারি। তুমি এই পৃথিবীর মালিক হবে এবং এর সমান দশটি পৃথিবীর মালিক হবে”। আর সেটা হবে জান্নাতে প্রবেশকারী সর্বশেষ ব্যক্তির অবস্থা। বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করুন প্রিয় ভাইয়েরা। আজকের মতো এটাই আমাদের সর্বশেষ হাদিস, এটা নিয়ে চিন্তা করুন।
.
আমরা এই পৃথিবীর একশো মিলিয়নের একভাগ পেতে চাই। এটুকু পেলেই আমরা মহা আনন্দিত হবো। সামান্য একটা অংশ। সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের মালিকানা এবং অর্জন কতটুকু ? কয়েক বিলিয়ন ডলার। আর তাদের জীবনযাত্রা দেখুন। কল্পনা করতে পারেন, এই সমগ্র পৃথিবী, গোটা দুনিয়া, এবং এই দুনিয়ার সকল আমোদ-ফূর্তি, এবং এর দশগুণ ? আমাদের চিন্তা স্তব্ধ হয়ে যায়। আমাদের চিন্তা স্তব্ধ হয়ে যায়। আর আল্লাহ এই সর্বশেষ জান্নাতে প্রবেশকারী ব্যক্তিটিকে বলছেন যে, এই সবকিছুই তোমার। তাহলে যারা উঁচু স্তরের জান্নাতে থাকবেন তাদের সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন ? জান্নাতুল ফেরদৌস সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন ?
.
লক্ষ করুন, এই ব্যক্তিটি, সে দুনিয়া পেয়েছে। আর আমরা দুনিয়া সম্পর্কে অবগত। আমরা দুনিয়া দেখছি। আমরা এই দুনিয়ার আমোদ-ফূর্তি সম্পর্কে জানি। আর এটা অসাধারণ। কিন্তু তার চেয়ে উঁচু স্তরে অবস্থানকারীরা, সর্বোত্তম স্তরের অবস্থা কি হবে ? فِيْهَا مَا لَا عَيْنٌ رَأَتْ، وَلَا أُذُنٌ سَمِعَتْ، وَلَا خَطَرَ عَلَى قَلْبِ بَشَرْ - ফিহা মা লা ‘আইনুন রআত, ওয়া-লা উযুনুন সামি’আত, ওয়া খতারা ‘আলা ক্বলবি বাশার। সেই স্তরের বর্ণনায়, ভাষা তার অর্থ হারিয়ে ফেলবে। জান্নাতের সেই স্তরগুলোকে বর্ণনা করার মতো কোনো শব্দ নেই। এই লোকটি দুনিয়া পেয়েছে, আর আমরা দুনিয়া সম্পর্কে জানি। কিন্তু উঁচু স্তরের জান্নাতীগণ এমন কিছু পাবেন, কোনো চোখ যা দেখেনি, কোনো কান তার বর্ণনা শুনেনি, এমনকি কোনো হৃদয় এবং মন এটা কল্পনাও করতে পারেনি।
.
আমাদের কেউ কেউ যখন এই হাদিসটি শুনি, আমরা বলি, “সেই সর্বশেষ ব্যক্তিটি হতে পারলেই আমি সন্তুষ্ট”। কিন্তু আমি বলি, কেনো ? কেনো ? কেনো এটাকেই লক্ষ্য মনে করছেন ? সেরাদের মধ্যেও সেরা হবার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। জান্নাতুল ফেরদৌসের পানে লক্ষ্য স্থির করুন। আর ইনশা আল্লাহ, এর জন্য কাজ করতে থাকুন। হতে পারে, আপনি যদি সবার উপরে না-ও যেতে পারেন, কমপক্ষে আপনি উচ্চতর কোনো স্থানে আবস্থান করবেন। নিচু লক্ষ্য স্থির করবেন না। সর্বোচ্চ লক্ষ্য স্থির করুন। আর আল্লাহর কাছে দোয়া করুন, যাতে মহান আল্লাহ আমাদেরকে জান্নাতুল ফেরদৌসের অধিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করেন।
—ড. ইয়াসির ক্বাদী
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন