আয়াতগুলো নিয়ে গভীর চিন্তা ভাবনা

 


কুরআনের আয়াতগুলো, সূরাগুলো গভীরতম তাৎপর্যপূর্ণ উপায়ে পরস্পর সম্পর্কিত।

আমরা হাদিস থেকে জানি, সুরা ফাতেহার শেষ আয়াতে 'মাগদুওবে আলাইহিম' (যাদের উপর আল্লাহর ক্রোধ আপতিত হয়েছে) বলতে ইয়াহুদিদের বোঝানো হয়েছে। আর 'দল্লিন' (যারা বিভ্রান্তিতে আছে) বলতে খ্রিস্টানদের বোঝানো হয়েছে। এখন চমৎকার একটি ব্যাপার হল—সূরা বাকারার প্রথম অংশ জুড়ে ইয়াহুদীদের ব্যাপারটি আলোচনা করা হয়েছে। আর সূরা আলে ইমরানের প্রথম অংশ জুড়ে খ্রিস্টানদের ব্যাপারটি আলোচনা করা হয়েছে। সূরা বাকারায় আল্লাহ আমাদের জানাচ্ছেন কেন তিনি ইয়াহুদীদের উপর রাগান্বিত। কিভাবে তারা সত্যকে জেনে বুঝেও বারবার তা অমান্য করত। আর সূরা আলে ইমরানে আল্লাহ আমাদের জানাচ্ছেন কোন কারণে খ্রিস্টানরা পথভ্রষ্ট। তারা বিভ্রান্তিতে পড়ে আছে। ঈসা আলাইহিস সালাম সম্পর্কে তারা সম্পূর্ণ ভুল ধারণায় নিমজ্জিত। সূরাগুলোর শুধু অনুবাদ পড়লেও একটি ধারণা পাবেন। আর তাফসীর পড়লে তো আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন। কুরআন অধ্যয়ন করার সময় পুনরাবৃত্ত এবং অন্যতম লক্ষণীয় একটি বিষয় হল, কুরআন সম্পর্কে মহান আল্লাহর নিজের মন্তব্য। আল্লাহ বলেছেন - كِتَابٌ أُحْكِمَتْ آيَاتُهُ এটি এমন একটি কিতাব, যার আয়াতসমূহ একত্রে সেলাই করা হয়েছে। এগুলো একসাথে বোনা হয়েছে। আর সেলাই করা অত্যন্ত মনোযোগী একটি কাজ। সেলাই করার সময় প্রতিটি সুতা ও প্রতিটি বুনন নির্ধারিত স্থানে থাকতে হয়। আর আল্লাহই যদি কুরআনকে একত্রে বুনে থাকেন, তার মানে আয়াতগুলোকে কৌশলগতভাবেই নির্ধারিত স্থানে রাখা হয়েছে।  আর এটা বুঝতে হলে আপনাকে গভীর দৃষ্টি দিয়ে কোরআন পড়তে হবে, আয়াতগুলো নিয়ে গভীর চিন্তা ভাবনা করতে হবে। শুধু ভাসাভাসা অধ্যয়ন দিয়ে এটা বুঝতে পারবেন না। নোমান আলী খানের আলোচনা অবলম্বনে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

দিরিলিসের আরতুগ্রুলের সকল পর্ব কিভাবে দেখবেন?

❝সূরা হুজুরাত❞