ইয়েমেনিদের প্রশংসা

 


সমগ্র মুসলিম বিশ্বের শাসকরা যখন গাজাকে পরিত্যাগ করেছে তখন ইয়েমেন—আরব উপদ্বীপের দরিদ্রতম দেশ হওয়া সত্ত্বেও—গাজাবাসীদের পক্ষে দাঁড়িয়ে গেছে। প্রতিদিন আমেরিকা ইসরাইলের কাছ থেকে বোমা হামলার শিকার হয়েও তারা পিছু হটেননি। নিজেদের সামর্থ্যে যা আছে তাই নিয়ে মুসলিম উম্মাহর সম্মান রক্ষায় দাঁড়িয়ে গেলেন।

তাইতো রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কাছ থেকে ইয়েমেনিদের প্রশংসায় বহু হাদিস পাওয়া যায়। শাইখ ইয়াসির কাদির আলোচনা থেকে নিচে কয়েকটি উল্লেখ করলাম। ——————————— আমাদের রাসূলুল্লাহ (স) বহু হাদিসে ইয়েমেনিদের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন--"ইয়েমেনিরা তোমাদের কাছে এসেছে (তারা মদিনাতে এসেছিল ইসলাম গ্রহণ করতে), তাদের রয়েছে সবচেয়ে সেরা রূহ এবং কোমলতম অন্তর।" এরপর তিনি এই বিখ্যাত কথাটি বলেন- "আলঈইমা-নু ইয়ামানিন ওয়াল হিকমাতু ইয়ামা-নিয়্যাহ।" অর্থাৎ, ঈমান ইয়েমেনি এবং প্রজ্ঞাও ইয়েমেন থেকে। সহিহ বুখারির একটি হাদিসে এসেছে-- "আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফিই শা-মিনা ওয়া ফিই ইয়ামানিনা।" অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমাদের শাম এবং ইয়েমেনে বারাকা দান করুন। সিরিয়া এবং ফিলিস্তিন সমগ্র অঞ্চলটাকে সে সময় শাম বলা হতো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা) কে দাওয়াতি কাজের উদ্দেশ্যে ইয়েমেনে পাঠান। সেসময় তিনি মুয়াজকে উপদেশ প্রদান করেন- "মানুষের জন্য সহজ করো, কঠিন করো না। মানুষকে সুসংবাদ প্রদান করো আর তাদেরকে দূরে ঠেলে দিও না। মানুষের মাঝে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করো, তাদের মাঝে বিভক্তি তৈরি করো না।" তিনি আবু মুসা আশয়ারিকেও ইয়েমেনের অন্য একটি প্রদেশে পাঠান। উনাদের হাতে গণহারে মানুষ ইসলামে দীক্ষিত হয়। আরব উপদ্বীপের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ইয়েমেনিরা অনেক সহজে ইসলাম গ্রহণ করে। আরেকটি সুন্দর হাদিসে আমাদের রাসূল (স) বলেছেন- "শেষ বিচারের দিন আমি আমার হাউজের (হাউজে কাউসার) দায়িত্বে থাকবো। আর আমি তখন নিশ্চিত করবো যেন সবাই ইয়মেনিদের জন্য জায়গা ছেড়ে দেয়। আমি আমার লাঠি দিয়ে সবাইকে সরিয়ে তাদের জন্য জায়গা করে দিবো।" অর্থাৎ, ইয়েমেনি মানুষেরা সবার আগে হাউজে কাউসার থেকে পানি পান করবে। -- শায়েখ ইয়াসির কাদি

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

দিরিলিসের আরতুগ্রুলের সকল পর্ব কিভাবে দেখবেন?

নিশ্চয়ই কষ্টের সাথেই স্বস্তি আছে