(শয়তানের কুমন্ত্রণাগুলোকে কখনো কাজে পরিণত করবেন না।)
বিপরীতে আল্লাহর কথা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হৃদয়ে জায়গা করে নেয় না। আল্লাহর বাণী স্মরণে আনার জন্য আপনাকে নিজ থেকে চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহর বাণী হৃদয়ে প্রবেশ করতে হলে আপনাকে কারো বক্তব্য বা ওয়াজ শুনতে হবে। কেউ একজন আপনাকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিবে অথবা আপনি কাউকে স্মরণ করিয়ে দিবেন। সূরা আসরে যেমন এসেছে— وَ تَوَاصَوۡا بِالۡحَقِّ ۬ۙ وَ تَوَاصَوۡا بِالصَّبۡرِ "ওয়াতাওয়া ছওবিল হাক্কী ওয়াতাওয়া ছওবিস্ ছবরি।" অর্থাৎ- তারা পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় এবং পরস্পরকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দেয়।
ব্যাপারটা নিয়ে এভাবে চিন্তা করতে পারেন— শয়তানের কুমন্ত্রণাগুলো হলো নিকষ কালো অন্ধকার। আর আল্লাহর বাণী কী? বড় জ্যোতি, অফুরন্ত আলো। এখন, যদি আলো গ্রহণ না করেন তখন কী হবে? অন্ধকার বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আপনি হয়তো ইচ্ছে করে কোনো মন্দ কাজ করছেন না, কিন্তু কুরআনের আলো নেয়া বন্ধ করে দিলে শয়তানী অন্ধকার এমনিতেই হৃদয়ে স্থান করে নিবে; কোনো চেষ্টা করা ছাড়াই।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
أَلاَ وَإِنَّ فِى الْجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلُحَتْ صَلُحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ أَلاَ وَهِىَ الْقَلْبُ.
"জেনে রাখো, শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরা (মুদগা) আছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা শরীর তখন ঠিক হয়ে যায়। আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীর তখন খারাপ হয়ে যায়। জেনে রাখো, সে গোশতের টুকরাটি হলো কলব।" অর্থাৎ হৃদয়।
তাই, প্রত্যহ আল-কুরআনের আলো আহরণ করার জন্য কিছু সময় ব্যয় করুন এবং সেই আলোতে নিজের দিন পার করুন।
—নোমান আলী খানের আলোচনা অবলম্বনে
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন