পোস্টগুলি

জুন, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নবীজি (সা.) যেভাবে উপমা ব্যবহার করতেন

ছবি
  আমাদের নবীজি (সা.) যে সময়টাতে পৃথিবীতে এসেছিলেন, সেই সময়টা ছিল আরবের সাহিত্যের যুগ। কবিতার জন্য এতটা উন্মাদ জাতি খুব বেশি আসেনি পৃথিবীতে। ওকাজের মেলায় কাব্য প্রতিযোগিতার আসর বসত। বছরের শ্রেষ্ঠ কবিতাকে মিশরীয় বস্ত্রে সোনার পানিতে লিখে ঝুলিয়ে রাখা হতো কাবার দেয়ালে। যত দিন না এর চেয়ে উৎকৃষ্ট মানের কোনো কবিতা কেউ লিখতে পারছেন, তত দিন সেই কাবিতাটিই দখল করে থাকত কাবার দেয়াল। কবিতার প্রতি আরবদের এই অন্ধ ভালোবাসা ও পক্ষপাতিত্ব দেখে এক পারস্য মনীষী বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছিলেন, আরবদের ত্বকের নিচের শিরা দিয়ে রক্ত নয়, কবিতার স্রোত প্রবাহিত হয়। এমন একটি সাহিত্যপাগল সমাজে আল্লাহ যখন নবী প্রেরণ করবেন, স্বাভাবিকভাবেই বুঝে নিতে হবে, উৎকৃষ্ট মানের সাহিত্যের ভাষা নিয়েই তিনি আবির্ভূত হবেন। নবীজি (সা.)–এর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। কোরআন তো ছিলই চ্যালেঞ্জ জানানোর জীবন্ত মোজেজা হিসেবে, এর বাইরে নবীজির মুখনিঃসৃত বাণীও ছিল কোরআনময়। একটি সাহিত্যপাগল সমাজে আল্লাহ যখন নবী প্রেরণ করবেন, স্বাভাবিকভাবেই বুঝে নিতে হবে, উৎকৃষ্ট মানের সাহিত্যের ভাষা নিয়েই তিনি আবির্ভূত হবেন। নবীজি (সা.)–এর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। নবীজি ...

হজরত আলী (রা.)-এর ১০টি কালজয়ী উক্তি

ছবি
  ইসলামের চতুর্থ খলিফা হজরত আলী ইবনে আবি তালিব (রা.)-এর খুতবা, পত্র ও উপদেশের একটি বিখ্যাত সংকলন হলো নাহজুল বালাগা বা বাগ্মিতার পথ। এটি একাদশ শতাব্দীতে সাইয়্যেদ শরিফ এটি সংকলন করেন। গ্রন্থটিতে ২৪১টি খুতবা, ৭৯টি পত্র এবং ৪৮৯টি উপদেশ রয়েছে। গ্রন্থটির সংকলক শিয়া মতাদর্শী বলে পরিচিত হলেও শিয়া-সুন্নি উভয় ধারার আলেমরা এই গ্রন্থের সত্যতা স্বীকার করেন, যদিও কয়েকটি বর্ণনা সূত্র নিয়ে মতভেদ রয়েছে। নাহজুল বালাগা ইসলামি সাহিত্যের একটি অমূল্য সম্পদ এবং আলী (রা.)-এর জীবনাদর্শ ও শিক্ষার অন্যতম উৎস হিসেবে বিবেচিত। সেখান থেকে তার ১০টি কালজয়ী উক্তি তুলে ধরা হলো। গ্রন্থটিতে ২৪১টি খুতবা, ৭৯টি পত্র এবং ৪৮৯টি উপদেশ রয়েছে। গ্রন্থটির সংকলক শিয়া মতাদর্শী বলে পরিচিত হলেও শিয়া-সুন্নি উভয় ধারার আলেমরা এই গ্রন্থের সত্যতা স্বীকার করেন। হজরত আলী (রা.)-এর কালজয়ী উক্তি ১. জ্ঞানের মূল্য:  ‘জ্ঞানই তোমার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ; এটি কখনো হ্রাস পায় না বরং বিতরণের মাধ্যমে বৃদ্ধি পায়।’  (নাহজুল বালাগা , উপদেশ ১৯৫) ২. দুনিয়ার সত্যতা:  ‘দুনিয়া একটি ক্ষণস্থায়ী ছায়া। এর পেছনে ছুটো না। যা চিরস্থায...

নামাজে যে ১০টি ভুল অনেকে করে থাকেন

ছবি
  নামাজ একটি দৈনিক ইবাদত, প্রতিদিন পাঁচবার পড়তে হয়। এরপরও আমাদের অজান্তে নামাজে এমন কতগুলো ভুল হয়ে যায়, যা নামাজের গুণগত মান ও আধ্যাত্মিক উপকার কমিয়ে দেয়। নামাজে আন্তরিকতা বাড়াতে এ ভুলগুলো চিহ্নিত করে সংশোধন করা গুরুত্বপূর্ণ। নিচে নামাজে সাধারণ ১০টি ভুল এবং সেগুলো সংশোধনের উপায় আলোচনা করা হলো। ১. ভুল নিয়ত ভুল:  অনেকে সঠিক নিয়ত ছাড়া নামাজ শুরু করেন। কখনো মনে মনে নিয়ত না করেই নামাজে দাঁড়ান। সংশোধন:  নামাজ শুরুর আগে হৃদয়ে স্পষ্ট নিয়ত করুন যে আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নামাজ পড়ছেন। নিয়ত মুখে বলার দরকার নেই, তবে মনে সচেতনভাবে নির্ধারণ করতে হবে। নবী (সা.) বলেছেন, ‘আমলে মূল্য নির্ভর করে নিয়তের ওপর।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১) ২. তাড়াহুড়া করা ভুল:  তাড়াহুড়া বা মনোযোগের অভাবে অনেকে নামাজের অঙ্গভঙ্গি দ্রুত করেন। ফলে রুকু, সিজদায় সঠিক অবস্থান বজায় থাকে না। সংশোধন:  প্রতিটি অঙ্গভঙ্গিতে সময় নিন। রুকুতে পিঠ সোজা রাখুন, হাঁটুতে হাত দৃঢ়ভাবে রাখুন। সিজদায় কপাল, নাক, হাতের তালু, হাঁটু ও পায়ের আঙুল মাটিতে রাখুন। নামাজ আল্লাহর সঙ্গে কথোপকথন। তাই প্রতিটি অবস্থ...

কিশোর রাখাল থেকে শ্রেষ্ঠ আলেম

ছবি
  মাত্র পনেরো বছর বয়সে তিনি পরিবারের আর্থিক সহায়তার জন্য মক্কার অদূরে ছাগল চরানোর কাজ শুরু করেন। একদিন ছাগল চরানোর সময় রাসুলুল্লাহ (সা.) ও আবু বকর (রা.) তার কাছে আসেন। তৃষ্ণার্ত অবস্থায় তাঁরা ছাগলের দুধ চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ছাগলের মালিক নই, কেবল হেফাজতের দায়িত্ব পেয়েছি।’ নবীজী (সা.) তখন একটি নর-ছাগল আনতে বলেন। তিনি তার স্তনে হাত রাখতেই তা দুধে পূর্ণ হয়ে যায়। নবীজী নিজে এবং আবু বকর (রা.) পান করেন, এমনকি তাকেও সেই দুধ পান করতে দেন। পুনরায় হাত রাখলে ছাগলটি আগের অবস্থায় ফিরে যায়। এই অলৌকিক ঘটনায় মুগ্ধ হয়ে তিনি নবীজীর হাত ধরে বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল, ইসলামের ছায়াতলে আমাকে আশ্রয় দিন।’ নবীজী (সা.) তার মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন, ‘বালক, তোমাকে মোবারকবাদ।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৩,৬৬৭) আমরা ছয়জন ছাড়া তখন পৃথিবীতে আর কোনো মুসলিম ছিল না। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.), মুসতাদরাকে হাকিম, হাদিস: ৫৩৬৮ তিনিই আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)। নবুওয়াতের প্রথম দিকে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন, তিনি ষষ্ঠ বা সপ্তম মুসলিম। তিনি বলেন, ‘আমরা ছয়জন ছাড়া তখন পৃথিবীতে আর কোনো মুসলিম ছিল না।’ (মুসতাদরাকে হা...

কোনো আসক্তি কাটিয়ে ওঠার অসাধারণ ৬টি দোয়া

ছবি
  জীবনকে মাঝেমধ্যে লক্ষ্য আর সংগ্রামের মধ্যে টানাপোড়েন বলে মনে হয়। কখনো কখনো আমরা এমন চক্রে আটকে যাই, যেখান থেকে বেরিয়ে আসার পথ জানা থাকে না। আসক্তি—তা স্বভাবগত খারাপ অভ্যাস, মাদক বা ক্ষতিকর আচরণ যা-ই হোক না কেন—দূর করা অসম্ভব মনে হয়। দোয়ার দ্বারা কি তা সম্ভব? ইসলাম আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আল্লাহর ওপর ভরসা করলে কোনো চেষ্টাই অসম্ভব নয়। দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া আমাদের শক্তি ও ধৈর্যের উৎস হতে পারে। এখানে আমরা সাতটি দোয়া তুলে ধরছি, যা আসক্তি থেকে মুক্তি ও জীবনের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে সহায়তা করবে। ১. পথহারা হলে হেদায়াতের দোয়া যদি মনে হয় পথ হারিয়ে ফেলেছেন, তাহলে জানুন আল্লাহর হেদায়াত আপনার পথপ্রদর্শক। কোরআন থেকে এই দোয়া পড়ুন: ‘ ইহদিনাস সিরাতাল মুসতাকিম। ’ অর্থ, আল্লাহ, আমাদের সরল পথ দেখাও। (সুরা ফাতিহা: ৬) নামাজে তো আমরা পড়িই, যখন একা থাকেন, তখনই বলুন: ‘ইয়া আল্লাহ, আমাকে সঠিক পথ দেখাও।’ ২. আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য দোয়া আসক্তি কাটিয়ে উঠতে ধৈর্য ও আত্মনিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। এই দোয়া আপনাকে শক্তিশালী করবে: ‘রাব্বানা আফরিগ আলাইনা সাবরান ওয়া সাব্বিত আকদামানা ওয়ান...

‘আল-ওয়াহিদ’ আল্লাহর অনন্য নাম

ছবি
  আল্লাহর সুন্দর নামগুলোর মধ্যে ‘আল-ওয়াহিদ’ নামটি তাঁর অতুলনীয় একত্ব ও স্বতন্ত্রতা প্রকাশ করে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বলো, আল্লাহ সবকিছুর স্রষ্টা, আর তিনি এক ও অপ্রতিরোধ্য।’ (সুরা রা’দ: ১৬) এই নাম আমাদের শেখায়, আল্লাহ একক, তাঁর কোনো সমকক্ষ বা শরিক নেই এবং প্রকৃত ভরসার একমাত্র উৎস তিনিই। আল-ওয়াহিদের অর্থ ‘আল-ওয়াহিদ’ শব্দটি তিনটি মাত্রায় একত্ব বোঝায়: ১. উলুহিয়্যাহর একত্ব:  তিনি একমাত্র উপাস্য। এ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই। ২. রুবুবিয়্যাহর একত্ব:  তিনি একমাত্র স্রষ্টা, পালনকর্তা ও রিজিকদাতা। ৩. সিফাতের একত্ব:  তাঁর গুণাবলির কোনো তুলনা নেই। পবিত্র কোরআন বলে, ‘তাঁর মতো কিছুই নেই।’ (সুরা শুরা, আয়াত: ১১) পবিত্র কোরআনে ‘আল-ওয়াহিদ’ নামটি ২২টি আয়াতে এসেছে। আল্লামা সা’দি (রহ.) বলেন, ‘আল-ওয়াহিদ আল-আহাদ তিনি, যিনি সমস্ত পরিপূর্ণতায় একক। তাঁর জ্ঞান, ক্ষমতা, মহিমা, সৌন্দর্য, প্রশংসা ও হিকমায় কেউ তাঁর সমকক্ষ নয়।’ (আস-সাল্লাবি,  কিসসাতু বাদইল খালক , পৃ. ১১৩৬) কুরতুবি বলেন, ‘আল-ওয়াহিদ নামটি তাঁর স্বতন্ত্রতা প্রকাশ করে। তিনি সৃষ্টির সাথে মিশ্রিত নন, কোনো স্থান বা...

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত

ছবি
  পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আগে মহানবীর (সা.) ওপর তাহাজ্জুদ নামাজ আবশ্যক ছিল। তিনি জীবনে কখনও তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া থেকে বিরত হননি। আল্লাহ তাঁকে বলেছেন, ‘হে চাদরাবৃত, তুমি রাত্রিতে প্রার্থনার জন্য দাঁড়াও, রাত্রির কিছু অংশ বাদ দিয়ে, অর্ধেক অথবা তার কিছু কম বা বেশি। তুমি কোরআন পাঠ করো ধীরে ধীরে, স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল, আয়াত: ১-৪), কিন্তু আমরা যারা তাঁর উম্মত, তাদের জন্য এই নামাজ অপরিহার্য নয়, বরং পড়লে অশেষ পুণ্যের ঘোষণা আছে। আরবি ‘তাহাজ্জুদ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ রাত জাগা। ইসলামি পরিভাষায়, রাত দ্বিপ্রহরের পর ঘুম থেকে জেগে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যে নামাজ আদায় করা হয়, তা-ই ‘সালাতুত তাহাজ্জুদ’ বা তাহাজ্জুদ নামাজ। তাহাজ্জুদ কখন পড়তে হয় কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমার প্রতিপালক তো জানেন তুমি কখনো রাত্রির প্রায় তিনের দুই ভাগ, কখনো অর্ধেক, আবার কখনো তিনের এক ভাগ জেগে থাকো। আর তোমার সঙ্গীদের একটি দলও জেগে থাকে। আল্লাহই দিন ও রাতের সঠিক হিসেব রাখেন। তিনি জানেন যে তোমরা এর সঠিক হিসেব রাখতে পারবে না। সে জন্য আল্লাহ তোমাদের প্রতি ক্ষমাপরবশ। তাই কোরআনের যতটুকু পাঠ করা তোমার পক্...

‘আত-তাহিয়্যাতু’র মর্মবাণী কী

ছবি
  নামাজে দুই রাকাত বা চার রাকাতের বৈঠকে আমরা যে ‘আত-তাহিয়্যাতু’ পাঠ করি, তার আরবি নাম হলো তাশাহ্‌হুদ। তাশাহ্‌হুদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দোয়া, যা নামাজের প্রত্যেক বৈঠকে পড়তে হয়। তাশাহুদ বা আত-তাহিয়্যাতু হচ্ছে মহান আল্লাহ ও মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর একটি কথোপকথন; যা মিরাজের রাত্রিতে সংঘটিত হয়। নামাজে যে দোয়াটি পড়া হয় এর অর্থ ও মর্ম উপলব্ধি করা প্রয়োজন। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমরা যখন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পেছনে নামাজ আদায় করতাম, তখন আমরা বলতাম, ‘আসসালামু আলা জিবরিলা ওয়া মিকাইলা ওয়া আসসালামু আলা ফুলান ওয়া ফুলান।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আল্লাহ নিজেই তো সালাম। তাই যখন তোমরা কেউ নামাজ আদায় করবে, তখন সে যেন তাশাহহুদ পড়ে । কেননা, যখন তোমরা এই দোয়া পড়বে, তখন তা আসমান ও জমিনে অবস্থানকারী আল্লাহর সব নেকবান্দার কাছে পৌঁছে যাবে।’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘এরপর বান্দার কাছে যা ভালো লাগে সে দোয়া পড়ে আল্লাহর দরবারে আকুতি মিনতি জানাবে।’ (বুখারি: ৪০২; মুসলিম: ৬,২৬৫) তাশাহহুদ তাশাহহুদ উচ্চারণ: আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস সালাওয়াতু ওয়াত ত্বাইয়্যিবাতু, আসসালামু আলাইকা আই...

যে ৬ ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না

ছবি
  মহানবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, যখন কোনো ব্যক্তি আল্লাহর কাছে দোয়া করে, তখন আল্লাহ হয় তার দোয়া কবুল করেন, নয়তো তার পথে আসা কোনো বিপদ দূর করে দেন। ছয় ধরনের মানুষ আছে, যাদের দোয়া আল্লাহ কবুল করবেন বলে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। তবে যদি কেউ ইসলামে অগ্রহণযোগ্য বা ইসলামের নিয়মবিরোধী কিছুর জন্য দোয়া করে, তবে তা কোনোভাবেই কবুল হয় না। ১. রোগীর দোয়া রোগাক্রান্ত ব্যক্তির দোয়া আল্লাহর কাছে বিশেষ গ্রহণযোগ্য। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমরা কোনো রোগীর কাছে যাও বা তাকে দেখতে যাও, তখন তাকে বলো যেন সে তোমার জন্য দোয়া করে। কারণ, তার দোয়া ফেরেশতাদের দোয়ার মতো।’ (সুনান তিরমিজি, হাদিস: ৩,৫৯৮) অনেক আলেম জোর দিয়ে বলেন, দোয়ার জন্য অজু করা জরুরি নয়; বরং হৃদয়ের পবিত্রতা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত প্রিয়।   ২. রোজাদারের দোয়া রোজাদারের দোয়া অত্যন্ত কার্যকর। অনেক আলেম রোজার সময়কে দোয়ার জন্য ‘সোনালি মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেন। নবী (সা.) বলেছেন, ‘রোজাদারের দোয়া ইফতারের সময় ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১,৭৫৩) ৩. পিতার দোয়া সাধারণত মায়েরা সন্তানের জন্য দোয়া করেন, কিন্তু বাবার ...

কাবার দরজায় কী লেখা আছে

ছবি
  কাবার দরজার গিলাফে আরবি অক্ষরে কোরআনের আয়াত ও বিভিন্ন তসবি খচিত রয়েছে। ক্যালিগ্রাফিখচিত হওয়ায় কেউ কেউ এই লেখাগুলো বুঝতে পারেন না। অনেকের জানার আগ্রহ, কী লেখা রয়েছে পবিত্র কাবার দরজায়। আয়াতগুলো হলো— সুরা আল-ইমরান, আয়াত: ১৩৩ ‘পরম করুণাময় দয়ালু আল্লাহর নামে। তোমরা প্রতিযোগিতা করো তোমাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে ক্ষমা ও জান্নাত লাভের জন্য, যা আকাশ ও পৃথিবীর সমান প্রশস্ত, যা সাবধানীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।’ সুরা বাকারা, আয়াত: ১৪৪ ‘পরম করুণাময় দয়ালু আল্লাহর নামে। আমি লক্ষ করি, তুমি আকাশের দিকে বারবার তাকাও। তাই তোমাকে এমন এক কিবলার দিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছি, যা তুমি পছন্দ করবে। সুতরাং তুমি মসজিদুল হারামের (কাবা) দিকে মুখ ফেরাও। তোমরা যেখানেই থাক না কেন, কাবার দিকে মুখ ফেরাও। আর কিতাব দেওয়া হয়েছে যাদের, তারা নিশ্চিতভাবে জানে যে এ তাদের প্রতিপালক-প্রেরিত সত্য। তারা যা করে, তা আল্লাহর অজানা নেই।’ সুরা ফাতহ, আয়াত: ২৭ ‘পরম করুণাময় পরম দয়াময় আল্লাহর নামে। আল্লাহ তাঁর রাসুলের স্বপ্ন পূর্ণ করেছেন। আল্লাহর ইচ্ছায় তোমরা অবশ্যই মসজিদুল হারামে নিরাপদে প্রবেশ করবে, কেউ-কেউ মুণ্ডিত মাথায়, কেউ-কেউ চুল ক...