পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভালো কাজের প্রথম লাভ কার?

ছবি
  মানুষের মন সবসময় লাভ খোঁজে। কী করলে বেশি পাওয়া যায়? ইসলাম এই মনের কথা বোঝে। নবীজি (সা.) বলেন, “যা তোমার উপকারে আসবে, তার পিছনে লেগে থাকো” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬৫৪)। ‘উপকার’ মানে কারও কাছে টাকা-পয়সা, কারও কাছে নাম-যশ। কিন্তু ইসলাম বলে, সত্যিকারের লাভ ভালো কাজে। ভালো করা সহজ নয়—টাকা কমে, সময় যায়, পরিশ্রম লাগে। মানুষ নিজের জন্যই ছোটে। তাহলে কী লাভ ভালো করায়? কোরআনের সুন্দর জবাব, “তোমরা ভালো করলে নিজেদের জন্যই করো, খারাপ করলে নিজেদের জন্যই” (সুরা ইসরা, আয়াত: ৭)। আরো বলা হয়েছে, “তোমরা নিজেদের জন্য যা ভালো করবে, আল্লাহর কাছে তা পাবে” (সুরা বাকারা, আয়াত: ১১০)। অর্থাৎ, ভালো কাজের প্রথম লাভ নিজের। দান করা: বীজ বোনা, ফসল কাটা আমরা মনে করি, দান করলে অন্যকে সাহায্য করি, নিজের টাকা কমে। কিন্তু কোরআন বলে, “তোমরা ভালো করলে নিজেদের জন্যই করো।” (সুরা ইসরা, আয়াত: ৭) দান যেন বীজ বোনা। কোরআনের উদাহরণ, “যারা আল্লাহর পথে খরচ করে, তাদের উদাহরণ একটা বীজের মতো—যা সাতটা শীষ দেয়, প্রতি শীষে রয়েছে একশটা দানা। আল্লাহ যাকে চান বাড়িয়ে দেন।” (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৬১) একটা টাকা দান করলে ফিরে আসে সা...

ভালো মুসলিম হওয়ার ১০ উপায়

ছবি
  ইসলাম আমাদেরকে নিজেদের উন্নতি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করতে উৎসাহিত করে। মুসলিম মাত্রই অন্য সবার তুলনায় উত্তম হবে, এটাই হওয়া উচিত। তবে উত্তম মুসলিম হওয়ার জন্য ইসলাম আমাদের সুনির্দিষ্ট দিক–নির্দেশনা দিয়েছে। সেই নির্দেশনার আলোকে আমরা ১০টি উপায় আলোচনা করব, যা আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করতে পারে। যারা আল্লাহর পথে তাদের সম্পদ ব্যয় করে, তারা যেন একটি বীজের মতো, যা সাতটি শীষ জন্মায়, প্রতিটিতে একশত দানা থাকে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তার জন্য বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। সুরা বাকারা, আয়াত: ২৬১ ১. আরও ধৈর্যশীল হোন কুরআনে বলা হয়েছে, ‘ধৈর্য ধরো, নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা আনফাল, আয়াত: ৪৬) রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কারও জন্য ধৈর্যের চেয়ে উত্তম ও মহান নিয়ামত দেওয়া হয়নি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১,৪৬৯) জীবনের চ্যালেঞ্জ, ব্যক্তিগত সংগ্রাম বা বাহ্যিক প্রতিকূলতার মুখে ধৈর্য ধরা ঈমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ধৈর্যশীল হওয়ার মাধ্যমে আমরা মানসিক শান্তি লাভ করি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি। যখন রাগ বা হতাশা অনুভব করেন, গভীর শ্বাস নিন, ওজু করুন এবং ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্...

কন্যা ফাতিমাকে নবীজির ৫ উপদেশ

ছবি
  ইসলামে চারজন নারীকে নিখুঁত নারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়: বিবি মরিয়ম, আসিয়া, খাদিজা (রা.) এবং ফাতিমা (রা.)। ফাতিমা ছিলেন নবীজির প্রিয় কন্যা। ইসলামের প্রাথমিক দিনগুলোতে তিনি ছিলেন শিশু। ধীরে ধীরে তিনি একজন কন্যা, স্ত্রী ও মা হিসেবে ইসলামের আদর্শ নারীর নিখুঁত উদাহরণ হয়ে আবির্ভূত হন। নিখুঁত নারী হিসেবে ফাতিমা (রা.) ফাতিমা (রা.) ইসলামের মহান নারীদের একজন। তিনি তাঁর পিতার নবুওয়তের মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং নারীদের জন্য একটি আদর্শ রোল মডেল। কোরআনে নবী–পরিবারের পবিত্রতা সম্পর্কে বলা হয়েছে: ‘তোমরা তোমাদের ঘরে অবস্থান করো এবং জাহিলিয়া যুগের মতো প্রদর্শনী করো না...আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে, হে নবীর পরিবার, সব অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদের পবিত্র ও নিষ্কলঙ্ক করতে।’ (সুরা আহযাব, আয়াত: ৩৩) শৈশব থেকেই তিনি তাঁর পিতামাতার ওপর কুরাইশদের নিপীড়ন ও অত্যাচার প্রত্যক্ষ করেছেন। এমনকি তিনি নিজেও কখনো কখনো কুরাইশদের উপহাসের শিকার হয়েছেন।  শক্তিমান নারী তিনি যখন খুব ছোট, মাত্র পাঁচ বছর বয়স, তখন নবীজি (সা.) মক্কার হিরা গুহায় প্রথম ওহি পান। শৈশব থেকেই তিনি তাঁর পিতামাতার ওপর...

ভালো প্রতিবেশী হওয়ার ১০ উপায়

ছবি
  প্রতিবেশী—বাড়ির পাশে থাকা সেই মানুষ, যার হাসি দিনকে উজ্জ্বল করে, যার সাহায্য কষ্টের মধ্যে আশার রশ্মি জাগায়। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন, এই প্রতিবেশী আমাদের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ? ইসলামে প্রতিবেশীর মর্যাদা এতটাই উচ্চ যে মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘জিব্রাইল (আ.) আমাকে প্রতিবেশীর প্রতি ভালো ব্যবহারের উপদেশ দিতে থাকলেন, এমনকি আমি ভেবেছিলাম, তিনি হয়তো প্রতিবেশীকে উত্তরাধিকারী বানিয়ে দেবেন’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,০১৪; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬২৪)। মহানবী (সা.)-এর সুন্নাহ থেকে ১০টি শিক্ষা জেনে নিই, যা প্রতিবেশীর সঙ্গে একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়তে আমাদের সাহায্য করবে। তিনি আবু জর (রা.)-কে বলেছিলেন, ‘যখন তুমি ঝোল রান্না করো, তাতে পানি বাড়িয়ে দাও এবং প্রতিবেশীকে দাও।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬২৫) হাসি: ভালোবাসার প্রথম ধাপ নবীজি (সা.)-এর মুখে সব সময় হাসি ফুটে থাকত। আবদুল্লাহ ইবনে হারিস (রা.) বলেন, ‘আমি নবীজির চেয়ে বেশি হাস্যোজ্জ্বল কাউকে দেখিনি’ (শামায়েলে তিরমিজি, হাদিস: ৩৬৪)। তিনি বলেছেন, ‘মুসলিম ভাইয়ের মুখে হাসি ছড়ানো একটি সদকা’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ১৯৫৬)। প্রতিবেশীর দরজায় যাওয়ার আগে মুখে...

জান্নাতে আল্লাহর প্রতিবেশী হতে চেয়েছেন যে নারী

ছবি
  আসিয়া বিনতে মুজাহিম, প্রাচীন মিসরে ফেরাউনের স্ত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন এক আল্লাহ–বিশ্বাসী মহীয়সী নারী। ছিলেন মানুষের প্রতি দয়ালু ও সহানুভূতিশীল। তাঁর স্বামী ফেরাউন নিজেকে খোদা বলে দাবি করত। সে ছিল অত্যাচারী ও বদমেজাজি বাদশাহ। আসিয়া ফেরাউনের স্ত্রী ছিলেন ঠিকই, কিন্তু ফেরাউনের কোনো স্বভাব তাঁকে গ্রাস করতে পারেনি। তিনি এক আল্লাহর ওপর ইমান আনেন। নিজের স্ত্রী অন্যের উপাসনা করে, এমন খবর জানতে পেরে ফেরাউন তাঁকে বোঝাতে থাকেন। কিন্তু আসিয়া সত্য ধর্মের ওপর পর্বতের মতো অবিচল, অটল। ফেরাউন তখন লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করে আসিয়াকে হত্যার আদেশ দেয়। তার সৈন্য-সামন্তরা আসিয়ার হাত-পা বেঁধে উত্তপ্ত সূর্যের নিচে ফেলে রাখে। ক্ষতবিক্ষত করা হয় শরীর। তবুও তিনি ইমান ছাড়েননি। জীবনের বিনিময়ে ইমান রক্ষা করেন।আসিয়া দুনিয়ার রাজপ্রাসাদের বিনিময়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন জান্নাতে আল্লাহর পাশে একটি ঘর। তাঁর প্রার্থনার কথা কোরআনে এভাবে আছে, ‘আল্লাহ বিশ্বাসীদের জন্য উপস্থিত করেছেন ফেরাউন-পত্নীর দৃষ্টান্ত, যে প্রার্থনা করেছিল, “হে আমার প্রতিপালক! তোমার কাছে জান্নাতে আমার জন্য একটা ঘর তৈরি করো, আমাকে উদ্ধার করো ফের...

বিরে আরিস: আংটির কুয়ার গল্প

ছবি
  এই কুয়ার নামকরণের পেছনে রয়েছে একটি অলৌকিক ঘটনা আছে। কুয়াটি খনন করা হয়েছিল প্রাক্‌-ইসলামি যুগে। সে সময় এক ইহুদি কৃষককে বলা হতো আরিস। আরিস শব্দের অর্থ কৃষক। কুয়াটির নাম যদিও আরিস, তবে এটি ‘আংটির কুয়া’ নামে বেশি পরিচিত। কারণ, এই কুয়ার সঙ্গে মহানবী (সা.)-এর আংটির একটি ঘটনা জড়িয়ে আছে। মহানবী (সা.) একটি রুপার আংটি ব্যবহার করতেন, যাতে নিচের দিক থেকে ওপরে তিনটি শব্দ লেখা ছিল, ‘মুহাম্মদ-রাসুল-আল্লাহ’। আংটিটি পরবর্তী সময়ে খলিফা আবু বকর (রা.), উমর ইবনে আল-খাত্তাব (রা.) এবং উসমান ইবনে আফফান (রা.) ব্যবহার করেন।উসমান (রা.)-এর শাসনামলে একদিন আংটিটা কুয়ায় পড়ে যায়। তিন দিন ধরে আংটিটি খোঁজার পরও তা পাওয়া যায়নি। নবীজির মোহরাঙ্কিত আংটিটি চিরতরে হারিয়ে যায়। এরপর থেকে কুয়াটি ‘বিরে আরিস’ বা ‘আংটির কুয়া’ নামে পরিচিতি পায়। হাদিসে আছে, একদিন মহানবী (সা.) এই কুয়ার মুখে বসে কুয়ার ভেতর নিজ পা দুটো ঝুলিয়ে দেন। আবু বকর সিদ্দিক (রা.) আসেন এবং তাঁর ডানে বসেন। তিনিও নবীজির মতো নিজের পা কুয়ার ভেতর ঝুলিয়ে দেন। এরপর উমর (রা.) এসে বসেন নবীজির বাঁয়ে এবং অন্য দুজনের মতো কুয়ার ভেতর পা ঝুলিয়ে দেন। পরে উসমান (রা...

আরবি না জেনেও কোরআনের সঙ্গ পাওয়ার ৭ উপায়

ছবি
  আল্লাহ কোরআনকে আরবি ভাষায় নাজিল করেছেন। আবার যেকোনো ভাষায় তা বোঝা সহজ করেছেন। এই লেখায় আমরা এমন সাতটি উপায় নিয়ে আলোচনা করব, যার মাধ্যমে আরবি না পড়তে বা না বুঝতে পারলেও কোরআনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা যায়। ১. উপযুক্ত অনুবাদ নির্বাচন করুন আপনার মাতৃভাষায় কোরআনের চমৎকার অনুবাদগুলো খুঁজে বের করুন। বিভিন্ন অনুবাদ পড়ে দেখুন কোনটি আপনার কাছে সহজবোধ্য ও হৃদয়গ্রাহী। শব্দ-শব্দ অনুবাদ ব্যবহার করলে কোরআনে বারবার ব্যবহৃত শব্দগুলোর অর্থ মনে রাখা সহজ হবে। একাধিক অনুবাদের তুলনামূলক পাঠ আয়াতের গভীর অর্থ উন্মোচনে সহায়ক। আজকাল ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ভাষার অনুবাদ পাশাপাশি দেখার সুবিধা রয়েছে। ২. কোরআন তিলাওয়াত শুনুন আয়াতের অর্থ না বুঝলেও কোরআনের তিলাওয়াত মনোযোগ দিয়ে শোনা আধ্যাত্মিক উপকার বয়ে আনে। কোরআনের তিলাওয়াতের কয়েকটি ফজিলত হলো: শিফা ও রহমত: ‘আমি কোরআন থেকে এমন কিছু নাজিল করি, যা মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত...।’ (সুরা আল-ইসরা, আয়াত: ৮২) উপদেশ: ‘যার হৃদয় আছে বা যে মনোযোগ দিয়ে শোনে, তার জন্য এতে রয়েছে উপদেশ।’ (সুরা ক্বাফ, আয়াত: ৩৭) রহমত লাভ: ‘যখন কোরআন পড়া হয়, ত...

সুরা আদিয়াত বলছে মানুষের স্বভাবের কথা

ছবি
  সুরা আদিয়াত অর্থ ‘ধাবমান অশ্ব’। পবিত্র কোরআনের শততম সুরা। মানুষ আল্লাহর প্রতি অকৃতজ্ঞ আর ধন সম্পদের লোভে মত্ত হয়ে আছে। এতে পরকালীন জীবনের প্রথম স্তর কবর এবং হাশরের বিবরণ দান করে মানুষকে সৎকাজের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। সুরা আদিয়াতের অর্থ আবার দেখে নিই: পরম করুণাময় পরম দয়াময় আল্লাহর নামে ১. শপথ তাদের যারা ছোটে হাঁপাতে হাঁপাতে, ২. আগুনের ফুলকি ছিটিয়ে, ৩. সকালের হামলায়, ৪. ধুলো উড়িয়ে, ৫. ঢুকে পড়ে এক সঙ্গে। ৬. মানুষ তো তার প্রতিপালকের প্রতি অকৃতজ্ঞ। ৭. আর সে তো ৮. আর সে তো ধনসম্পদের লালসায় মেতে আছে। এ-বিষয়ে নিজেই তার সাক্ষী। ৯. তবে সে কি জানে না সেই সময় সম্পর্কে, যখন কবরে যা আছে তা ওঠানো হবে ১০. আর অন্তরে যা আছে তা প্রকাশ করা হবে? ১১. আর সেদিন ওদের কী ঘটবে ওদের প্রতিপালক অবশ্যই তা ভালো করেই জানেন। সুরার সারসংক্ষেপ: প্রথম অংশে (১ থেকে ৫ আয়াতে) আল্লাহ্ বেপরোয়া কিছু মানুষের কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেছেন যাদের উদাহরণ দ্রুত গতিতে দৌড়ানো ঘোড়ার মতো। দ্বিতীয় অংশে (৬ থেকে ৮ আয়াতে) আল্লাহ্ মানুষের কিছু মানবিক দুর্বলতার কথা উল্লেখ করেছেন। প্রথম অংশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, মানুষ আসলে ব...

তাকওয়া, বির্‌র ও ইহসানের সম্পর্ক

ছবি
  আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার তিনটি স্তর রয়েছে: তাকওয়া, বির্‌র ও ইহসান। কোরআন ও সুন্নাহ আমাদের এই তিনটির সঠিক অর্থ, সম্পর্ক এবং ফলাফল শেখায়। যে এগুলো বুঝে জীবনে প্রয়োগ করে, তার জীবন হয়ে ওঠে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথ। তাকওয়া কী? তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয়ে চলা। ফরজ পালন করা, হারাম ছেড়ে দেওয়া। এটি শাস্তি থেকে রক্ষা করে। শর্ত হলো, খাঁটি নিয়ত এবং রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অনুসরণ। কোরআনে তাকওয়ার ফলের কথা বলা হয়েছে যে তাকওয়া থাকলে কাজ সহজ হয়, রিজিক আসে, গুনাহ মাফ হয়, ফিতনা থেকে বাঁচা, সত্য-মিথ্যা চেনা যায়। আল্লাহ বলেন, “হে ইমানদারগণ, যদি তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করো, তিনি তোমাদের ফুরকান দেবেন, গুনাহ মাফ করবেন, ক্ষমা করবেন। আল্লাহ মহা অনুগ্রহশীল।” (সুরা আনফাল, আয়াত: ২৯) আরও বলেন, “যে তাকওয়া অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জন্য মুক্তির পথ করে দেন, অপ্রত্যাশিত জায়গা থেকে রিজিক দেন। যে আল্লাহর ওপর ভরসা করে, তিনি তার জন্য যথেষ্ট।” (সুরা তালাক, আয়াত: ২-৩) বির্‌র কী? বিরর তাকওয়ার চেয়ে উঁচু স্তর। তাকওয়া ফরজ-ওয়াজিব, বিরর নফলের স্তর। আল্লাহ বলেন, “তোমরা যা ভালোবাসো তা ব্যয় না করলে বিরর...

সামাজিক নিরাপত্তায় প্রয়োজন ‘তাকওয়া’

ছবি
  তাকওয়া অর্থ আল্লাহভীতি, আত্মসংযম ও সৎপথ অনুসরণ করা। ইসলামি পরিভাষায় তাকওয়া হলো আল্লাহকে ভয় করে তাঁর আদেশ মেনে চলা এবং তাঁর নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত থাকা। এটি একজন মানুষের অন্তরের একটি অবস্থা, যা তাকে ন্যায়পরায়ণতা, সংযম ও ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে। ‘তাকওয়া’ শব্দের মূল অর্থের মধ্যে সতর্কতা, সাবধানতা ও আত্মরক্ষাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি মূলত ‘ওয়াক্বা’ ধাতু থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ ‘রক্ষা করা’ বা ‘বাঁচানো’। তাই তাকওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আল্লাহর শাস্তি থেকে আত্মরক্ষা করা এবং গুনাহ থেকে সাবধান থাকা। কলব বা অন্তরের রোজা হলো তাকওয়া। পবিত্র রমজানে রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় রোজাদার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সব ধরনের বৈধ পানাহার ও যৌনসম্ভোগ থেকে বিরত থাকেন। নির্জন নিরালায়, দরজা–জানালা বন্ধ ঘরে, গোপন স্থানে ও পানাহার তথা রোজার বিপরীত কোনো কাজ করেন না। এর মধ্য দিয়ে মুমিন জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষা করেন। আর গুনাহ বর্জনের জন্য মানসিক দৃঢ়তা ও মনোবল অর্জনই রোজার বাস্তব শিক্ষা তথা তাকওয়ার প্রশিক্ষণ। মুমিনের জীবনে তাকওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইখলাস ও তাকওয়া সফলতার অবলম্বন। তাকওয়া হলো আল্...