Posts

Showing posts from November, 2020

বিচার দিবসে আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

Image
  বিচার দিবসে আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -- নোমান আলী খান [সম্পূর্ণ বক্তব্যের অনুবাদ] আমি আপনাদের আগেই সতর্ক করে দিচ্ছি। আজকের বক্তব্যটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করার চেষ্টা করবো কিন্তু ৪৫ মিনিটের কমে শেষ করতে পারব বলে মনে হয় না। আগেই বলে দিচ্ছি, যেন আপনারা বিরক্ত না হয়ে পড়েন। আবারো বলছি, আমি আগেও আপনাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছিলাম কীভাবে কোন শব্দ না করে চুপি চুপি মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে হয়। পাশের দরজাগুলো দিয়ে কেউ চলে যেতে চাইলে যেতে পারেন, আমি মাইন্ড করব না। আজ আমি ভয়ানক একটি ব্যাপার নিয়ে বক্তব্য শুরু করতে চাই। আমাদের ধর্ম হল সত্য ধর্ম। আর সত্য সুখবর যেমন প্রদান করে তেমনি সাবধানবাণীও প্রদান করে। আমাদের সকল নবী রাসূলদের বিশেষত রাসূলুল্লাহ (স) কে আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা বর্ণনা করেছেন "মুবাসশিরান ওয়া নাজিরান" হিসেবে। সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারী। যদি কাউকে শুধু সুসংবাদ প্রদান করেন তাহলে সে সাবধানবাণীর কথা ভুলে যাবে। আর যদি শুধু সতর্ক করতে থাকেন তাহলে সে এতোই হতাশ হয়ে পড়ে যে মনে করে ভালো খবর বলতে কিছু নেই। বুঝতে পারছেন? আমি চেষ্টা করেছি এই ভারসাম্য রক

রবিউস সানি মাসের তাৎপর্য ও আমল

Image
 রবিউস সানি মাসের তাৎপর্য ও আমল মানবজীবনের সবকিছুই আল্লাহর দান। আল্লাহর দেওয়া নিয়ামতগুলোর মধ্যে প্রথম নিয়ামত হলো জীবন। জগতে জীবনের স্থিতিকাল হলো আয়ু। আয়ু হলো সময়ের সমষ্টি। সময় অনাদি–অনন্ত। সময়ের প্রকৃত জ্ঞান সম্পর্কে আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত। বস্তু বা ব্যক্তির সঙ্গে যুক্ত করে সময়কে বিশেষ পরিচয়ে সংজ্ঞায়িত করা হয়। জানা ইতিহাসের ও কল্পিত বিশ্বের নানা বিষয়ের সঙ্গে সময়কে সম্পৃক্ত করা হয়। ব্যবহারিক সুবিধার জন্য চন্দ্র, সূর্য ও গ্রহ–নক্ষত্র নানা প্রাকৃতিক, জাগতিক ও মহাজাগতিক বস্তু ও শক্তির সঙ্গে মিল রেখে সময়ের হিসাব বা ধারণা প্রকাশ করা হয়। আল্লাহ তাআলা কোরআন মাজিদে বলেন, ‘সূর্য ও চন্দ্র হিসাব নিমিত্তে।’ (সুরা-৫৫ আর রহমান, আয়াত: ৫)। মানুষ সময়কে ব্যবহারিক পর্যায়ে বছর, মাস, সপ্তাহ, দিন, দিন-রাত, প্রহর ও ঘড়ি–ঘণ্টায় বিভক্ত করে নিয়েছে। আরবি বর্ষপঞ্জি ও ইসলামি হিজরি সনের চতুর্থ মাস হলো রবিউস সানি। কেউ কেউ একে রবিউল আখির মাস বলে থাকেন। এটি রবিউল আউয়াল মাসের জোড়া মাস। ‘রবি’ অর্থ বসন্ত আর ‘আউয়াল’ অর্থ প্রথম, ‘সানি’ অর্থ দ্বিতীয়, ‘আখির’ অর্থ শেষ বা অন্য। রবিউস সানি অর্থ হলো বসন্তকালের দ্বিতীয় মাস বা অন্য

রাসুল (সা.)–এর মৃত্যুতে কন্যা ফাতেমার শোকগাথা

Image
  রাসুল (সা.)–এর মৃত্যুতে কন্যা ফাতেমার শোকগাথা প্রাচীন আরব ছিল কাব্যচর্চার উৎকৃষ্ট ভূমি।  ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর পরিবারেও কাব্যের চর্চা ছিল। নবীজির ওফাতের পর তাঁর আদরের কন্যা ফাতেমা (রা.) লিখেছিলেন শোকগাথা। তা নিয়েই এই লেখা। নবীজির প্রস্থান: শোকগাথা বা মর্সিয়া রচনা আরবদের অনেক প্রাচীন রীতি। তবে আমাদের দেশে বাংলায় যে মর্সিয়ার প্রচলন, তা কারবালার কাহিনিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। কিন্তু বাস্তবত মর্সিয়া বা শোকগাথা, ইংরেজিতে যাকে বলে এলিজি—তা যে কারোর মৃত্যুশোকে রচিত হতে পারে।  মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের বরকতে এবং তাঁর মহান শিক্ষার বদৌলতে বদলে গেল পৃথিবী, বদলে গেল পৃথিবীর রসম-রেওয়াজ ও প্রশাসনিক কাঠামো। মানবতার উত্তরণ ঘটল গ্রীষ্মের খরতাপ, লু হাওয়া, প্রচণ্ড দাহ থেকে আর দুর্ভিক্ষঘেরা এক ভয়ংকর ঋতু থেকে এমন এক ঋতুতে যেখানে গলাগলি করছে ফুল আর বসন্ত, যেখানে উদ্যান ঘেঁষে বয়ে চলেছে ছলছল প্রবাহের উচ্ছল ঝরনাধারা। তাঁর আগমনে পাল্টে গেছে মানুষের স্বভাব-প্রকৃতি, তাদের হৃদয়গুলো আপন প্রতিপালকের আলোয় ঝলমলিয়ে উঠল। মানুষ ব্যাপকভাবে ধাবিত হলো আল্লাহর অভিমুখে। মানুষ সন্ধান পেল অপরিচিত এক নতুন স্বাদের,

জীবনের নির্যাসে রচিত সিরাতগ্রন্থ ‘আর রাহিকুল মাখতুম’

Image
  জীবনের নির্যাসে রচিত সিরাতগ্রন্থ ‘আর রাহিকুল মাখতুম’ মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সিরাত তথা জীবনী নিয়ে প্রতিদিন কিছু না কিছু লেখালেখি চলছে। এ পর্যন্ত তাঁকে নিয়ে রচিত হয়েছে হাজার হাজার মূল্যবান গ্রন্থ। তাঁর জীবনী পাঠে মানুষের হৃদয়ের গভীরে অনুভূত হয় অন্য রকম এক প্রশান্তির ছোঁয়া। তাই নবীজি (সা.)–এর জীবনীর পাঠক কখনো ক্লান্ত হয় না। পাঠকের চাহিদা আছে বলে এত বিপুলসংখ্যক গ্রন্থ লেখা হয়েছে এবং এই ধারা ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আধুনিক যুগের সিরাতগ্রন্থসমূহের মধ্যে মাওলানা সফিউর রহমান মুবারকপুরী (মৃ. ২০০৬ খ্রি.) রচিত ‘আর রাহিকুল মাখতুম’ অন্যতম। ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে মক্কার ‘রাবেতা আল-আলম আল-ইসলামি’ আয়োজিত বিশ্বব্যাপী সিরাতুন্নবী (সা.) প্রতিযোগিতায় ১ হাজার ১৮২টি পাণ্ডুলিপি থেকে প্রথম পুরস্কার বিজয়ী এই সিরাতগ্রন্থে রাসুল (সা.)-এর জীবনী খুব সুন্দর ও পরিপাটি করে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রায় ৫০০ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থ আরবি ভাষায় লেখা। ইতিমধ্যে সিরাতগ্রন্থটি বাংলাসহ বিশ্বের বহু ভাষায় অনূদিত হয়ে সুনাম কুড়িয়েছে। ইসলাম নিয়ে যাঁরা জানতে চান, তাঁদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে এই সিরাতগ্রন্থ। ‘আর রাহিকুল মাখতুম’–এর লে

শান্তি ও নিরাপত্তায় সুন্নাত অনুসরণের বিকল্প নেই

Image
  শান্তি ও নিরাপত্তায় সুন্নাত অনুসরণের বিকল্প নেই শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী সুন্নাত মানে আদর্শ। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুমহান আদর্শই সুন্নাত নামে পরিচিত। তিনি সর্বকালের সব মানুষের সর্বোত্তম আদর্শ। আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘অবশ্যই আপনি মহান চরিত্রে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অধিষ্ঠিত।’ (সুরা-৬৮ কলম, আয়াত: ৪)। শিষ্টাচার, শুদ্ধাচার, নীতি-আদর্শ ও নৈতিক আচরণই নবীজি (সা.)-এর সুন্নাত। জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে নবীজি (সা.)–এর সুন্নাত আদর্শ অনুকরণ ও অনুসরণ করা হলো ইসলাম। কোরআন কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রাসুল (সা.) তোমাদের যা দিয়েছেন তোমরা তা ধারণ করো আর তিনি যা বারণ করেছেন তা হতে বিরত থাক।’ (সুরা-৫৯ হাশর, আয়াত: ৭)। নবী-রাসুল জগতের শ্রেষ্ঠ মানুষ। তাঁদের জীবনাদর্শও শ্রেষ্ঠ। রহমাতুল লিল আলামিন, বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত, মানবজাতির সর্বোত্তম আদর্শ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের জীবনের প্রতিটি কাজই সবার অনুকরণীয়। তাঁর অনুপম আদর্শ এবং তাঁর জীবনের ব্যবহারিক ও প্রায়োগিক দিকগুলো সমাজ ও সভ্যতার জন্য পরম উপকারী এবং মানুষের ইহকালে ও পরকালে মুক্তির দিশারি। কোরআন মাজিদে আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহর মধ্

মুসলমানরা কি ফটো তুলতে পারবে না?

Image
  আয়নায় দাঁত দেখা যাবে কি ? মুসলিমরা কি ফটো তুলতে পারবে না প্রশ্ন: মুসলমানরা কেন ফটো তুলতে পারবে না? উত্তরঃ ডা. জাকির নায়েক ৷ .এ প্রশ্নের পিছনে রয়েছে মূলত একটি হাদীস যেটা আছে সহীহ্ বুখারীতে। আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ(সা.) বলেছেন: . “কিয়ামতের দিন সবচেয়ে কঠিন শাস্তি ভোগ করবে [জীবন্ত বস্তুর] ছবি তৈরী কারিরা।” [বুখারী: ৫৯৫০; মুসলিম: ২১০৯] ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীস থেকে জানা যায়, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “যে কেউই ছবি তৈরী করল, আল্লাহ তাকে [কিয়ামতের দিন] ততক্ষণ শাস্তি দিতে থাকবেন যতক্ষণ না সে এতে প্রাণ সঞ্চার করে, আর সে কখনোই তা করতে সমর্থ হবে না।” [বুখারী:২২২৫; মুসলিম: ২১১০] . এখন একজন মানুষের পক্ষে তো ছবিতে জীবন দেয়া সম্ভব না।এ হাদীসটা বলছে আসলে হাতে আঁকা ছবি ও ভাস্কর্যের কথা। কিছু বিশেষজ্ঞ বলেন যে এর মধ্যে ফটোগ্রাফও পরবে। তবে পরে যখন ফটোগ্রাফি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম। এ হাদীসটা ফটোগ্রাফ এর কথা বলছে না ৷ কারণ ফটোগ্রাফি হল আসলে প্রতিবিম্ব, যেটা ধারণ করা হয় কাগজে। ভিডিওগ্রাফিও একি রকম, ভিডিওগ্রাফি এক ধরনের প্রতিবিম্ব যেটা হয়তো ধারণ

হতাশ হবেন না

Image
  হতাশ হবেন না।আল্লাহ সব জানেন।আপনি কতোটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন সেটা অন্য কেউ না জানলেও আল্লাহ জানেন।আপনার মনের কথাগুলো আর কেউ জানুক কিংবা না জানুক আল্লাহ ঠিকই জানেন। আপনার মনের মধ্যে থাকা হতাশা দূর করতে এই পোস্টটি ইনশাআল্লাহ আপনার কাজে আসবে। ♢যখন আপনি কষ্টের মধ্যে থাকেন তখন কুরআনের এই আয়াতটির দিকে খেয়াল করুন।আল্লাহ বলেন, "নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে আছে স্বস্তি (সুরা আলাম নাশরহ:৬)।" ♢যখন জীবনে না পাওয়ার বেদনা আপনাকে ঘিরে ধরে তখন কুরআনের এই আয়াতটির দিকে খেয়াল করুন।আল্লাহ বলেন, "শীঘ্রই তোমার রব তোমাকে এতো দিবেন যে,তুমি খুশি হয়ে যাবে (সুরা দুহা:৫)।" ♢যখন কোনো কাজকে আপনার কাছে কঠিন, অসম্ভব বলে মনে হয় তখন কুরআনের এই আয়াতটির দিকে খেয়াল করুন।আল্লাহ বলেন, "আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দেন (সুরা তালাক)।" ♢যখন বিপদে আপনি দিশেহারা হয়ে পড়েন তখন কুরআনের এই আয়াতটির দিকে খেয়াল করুন।আল্লাহ বলেন, "আল্লাহর সাহায্য নিকটে (সুরা বাকারা:২১৪)।" ♢যখন আপনি কষ্টের মধ্যে দিয়ে আপনার জীবন অতিবাহিত করেন আর চিন্তা করেন কবে এই কষ্

আজওয়া খেজুর কেন খাবেন?

Image
  ✅আজওয়া খেজুর কেন খাবেন?? 👉আজওয়া খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে সেদিন বিষ ও যাদু তার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। -বুখারী 👉অন্য হাদীসের মারফূ- “আজওয়া হল জান্নাতের খেজুর।” এই খেজুর রাসূলুল্লাহ (সা:) এর সবচেয়ে পছন্দের ছিল। 👉আজওয়া খেজুর হলো মদিনার উৎকৃষ্ট মানের খেজুর।’ -সহিহ বোখারি ও মুসলিম 👉প্রাকৃতিক আঁশের আধিক্য থাকায় এর উপকারিতা ও গুরুত্ব অনেক। কিডনি ও স্ট্রোক জটিলতা এড়াতে এর ব্যাপক প্রয়োজন রয়েছে। এ কারণে চিকিৎসকরা প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। খেজুরের মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণে তেল, ক্যালসিয়াম, সালফার, আইরন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং ম্যাগনেসিয়াম বিদ্যমান যা সুস্বাস্থের জন্য অতি দরকারি 👉স্নায়ুবিক শক্তি বৃদ্ধি করে 👉হৃদরোগীদের জন্য বেশ উপকারী 👉রক্ত উৎপাদনকারী 👉হজমশক্তি বর্ধক, যকৃৎ ও পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক 👉রুচি বাড়ায় 👉ত্বক ভালো রাখে 👉দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে 👉রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় (করোনা ও অন্যন্য রোগের বিরুদ্ধে) 👉পক্ষাঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী

বন্ধু বাছাইয়ের সময় মনে রাখুন তিনটি বিষয়

Image
  ♦বন্ধু বাছাইয়ের সময় মনে রাখুন তিনটি বিষয়♦ আপনি যদি আপনার জন্য কাউকে বন্ধু হিসেবে বাছাই করতে চান, তবে আপনি আবশ্যিকভাবে তার গুণাবলীর দিকে লক্ষ্য রাখবেন। আপনি আপনার বন্ধুর বন্ধুত্ব থেকে লাভবান হতে চাইলে তার মধ্যকার গুণের প্রতি লক্ষ্য করা প্রয়োজন। তিনটি গুণ লক্ষ্য করে আপনি একজন ব্যক্তির সাথে বন্ধুত্ব করতে পারেন। 🔴১. জ্ঞান প্রথম লক্ষণীয় গুণটি হতে পারে তার জ্ঞান। একজন মূর্খ লোকের বন্ধুত্ব থেকে কোনো প্রকার উপকার নেই। একজন বুদ্ধিমান শত্রুও একজন বোকা বন্ধু থেকে উত্তম। 🔴২. উত্তম চরিত্র বন্ধুত্বের জন্য দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ গুণ হচ্ছে উত্তম চরিত্র। কখনোই এমন কারো সাথে বন্ধুত্ব করবেননা, যে তার ক্রোধকে দমন করতে পারেনা বা তার আকাঙ্ক্ষাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা অথবা যে মিথ্যাবাদী বা দুনিয়ার প্রতি লোভী। 🔴৩. ন্যায়পরায়ণতা বন্ধুত্বের জন্য তৃতীয় গুণটি হলো ন্যায়পরায়ণতা। বড় বড় অন্যায়ে লিপ্ত কারো সাথে আপনি বন্ধুত্ব করতে যাবেননা। কেননা, এর ফলে আপনি তার অন্যায় দেখতে দেখতে অন্যায়কাজে অভ্যস্থ হয়ে পড়তে পারেন। আপনার বন্ধুদের মধ্যে উপরোক্ত গুণের প্রেক্ষিতে তাদেরকে আপনার সাহাচর্য প্রদান

গাছ লাগানো সদকায়ে জারিয়া

Image
গাছ লাগানো সদকায়ে জারিয়া শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতে খলিফা হিসেবে পাঠানোর জন্য মানব তৈরি করলেন। আর তার আগেই পৃথিবীকে সাজালেন মানব বসবাসের উপযোগী করে। মানুষের জীবনধারণের জন্য মাটি, পানি, অগ্নি, বায়ু এবং জড়-জীব, উদ্ভিদ, গুল্ম-লতা, গাছগাছালি, বৃক্ষরাজি, ফুল- ফলমূল ইত্যাদি। জীব ও জীবনের জন্য অক্সিজেন অপরিহার্য। প্রাণ ও প্রাণীর জীবন সম্পূর্ণ নির্ভর করে উদ্ভিদের ওপর। উদ্ভিদই আমাদের অতিপ্রয়োজনীয় জীবনের উপাদান অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং মানবদেহ থেকে নিঃসরিত ক্ষতিকর কার্বন ডাই–অক্সাইড শোষণ করে আমাদের পরিবেশকে দূষণমুক্ত ও বাসযোগ্য রাখে। মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসার সব উপাদানই আসে উদ্ভিদ থেকে। আমিষের উপকরণ পশুপাখিও উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল। নবীজি (সা.) বৃক্ষরাজি খুবই ভালোবাসতেন। মহানবী (সা.) নিজ হাতে গাছ লাগিয়েছেন এবং গাছ লাগানোর জন্য অন্যদের উৎসাহিত করেছেন। রাসুল (সা.)-এর সাহাবিরাও গাছ লাগাতেন। বর্তমান পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রতিরোধে তথা মানবসভ্যতার সুরক্ষার জন্য মহানবী (সা.)–এর মহান সুন্নাত বৃক্ষরোপণ অতীব প্রয়োজন। কোরআন কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,